বাংলাদেশ
পাবনায় নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
পাবনায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীও আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার মুনশিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করছে স্থানীয়রা।
নিহত শারমীন শিলা (৩২) ওই গ্রামের রানাউর রহমানের স্ত্রী। আটক সুমন আলী (৩০) একই উপজেলার সরাইকান্দি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ বাড়ির ছাদে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, মুনশিদপুর গ্রামে একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন তারা। ভোরে অভিযুক্ত সুমন বাড়িতে ঢুকে শারমীনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। চিৎকারে স্বামী রানাউর রহমান স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে হামলাকারী। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে হামলাকারী সুমনকে তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন নিহতের স্বামী। পরে এলাকাবাসী তাকে আহত অবস্থায় আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তবে ঘটনাস্থলেই ওই নারী মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত স্বামী রানাউর রহমানকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অভিযুক্ত সুমনকে পুলিশি পাহারায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান কাটা নিয়ে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
ফিরোজ কবির জানান, হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব কোনো শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
রাজধানীতে ‘মানবপাচার চক্রের’ ৩ সদস্য আটক
রাজধানীর মিরপুর থেকে সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের মূলহোতা মল্লিক রেজাউল হক সেলিম (৬২) সহ তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-৪। এসময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া পাসপোর্ট, নকল ভিসা ও দলিল দস্তাবেজ জব্দ করা হয়।
আটক অন্য দুজন হলেন, মো. বুলবুল আহমেদ মল্লিক (৫৫) ও নিরঞ্জন পাল (৫১)।
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান বলেন, গোপন তদন্ত ও স্থানীয় সোর্স থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল সোমবার রাতে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে মানবপাচার চক্রের এই তিন সদস্যকে আটক করে। উক্ত অভিযানে ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্টের কপি, নকল ভিসা, আবেদনপত্র, বায়োডাটা, ছবি, মোবাইল, মোবাইল সীম এবং নগদ টাকাসহ মানবপাচার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ স্বামীসহ আটক ২
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী দেশে মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মল্লিক রেজাউল হক সেলিম ও তার সহযোগী বুলবুল আহমেদ মল্লিক ও নিরঞ্জন পাল। এই চক্রে তাদের সহযোগী হিসেবে দেশে আরও ৫-৭ জন সদস্য রয়েছে। তাছাড়া ভারতেও তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে।
এই চক্রের অন্যান্যদের আটকে র্যাব-৪ এর অভিযান চলমান রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে রুপনগর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
বুধবার মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এর আমন্ত্রণে বুধবার সরকারি সফরে মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট দুপুর ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
একই দিন বিকাল ৩টা (স্থানীয় সময়) ফ্লাইটটি মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন ।
আরও পড়ুন: সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সফরে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বন্দীদের স্থানান্তর এবং দ্বৈত কর এড়ানোর বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সহ চারটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
এগুলো হলো- দ্বৈত কর পরিহার এবং আয়ের ওপর করের ক্ষেত্রে আর্থিক ফাঁকি প্রতিরোধের চুক্তি, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যোগ্যদের নিয়োগের বিষয়ে এমওইউ। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পেশাদার এবং সমঝোতা স্মারক (নবায়ন)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেয়া ১৩টি সামরিক যান মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
এসময় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
২৩ ডিসেম্বর বিকালে প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ পিপলস মজলিসে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: শহীদজায়া মুশতারী শফীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার সম্মানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির আয়োজনে রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর মালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে মালের হোটেল জিনে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, দেশটির জাতীয় সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ এবং প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনান বাংলাদেশ সরকার প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ (৭০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে ১০ মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, রবিবার এলাকায় ইন্টারনেট লাইলের ভাড়া নিয়ে শামসুল হকের সঙ্গে রিপনের কথা কাটাকাটি হয়। এই দ্বন্দ্বে এলাকায় শালিস বসে। নিহত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ শালিসে বিচারক ছিলেন। এ ঘটনায় রিপন বিচারকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে ওই দিন বিকালে শহিদুল্লাহকে পথে একা পেয়ে রিপন, শামীম ও মমিনসহ কয়েকজন তাকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় চিৎকার শুনে আবিদ, আসাদুলসহ চার ব্যক্তি বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে এলাকার স্বদেশ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে শহিদুল্লাহর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষ মুক্তিযোদ্ধা নিহত
