বাংলাদেশ
শিগগিরই তৈরি হবে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন নির্দেশিকা: তথ্যমন্ত্রী
খুব শিগগিরই আইপি টিভির রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে এবং তার আগে নির্দেশিকা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।আইপি টিভিকে নিউ মিডিয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই নিউ মিডিয়া আরও বিকশিত হোক। কিন্তু পাশাপাশি এটি যেন কোনোভাবেই ভিন্নভাবে ব্যবহৃত না হয়, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য যাতে সংরক্ষিত হয়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই মাধ্যমকে যেন জীবন গড়ার কাজে লাগাতে পারে, তারা যাতে জীবন গড়ার ক্ষেত্রে আরও প্রত্যয়ী হয়, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, দেশাত্মবোধ, মূল্যবোধ, মমত্ববোধ এগুলো যাতে আরো বিকশিত হয়, যন্ত্র ব্যবহারের সাথে মানুষ যেন যন্ত্র হয়ে না যায়, মানবিকতা টিকে থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। সেই লক্ষ্যে আমরা কতগুলো নির্দেশিকা ঠিক করছি এবং এই খাতটাকে আরও বিকশিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। নিয়মনীতির ভিত্তিতে দেশের প্রয়োজনে এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ার প্রয়োজনে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশটাকে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে যেন এটি ব্যবহৃত হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা এই কাজগুলো করছি।’
আরও পড়ুন: নিউজপোর্টালের শৃঙ্খলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘আইপি টিভি’র রেজিস্ট্রেশন প্রদান সংক্রান্ত পর্যালোচনায় আন্তমন্ত্রণালয় সভা’য় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি এবং তথ্য অধিদপ্তরের প্রধানদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইপি টিভি’র পাশাপাশি আজকের বৈঠকে ওটিটি প্লাটফর্ম নীতিমালা এবং নিউ মিডিয়ার অন্যান্য মাধ্যমগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্রমবিকশমান বহুমুখী এই মাধ্যম নিয়ে আমরা নানা পর্যালোচনা করেছি এবং বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। খুব সহসা আইপি টিভির রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে, তার আগে নির্দেশিকা তৈরি করা হবে।’
আরও পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বরের পর দেশে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল চলবে না: তথ্যমন্ত্রীড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আজকে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছে, যেটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে বাস্তবায়িত হয়েছে। এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশে বহুমুখী সম্প্রচার কার্যক্রম হচ্ছে। আগে সম্প্রচার শুধুমাত্র রেডিও-টেলিভিশনের মাধ্যমে হতো। এখন নিউ মিডিয়ার মাধ্যমে সম্প্রচার হচ্ছে।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, ছয়শ’র মতো আবেদন জমা পড়েছে। আমরা যাচাই বাছাই করে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং অনেকগুলোর বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন দেয়ার আগে একটি নির্দেশিকা অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন শর্তাবলী নির্ধারণ করার লক্ষ্যেই আমাদের আজকের বৈঠক। এই বিষয়টি যদিওবা আমরা দেখভাল করছি, কিন্তু এই বিষয়টির সাথে অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলো যুক্ত, বিশেষ করে টেলিকম ও আইসিটি।’
আরও পড়ুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রীতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের যুগে এখন বিনোদন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ প্রত্যেকটির মাধ্যমগুলো পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় যা শুধু ইলেক্ট্রনিক বা প্রচলিত প্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন নতুন নতুন মাধ্যম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন ও রেডিও, ওভার দি টপ (ওটিটি) প্লাটফর্ম, ভিডিও স্ট্রিমিং, ভিডিও অন ডিমান্ড এরকম অসংখ্য নতুন প্রযুক্তিনির্ভর সম্প্রচার মাধ্যম তৈরি হয়েছে।’এই নতুন সম্প্রচার মাধ্যমগুলো দেশে বিকশিত হোক, আমাদের তরুণরা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিমনা, প্রযুক্তিবিদরা এর উদ্যোক্তা হোক সেটা আমরা চাই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি এগুলো যেন সংরক্ষিত থাকে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে বিকৃত সংস্কৃতি বা বিকৃত বিনোদনে উৎসাহিত না হয়, সেজন্য সময়ের দাবি যে আইপি টিভি এবং আইপি রেডিও’র একটি নির্দেশিকা প্রয়োজন।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম ও খাদিজা বেগম, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুস সাত্তার সরকার, বিটিআরসি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রেজা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা বেগম, আইন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান গাজী প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিক নেতারা সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠকএর আগে সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সচিবালয়ে তার দপ্তরে বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব মো. আব্দুল মজিদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রীবৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংবাদিকরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব নিয়ে কেউ যেন পানি ঘোলা না করতে পারে এবং সরকারের সাথে সাংবাদিকদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এতে কোনোভাবেই ভুলবুঝাবুঝির অবকাশ নেই। আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে বিষয়টা দেখছি।’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার রিটটি দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার পল্লব। তিনি আরও জানান, মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, ব্যাংক খাতে অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো ই-কমার্সভিত্তিক অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কার্যকর নজরদারির অভাবের সুযোগে বিভিন্ন অনৈতিক অফার, ডিসকাউন্ট নামে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তসহ গ্রাহকের স্বার্থরক্ষায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিতে রিট করা হয়েছে।
