বাংলাদেশ
ঢাবিতে কমছে ভর্তির আসন সংখ্যা, থাকছে না ‘ঘ’ ইউনিটও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আসন সংখ্যা পুনর্নির্ধারণের অংশ হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাও বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সাধারণ ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও সামর্থ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি দেশের বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে এক হাজারের বেশি আসন কমানোর সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা ঘ ইউনিট আর না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের সভা এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তবে একাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় এটি চূড়ান্ত হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরের ক্লাস বন্ধ
আরও ৩ রুটে 'ঢাকা নগর পরিবহন' চালু হবে
সবুজ গুচ্ছের (গ্রীন ক্লাস্টার) নতুন ৩ রুটে 'ঢাকা নগর পরিবহন' চালু করা হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২১তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সফলতার সঙ্গে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরীক্ষামূলক যাত্রাপথ হিসেবে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত আমরা চালু করি। প্রথম যাত্রাপথ আমাদের ২১ নম্বর যাত্রাপথ। এটা সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত। সেই সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথ আমরা চিহ্নিত করেছি। এই তিন যাত্রাপথে আমরা কার্যক্রম পরিচালিত করব।’
নতুন তিন যাত্রাপথ কবে নাগাদ চালু হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এসব রুটে আরও ভালো সেবা দিতে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, কী কী অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে, এজন্য পরামর্শকরা কাজ শুরু করেছেন। আগামী সভায় তারা নতুন যাত্রাপথের প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা কমিটির কাছে জমা দেবে। পরে আমরা ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণ করে দ্রুততার সঙ্গে একটি নির্দষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই কাজটি করতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।’
সভায় পুরো সবুজ গুচ্ছে নগর পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমরা এখন আর একটি একটি করে যাত্রাপথ ধরছি না। আমরা এক সঙ্গে তিনটি যাত্রাপথ নিয়ে কাজ করছি। তার মানে আমাদের কার্যক্রম আরও বেগবান ও গতিশীল হচ্ছে। এই তিন যাত্রাপথ শেষ হলে পরবর্তী যাত্রাপথ আরও সহজ হয়ে যাবে। এই সবুজ গুচ্ছে আটটি যাত্রাপথ রয়েছে। একটা চালু আছে। বাকি তিনটি চালু হলে অর্ধেক সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে বাকি চারটা যাত্রাপথ শেষ করে সবুজ গুচ্ছ শেষ করা হবে। আমরা আশাবাদী। এই বছরেই এই কার্যক্রম আমরা শেষ করতে পারবো।’
যাত্রী সেবায় ঢাকা নগর পরিবহনের মূল লক্ষ্য জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘যে কোনও বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তার লাভ-লোকসান বুঝা যায় না। এখনই এটা নির্ধারণের সময়ও আসেনি। তবে আয় এবং খরচ মোটামুটি সমান। এই তিনটি যাত্রাপথ চালু হলে আরও লাভ হবে। আমাদের মূল বিষয় লাভ করা নয়। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে যাত্রী সেবা।’
চালু হওয়ার রুটে অন্য বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনুমোদনহীন বাস জব্দ করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর হবো।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে সভায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু
চার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে সময়বদ্ধ সূচির ওপর গুরুত্বারোপ করে উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের সফলতা ও ঢাকার ওপর বাসের চাপ কমা পরস্পর সম্পৃক্ত। সেজন্য আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে আমাদেরকে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য ডিটিসিএ আগামী সভায় চার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে সুনির্দিষ্ট সময়সূচী ও কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে।’
সভার শুরুতেই দক্ষিণ সিটি ও উত্তর সিটির দুই মেয়র ঢাকা নগর পরিবহন পরিচালনায় বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের জোরদার ও দৃশ্যমান ভূমিকা না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন। এ সময় দুই মেয়র ঢাকা নগর পরিবহন সেবা ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশকে আরও বেশি দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন।
২২ নম্বর যাত্রাপথ হিসেবে ঘাটারচর থেকে ভুলতা পর্যন্ত চলবে নগর পরিবহনের বাস। ২৩ নম্বর যাত্রাপথ ঘাটারচর থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত। ২৬ নম্বর যাত্রাপথ হচ্ছে ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত।
সভায় অন্যদের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ডিএসসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান
ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকাকালে ভিজিএফের পাশাপাশি মৎস্যজীবী-জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় বলেশ্বর নদীতে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ বিষয়ক অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্য আহরণের সময় এবং মৎস্য আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণের যৌক্তিক, গবেষণালব্ধ ও বাস্তবতাসম্পন্ন কারণ রয়েছে। মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ দেয়াসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার। মৎস্যজীবীদের বিকল্প কাজের জন্য রিকশা, ভ্যান, গরু, হাঁস-মুরগির বাচ্চা দেয়া হচ্ছে যাতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় তারা কর্মহীন না হয়।
