বাংলাদেশ
উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সবাইকে উঁচু ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন,যে কোনও উঁচু ভবন নির্মাণের সময়, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে আমরা ধীরে ধীরে উদ্ধার সরঞ্জামও সংগ্রহ করছি।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগুন ও অন্যান্য দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কাজ করছে, এটি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের নিজেদেরই কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যখনই আপনি ঘরবাড়ি, অফিস বা ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণ করবেন, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আগুনের ঘটনা, ঘূর্ণিঝড় বা বন্যা হতে পারে। সুতরাং, আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হবে এবং আগাম চুক্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাতা ও ব্যবহারকারীদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ডেঙ্গু: আরও ২১১ রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২১১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৯২৮ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে,নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ১৬৩ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী,গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৭২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে,চিকিৎসা শেষে ১৯ হাজার ৭১৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৮২ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ২০৭ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১৭৯ জন মারা যান।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত,রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: নতুন আক্রান্ত ১৫০
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯ হাজার ছাড়াল
পাট খাতে রুশ বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার খাত প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পাট খাতে রুশ বিনিয়োগের আহ্বান করেছেন।
বুধবার বাংলাদেশে নব নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দু’জনই বাংলাদেশের কৃষি খাতে সম্ভাবনা আবিষ্কার ও অন্যান্য খাতে সহযোগিতা প্রসারিত করতে ঐক্যমতে পৌঁছান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষার্থী, বিশেষ করে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কঠিন সময়ে যারা সহযোগিতা করেছেন এ দেশের মানুষ তাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ খুশি হবে যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ দেশ সফরে আসেন।
এ সময় রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন বিশাল ও চমকপ্রদ।
১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন রুশ রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ ও রাশিয়া জাতিসংঘে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দুই দেশের মধ্যে হওয়া বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে তিনি জানান, সেগুলো হালনাগাদ করতে হবে এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সততা ও সাহসের সুফল পাচ্ছে দেশ: সালমান এফ রহমান
দেশে করোনায় ১৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৫১৮
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন মৃতদের নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৭৩০ জনে।
এছাড়া,গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২৮ পরীক্ষাগারে ২১ হাজার ৯৮৬ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২২ হাজার ১৫৩ নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৩৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার ছাড়াল
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫০৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমকি ৫৪ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু আবার বাড়তে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী,বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের ২৩ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৭৮৯ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ২৫৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ১৬ হাজার ৪৭১ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১ হাজার ৩৯১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯২০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার ৯৬৩ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় কমেছে মৃত্যু, বেড়েছে শনাক্ত
একদিনে দেশে করোনায় ৭ মৃত্যু
দেশ ও জনগণ ছেড়ে আ’লীগ পালাবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও শক্তি হলো দেশের জনগণ। জনগণের কল্যাণে ও জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ আন্দোলন, সংগ্রাম ও কাজ করে আসছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, শত জুলুম-নির্যাতনের মধ্যেও আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে, এই দল, দলের নেতাকর্মী ও দলপ্রধান কোনদিন দেশ এবং জনগণ ছেড়ে পালাবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্যাতনের কাহিনী আরব্য রজনীর মতো: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গরীব, অসহায় ও দু:স্থ ব্যক্তির মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি সবসময়ই পলায়নপর দল। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে ও দু:সময়ে তারা কখনই এগিয়ে আসে নি, বরং পালিয়ে পালিয়ে থেকেছে। দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে, ক্যান্টনমেন্টে। জনগণের সাথে আপনাদের কোন সম্পর্ক নেই। জনগণের কল্যাণে আপনারা কখনও কোন কাজ করেননি। আপনারা সবসময়ই জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন, এখনও জনবিচ্ছিন্ন আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।’
আরও পড়ুন: চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পালাবেন তো আপনারা। আপনাদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিদেশে পালিয়ে থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালাচ্ছে। আপনারা আর কোনদিন এদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন না।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শত বিপদ ও প্রতিকূলতার মাঝেও জনগণের পাশে রয়েছেন। কখনই মাথা নত করেন নি। দেশের মানুষকে ছেড়ে কখনই পালিয়ে যান নি, ভবিষ্যতেও কখনও পালাবেন না। দেশের আপামর জনগণ তাঁর পাশে রয়েছে।
এ সময় ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আদর্শ দেশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। কাজেই আজ এতটুকুই বলব জাতির পিতা আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন সেই পদাংক অনুসরণ করে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং দুর্যোগ হ্রাসের আন্তর্জাতিক দিবস ২০২১ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এসময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন যাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘আদর্শ দেশ’ হিসেবে যে সম্মান বাংলাদেশ অর্জন করেছে তা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, আমরা ২১০০ সালের ডেল্টা পরিকল্পনা করেছি এবং সে অনুয়ায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাঁশখালীতে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. আলমগীর (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত আলমগীর ডাকাতদলের সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার ভোরে বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা গ্রামে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীরের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারি নিহত
চট্টগ্রাম র্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবসার জানান, র্যাবের একটি টিম গণ্ডামারা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। আকস্মিকভাবে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে কিছু দুর্বৃত্ত। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও গুলি ছোঁড়েন। পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তিকে স্থানীয়রা মো. আলমগীর ওরফে আলম ডাকাত হিসেবে শনাক্ত করেছে।তিনি জানায়, ঘটনাস্থল থেকে চারটি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি রামদা, একটি ছুরি, ১১ রাউন্ড কার্তুজ ও দুই রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতর্যাব জানায়, আলমগীরের বিরুদ্ধে বাঁশখালীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ডাকাতির অভিযোগে ৯টি মামলা আছে।
অর্থ পাচার মামলায় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের এপিএস গ্রেপ্তার
আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদকে গ্রেপ্তার করছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে তাকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলাসহ হামলা, ভাঙচুরের কয়েকটি মামলা রয়েছে।
অর্থ পাচার মামলার আসামি হওয়ার পর পর তাকে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
ফরিদুপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে তাকে ধরতে পুলিশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছিল।
তিনি বলেন, ফোয়াদ মানি লন্ডারিং মামলাসহ আটটি মামলার আসামি। তার নামে তিনটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ফোয়াদকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
পড়ুন: এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রায় স্থগিত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মাছের টিকা উদ্ভাবন করলেন সিকৃবির শিক্ষক
বাংলাদেশে মাছের জন্য প্রথম টিকা উদ্ভাবন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) এক শিক্ষক। এই টিকা মাছের ব্যাকটেরিয়াজনিত একাধিক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে ও মৃত্যুহার কমিয়ে উৎপাদন বাড়াবে বলে আশা এর উদ্ভাবক সিকৃবির মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের।
২০১৬ সাল থেকে মাছের টিকা উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণা করা এই শিক্ষক জানান, এরোমোনাস হাইড্রোফিলা নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাছের ক্ষত রোগ, পাখনা পচাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এতে প্রতি বছর প্রচুর মাছ মারা যায়। তবে এই উপমহাদেশে মাছের টিকা নিয়ে তেমন কাজ হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন উদ্ভাবিত টিকার নাম দেয়া হয়েছে ‘বায়োফ্লিম’।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিকৃবির গবেষণাগারে কিছু পাঙ্গাশ মাছের শরীরে এই টিকা প্রবেশ করিয়ে ৮৪ শতাংশ সফলতা পেয়েছি। এরপর মাঠ পর্যায়ে এটি প্রয়োগ করা হবে।’
পড়ুন: বিশ্ব সুরক্ষায় বাংলাদেশি তরুণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ
‘আগামী মার্চ থেকে সিলেটের বিভিন্ন পুকুরের মাছের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে কয়েকটি পুকুরও নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগে সফলতা মিললেই বাণিজ্যিক উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হবে,’ বলেন এই উদ্ভাবক।
এই টিকা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে মাছকে খাওয়ানো হবে জানিয়ে মামুন বলেন, ‘এই টিকা ব্যাপক আকারে উৎপাদনের সক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের যে সক্ষমতা আছে তাতে প্রতি মাসে ১০০ মিলিলিটার উৎপাদন করতে পারব। এই পরিমাণ টিকা ১ কেজি মাছের খাবারের সঙ্গে মেশানো যাবে।
তিনি জানান, এই গবেষণা কাজে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মাছই ক্ষত রোগে আক্রান্ত হয়। একে মাছের ক্যান্সারও বলা হয়। প্রতি বছর অনেক মাছ ক্ষত রোগে মারা যায়।
তিনি বলেন, ‘বাইরের অনেক দেশে মাছের শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হলেও আমাদের দেশে এখনও শুরু হয়নি। ক্ষত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে আমরা সাধারণত জলাশয়ে চুন ও লবণ ব্যবহার করে থাকি। মাছের টিকা উদ্ভাবন সফল হলে উৎপাদন অনেক বাড়বে।’
পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো ভার্টিক্যাল ফ্লোটিং বেড পদ্ধতি উদ্ভাবন
পাঙ্গাসের মড়ক রোধে সিকৃবিতে ‘বায়োফিল্ম’ ভ্যাকসিন উদ্ভাবন
সিকৃবির মৎস্য অনুষদ সূত্রে জানা যায়, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, চিলিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাছের জন্য ২৮ ধরনের টিকা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের টিকা উদ্ভাবন হয়েছে। স্বাদু পানিতে চাষযোগ্য মাছে এই টিকা প্রয়োগ করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান হাওলাদার জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ টন মাছ উৎপাদন হয়। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। তবে মাছের বিভিন্ন রোগের কারণে মড়ক দেখা দেয়। এতে প্রচুর পরিমাণ মাছ মারা যাওয়ায় চাষি ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই টাকায় আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। আমার আশা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপাদিত টিকা মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে।’
মোবাইলে মেসেজে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, আটক ২
নওগাঁয় অপহরণের পর পুলিশ সুপারের মোবাইলে মেসেজ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি সদস্যরা। এসময় অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকিকে আটক করতে না পারলেও তারা বাবা-মাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার সকালে জেলা ডিবির কার্যালয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উদ্ধার কিশোরীর বাড়ি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯: জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন, কিশোরী উদ্ধার
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকির সাথে পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রকি বিভিন্ন ছেলেকে ডেকে এনে জিম্মি করতে বললে ওই কিশোরী রাজি হয় না। এরই এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৩ অক্টোবর বিকালে মেস থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান রকি ওই কিশোরীকে অপহরণ করে সদর উপজেলার গাংজোয়ারতার নিজ বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে রেখে ৯ দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। গতকাল রাতে ওই কিশোরী অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকির মোবাইল থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল মেসেজ করে তাকে উদ্ধারের কথা জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
এরপর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় রাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এসময় অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকি পালিয়ে যায়। তবে মাহমুদুল হাসান রকির বাবা মোজাম্মেল হক এবং মা তাছলিমা বেগমকে আটক করা হয়। আটকের পর মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামসুদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।