বাংলাদেশ
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ২৭৮ জন হাসপাতালে
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৮ জন নতুন ডেঙ্গু রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এই তথ্য জানিয়েছে।
করোনা মহামারির পাশাপাশি বর্ষাকালে ছড়িয়ে পড়া এই মশাবাহিত রোগে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। গত ১ আগস্ট থেকে প্রতিদিনই ২শ’র বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই বেশিরভাগ রোগী পাওয়া গেছে বলে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় ১০৯০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৯৮৭ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরে আছেন।
নতুন রোগীর মধ্যে ২৩০ জনকে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে প্রায় ৮ হাজার ৮৫৩ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৭২১ জনকে সুস্থ হওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় ২০০০ সালে। ওই বছর ৯৩ জন মারা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ঘোষণা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২৭৬
বিজেএমসি’র বন্ধ মিলগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বন্ধ মিলগুলো পুনরায় চালু করে পাটপণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে সৌদি আরব। বুধবার দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে তাঁর সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসসা ইউসেফ ইসসা আল দুহাআলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসসা ইউসেফ ইসসা আল দুহাআলান জানান, সৌদি আরব আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। সেজন্য সৌদি আরব বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: পাটের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে: পাট মন্ত্রী
আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশও আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। সৌদি আরব বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে আরও অধিক পরিমাণে বিনিয়োগ করবে বলে তিনি আশা করেন। মন্ত্রী, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদিত হয় এবং এ পাট থেকে এখন উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। পাটপণ্য সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব। সৌদি আরবে সম্প্রতি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়াতে সে দেশে বহুমুখী পাটপণ্যের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহুমুখী পাটপণ্যের রপ্তানি হয়। এ রপ্তানি দেশের তালিকায় অন্যতম অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও অধিক পরিমাণে বহুমুখী পাটজাত পণ্য সৌদি আরবে রপ্তানি করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৮ মাস পর পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দিল সৌদি আরব
সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশিদের নিয়োগের আহ্বান
বরিশালে ইউএনও-পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা এবং পুলিশের কাজে বাধা দানের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ঝন্টু।
তিনি বলেন, আমরা গ্রেপ্তার ২১ জনের জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত ইউএনও মুনিবুর রহমানের দায়ের করা মামলায় তিন জনকে এবং কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিকের দায়ের করা মামলায় ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে তিনজন উভয় মামলার আসামি। তারা জামিন পেয়েছেন। অর্থাৎ মোট নয় ব্যাক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আমরা পরবর্তী তারিখে বাকি আসামিদের জামিনের আবেদন করবো।
আরও পড়ুন: বরিশালে গভীর রাতে প্রশাসন ও আ'লীগের সমঝোতা!
বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী, মমিন উদ্দিন কালু, কবির তালুকদার, হুমায়ুন কবির হাওলাদার, ইলিয়াস, জমির উদ্দিন, নাসির উদ্দিন।
তাদের মধ্যে ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী উভয় মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ইউএনওর বাসায় হামলার অভিযোগে এবং পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে ইউএনও ও পুলিশ ৬০২ জনের বিরুদ্ধে করে। মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন গ্রেপ্তার করা হয়।
কুষ্টিয়ায় বোমা বিষ্ফোরণে আহত আবু বক্করের মৃত্যু
কুষ্টিয়া, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের বিলগাথুয়া গ্রামে বোমা বানাতে গিয়ে বিষ্ফোরণে আহত বোমা তৈরির কারিগর আবু বক্কর (৩৫) মারা গেছেন।
বিস্ফোরণের ছয়দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আবু বক্কর বিলগাথুয়া গ্রামের ইন্তাজ মন্ডলের ছেলে।
আবু বক্করের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট হামলায় নিহতদের লাশ গুমের চেষ্টা করেছিল খালেদা সরকার: প্রধানমন্ত্রী
গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগষ্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন বিলগাথুয়া গ্রামে বোমা বানানোর সময় বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে বোমা তৈরির কারিগর ও মাদক পাচারকারী আবু বক্কর (৩৫) ও তার স্ত্রী মধুবালা (৩০) আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে অবস্থার অবণতি হওয়ায় আবু বক্করকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আবু বক্কর মারা যান।
উল্লেখ্য, বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনায় দৌলতপুর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আবু বক্কর ও তার স্ত্রী মধুবালা আসামী।
আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যুর ৬ ঘণ্টার পর স্ত্রীর মৃত্যু
এছাড়াও এ মামলার অপর আসামি বিলগাথুয়া গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম (৪৫) ও তার সহযোগী মৃত আমিরুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে বিকু (৪০) এবং তাহের আলীর ছেলে রায়হানকে (২২) গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা: জয়
ঢাকা, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করা। এতে সমাজ থেকে দুর্নীতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা যাবে। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল।
মঙ্গলবার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর পেমেন্ট নেটওয়ার্ক সার্ভিস ‘ব্লেজ’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। যাদের অধিকাংশই গ্রামের মানুষ। তাদের কাছে নগদ টাকা থাকায় চুরি ও দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করা হলে মানুষের হাতে নগদ টাকা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। ফলে চুরি ও দুর্নীতির কোন সম্ভাবনাও নেই।
আরও পড়ুন: যারা মিথ্যা সংবাদ ছাপাবে না, তাদের ভয় নেই: সজীব
আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানের ওপরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ১০ বছর পরে উন্নয়নের কোন স্তরে পৌঁছাবে সেই পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করে। এ প্রসঙ্গে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদাহরণ টেনে বলেন সরকার ইউনিয়ন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল লাইন স্থাপন, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম চালু ,স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভিডিও কনফারেন্সং সিস্টেম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।
এর ফলে করোনা মহামারির সময়ে বাংলাদেশে প্রায় সব কিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। কিন্ত ডিজিটাল সিস্টেম কার্যকর না থাকায় বিশ্বের অনেক ধনী দেশ করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় আমাদের থেকে পিছিয়ে।
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ব্লেজ পেমেন্ট নেটওয়ার্ক সার্ভিসের সুবিধার কথা উল্লেখ করে জয় বলেন, প্রচলিত ধারার ব্যাংকিং কার্যক্রমের নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন সপ্তাহে ৫দিন ব্যাংক খোলা। আবার বিদেশে যখন দিন তখন বাংলাদেশে তখন রাত। এসব সীমাবদ্ধতার কারণে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। ব্লেজ পেমেন্ট নেটওয়ার্ক সার্ভিসে এই সীমাবদ্ধতা নেই। যে কোনও দিনে যে কোন সময়ে ৫ সেকেন্ডে প্রেরিত টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তিনি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক নিশ্চিতে প্রযুক্তি বিনিময়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সাশ্রয়ী মূল্যে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধায় ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রযুক্তি বিনিময় ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আসুন আমরা এই সময়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করি।’
মঙ্গলবার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডারস গ্রুপের (জিএলজি) দ্বিতীয় সভায় আগে থেকে ধারণ করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এএমআর চ্যালেঞ্জে মোকাবিলায় বিভিন্ন সেক্টরে ধারাবাহিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। এই বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে দেখে আমি সন্তুষ্ট। ওয়ান হেলথ প্রস্তাবসহ বহুখাতের ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে জন্য জিএলজির অগ্রাধিকারকে সমর্থন দিতে পেরেও আমি আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জিএলজির কাজের পরিধি বাড়ানোর জন্য আমাদের ভূমিকা পালন করব।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং নতুন উদ্ভাবনে ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
নিজের দেশ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেন্টমেন্টের ওপর বাংলাদেশ একটি ছয় বছরের (২০১৭-২২) জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা এবং জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এএমআর রেসপন্স এলায়েন্স গঠন করা হয়েছে।
আর পড়ুন: নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইসিডিডিআর,বি
শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার কমছে। যদি এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে তাহলে খুব শিগগিরই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। তবে ধাপে ধাপে খোলা হবে ।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘স্মরণে শ্রদ্ধায় ৭৫’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে সংক্রমণ হার কমে নিচে নেমে আসছে এটা আমাদের জন্য সুখবর । নিম্নগতি থাকলে, কমে আসলে খুব শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। তবে ধাপে ধাপে খুলবো। কারণ আমাদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। করোনা প্রতিরোধ সামাজিক দূরত্ব গুরুত্বপূর্ণ, তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যায় সেই বিষয়ে আমরা বিবেচনার একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবো ।
তিনি আরও বলেন, এখন সবাই সপ্তাহের সব দিন হয়তো ক্লাস করার সুযোগ পাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। শুধু অপেক্ষা করছি, দেখছি সংক্রমণের হার কতটা নিচে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে: শিক্ষামন্ত্রী
গণমাধ্যমের নৈতিকতার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
সমাজ ও রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক বিকাশে গণমাধ্যমের প্রসারের পাশাপাশি এক্ষেত্রে নৈতিকতার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠী দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল: তথ্যমন্ত্রীতথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও সমাজের বহুমাত্রিক বিকাশের স্বার্থে গণমাধ্যমের প্রসার ও স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন, একইসাথে সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের নীতি-নৈতিকতাও আবশ্যক। তা না হলে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রসারের সাথে নীতি-নৈতিকতা থাকলেই কেবল গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য সফল হবে।’তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত পত্রপত্রিকা প্রকাশ হয় না, সেগুলোর ডিক্লারেশন রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন দেখা দেয়। এগুলো ভূতুড়ে পত্রিকা। এখানে নিয়োগকৃতদের বেতন দেয়া হয় না, এরা চাঁদাবাজিসহ নানা কিছুতে লিপ্ত হয় এবং সেই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়, যা কখনোই সমীচীন নয়। এজন্য আমরা ভূতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রীঅনলাইন গণমাধ্যমকে মন্ত্রী আজকের পৃথিবীর বাস্তবতা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সেইসাথে বলেন, ‘যথেচ্ছভাবে নয়, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তবেই অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে। একইসাথে যেসমস্ত অনলাইন পোর্টাল সংবাদ ছাড়া ভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়, এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একইসাথে আইপি টিভির জন্য ছয়শ’ আবেদন পড়েছে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একজন বিচারপতিও মন্তব্য করেছেন, যা রায়ের অংশ। এক্ষেত্রটিও আমরা সর্তকতার সাথে দেখছি। মন্ত্রিসভায় পাস করা নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি কোনো সংবাদ প্রচার করতে পারবে না। খুব সহসা আইপি টিভি’র রেজিস্ট্রেশন দেয়ার পাশাপাশি ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া শুরু: তথ্যমন্ত্রী‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাংবাদিকবান্ধব নেতা ছিলেন। তখন যারা সাংবাদিক ছিলেন তারা বঙ্গবন্ধুকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। সেই কারণে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও বাঙালির জন্য তার চিন্তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া সহজ হয়েছিল। স্বাধীন হওয়ার পর দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। বাসন্তী নামের একজন নারীকে শাড়ির চেয়ে বেশি দামের জাল পরিয়ে ছবি ছাপানোসহ কিছু পত্রপত্রিকায় ক্রমাগত অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে আসার পর সেই বাসন্তীর সাথে দেখা করেছেন, তার ঘরও পাকা করে দিয়েছেন। স্বাধীনতা উত্তর সে অবস্থায় বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর পত্রপত্রিকার সংখ্যা নির্ধারণের জন্য বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন যেখানে ছিলেন মিজানুর রহমান, অধ্যাপক খালেদ, আনিসুজ্জামান খান, গিয়াস কামাল চৌধুরী, আমানুল্লাহ খান, আব্দুল গণি হাজারী, শুধুমাত্র সলিমুজ্জামান ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব। এর বাইরেও সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের পরামর্শ নেয়া হয়েছিল। তাদের পরামর্শেই পত্রিকার সংখ্যা সীমিত করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো সাংবাদিক বেকার হননি, বেশিরভাগ চাকুরিচ্যুতদের অন্যত্র চাকুরি দেয়া হয়েছিল, বাকিরা তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ভাতা নিয়ে আসতেন।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে অপপ্রচার শাস্তিযোগ্য অপরাধ: তথ্যমন্ত্রীহাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজের জন্য যা করেছেন তা অতীতে কেউ করেনি। করোনার মধ্যে এদেশে তিনি সাংবাদিকদের সহায়তায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন, আশেপাশের দেশে তা করা হয়নি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের তেমন কোনো জোরালো দাবি ছিল না, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই স্থায়ী ব্যবস্থা করেছেন। আজ কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে হাজার হাজার সাংবাদিক উপকৃত হচ্ছে এবং এটি সাংবাদিকদের একটি ভরসাস্থল। কেউ মারা গেলে পরিবার তিন লাখ টাকা পায়। সাংবাদিকদের পরিবারকে সহায়তার জন্যও নীতিমালার খসড়া হয়েছে। ডিআরইউ’র এই জায়গাটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। আর জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গা বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রাও বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে। সেখানে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত খুনিচক্র: তথ্যমন্ত্রীডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় সভায় ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম ও সাইফুল ইসলাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও রাজু আহমেদ, যুগ্মসম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার ও সদস্য মোতাহার হোসেন, মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক অঙ্গীকার এবং অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ), ইউএনডিপি এবং হেলথ ইন্টারভেনশন অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (হিটাপ) আয়োজিত ‘ডিসকাশন টু শেয়ার নলেজ অন ইকুইটেবল কোভিড-১৯’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠক সিরিজের প্রথম বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে স্পিকার মঙ্গলবার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সাথে কাতারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইউএনডিপি এর রিজিওনাল হেলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এ্যাডভাইজার হাকান জর্কম্যান স্বাগত বক্তব্য দেন। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্পিকার বলেন, আমাদের দেশের জনগণকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সরকার কাজ করছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা: স্পিকার
বৈঠকে পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সভাপতি প্রফেসার হাবিবে মিল্লাত এমপি, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি ঘানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেলিসি মিমি ডার্কো এবং ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ ভেলোর, ভারত এর প্রফেসর গগণদ্বীপ কাং বক্তব্য দেন।
নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে কাঙ্খিত উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দুর্যোগ ঝুকি-হ্রাস বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে সরকার ১০০ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান) -২১০০ প্রণয়ন করেছে। ২১০০ সাল নাগাদ স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলোর সমন্বয়ে যোগ সূত্র সৃষ্টি করবে এ ডেল্টা প্ল্যান। এভাবে দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসে জীবন ও সম্পদের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয়, টেকসই ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইয়াস মোকাবিলায় তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় পর্যটন করপোরেশন প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮ টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে। এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসিত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীএনামুর রহমান আরও বলেন, বিশ্বনেতাদের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন। বিষয়গুলো হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড কমিয়ে আনা, বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলার ৫০:৫০ অনুপাতে অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ভাগ করে দেয়া এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজ এর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া, উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিখাতের এগিয়ে আসা,কার্বন নিউট্রাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও টেকনোলজি ট্রান্সফার।
আরও পড়ুন: করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রাক ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস প্রফেসর ড.আইনুন নিশাত।