কর্মশালায় মন্ত্রী আরও বলেন, শূন্য থেকে দেশে মৎস্য উৎপাদন বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। একসময় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, নতুন প্রজন্মকে বলতে হবে ইলিশ জাতীয় একপ্রকার মাছ ছিল, তার গায়ের রং এমন ছিল, স্বাদ এমন ছিল। একটা সময় একেবারেই ইলিশ হারিয়ে যাচ্ছিল। সে জায়গা থেকে ইলিশের উৎপাদন এমন জায়গায় আনা হয়েছে যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সাত লাখ মেট্রিক টন আহরণের পর আরও দেড় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করা যাবে।
রেজাউল করিম আরও বলেন, আমাদের একটি প্রবণতা আছে যতক্ষণ নদীতে মাছ আছে ততক্ষণ আমরা সব মাছ তুলে ফেলবো। এ ধারণাটা মৎস্যখাতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা পরিমাণ মাছ নদী বা জলাশয়ে থাকতে হবে। নদী থেকে কতটা মাছ তোলা যাবে তার বিজ্ঞানসম্মত অভিজ্ঞতা ও রিপোর্ট রয়েছে। সার্বক্ষণিক আমরা যদি মৎস্য আহরণ করতে দেই তাহলে একসময় পানি থাকবে কিন্তু কোন মাছ থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘নদী দূষণ, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়া, অভয়াশ্রমে অবৈধ মৎস্য আহরণ, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, নদীতে ডিম ছাড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত করাসহ নানা কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তখন ইলিশ উৎপাদনে শীর্ষ দেশের পরিচয় আমাদের আর থাকবে না। এজন্য ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র ও অভয়াশ্রম সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাময় মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য সম্পদ রক্ষার জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বড় বড় দুর্বৃত্ত, জলদস্যু ও দেশের বাইরের লোক এসে যাতে অবৈধভাবে আমাদের মৎস্যসম্পদ আহরণ করতে না পারে তাদের উদ্দেশ্য করে এই আইন করা হয়েছে। এ আইন মৎস্যজীবী-জেলেদের সাজা দেয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এমনটি নয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ নিয়ে কথকতা
এসময় দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি ও কমিউনিটি সম্পৃক্তকরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
কর্মশালায় বিএফআরআই-এর গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বলেশ্বর নদী ও মোহনা অঞ্চলে ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩৪৮ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলকে প্রজনন ক্ষেত্র ঘোষণার জন্য প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত অঞ্চলকে প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণার মধ্যমে দেশে ইলিশের পঞ্চম প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত হবে এবং সর্বমোট সাত হাজার ৩৪৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ অবাধে প্রজননের সুযোগ পাবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
প্রস্তাবিত প্রজনন ক্ষেত্র এলাকা হচ্ছে-বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার বগী বন্দর থেকে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার পক্ষীর চর সংলগ্ন পয়েন্ট পর্যন্ত এবং পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা থেকে পটুয়াখালী (বরগুনা জেলার সীমানা সংলগ্ন) জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়ন এর লেবুর বাগান পয়েন্ট পর্যন্ত। বিএফআরআই-এর গবেষকরা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করে এই প্রজনন এলাকা নির্ধারণ করেছেন বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জলাশয় সংস্কার: হাওরপাড়ের মৎস্যজীবী ও কৃষকেরা আশাবাদী হয়ে উঠছেন
ডিআরইউ’কে উপহার হিসেবে অটোমেটিক হ্যান্ড সেনিটাইজেশন ডিসপেনসার দিলো ভারতীয় হাইকমিশন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অটোমেটিক হ্যান্ড সেনিটাইজেশন ডিসপেনসার মেশিন ও মাস্ক শুভেচ্ছা উপহার দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের কাছে দুটি সেনিটাইজেশন মেশিন ও মাস্ক হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
এ সময় নজরুল ইসলাম মিঠু ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডিআরইউ’র মিট দ্য রিপোর্টার্সে আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হাসিব
পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে ডিআরইউ: স্পিকার
কৃষকদের ডিজিটাল আইডি ও স্মার্ট কার্ড দিবে সরকার
প্রকৃত কৃষকদের কাছে প্রণোদনা ও অন্যান্য সেবা দ্রুত পৌঁছে দিতে তাদের জন্য ডিজিটাল আইডি ও স্মার্ট কার্ড প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার একনেক সভায় তোলা হবে।
এ জন্য পাঁচ কোটি কৃষকদের মধ্য থেকে এক কোটি ৬২ লাখ কৃষককে ডিজিটাল প্রোফাইল দেয়া হবে। এক কোটি ৯২ লাখ কৃষককে স্মার্ট কৃষি কার্ড দেয়া হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মী ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ এক কোটি ৬২ লাখ কৃষকের সঙ্গে ডিজিটালভাবে যোগাযোগ করবেন এবং এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী তথ্য বিনিময় ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি প্রকল্পের আওতায় এসব উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রকল্পটির প্রস্তাবিত মোট ব্যয় ১০৭ দশমিক ৯২ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: গোদাগাড়ীতে টমেটো চাষে কৃষকের রঙিন হাসি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অর্থনীতি ও পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি শাখার দায়িত্বে থাকা একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকদের প্রণোদনা দিলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়া অনেক কৃষক ১০ টাকার কৃষি কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এ জন্য প্রাথমিকভাবে লাখো কৃষককে কৃষি কার্ড দেয়া হবে। এরপর সারাদেশের কৃষকদের ধাপে ধাপে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটালভাবে শস্য জমি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: লাল বাঁধাকপি চাষ: বদলে দিয়েছে কৃষক বেলালের ভাগ্য
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে ১৪টি কৃষি অঞ্চলের ৯টি জেলায় স্মার্ট কৃষি কার্ড দেয়া হবে।