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত মুক্তিযোদ্ধার হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সবচেয়ে মহান কূটনীতিক ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঙ্গবন্ধু বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মহান কূটনীতিক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। সোমবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু তার কূটনৈতিক দূরদর্শিতা থেকেই আমাদের পররাষ্ট্র নীতি করেছিলেন, ‘সবার প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়’।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জোট নিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নীতিগুলোর ভিত্তিতেই আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বেনজীর আহমেদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম, এ, কাশেম, শহিদ মুনীর চৌধুরীর সন্তান মো. আসিফ মুনীর চৌধুরী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য ড. মুহম্মদ ইসমাইল হোসেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবতার কথা নিয়ে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে অভিবাসীদের ত্যাগ অনস্বীকার্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চাঁদপুরেও ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ভার্চুয়াল টকশো’র উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে চাঁদপুরে মামলা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফ মাহমুদ ফেরদৌস শাহীন চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ভার্চুয়াল টকশোতে উপস্থিত হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দেন।
এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে এ মামলা করেছেন বলে শরীফ মাহমুদ ফেরদৌস শাহীন জানান।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর সমালোচনা মুখে পড়েন তিনি। ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে তার একটি অডিও ফাঁস হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।
পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে মামলা
এবার মুরাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন
অভিজিৎ হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদের উপর হামলাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে জঙ্গিরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায়। অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কোপানো হয়। বন্যা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে ফেলে এবং মারাত্মক আহত করে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ মারা যান।
সোমবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, একজন লেখক, ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে অভিজিৎ রায় বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে ও বাক স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে কারাবন্দী নাস্তিক ব্লগারদের দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ গড়ে তোলায় কাজ করতেন এবং সামাজিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পরিচিত মুখ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসি
বিবৃতিতে বলা হয়, লেখালেখি ও ভিন্নমতের জন্য অভিজিৎকে লক্ষ্যবস্তু এবং হত্যা করা হয়।
তাকে হামলার দায় স্বীকার করেছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে হামলাকারীরা বাংলাদেশেই অবস্থান করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিসের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস (আরএফজে) এই পুরস্কার ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা কমেছে: মার্কিন প্রতিবেদন
১৫ বছরে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার তিনগুণ বেড়েছে: বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের শহর এলাকায় ১৫ বছরে মাথাপিছু তিন গুণ বেড়েছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। ২০০৫ সালে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার তিন কেজি ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে সে পরিমাণ তিন গুণ বেড়ে ৯ কেজি হয়েছে।
ঢাকা শহরে এই পরিমাণ ২২ কেজি ৫০০ গ্রাম, যা জাতীয় গড়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। ২০০৫ সালে ঢাকায় মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ছিল ৯ কেজি ২০০ গ্রাম।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ‘টুয়ার্ডস এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ'নামক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দানদান চেন তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, 'দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও নগরায়ণের কারণে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং দূষণ উভয়ই হঠাৎ বেড়ে গেছে। করোনাভাইরাস মহামারি প্লাস্টিক আবর্জনার অব্যবস্থাপনাকে আরও বাড়িয়েছে।'
তিনি বলেন, ‘ক্রমশ বাড়তে থাকা দূষণের হার কমিয়ে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতের জন্য প্লাস্টিকের টেকসই ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন,‘সরকারের ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান’কে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
