বাংলাদেশ
শতভাগ মানুষ টিকার আওতায় না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা কমলেও শতভাগ মানুষ টিকার আওতায় না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত সাতদিনে এক লাখ ২৬ হাজার ৮৪০টি পরীক্ষা করা হয়েছে, যা আগের সাতদিনের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ কম। গত সাতদিনে শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন রোগী, সেটিও আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ কম। গত সাতদিনে যে মৃত্যু সংখ্যা দেখেছি সেটিও আগের সপ্তাহের তুলনায় ২১ শতাংশ কম।
তিনি বলেন, গত সাতদিনে সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচেই ছিল, শুধুমাত্র ১৯ অক্টোবর ২ দশমিক ২০ শতাংশ হয়েছিল। বাকি পুরো সপ্তাহজুড়েই দুই শতাংশের কম ছিল। সামগ্রিকভাবে গত এক মাসে সংক্রমণের হার ক্রমাগত নিম্নমুখী ছিল এবং সেটি এখনও অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে যদি সংক্রমেণের চিত্রটা দেখি তবে জুলাই আগস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের চিত্রটা দেখেছি। জুলাই মাসে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। আগস্ট মাসে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৮০ জন। সে তুলনায় অক্টোবর মাসে মাত্র ১১ হাজার ৫০৬ জন।
আরও পড়ুন: সক্ষমতার চেয়ে বেশি নিবন্ধনে এসএমএস পেতে সমস্যা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বর্তমানে করোনা হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমে এসেছে। সংক্রমণ কমে আসায় টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যাও কমে এসেছে।
সংক্রমণের হার হ্রাস আশাব্যঞ্জক হলেও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। শতভাগ টিকা না পাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে করোনামুক্ত বলা যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশকে করোনামুক্ত বলা যাবে না। এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
কতজন স্কুল শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তথ্য দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসলে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধনকারী স্কুল শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ১৮ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বরেণ্য অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ রবিবার, ২৪ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতা নিয়ে তিনি গত ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জাহিদুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
৩৭ লাখ মামলার জট, ২০২২ সালে ৬ লাখ কমানোর পরিকল্পনা: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘৩৭ লাখ মামলার জট রয়েছে। ২০২২ সালে ৬ লাখ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে। এটা নতুন করে তৈরি হয়েছে তা নয়, অতীতের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এ জট নিরসন করতে হবে। ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারি জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ। বিচার বিভাগের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিচারকদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইনস্টিটিউটে একই সাথে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘মামলার জট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে এক হাজার ১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও বিচার নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোন পদ শূন্য হওয়ার সাথে সাথে তা পূরণ করা হচ্ছে।’
কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্ব বদলে গেছে এবং এখন প্রতিনিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সাথে তাল মিলাতে বাংলাদেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরকেও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে।’
আরও পড়ুন: বর্তমানে ৩৭ লাখ মামলা জট রয়েছে: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরনো বাংলাদেশ কিন্তু আর নেই। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি-না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ঠ সন্দেহ ছিল। সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে। এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে বিচারপ্রাপ্তির সংস্কৃতিতে এসেছি। সেজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয়তা ও মর্যাদা দুটোই বেড়েছে। এই দুটো ধরে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হলেন বিচারকরা।
বিচারকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করলে আদালতের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী বছরই দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে ই-রেজিস্ট্রেশন চালু হবে
১০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা দেয়ায় মোদিকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
ভারত ১০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা পরিচালনা করে ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার মোদির উদ্দেশ্যে এক বার্তায় এই অভিনন্দন জানান। তিনি ১০০ কোটি ডোজ করোনা টিকাদানকে মানবজাতির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই অর্জন ভারত ও এই অঞ্চলকে স্বাভাবিকতার পথে যেতে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর আরও জানান, তার সরকারও বাংলাদেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে একাধিক উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করে ছয় কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে ভারত টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকেই বাংলাদেশের জন্য কোভিড-১৯ টিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও কোভিশিল্ড টিকার রপ্তানি পুনরায় শুরু করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান যে এটি আগামী দিনে নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
মোদির উপহারের ৩০ অ্যাম্বুলেন্স শিগগিরই ঢাকায় আসছে
মোদির জন্য আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত আরও ১৭৯
দেশে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ১৫৪ জন ঢাকায় এবং বাকি ২৫ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৮৪০ জন ডেঙ্গু রোগী সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৬৮০ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ৪৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২১ হাজার ৫৭১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৭ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত আরও ১৭০
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৮৩ জন হাসপাতালে
দেশে করোনায় মৃত্যু ৯, শনাক্ত ২৭৫
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৮২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া,গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯২ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শনিবার করোনায় ৯ জনের মৃত্যু ও ২৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ছাড়াল
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৩২৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমকি ৬৮ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ৮১১ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৪৩ হাজার সাত জনে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৪৫৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫৩ হাজার ৭০৮ জনে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত
হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিস্তৃতির দায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না ।’
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে ফেসবুকে ফেইক পোস্ট দেয়ার জন্য, সেটির দায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আমি মনে করি, এটি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে। বিশ্বব্যাপীও এটি ভাবনার বিষয়। এ সপ্তাহেই আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে কমিউনিকেট করব। একইসাথে আইএমইডির সাথেও যোগাযোগ করব।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনাটি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) আপলোড না হতো, তাহলে এ ঘটনা বিস্তৃত হয়ে সারাদেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য যে কোরআন রেখেছে সে দায়ী, যে করিয়েছে সেও দায়ী। যারা পোস্টের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই না করে পরিস্থিতি তৈরি করল, তারাও দায়ী। একইসাথে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও দায়ী। সমাজে অস্থিরতা তৈরির জন্য এটি করা হয়েছে, তারাও দায়ী। তারাও দায় এড়াতে পারে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগেও বিভিন্ন ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। তবে সবকিছুই এমনভাবে পরিচালনা করা উচিত, যাতে সেটি খারাপ কাজে ব্যবহার করা না হয়, যাতে স্বচ্ছতা থাকে। ফেসবুকে পরিচয় গোপন করে পোস্ট দেয়া হয়, তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী
ইসলামের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ান: তথ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১০
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদরাসায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ছয় রোহিঙ্গা খুনের ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচ জনসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ।
নিহত আজিজুল হকের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় এই মামলাটি করেন।
রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসায় হামলার ঘটনায় আটক ৮
তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে ক্যাম্প-১৮ এর এইস-৫২ ব্লক অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ’ মাদরাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকের ওপর দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়।
তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্য ক্যাম্প ১১ এর আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমানকে দেশীয় ওয়ান শুটারগান ও ৬ রাউন্ড তাজাগুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযানে চালিয়ে এজাহারনামীয় পাঁচ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। মুজিবুরের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় মামলা করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৬
গ্রেপ্তার ১০ আসামি হলেন, ক্যাম্প-৮ এর আবু তৈয়বের ছেলে দিলদার মাবুদ পারভেজ (৩২), সৈয়দ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আয়ুব (৩৭), ক্যাম্প ৯ এর নূর বাশারের ছেলে ফেরদৌস আমিন (৪০), মৌলভী জাহিদ হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদ (২৪), ক্যাম্প ১৩ এর আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), আবু সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ক্যাম্প ১২ এর ইলিয়াছের ছেলে জাফর আলম (৪৫), ক্যাম্প ১০ এর ওমর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (৪০) ও মৃত নাজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৮)।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা: প্রধানমন্ত্রী
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোরে উখিয়ার ১৮নং ক্যাম্পের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামীয়া মাদরাসায় মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ৮-১০ জনের সশস্ত্র গ্রুপ। এতে ঘটনাস্থলে তিন জন ও পরে হাসপাতালে তিন জন মারা যান।
ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণীর 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইবির বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টা হতে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ পরীক্ষায় প্রায় ৫ হাজার ৯২০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ইবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ইবি ভিসি শেখ আবদুস সালাম।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
স্বার্থান্বেষী মহল দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দেশে একটি স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, কেউ বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না। কিছু ঘটনা ঘটছে... দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো করছে এবং আপনারা সকলেই তা অবগত আছেন।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতু এবং ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ছয় লেনের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। আমরা যে উন্নয়নই করি না কেন, এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা দেশকে হেয় করতে ব্যস্ত।’
হাসিনা বলেন, ‘তারা চায় না বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক, দেশে যখনই কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখনই তাদের দাবি ওঠে।’
‘এই অংশের মানুষ কখনোই দেশের উন্নয়ন দেখে না। তার পরিবর্তে তারা ধ্বংস চায়। এটাই বাস্তবতা, দেশের জনগণকে এটি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে কেউ আজকে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না, সবাই এখন বাংলাদেশকে সম্মান করে। বাংলাদেশ সারা বিশ্ব থেকে সম্মান অর্জন করেছে।’
আরও পড়ুন: দলীয় নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডব্লিউটিও এর অধীনে দেশ অনেক বেশি বিকল্প সুবিধা পাবে: শেখ হাসিনা