জেলাগুলো হলো- গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বান্দরবান ও ময়মনসিংহ।
বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন: বাংলাদেশ রেলওয়ে
দেশে করোনা সংক্রমণ কমায় বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার সংক্রমণের হার কমায় রেলপথ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকার টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করেছে। মানুষ টিকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করছেন যা যাত্রী চাপ বাড়িয়েছে। তাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
এছাড়া মন্ত্রণালয় ট্রেনের যাত্রীদের করোনার স্বাস্থ্যবিধি, যেমন মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার, কঠোরভাবে মেনে চলার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।
এর আগে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের ফলে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেন-ভটভটি সংঘর্ষে নিহত ৩
বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়া বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এসব নির্দেশনা দেন। সভায় সংশ্লিষ্ট অন্যরা সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
সভাশেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য প্রক্রিয়া ভেরি প্রিসাইজ ও ট্রান্সপারেন্ট করে দিতে বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নামে সড়ক হবে চট্টগ্রামে
তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে প্রকৃত কর্তৃপক্ষ, কত টাকা খরচ হবে, টাকার প্রয়োজন হলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া যাবে- এসব বিষয়ে অবহিত করতে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চাকরির নিশ্চয়তা পত্র ছাড়া ব্যাংক ঋণ দেয় না। তাই তারা নিরাপদ থাকবেন...। প্রতারিত হবেন না।’
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি শিল্প পার্ক নির্মিত হচ্ছে। এসব জায়গায় কয়েক হাজার শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। এ বিষয়টিও যেন প্রচার করা হয় সে ব্যাপারেও সভায় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে ভালো বেতনে চাকরি পেতে চাকরিপ্রার্থীদের তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং শিল্প পার্কের চাহিদা জেনে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
গাজীপুরের সাফারি পার্কে সিআইডি'র নমুনা সংগ্রহ
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শন করলেন সিআইডি'র হেডকোয়ার্টার থেকে আসা একটি টিম। ডা. নাজমুল করিম খান এর নেতৃত্বে আসা কেমিকেল টিমের সদস্যরা কোর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন এবং জেব্রা, বাঘ ও সিংহীর মৃত্যুর বিষয়ে পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
১২ থেকে ১৩টি নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা করে প্রাণী মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা হবে বলে জানান সিআইডি'র অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
সিআইডি হেডকোয়ার্টার থেকে আসা কেমিকেল টিমের সঙ্গে গাজীপুর ক্রাইমসিন টিম ও সিআইডি তদন্ত টিমের যৌথ পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিআইডির এসপি রিয়াজুল হক, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) অঞ্জন কুমার।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কের প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে: খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি এ সময় মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সোমবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গ্রীন প্লাজায় 'বাংলাদেশ - ইন্ডিয়া কালচারাল মিট, রাজশাহী ২০২২ আয়োজন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায়' প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে দু’দেশের শিল্পীরা গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা -সাহস যুগিয়েছেন। পঞ্চম বাংলাদেশ- ইন্ডিয়া কালচারাল মিট নতুন করে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে জাগিয়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন সচেতনতা ও সদিচ্ছা: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এক সময় ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। দু’দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে, ভবিষ্যতে সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী বিভাগের সংসদ সদস্যগণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট ২০২২’ রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলারডুবি: আরও এক জেলের লাশ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ ১১ জেলে
বঙ্গোপসাগর এবং সুন্দরবনের দুবলার চরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ থাকা আরও এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ১১ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে ওই জেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হলো। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ৩ জেলে জীবিত উদ্ধার
এর আগে রবিবার বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে মামুন শেখ (৪০) ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার জানারপাড় গ্রামের আজিজুল খানের ছেলে ইসমাইল খানের (৩৬) লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
এর আগে হঠাৎ ঝড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তিন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলারচর ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় আরও জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড, বন বিভাগ এবং স্থানীয় জেলেরা সোমবার সকাল ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো বঙ্গোপাসাগর এবং দুবলারচরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। প্রায় তিন হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি চলছে। এখনও ১১ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে আটকা পড়া ৭ জেলে উদ্ধার