বাংলাদেশ
৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার
কুমিল্লার কোটবাড়ির ময়নামতি জাদুঘর এলাকায় এক তরুণী বন্ধুর সাথে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনার পর ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ এ কল পেয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার এবং ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মেহেদী (১৯), ফয়সাল (২৪), হৃদয় (১৮) ও বিল্লাল (২১।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, কোটবাড়ির ময়নামতি জাদুঘরের কাছে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একজন নারী কলার (২৫) কান্নাজড়িত কণ্ঠে ৯৯৯ এ ফোন করে ভুক্তভোগী জানান, তাকে কয়েকজন ব্যক্তি জোর করে ধর্ষণ করেছে। তিনি তার বন্ধুর সাথে ময়নামতি জাদুঘরে বেড়াতে যান। পরে তার বন্ধুর পরিচিত কয়েকজন ছেলের সাথে দেখা হলে তারা বেড়ানোর কথা বলে তাকে একটি মেসে নিয়ে যায়। সেখানে তার বন্ধুকে অন্য রুমে আটকে রেখে বন্ধুর তারা তাকে জোর করে ধর্ষণ করে।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কুমিল্লা সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়।পরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বিল্লাল হোসেন এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে চার তরুণকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেন এবং ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মনপুরায় গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরায় স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: চাঁদাবাজি মামলার চার্জ গঠন পেছাল
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৩ দিন পর ফেরি চলাচল শুরু
দীর্ঘ ১৩ দিন পর আবারও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক ফেরি সফলভাবে ঘুরে আসার পর সোমবার দুপুর থেকে চালু করা হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফেরি সার্ভিস। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারি আকারের ফেরি সীমিত আকারে চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। ফেরিগুলো পদ্মা সেতু অতিক্রম করে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছে।
এর আগে স্রোতের গতিবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। পরে গত ৪ অক্টোবর সীমিত চালু হলেও সাত দিনের মাথায় গত ১১ অক্টোবর আবার ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ১৪ ও ২৬ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল সফল হলেও ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। দীর্ঘ দিন পরে ফেরি চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান জানিয়েছে, হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারী ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করবে। এর আগে ১৫ থেকে ২০টি ফেরি চলাচল করলেও এখন চারটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া শিমুলিয়া থেকে ৮৭ লঞ্চ ও ১০১ স্পিডবোটে যাত্রীরা পাড়ি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি: উদ্ধার কাজ স্থগিত
ফেরি উদ্ধারে প্রয়োজনে বেসরকারি সহায়তা নেয়া হবে: বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত আরও ১৫১
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১৫১ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৩ জন রোগী ঢাকায় এবং বাকি ৪৮ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
দেশে বর্তমানে ৬৬২ জন রোগী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৬ টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে ৫২৩ জন রোগী। আর দেশের অন্য সব বিভাগে মোট রোগী ভর্তি আছে ১৩৯ জন।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ৭৯৬ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৪ হাজার ০৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৫ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু: আরও ১৭৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ১৪৬ রোগী হাসপাতালে
দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ২১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯০১ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭১ হাজার ২২৮ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে রবিবার একই সময় ব্যবধানে দেশে করোনায় চারজন মারা যান এবং আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৮১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারি
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২০৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকলেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৯ হাজার ৪৪৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৬ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬০ হাজার ৭৯১ জনে।
এদিকে, গত কয়েকদিন থেকে রাশিয়া হঠাৎ করে করোনভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। অফিসিয়াল মনিটরিং অ্যান্ড রেসপন্স সেন্টার রবিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ হাজার ১৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫ জনে পৌঁছেছে।
এসময় এক হাজার ১৭৯ জন নতুন মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ছাড়াল
করোনার মহাসংকটে শেখ হাসিনার কৌশল বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
নিবন্ধনের অনুমতি পেল ১৪ আইপি টিভি