সংস্থাটির সাম্প্রতিক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দূষণ ব্যবস্থাপনার জন্য ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান’ এ স্বল্পমেয়াদী (২০২২-২০২৩), মধ্যমেয়াদী (২০২৪-২০২৬) এবং দীর্ঘমেয়াদী (২০২৭-২০৩০) পরিকল্পনা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, ২০২৬ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ শতাংশ করে প্লাস্টিক বর্জন এবং ২০২০/২১ বেসলাইন থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে।
পরিকল্পনাটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা সম্মিলিতভাবে তৈরি করা হয়েছিল।
করোনা মহামারি প্লাস্টিক দূষণকে আরও বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে মাস্ক, গ্লাভস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামগুলোতে ব্যবহৃত একবার ব্যবহার করা হয় এসব জিনিসের বেশিরভাগই প্লাস্টিক থেকে তৈরি হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্লাস্টিক বর্জ্যের একটি বড় অংশ জলাশয় ও নদীতে ফেলা হয়।
এতে বলা হয়,বাংলাদেশ ধাপে ধাপে প্লাস্টিক দূষণ রোধে পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন- ২০০২ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। তবে কিছুদিন পর আবারও বেড়ে যায় প্লাস্টিক দূষণ। পাট প্যাকেজিং আইন ২০১০ ছয়টি প্রয়োজনীয় জিনিসের (ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি) প্লাস্টিকের প্যাকেজিংয়ের বিকল্প হিসাবে প্রচার করা হয়। এছাড়া ২০২০ সালে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উপকূলীয় অঞ্চল এবং সারা দেশের সমস্ত হোটেল ও মোটেলগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ২৫ কোটি ডলারের চুক্তি
দেশে ঝরে পড়া তরুণ ও বস্তির শিশুদের শিক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তা
ঢাবি ছাত্রকে নির্যাতনের দায়ে সিফাতকে হল থেকে বহিষ্কার
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র সিফাত উল্লার কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম, সম্মান ও আইন বিরুদ্ধ হওয়ায় হল কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বলে রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যদি সিফাতকে পরবর্তী সময়ে হলে অবস্থান করতে দেখা যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে হলের ৩৫১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে কাজী পরশ মিয়া নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন সিফাত উল্লাহ।
ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী পরশ মিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনা তদন্ত করতে দ্রুত কমিটি গঠন করে হল কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন সন্ধ্যায় পরশ মিয়া মো. মাহমুদুর রহমান নামে এক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীকে ৩৫১ নম্বর কক্ষে ফোনের চার্জার দিতে গেলে সিফাত তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হন।
এ সময় মাহমুদুর সিফাতকে নিবৃত করেন এবং শাকিল হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী তাকে বাইরে নিয়ে আসেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে--রোকেয়া গাজী লিনা ও আসাদুজ্জামান প্রান্ত-- নির্যাতনের দায়ে সিফাতকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৮ নভেম্বর, সিফাত আরিফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম নামে আরও দুই ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেয়ার জন্য নির্যাতন করেন এবং তা না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় বলেন জানা গেছে।
পরে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটাবে না বলে মুচলেকা দেয় সিফাত। তবে তিনি এ অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন বলে জানান হল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঢাবির সূর্যসেন হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, অভিযুক্ত সেই সিফাতই
ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
চলন্ত বাসে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জে চলন্ত বাসে এক গৃহবধূ (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রবিবার রাতে জেলার বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় জাহিন গার্মেন্টস এর সামনে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই বাস চালক নুরুল হক (২১), বাস কন্ট্রাকটার শান্ত (১৬) ও বাসের হেলপার বুলেটকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে।
বন্দর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকমর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে ওই গৃহবধূ রূপগঞ্জের গাউছিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বাসটি চিটাগাং রোডে আসতেই সকল যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটিতে উচ্চস্বরে গান বাজনা বাজিয়ে চালক গাড়িটি চালাতে থাকে। এর একপর্যায়ে চলন্ত বাসের মধ্যে ওই গৃহবধূকে চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টর মিলে ধর্ষণ করে। চিটাগাং রোডের পর থেকে ঘটনা ঘটলেও বন্দরের মদনপুরে এসে ওই তরুণীকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ওসি আরও জানান, রাতেই গাড়ি মেরামতের দোকান থেকে অভিযুক্ত বাসটির চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে আটক করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সন্তান প্রসব!
ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেপ্তার ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর বরখাস্ত