বাংলাদেশ
বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী হত্যা দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফেনী সদরের ফাজিলপুরের অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূ শিরীন আক্তারকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মো.ইয়াছিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড.বেগম জেবুন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়,পরিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ রাতে বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে শিরীনকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর খুনের অভিযোগ এনে শিরিনের মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ইয়াছিনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার গ্রেপ্তারের পর ৮ মার্চ অভিযুক্ত ইয়াছিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই আবু তাহের চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১০ নভেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন হয়। এ মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষী এবং ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সূত্র আরও জানায়, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে আসামি ইয়াছিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন আসামি।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.আলতাফ হোসেন জানান, রায় ঘোষণাকালে আসামি মো.ইয়াছিন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রায়ে তার মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস ছাত্তার জনান, রায়ে আসামির ওপর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা রায়ের কপি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
অন্যদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহাম্মদ জানান, আসামি ইয়াছিন নিজেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকার মো.ইয়াছিনের সঙ্গে শিরীন আক্তারের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে বোনকে হত্যার দায়ে ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
রূপগঞ্জে রাইস মিলে অগ্নিকাণ্ড: দগ্ধ ২ শ্রমিকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিটি গ্রুপের সিটি অটো রাইস মিলে শনিবার রাতে ঘটা অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত দুই শ্রমিকের নাম হযরত আলি (২৫) ও বেলায়েত হোসেন (৫৯)। অগ্নিকাণ্ড থেকে উদ্ধারের পর তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন এসএম আইয়ুব হোসেন জানান।
তিনি জানান, শরীরের ৯৯ শতাংশ দগ্ধ হযরত আলী শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং বেলায়েত হোসেন ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় রবিবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান।
এদিকে, শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া আরেক শ্রমিক মো.সিরাজুল ইসলামের (৬০)অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আবাসিক সার্জন আইয়ুব হোসেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় সিটি অটো রাইস অ্যান্ড ডাল মিলের অগ্নিকাণ্ডে চার শ্রমিক দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে রাইস মিলে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ২
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। গুরুতর দগ্ধ তিন শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং রানা (৩০) নামের আরেক শ্রমিককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মিলের বয়লারের পাশে রাখা গমের বস্তা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন: শনাক্ত ২৪ জনের লাশ বুঝে পেল পরিবার
রূপগঞ্জে হবে মসলিন কারখানা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সশস্ত্র বাহিনী দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের কারণে সর্বত্রই প্রশংসিত। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে পারেন আপনারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব, এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার পাশাপাশি দেশের যেকোনো সংকটময় সময়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার পাশাপাশি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
নৌবাহিনী ভাষানচরে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য আবাসন ও অবকাঠামো নির্মাণ করেও খ্যাতি অর্জন করেছে, অন্যদিকে বিমান বাহিনী সম্প্রতি দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সীড-বল নিক্ষেপ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পরিবেশের ডিজিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
সাভারের বংশী নদীর সীমানা দখলকারী ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের চিহ্নিত করে তাদের নাম-ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ পালন না করায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সাভার থানার ওসিকেও এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিববার স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. বাকির হোসেন মৃধা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা। ’
আরও পড়ুন: দেশের সব নদীর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।
একই সঙ্গে বংশী নদীর সীমানায় মাটি ভরাটের মাধ্যমে দখল প্রতিরোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন ‘বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। সেই সাথে নদীর সীমানায় মাটি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
আইনজীবী মো. বাকির হোসেন মৃধা জানান, ‘ওই আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিবাদীরা বংশী নদীর সীমানা দখল ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের চিহ্নিত করে যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল, তারা তা দেয়নি। সে কারণে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা জানতে এ বিবাদীদের হাজিরা চেয়ে আবেদন করি। আদালত তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী দখল রোধে ২০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা
দেশের সব নদীর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
দেশের সব নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও প্রতিটি বিভাগে নদী দখলকারীদের তালিকা আগামী ছয় মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অর্থ সচিব, বিআইডব্লিউটিএ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এবং সব জেলা প্রশাসককে এ তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জাপানি দুই শিশু থাকবে বাবার হেফাজতে: হাইকোর্ট
আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, দেশে নদীর সংখ্যা নিয়ে একটা অসঙ্গতি রয়ে গেছে। নদী দখলদার উচ্ছেদে আমরা দেখছি কোথাও কাজ হচ্ছে, কোথাও কাজ হচ্ছে না। একইভাবে আদালতের বেশ কিছু নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নদীর সীমানা ভুলভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দখলদারকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। দেশের নদীগুলোকে দখলমুক্ত করতে একটি সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা চেয়ে আমরা আজকে আদালতে একটি রিট আবেদন করি। আদালত সেটার শুনানি নিয়ে আদেশ দিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়, নদীর সংখ্যা নিয়ে একেকটি পক্ষ থেকে একেক তথ্য রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে দেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫ টি, নদী রক্ষা কমিশন বলছে, ৭০৭টি ও বেসরকারি গবেষণায় ১১৮২টি নদীর কথা বলা হয়েছে। নদীর সংখ্যা সঠিক না হওয়ায় দখলদারের সংখ্যাও সঠিকভাবে চিহ্নিত সম্ভব নয়। ফলশ্রুতিতে নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দখলদারের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৩৯০ হলেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এ সংখ্যা আরও অধিক। সম্প্রতি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সারা দেশে ৬৫ হাজার ১২৭ জন দখলদার আছে বলে সংসদে জানান। তাই নদীর সঠিক তালিকা ও অন্যান্য নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনের (বেলা) পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থদণ্ড স্থগিত, বাবরের আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
নিষেধাজ্ঞার পরও সাউথের আমজাদ কীভাবে পালালেন জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
মুনিয়া হত্যা মামলা: ফের পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ
কলেজছাত্রী মোশারত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ সাত আসামির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা পিবিআইকে ৮ ডিসেম্বর নতুন সময়সীমা বেঁধে দেন।
দ্বিতীয়বারের মতো পিবিআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও )গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। এর আগে গত ২ নভেম্বর প্রথমবার প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২১ নভেম্বর
তানিয়ার ভাষ্যমতে, তার বোন মুনিয়ার সাথে আনভীরের সম্পর্ক ছিল। সে নিয়মিত মুনিয়ার সাথে দেখা করতে গুলশানের ওই অ্যাপার্টমেন্টে আসত।
গত ১৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আনভীরকে ক্লিনচিট দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
৬ সেপ্টেম্বর, মুনিয়ার বোন ঢাকার অষ্টম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নতুন করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।
আদালত অভিযোগটি রেকর্ড করার পর পিবিআইকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- আনভীরের বাবা-মা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম ও আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম ও মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা, বন্ধু সাইফা রহমান মিম এবং ফ্ল্যাটের মালিক ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী শারমীম আক্তার।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা: আনভীর কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না জানতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
মুনিয়া হত্যা মামলায় মডেল পিয়াসার ২ দিনের রিমান্ড
জাপানি দুই শিশু থাকবে বাবার হেফাজতে: হাইকোর্ট
জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান দম্পতির দুই কন্যা তাদের বাবার হেফাজতে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই শিশুর জিম্মায় নেয়ার দাবিতে জাপানি মায়ের করা রিট চলমান রেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রায় দেন।
আদালত তার রায়ে মাকে তার সুবিধাজনক সময়ে প্রতি বছর তিনবার ১০ দিন করে শিশুদের সাথে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। এই তিনবারের ওই জাপানি মায়ের বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার খরচ শিশুদের বাবাকে বহন করতে বলা হয়েছে। তবে এর চেয়ে বেশি বার আসলে সে খরচ মাকে বহন করতে হবে।
এছাড়াও ছুটির দিনে মাসে অন্তত দুই বার ভিডিও কনফারেন্সে মায়ের সাথে শিশুদের কথা বলিয়ে দিতে বাবার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এই রিটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে থাকা বাবদ মাকে ১০ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে শিশুদের বাবার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিটটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদেশ প্রতিপালিত না হলে বা অন্য কোনো আদেশের জন্য আদালতে পক্ষগুলো আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তাকে শিশুদের দেখভাল অব্যাহত রাখতে এবং তাকে প্রতি তিন মাস পর পর শিশুদের বিষয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে জাপানে থাকা ছোট মেয়ে হেনাকে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ
চিকিৎসক এরিকো ও প্রকৌশলী ইমরান শরীফ (৫৮) ২০০৮ সালের ১১ জুলাই টোকিওতে বিয়ে করেন। এক যুগের দাম্পত্য জীবনে তারা তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এ দম্পতির ১১, ১০ ও ৭ বছর বয়সী তিন মেয়ে টোকিওর একটি স্কুলে পড়ত। তবে বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য বিবাদের জেরে চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন শিশুদের মা এরিকো। সন্তানদের জিম্মায় চেয়ে টোকিওর পারিবারিক আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি মামলা করেন এরিকো। এর মধ্যেই গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন ইমরান শরীফ। এরপর জাপানের আদালত এরিকোর জিম্মায় সন্তানদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন নাকানো এরিকো।
পরে দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে গত ১৯ আগস্ট জাপানি নারী রিট করেন। সেদিন রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে দুই মেয়েসহ তাদের বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ৩১ আগস্ট হাজির হওয়ার পর সবার বক্তব্য শুনে দুই পক্ষের প্রস্তাবের ভিত্তিতে হাইকোর্ট আদেশ দেন। এরই মধ্যে বাবা ইমরান শরীফ তার ছোট মেয়েকে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করেন। গত ৩১ অক্টোবর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। এরিকো নাকানোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
জাপানি মাকে নিয়ে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণের নির্দেশ
আরও ১১০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ৭৫ জন ঢাকায় এবং ৩৫ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫৩১ জন ডেঙ্গু রোগী সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৪১৫ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরের অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১১৬ জন।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার ৪৫৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ৮২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ১৪২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত আরও ১২৯
শূন্য থেকে সাত, ফের বেড়েছে করোনায় মৃত্যু
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে ১৯৯ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৫৩ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮ জনে পৌঁছেছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ১৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ১৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
বিশ্ব করোনা
বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭০ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৭৭ লাখ ১ হাজার ৮৬৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৭১ হাজার ১৩ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১২ হাজার ৫৮৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার ১৫০ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯২৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৫ হাজার ৩৪৯ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ২৫ কোটির কাছাকাছি
করোনা পিল: মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
চাঁদপুরে ট্রেন থেকে সোয়া কেজি ওজনের স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী কমিউটার মেইলট্রেন ‘সাগরিকা এক্সপ্রেস’ থেকে ১০৪ ভরি ১০ আনা (এক কেজি দুইশ’১৯ গ্রাম)ওজনের দুটি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে চাঁদপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার পুলিশ। এসময় শুপ্লব ধর (৩৪)নামের এক ব্যক্তিকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক বিশেষ অভিযানে চাঁদপুর বড় স্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শুপ্লব চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রামপুর বনিক পাড়ার অজিত ধরের ছেলে। তার কাছে থেকে জব্দকৃত স্বর্ণের বতর্মান বাজার মূল্য অনুমানিক ৬৯ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল্লাহ বাহার ইউএনবি কে জানান, আটক শুপ্লব ধরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারসহ শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারী শ্রমিক নিহত
এদিকে,রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল গফুর ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোরশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন, জব্দকৃত স্বর্ণের বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আসামির সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করেন।
রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের মেহের স্টেশনে দুপুরে পৌঁছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেলওয়ে থানার ওসির সন্দেহ হয়।পরে তাকে চোখে চোখে রেখে চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশনে নিয়ে আসে।
এরপর ট্রেনের বগি নং-জ-১৬৩৯, আসন নং-৬৪ তে বসে থাকা যাত্রী শুপ্লব ধরের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে তার পায়ে থাকা জুতার ভিতর থেকে প্লাস্টিকের মধ্যে টেপ পেচানো অবস্থায় দু’টি স্বর্ণের বার জব্দ করে এবং শুপ্লব ধরকে আটক করেন।
আটক শুপ্লব জানান, সে চট্রগ্রাম হাজারি গল্লী থেকে স্বর্নের বার দু’টি নিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকার তাঁতী বাজার যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