প্রথম পর্যায়ে ১৪টি আইপি টিভি নিবন্ধনের অনুমতি পেয়েছে। সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অনুমোদন পাওয়া আইপি টিভিগুলো হলো মুভিবাংলা টিভি, জাগরণ টিভি, রূপসী বাংলা টিভি, হার্নেট টিভি, মাটি এন্টারটেইনমেন্ট টিভি, ফ্লিক্স আরকে টিভি, রাজধানী টিভি, ভয়েজ টিভি, জে এ টিভি, নিউজ২১ বাংলা টিভি, জাগরণী টিভি, সবেহপ্রাইম টিভি, দেশবন্ধু টিভি ও সিএইচডি নিউজ২৪ টিভি।
আরও পড়ুন: ৫৯টি আইপিটিভি বন্ধ করেছে বিটিআরসি
ওয়েব সিরিজে ‘কুরুচিপূর্ণ’ দৃশ্য: গ্রামীণফোন ও রবি’র কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়
ভারতে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন ১০০ বীর মুক্তিযোদ্ধা, দরখাস্ত আহ্বান
১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভারতে চিকিৎসাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে দরখাস্ত আহ্বান করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
'বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবাদান' স্কিমের আওতায় ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।আবেদন ৩০ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে জমা নেয়া হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও ফরম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় কুমারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘ডিজিটাল সনদ’ পাবেন: মন্ত্রী
আদমজি ইপিজেডে ৩১ মিলিয়ন বিনিয়োগ দ. কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি কিডো ঢাকা লিমিটেড রাজধানীর আদমজি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) উচ্চ মানসম্পন্ন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নির্মাণের জন্য ৩১ দশমিক ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
সোমবার রাজধানীর বেজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও কিডো ঢাকা কো. লিমিটেড এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে। বেজার পক্ষ থেকে প্রচার বিষয়ক কর্মকর্তা আলি রেজা মাজিদ এবং কিডো ঢাকা লিমিটেডের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আন ইয়ং ডো জোসেফ এই চুক্তিতে সাক্ষর করেন।
ইয়ং ডো বলেছেন, বাংলাদেশে আরও অনেকগুলো জায়গায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আদমজি ইপিজেডে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হলো।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: দ. কোরিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
তিনি বলেন, তাদের কাছে থাকা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তারা দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ইপিজেডের দুর্বল শিল্পগুলোকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করবে।
কিডো খেলোয়ারদের পোশাক প্রস্তুতকারী একটি স্বনামধন্য দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে।
কিডো ঢাকা লিমিটেড কোম্পানিটি কোরিয়ান কিডো গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর তারা দুই মিলিয়ন পিস জ্যাকেট, মোটরসাইকেল সেফটি জ্যাকেট, চামড়া ও ফাইবার জ্যাকেট, ওয়ার্ক জ্যাকেট, স্পোর্ট জ্যাকেট, ফ্লিস জ্যাকেট, বেবি ওয়ার্মার, সফট শেল জ্যাকেট, সোয়েটশার্ট, ভেস্ট, ওয়ার্ক- পরিধান, কভারঅল, হাসপাতালের গাউন, প্রতিরক্ষামূলক কাপড় এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদন করবে। এর ফলে বাংলাদেশের প্রায় ছয় হাজার ৪০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আরও পড়ুন: শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিতে দ. কোরিয়ার প্রতি ঢাকার আহ্বান
বেজার নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং বেজার বিদায়ী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কার্বন নিঃসরণ কমাতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩৪ দেশ
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধে কার্বন নিঃসরণ কমাতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ১৩৪ দেশ। গতকাল পর্যন্ত জাতিসংঘরে সহযোগী সংস্থা ইউএনএফসিসির সাইটে বাংলাদেশসহ ১৩৪ টি দেশের নাম প্রকাশ হয়েছে।
বাংলদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সচিব বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বনভূমি রক্ষা, নতুন বনায়ন, বনাচ্ছাদন, বনসম্প্রসারণে বদ্ধপরিকর জানিয়ে গত ২৬ আগস্ট আমাদের এনডিসি জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউএনএফসিসিতে আপলোড করে দিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশের এই তথ্য ইউএনএফসিসি’র ওয়েব সাইটে যথাসময়ে আপলোড না হওয়ায় গত বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমে বিভ্রান্ত তথ্য পরিবেশন করে বলা হয়, বাংলাদেশ বনভূমি রক্ষা, বন সৃজন প্রক্রিয়ার বৈশ্বিক উদ্যোগের সাথে নেই।
আরও পড়ুন: কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
মোস্তফা কামাল আরও বলেন, তথ্যটি সঠিক ছিল না। এ বিষয়ে কোনো দেশ চুক্তি করে নি। এসব দেশ ঐক্যমত পোষণ করেছেন, তেমনি বাংলাদেশও এই ঐক্যমতের সাথে একত্মতা প্রকাশ করেছে। কিন্তু সিস্টেমের কারণে ইউএনএফসিসির ওয়েব সাইটে প্রথমে বাংলাদেশের নাম তালিকায় ছিল না। পরে গতকাল বাংলাদেশের নাম যুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। এরকম ভাবে আরও দেশের নাম সংযুক্ত হয়ে পর্য়ায়ক্রমে তালিকা প্রকাশ হতে পারে।
সচিব বলেন, মূলত কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বনভূমি রক্ষা,বন বৃদ্ধির বৈশ্বিক উদ্যোগে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।ঐক্যমতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নিজ নিজ দেশে বিদ্যমান বনভূমি রক্ষার পাশাপাশি নতুন বন সৃজন করবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু প্রাকৃতিক বনভূমি রক্ষা নয়, জলবায়ু মোকাবিলায় শহরগুলোতে সামাজিক বনায়ন বাড়ানোর প্রস্তাবও এসেছে সম্মেলনে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও প্রধান বন সংরক্ষ মো.আমির হোসাইন চৌধুরী ইউএনবিকে জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে বনভূমি ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ এবং বনায়ন ২২ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। একই সাথে বন রক্ষা, নতুন নতুন বনসৃজনে স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৬: তাপমাত্রা হ্রাস ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ
তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বন রক্ষা করে চলছি। বরং বিভিন্ন এলাকায় বনের সংখ্যা আরও বাড়ছে। উপকূলীয় বনসহ সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে (এসডিজি- ১৫) বনভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনা, বন উজাড়রোধ, বনভূমি পুনরুদ্ধারসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ বন ও বনজ সম্পদ সংরক্ষণে বিবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, বনভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের সুনির্দিষ্ট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। ২০০৪ সালে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং সর্বশেষ 'জাতীয় বন নীতি ২০১৬’থ তে বনভূমির সংরক্ষণ ও বনজ এলাকা সম্প্রসারণ, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তুতন্ত্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে কপ-২৬ শুরু
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য ড.কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ জানান, দেশের সংবিধানেই বন রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা আছে। সেই আলোকে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সে লক্ষ্যে বন রক্ষায় সবার ঐক্যের সাথে বাংলাদেশও একমত। ২৬ তম কপ সম্মেলনে বিশ্বের বনভূমি রক্ষা করা এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পৃথিবীর বন রক্ষায় ঐক্যমতে আসে বাংলাদেশ সহ ১৩৪ টি দেশ। এই সংখা পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে।
নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা ও লুঠপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনী এলাকায় মন্দিরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় রবিবার রাতে আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।এসময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মন্দিরের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১১।
র্যাব-১১ জানিয়েছে, রবিবার রাতে রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ বন্দর এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে উক্ত উপজেলার মো. মনির হোসেন রুবেল (২৮), জাকের হোসেন রাব্বি (২০), মো. রিপন (২১) ও মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ (৩৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
এ সময় তাদের কাছ থেকে মন্দিরের লুন্ঠিত সাতটি পিতলের তৈরি প্রতিমা, ২০টি বাতির কৌটা, দুইটি দ্রুপতি, পাঁচটি পঞ্চ বাতির দানি, দুইটি হাত ঘণ্টা,এক সেট পিতলের অলংকার, ৪০টি পিতলের তৈরি বিভিন্ন পূজার সামগ্রীসহ বিপুল পরিমাণ জিনিস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রুবেল, রাব্বী ও রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। তারা গ্রেপ্তার সোহাগ এর সহযোগিতায় ধাতব আইটেমসমূহ রুপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: হাজিগঞ্জে মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার মাদরাসা প্রভাষকের
পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরনির্ভরতা কমাতে সরকারি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ এ সময় তিনি প্রণোদনা নিয়ে চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সোমবার নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রবি ২০২১-২২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে প্রায়শই যে সকল পণ্যের দাম বাড়ে সেগুলো আমাদের দেশে কম উৎপাদন হয়। পরনির্ভরতার কারণে সেসব পণ্য আমদানি করতে হয়।’
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশেও দাম বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর, এখানে যা ফলাতে চান তাই ফলবে।’
আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় রেখে দেশে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে কৃষক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষক বান্ধব সরকার কৃষককে প্রণোদণার মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘গ্রামীণ অর্থনীতির বাংলাদেশ তিন স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এগুলো হলো কৃষি খাত, গার্মেন্টস খাত ও প্রবাসীদের রেমিটেন্স। এ সেক্টরগুলো শক্তিশালী হওয়ার কারণে করোনাকালে বিশ্ব অর্থনৈতি মন্দায় পতিত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করা হচ্ছে:খাদ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ১ হাজার চারশত জন কৃষকের মাঝে গম, ২০০ জন কৃষকের মাঝে ভুট্টা, ১ হাজার ৫০০ কৃষকে সরিষা, ১০০ কৃষকে সূর্যমুখী, ১৫০ কৃষকের মশুর, ১০০ কৃষকে খেসারী, ২০ কৃষকের চিনাবাদাম, ৩০ কৃষকে মুগ ও ২০ জন কৃষকের মাঝে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে।