বাংলাদেশ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য সহায়তা বিতরণে আরও সচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ শত পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক এ সাইলোগুলো হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার। কৃষকের ভেজা ধান সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়াকরণ হবে। কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি একনেকে ৩০টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য শস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।’
আরও পড়ুন: চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
আসন্ন নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জনতার আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফলভোগী সকলেই। এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছৌঁয়া লাগেনি। অথচ বিএনপি শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পায় না।
সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, একই সাথে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের এসব বিষয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ১
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কুমিল্লার ঘটনা সম্পর্কে হয়তো দ্রুতই কিছু জানা যাবে।
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মের অবমাননার বিষয়ে কোনো মুসলমানকে ধ্বংসাত্মক কাজ করার অধিকার দেয় না। এটা ইসলামে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
সচিব বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করতে পারি এবং সরকারের কাছে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার এবং তাদের শাস্তির দাবি করতে পারি।’
আরও পড়ুন: রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২
কুষ্টিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও বিকৃত করা ছবি শেয়ার করার অভিযোগে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যুবলীগ নেতার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নিজ বাড়ি থেকে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার ফরহাদ আসিফ টিপু (৫০) উপজেলার বাটিকামারা গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে ও জাতীয় দৈনিক যায় যায় দিনের কুমারখালী প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, সংবাদিক ফরহাদ আসিফ টিপু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অন্যের ফেসবুক আইডি থেকে করা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও বিকৃত করা ছবি তার নিজ আইডি থেকে শেয়ার করেন। এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ইমরান বাদী হয়ে মঙ্গলবার কুমারখালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ফরহাদ আসিফ টিপুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
শপথ নিলেন স্থায়ী হওয়া ৯ বিচারপতি
দুই বছর আগে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নয়জন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আজ থেকে তারা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হলেন।
স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল, বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এ সময় নয় বিচারপতির স্ত্রী-সন্তানরা জাজেস লাউঞ্জে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির জন্য বোর্ড: হাইকোর্টে সাবেক তিন সচিবের নাম দাখিল
এই নয় বিচারপতি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দুই বছর আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশে তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। শপথের দিন থেকে তাদের এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই নয় বিচারপতিকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এই নয়জনকে নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ১০০ জনে। প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি রয়েছেন সাতজন।
পড়ুন: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, বিএফইউজের নির্বাচনে বাধা কাটল
৮টি অর্থপাচার মামলার তথ্য হাইকোর্টে দাখিল করেছে সিআইডি
হিন্দুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত জরুরি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি।
হাম্মাদি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, নিরপেক্ষভাবে ও স্বচ্ছভাবে ঘটনার তদন্ত করতে হবে এবং সহিংসতা ও ভাঙচুরের জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিচারের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগের পর বাংলাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলা: ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দেশের সবচেয়ে বড় হিন্দু উৎসব দুর্গাপূজার সময় এবং পরে হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবার এবং মন্দিরগুলোতে ‘সহিংস হামলার’ বিষয়ে হাম্মাদি বলেন, ‘দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য, তাদের বাড়ি, পূজামণ্ডপ, মন্দিরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার খবর পাওয়া গেছে যেটা ‘ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু বিরোধী মনোভাবের লক্ষণ।’
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ঠেকাতে ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে লক্ষ্য করা একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবিলম্বে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২
লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় সোমবার ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল-এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দূতাবাস দিবসটি উদযাপন করেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ শহিদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে শহিদ শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচকগণ মত প্রকাশ করেন যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন তবে জাতি একজন দূরদর্শী নেতা পেত। বক্তারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক শেখ রাসেল-এর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন বলেন, পরিবারের সবচেয়ে আদরের কনিষ্ঠ সন্তান হওয়া সত্ত্বেও শেখ রাসেল তার শৈশবের অধিকাংশ সময় পিতার সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত হয়েছেন, কারণ বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময়ই পাকিস্তানি শাসকচক্র কর্তৃক কারাবন্দী থাকতেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সাথে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের অনান্য সদস্যদের সাথে শেখ রাসেল-এর শহিদ হবার কথা স্মরণ করে বলেন, ১০ বছর বয়সী একটি বালককে হত্যা করতে যাদের হাত কাপলো না তাতেই বোঝা যায় স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল সেই খুনি চক্রটি কতটা নির্মম ও বর্বর ছিল। সেই একই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এখনও দেশবিরোধী নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত সকলকে সতর্ক করেন এবং সবাইকে একসাথে তাদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতি চিরদিন তাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করবে।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
সবশেষে, শহিদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ১
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার জেরে রংপুরের পীরগঞ্জের বড়ো করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান বলেন, জয়পুরহাটে অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোমবার রাতে পরিতোষ সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবার রাত পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শেখ রাসেলের জন্ম দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্পর্কে আরও জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যত নাগরিকে পরিণত করবে।
পড়ুন: কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন ‘ঘাতকেরা নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পালিয়ে থাকা খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচার আওতায় আনতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার ১৮ অক্টোবর রাসেলের স্মরণে উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারি প্রাঙ্গনে আয়োজিত হয় স্মৃতিচারণমূলক একটি বিশেষ আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সৌগত চট্টোপাধ্যায়, শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু প্রতিবেশী নাতাশা আহমাদ এবং প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) শামসুল আরিফ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) দূতালয় প্রধান মিজ শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন: জাতিসংঘ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণা ছড়িয়ে বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দুদের ওপর হামলা সংবিধানের মূল্যবোধ পরিপন্থী এবং তা বন্ধ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের জাতিসংঘের আবাসিক সময়ন্বক মিয়া সেপ্পো।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলবো সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করুন।’
এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মিয়া সেপ্পো।
কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ২০ জেলায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে সরকার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি জাতিসংঘের
জাতিসংঘ অধিবেশনে একমঞ্চে ৩ বাংলাদেশি নারী