রিটে উল্লেখ করা হয়, ইভ্যালি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকম, দালাল, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ প্রতিষ্ঠার মাত্র দু-এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন অফারের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা মূলত মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে এ অর্থ সংগ্রহ করে। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী এসব কোম্পানি বিপুল অর্থ ইতোমধ্যে বিদেশে পাচার করেছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
ই-ওয়ালেট, গিফট কার্ডসহ আরও অন্যান্য অ-অনুমোদিত পদ্ধতিতে লেনদেন করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লাখ লাখ গ্রাহককে সর্বস্বান্ত করেছে। সরকারি দপ্তরগুলোর নাকের ডগায় এসব অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বছরের পর বছর নোটিশগ্রহীতাদের কার্যকর নজরদারির অভাবে এসব কোম্পানি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি দপ্তরগুলোর তাদের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগে গাফিলতি ও ব্যর্থতার ফলে বাংলাদেশের লাখ লাখ গ্রাহক যাদের বেশিরভাগই তরুণ আজ সর্বস্বান্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সম্ভাবনা সেটিও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সংশ্লিষ্টরা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
রিটে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বস্বান্ত হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, দুদকের মাধ্যমে এ পর্যন্ত এসব কোম্পানির মাধ্যমে পাচার করা অর্থের পরিমাণ বের করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বাংলাদেশ ব্যাংককে এসব কোম্পানিতে কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্যনীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ই-কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচারের বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জনস্বার্থে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশের পরও সরকারের তরফ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না নেয়ায় এই রিট করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ১৮০০ জনবল নিয়োগ ঘটনায় আনিত অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ঘুষ লেনদেন ও অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাশাপাশি এই দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশের প্রায় ছয়মাস পর, ‘খাতায় অস্পষ্টতা পাওয়া গেছে’- এই কারণ দেখিয়ে শুধু সেই বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি ।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এই দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র ‘খাতায় অস্পষ্টতা পাওয়া গেছে’ উল্লেখ করায়, প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনায় আদৌ দুর্নীতি হয়েছে কিনা, কিংবা হয়ে থাকলে তাদের পরিচয় এবং কিভাবে জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে, তা অমীমাংসিত থেকে গেছে।
ড. জামান বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত যে প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো, সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ প্রস্তাব করার অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কিনা বা জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নগুলো অবান্তর নয়। বরং আমরা মনে করি, দুর্নীতির যে ভয়াবহ বিস্তারের ইঙ্গিত সেই প্রতিবেদনে ছিল, তার প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য তদন্তের ভিত্তিতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপই প্রত্যাশিত ছিল।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
আমাদের আশংকা, অনিয়মের তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়ায় নিয়োগ বাতিল করে আপাতত বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে এবং কার্যত দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকেই টিকিয়ে রাখা হলো। পাশাপাশি এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কথিত ‘উপরমহলে’র যোগসাজশের সন্দেহটাও ঘনীভূত হলো।
স্বাস্থ্যখাতে বিগত বছরগুলোতে যে পরিমাণ অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তার প্রেক্ষিতে এই পুরো খাতটি ঢেলে সাজানোর জোর দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, কেউ স্বাস্থ্য খাতে বড় কোন দুর্নীতি দেখাতে পারেনি’- এমন সব মন্তব্য করে দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আর নেই। পক্ষ-বিপক্ষের বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। বিশেষ করে এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যত ধরণের অভিযোগ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর নানামুখী স্বার্থ ও সংশ্লিষ্টতার কথা আলোচিত হয়েছে- তার প্রেক্ষিতে সামগ্রিক শুদ্ধাভিযান এখন সময়ের দাবি।’
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় তথ্য নয় বরং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করুন: টিআইবি
টিআইবি আশা করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নের শুরুটা হবে এই স্বাস্থ্যখাত থেকেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সামগ্রিকভাবে সরকারের পাশাপাশি, দুর্নীতি দমন কমিশনকেও দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার
১৫ দফা দাবিতে ডাকা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দেশব্যাপী চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তালুকদার মো.মনির এবং বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মুকবুল আহমদ ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহন ধর্মঘট: চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
এসময় মালিক সমিতির মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহম্মদ, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তালুকদার মো.মনির, জেনারেল সেক্রেটারি ওয়াজি উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মো.মনির বলেন, আমাদের সাথে মন্ত্রীর বৈঠকে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট ও আনন্দিত। এজন্য আমরা আমাদের ৭২ ঘণ্টার যে কর্মসূচি ছিল সেটা প্রত্যাহার করে নিলাম।
মুকবুল আহমদ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট। এজন্য আমরা ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এতক্ষণ আমাদের সিনিয়র সচিব জন নিরাপত্তা, আইজিপি, পুলিশ প্রধান সড়ক পরিবহন সচিব, নৌপরিবহন বন্দর সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট যতো মন্ত্রণালয় হাইওয়ে পুলিশসহ সকলে বসেছি। বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির এবং বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন তাদের ১৫ টি দাবি দাওয়া আমাদের কাছে দিয়েছেন। আমরা তাদের দাবিগুলো যথাযথভাবে শুনেছি। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে যে দাবিগুলো মনে করেছি এখনই করা উচিৎ সেগুলোর বিষয়ে আমরা বলেছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর যেগুলো মনে করেছি সময় লাগবে সেগুলোর বিষয়ে আমাদের সচিবরা নোট নিয়েছেন এবং তাদের মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেটা ছিল সেটা হলো বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান একটা ট্রাক্সফোর্স গঠন করে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা সমাধান করবেন। এছাড়া অন্যান্য দাবিগুলো নিয়ে দীর্ঘ আলাপ হওয়ার পড়ে তারা বলেছেন তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা যেসকল কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন সেগুলো ওনাদের মুখেই শোনবেন ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘চাকার হাওয়া’ ছাড়ার প্রতিবাদে দক্ষিণাঞ্চলে ৮ রুটে বাস ধর্মঘট
১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছিল।
১৫ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মোটরযান মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করা, যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছেন তাঁদের সবাইকে সহজ শর্তে এবং সরকারি ফির বিনিময়ে লাইসেন্স দেয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে পুনরায় হয়রানিমূলক ফিটনেস ও পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল, সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় রেশন-সুবিধার আওতায় আনা, সব বন্দরে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বার্ষিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দেয়া, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, যেখানে-সেখানে গাড়ি চেকিং না করা, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, প্রতি ৫০ কিলোমিটার পর পর পণ্য পরিবহনে শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক ও মহাসড়কে বিশ্রামাগার ও টার্মিনাল নির্মাণ, সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে এককালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিতে ধর্মঘট ছিয়েছিলেন ট্রাক মালিক ও শ্রমিকেরা।
ডেঙ্গু: আরও ২২৯ জন হাসপাতালে
দেশে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ১৭৬ জন ঢাকায় এবং বাকি ৫৩ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: এক মাসের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এক হাজার ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৮১৯ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার ৪৫১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৫ হাজার ৩৭৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু বান্ধব অসহায় ঢাকা!
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫৯ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন।
ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
দেশের আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি’র স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে ইভ্যালি’র গ্রাহক ফরহাদ হোসেনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
আদেশের পর আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভ্যালি অনলাইন শপ থেকে গত মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন এবং অর্থ পরিশোধ করেন গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে পণ্যটি কেনার একটি রশিদও দেয়। কিন্তু এতদিনেও পণ্যটি বুঝিয়ে না দেয়ায় যোগাযোগ করা হলে তাকে বার বার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পণ্যটি না পেয়ে এবং টাকা ফেরত না পেয়ে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
তিনি আরও জানান, হাইকোর্ট আজ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি অথবা ট্রান্সফার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নোটিশ ইস্যু করেছেন, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না। আর এবিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে এক সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের গুলশান থানায় মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার গুলশান থানায় করা মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানায় এক গ্রাহকের করা মামলায় মোহাম্মদ রাসেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যমান জ্বালানি, ব্যাংকিং ও বীমা খাতের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চেয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) সহজতর করার জন্য তার অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, `যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য বাংলাদেশে জ্বালানি, ব্যাংকিং এবং বীমা খাতে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। আমরা আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, এগ্রো-প্রসেসিং, ব্লু ইকোনমি, ট্যুরিজম, জ্ঞানভিত্তিক হাই-টেক শিল্পের মতো অন্যান্য লাভজনক খাতে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার নিউইয়র্কের লটে প্যালেসে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি নিশা বিসওয়ালের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল খাতে এফডিআই সহজতর করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উপযুক্ত সময়ে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এডিবি আউটলুক ২০১৯ অনুযায়ী শক্তিশালী নেতৃত্ব, সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু অর্থনৈতিক নীতি এবং সঠিক উন্নয়ন অগ্রাধিকারের কারণে বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্রুত নগরায়ন, বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি, মধ্যবিত্তের দ্রুত উন্নয়ন, একটি বৃহৎ আঞ্চলিক বাজারের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংযোগ বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের গন্তব্য করে তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘একচেটিয়াভাবে শুধু আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশ তার একশ’ ইকোনমিক জোন থেকে অফার দিতে প্রস্তুত এবং তার ২৮টি হাই-টেক পার্কে মার্কিন বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। আমরা ক্রমাগত আমাদের ভৌত, আইনি এবং আর্থিক অবকাঠামোগত উন্নতি করছি এবং পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রো-রেলের মতো যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে বাংলাদেশে এবং বিদেশি বিনিয়োগ সংসদীয় আইন ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিনিয়োগকে স্বীকৃতি দেয়, যা আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা গড়ে তুলতে অবদান রেখেছে, যেটা এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মার্কিন বিনিয়োগ চাইছে।’
জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ এবং দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে সরকারের মনোযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি নিশ্চিত করে যে এখানে বিনিয়োগকারীরা প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানব সম্পদ পাবে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি। আমরা এটাও আশা করি যে, বিজনেস কাউন্সিল মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের জন্য অনুকূল অর্থনীতি ও বাণিজ্য নীতি গ্রহণের জন্য রাজি করাবে।’
বোয়িং, কোকাকোলা, এক্সন মোবিল, শেভরন এবং মাস্টারকার্ডসহ মার্কিন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
করোনায় বেড়েছে মৃত্যুর হার, কমেছে শনাক্ত
দেশে করোনায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩৭৬ জনের। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩১৩ জনে। আর এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জনে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৭৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৪.৭৯ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৭ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ছয় হাজার ১৩৬ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ কোটির কাছাকাছি
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী দুইজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, চট্টগ্রামে ১০ জন,বরিশালে ০ জন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ৯৫ লাখ ১৩ হাজার ৮০৩ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৬৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে: খাদ্যমন্ত্রী
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৫৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ২৮৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৪০৫ জন।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৪৪০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১২ লাখ ৫৯ হাজার ১২২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে করোনা ও উপসর্গে ৪ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বুধবার পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৩৫ লাখ ৪ হাজার ৫৩৪ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৫ জনে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক ক্ষমতা দেয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো. এনামুর রহমান এনাম বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে কারও যদি কোন দাবি থাকে সংবিধানের অধ্যাদেশ বাতিল করে তাদের কোন দাবি মানার সুযোগ নেই। অতএব আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক ক্ষমতা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প ঝুঁকি কমাতে বিল্ডিং কোড হালনাগাদ হচ্ছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন শেষে বিদ্যাকূট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যার আলোকে অনেকেই ঘর পেয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ক্রয় করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর রহমান ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে আরও বলেন, কোথাও পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়নি বরং সর্বত্র সুষ্ঠভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সঠিক রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার সক্ষমতা আওয়ামীলীগ সরকারের রয়েছে।
এসময় তার সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, বিদ্যাকূট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খোকা, সমাজকর্মী এম.এ. আওয়াল প্রমুখ।
যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু
দেশের প্রাচীনতম জেলা যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গন্তব্য সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর যশোর ও সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম এবং ১ অক্টোবর যশোর থেকে কক্সবাজার রুটে উদ্বোধনী ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে তারা।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রীদের সময় ও খরচকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিনদিন যশোর থেকে চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার যশোর থেকে সকাল পৌনে ৯টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। একই দিন বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
উত্তরের একমাত্র বিমানবন্দর সৈয়দপুর থেকে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিন দিন চট্টগ্রামে ফ্লাইট শুরুর কথা রয়েছে। রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করবে। একই দিন দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
এছাড়া ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য যশোর থেকে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে সপ্তাহে চারদিন ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে শনি, সোম, বুধ ও শুক্রবার যশোর থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। অপরদিকে, কক্সবাজার থেকে বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে যশোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ যশোর থেকে চট্টগ্রামে ওয়ানওয়ের নূন্যতম ভাড়া ৬,০০০ টাকা ও রিটার্ন ভাড়া ১২,০০০ টাকা। এছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজারে ওয়ানওয়ের নূন্যতম ভাড়া ৬,৫০০ টাকা ও রিটার্ন ভাড়া ১৩,০০০ টাকা। অন্যদিকে সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামের ওয়ানওয়ের নূন্যতম ভাড়া ৬,২০০ টাকা ও রিটার্ন ভাড়া ১২,৪০০ টাকা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রুটে ইউএস বাংলার ফ্লাইট শুরু ১ জুন
যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটের টিকেট রিজার্ভেশনের জন্য নিকটস্থ ট্রাভেল এজেন্সি কিংবা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নিজস্ব সেলস সেন্টার ছাড়াও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে।