বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আলালের কটূক্তিপূর্ণ ভিডিও সরানোর নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দ্রুত সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এর আগে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আরও পড়ুন: মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করায় বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হলের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হোসন শাহাদাত।
একই ঘটনায় অপর এক শিক্ষার্থী নূরউদ্দীন একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
জিডিতে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে কুরুচিকর ও অশ্লীল মন্তব্য করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নেটিজেনরা এর প্রতিবাদ করে। আলালের বক্তব্য রাষ্ট্রের জন্য চরম আপত্তিকর ও মানহানিকর’। তিনি জিডিতে একটি ভিডিও’র লিংকও যুক্ত করেছেন।
অন্য অভিযোগে নূরউদ্দীন লিখেছেন, ‘গত ৬ ডিসেম্বর রাত ১২টায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২৩৯নং রুমে বসে একটি লিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আলালের ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের ভিডিও দেখতে পান। এটি সরকার ও দেশের জনগণের জন্য হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানিকর’।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
উৎপাদন বাড়াতে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের স্বার্থে শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আন্তরিক ও দৃঢ় সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকসহ সকলকে আমি সবসময় একটা অনুরোধই করবো, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সুন্দর ও ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে।’
বুধবার সকালে পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাঝে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল দেশের ৩০ কারখানা
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল ও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের ৮টি নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মালিক পক্ষের সবসময় মনে রাখতে হবে এই শ্রমিকদের শ্রম দিয়েই তাদের কারখানা চালু থাকে এবং অর্থ উপার্জনের পথ সৃষ্টি হয়। সেইসাথে শ্রমিকদেরও এই অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই কারখানাগুলো আছে বলেই তারা তাদের পরিবারের ভরণপোষন বা নিজেদের উপার্জন করতে পারছেন।
কিছু স্বার্থান্বেষী মহলকে অনেক সময় কারখানাগুলোতে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে দেখা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব হওয়ায় কারখানাগুলোতে উৎপাদন বজায় রাখা এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে রপ্তানি করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি একটি বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়, তা রপ্তানি ও কাজের পরিবেশকে ব্যাহত করবে এবং এইভাবে আপনারা চাকরি হারাবেন। অতএব এই দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় রেখে কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পুরস্কার তুলে দেন।
মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যে বেফাঁস মন্তব্য এবং অডিও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
রিটে জামালপুর-৪ আসনের মুরাদ হাসানে কর্মকান্ডের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আরও পড়ুন: মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি তোলে বিএনপি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই একটি ফোন আলাপের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেশের একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে মুরাদ হাসানের অশালীন ভাষায় কথা বলতে এবং তাকে হুমকি দিতে শোনা যায়।
তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরেরদিন মঙ্গলবার দুপুরে ডা. মুরাদ হাসানের পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়ে আসেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
পরে সেটি সারসংক্ষেপ আকারে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার রাতে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাতেই এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
একই দিন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।
আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ রায় ঘোষাণা করেন। এর আগে সকালে মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তিন অসামি জিসান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -মেহেদী হাসান রাসেল, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, শামীম বিল্লাহ, মাজেদুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মনিরুজ্জামান মনির, মেহেদী হাসান রবিন, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. অনিক সরকার, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, ইফতি মোশাররফ সকাল, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মাহমুদুল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. আকাশ হোসেন, অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মোয়াজ আবু হুরায়রা। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পুনরায় ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল দেশের ৩০ কারখানা
পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বুধবার দেশের ছয়টি সেক্টরের ৩০টি কারখানাকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০ দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক খাতের ১৫টি কারখানা, চা শিল্প খাতের চারটি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের তিনটি, প্লাস্টিক শিল্প ও ওষুধ শিল্প খাতের তিনটি করে কারখানা এবং চামড়া শিল্প খাতের দুটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পোশাক কারখানা ১৫টির মধ্যে রয়েছে রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড, তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড, মিথেলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড, এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, করোনি নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড, কেনপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেলস প্রাইভেট লিমিটেড (কেনপার্ক ইউনিট-২), গ্রীন টেক্সটাইল লিমিটেড (ইউনিট-৩), ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, উইজডম অ্যাটায়ারস লিমিটেড, মাহমুদা অ্যাটায়ারস লিমিটেড, স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড এবং আউকো-টেক্স লিমিটেড।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এবং ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড।
চা শিল্প খাতের চারটি প্রতিষ্ঠান হল গাজীপুর চা বাগান, লস্করপুর চা বাগান, জাগছড়া চা কারখানা এবং নেপচুন চা বাগান।
এছাড়া, চামড়া শিল্প খাতের দুটি কারখানা হলো অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ও এডিসন ফুটওয়্যার লিমিটেড।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্লাস্টিক খাতের অন্তর্গত বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড, অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড এই স্বীকৃতি পেয়েছে।
অন্যদিকে ওষুধ শিল্পের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত আটটি মহিলা (কর্মজীবী) হোস্টেলও উদ্বোধন করেন।
ফরিদগঞ্জে শিশু ধষর্ণ মামলায় যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মান্দারতলী গ্রামে আট বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. নাছির চৌকিদার (৩০) নামে এক যুবককে পাচঁ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর নাছির বাড়ির উঠান থেকে ওই শিশুকে ধরে নিয়ে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে নাছির, তার বাবা হানিফ চৌকিদার ও তার মা হেনজী বেগমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু আল মামুন ২০১১ সালের ৩০ মার্চ নাছিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলায় সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ১১ বছর চলমান অবস্থায় ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার সাক্ষ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযুক্তকে পাচঁ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলায় সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটার (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ মানছুরি।
আরও পড়ুন: বাসে শাবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান-এর পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সম্প্রতি নারীদের প্রতি বিভিন্ন অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য মুরাদ বিভিন্ন মহলে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
পড়ুন: মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ
বাংলাদেশকে সাড়ে ৫ লাখ ডোজ অ্যাস্টাজেনেকা টিকা দিল মালয়েশিয়া
করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংহতি ও সমর্থনের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকারাখা পাঁচ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি ডোজ দিয়েছে মালয়েশিয়া।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মো. হাশিম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে কিছু প্রতীকী টিকার ডোজ হস্তান্তর করেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়া হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার হাশিম বাংলাদেশ সরকারকে পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উপহার দেন। এ সময় তিনি এই উপহারকে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ, উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন।
মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকারের টিকা দেয়ার দেশের তালিকা সীমিত থাকা সত্ত্বেও, টিকা উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ নাগরিককে প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্য ভারতের
চট্টগ্রামে এবার খালে পড়ে শিশু নিখোঁজ
এবার চট্টগ্রামে খালে পড়ে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। মহানগরীর ষোলশহর এলাকায় মো. কামাল (১০) নামের শিশুটি সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নিখোঁজ হলেও ২৪ ঘন্টা পর তার খোঁজে মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালানো শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা।
নিখোঁজ শিশু কামাল ষোলশহর স্টেশন এলাকার মো.কাউসারের ছেলে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৪টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাকিব (১৪) ও মো. কামাল (১০) নামের দুই শিশু সড়কের পাশে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের বিপরীতে ভূমি অফিসের সামনে চশমা খালে পড়ে যায়। এ সময় রাকিব উঠে আসতে পারলেও কামাল উঠতে পারেনি। পরে নিখোঁজ শিশুর বাবাকে ঘটনাটি জানানো হয়। তার বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে পারেনি। পরে আজ খবর পেয়ে ওই শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, আজ বিকেলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি চালাচ্ছি। আমাদের কর্মীরা ওই শিশুকে খোঁজাখুঁজি করছে। কিন্তু এখনও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের একটি ডুবুরি দলও এসেছে।পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা আমরা শুনিনি। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। তবে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।এর আগে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন ছালেহ আহমেদ (৫০) নামের এক পথচারী। পরবর্তীতে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান সেহরিন মাহমুদ সাদিয়া নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেন-বাস-অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার
বঙ্গবন্ধুর খুনিকে মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেয় খালেদা জিয়া: জয়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা আজিজ পাশাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জয় লেখেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হয় খালেদা জিয়া। এরপর যাবতীয় নিয়ম ভঙ্গ করে মৃত আজিজ পাশাকে আবারও চাকরিতে বহাল করে সে। মৃত এই খুনির চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে তারপর মরণোত্তার অবসরে পাঠানো হয়। এমনকি তাকে “মরণোত্তর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” হিসেবে ঘোষণা করে যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।’
তিনি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বর্বরভাবে যারা খুন করে আজিজ পাশা তাদের অন্যতম। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার কাছে বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছিল সে।’
জয় লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি আজিজ পাশাকে প্রথমে উপহার স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয় জিয়াউর রহমান। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্জেন্টিনা, কেনিয়া ও ইতালিতে কূটনীতিক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আজিজ পাশা। এরপর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠনের পর আরও কাছে টেনে নেয় তাকে। খালেদার একান্ত বিশ্বাসভাজন কর্মকর্তা হিসেবে জিম্বাবুয়ের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিল সে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় লেখেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আজিজ পাশাকে পদচ্যুত করা হয় এবং তাকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সে আর দেশে ফেরেনি। জিম্বাবুয়েতে আত্মগোপন করে খুনি আজিজ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশেষে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতেই মারা যায় সে।'
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানায় খালেদা জিয়া: জয়