বাংলাদেশ
কুমিল্লা-৭ আসনে ডা. প্রাণ গোপালকে বিজয়ী ঘোষণা
কুমিল্লা-৭ আসনের (চান্দিনা) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্তকে বিজয়ী ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন: আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন ডা. প্রাণ গোপাল
তিনি জানান, কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্তকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে চার প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে তিনজনই ১৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বরে নেন। এতে ডা. প্রাণে গোপাল বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হলেন। সোমবার সকালে এ ব্যাপার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ অধ্যাপক আলী আশরাফ গত ৩০ জুলাই মৃত্যুবরণ করলে এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা শহরে গ্রেনেড হামলা-১৯৭১
কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম (৪০) ও আব্দুল হাকিম। প্রাথমিকভাবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মহেশখালী দ্বীপের কুতুবজোম ইউনিয়নের নোয়াপাড়া মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল ৯ টার দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা কেন্দ্র দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কালাম মারা যান এবং ৭ জন আহত হন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, ‘উভয়পক্ষের ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এছাড়া কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামে একজন মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুল হালিম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শিগগিরই ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২ পৌরসভা ও ১৪ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
ইউপি নির্বাচন: বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ
রাজশাহীতে মাইক্রোবাস চাপায় শিশু নিহত
রাজশাহী নগরীতে বিয়ের মাইক্রোবাসের নিচে চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকালে নগরীর বেলদারপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রায়হান (৩) ওই এলাকার রেজাউল রাজুর ছেলে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা সেতুতে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় শিশু নিহত
স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে তিনটি মাইক্রোবাস বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় বাড়ির গলি থেকে রায়হান দৌড়ে বের হয়ে সড়ক পার হতে গেলে মাইক্রোবাসের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধুর ধাক্কায় শিশু নিহত
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্রবর্মন জানান, বেলদারপাড়ায় একটি বিয়ে বাড়ির মাইক্রোবাসের নিচে চাপা পড়ে রায়হান নিহত হয়েছে। খবর পেয়ে রায়হানের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার বিকালে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট রবিবার (স্থানীয় সময়) বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
ইহসানুল করিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে ১৮তম বারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এছাড়া ২০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নিউইর্য়ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ছোট দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি একটি গাছ লাগাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেখ হাসিনা ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সঙ্গে এবং পৌনে ৩টায় বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি বিকাল ৪টায় সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। বিকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিক্সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং বিকাল ৪টায় ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ব্যবসায়িক গোলটেবিলে অংশ নেবেন।
২২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) হাসিনা তিনটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সকাল ৯টায় ডারবান ডিক্লারেশন এবং কর্মসূচী গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী, ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১ ৯ সামিট এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিকাল ৩টায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
পড়ুন: বাংলাদেশ চাইলে জাতিসংঘ নির্বাচনী সহায়তা দেবে: মিয়া সেপ্পো
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচী: সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসাবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুইয়েন জুয়ান ফুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। দুপুরে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং রাতে বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) হাসিনা সকাল ৮টায় বিমানের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ফিনল্যান্ডে বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
৫২ বছরের বাজেট ডকুমেন্টস পেল ইআরএফ
অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার পুরোধা ব্যক্তিত্ব প্রয়াত জাহিদুজ্জামান ফারুকের সংগ্রহে থাকা দেশের ৫২ বছরের বাজেট ডকুমেন্টস এবং অর্থনীতি বিষয়ক বই তার পরিবারের পক্ষ থেকে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) লাইব্রেরিতে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টন ইআরএফ লাইব্রেরিতে সংগঠনটির সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের কাছে এসব ডকুমেন্টস ও বই হস্তান্তর করেন জাহিদুজ্জামান ফারুকের ছেলে মহিউজ্জামান ফারুক ও পুত্রবধূ ফারহানা খান।
ইআরএফ সদস্য জাহিদুজ্জামান ফারুক চার দশকের বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা করেছেন। তার শখ ছিল-বাজেট ডকুমেন্টস ও অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের বই ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে রাখা। ১৯৬৮ সাল থেকে তিনি বাজেট ডকুমেন্টস সংগ্রহ করা শুরু করেন। তার এসব দুর্লভ সংগ্রহ ইআরএফ লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিআরইউ’র প্রতিবাদ
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জাহিদুজ্জামান ফারুকের ছেলে মহিউজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আমার বাবার পেশা ও নেশা ছিল সাংবাদিকতা, অর্থনীতির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি। পাশাপাশি দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বাজেট ডকুমেন্টসহ অর্থনীতির নানা তথ্য-উপাত্ত ও বই সংগ্রহে রাখতেন। সেসব ডকুমেন্টস ইআরএফ লাইব্রেরিতে প্রদানের উদ্দেশ্য হলো-এর যেন যথার্থ ব্যবহার হয়।’
অনুষ্ঠানে ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী বলেন, ‘জাহিদুজ্জামান ফারুক বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার বিকাশে সারাজীবন কাজ করে গেছেন। এজন্য তিনি অর্থনীতির নানা ধরনের ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছেন। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত সাংবাদিক জাহিদুজ্জামানের নামে ইআরএফ লাইব্রেরিতে আলাদা একটি কর্নার করা হবে। যেখানে তার সংগ্রহে থাকা সকল ডকুমেন্টস ও বই রাখা হবে। সাংবাদিকদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকসহ অন্যরা এসব ডকুমন্টেস ব্যবহার করতে পারবেন।’
জাহিদুজ্জামান ফারুক গত ১৯ আগস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের শাস্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার মো. জহুরুল হক রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি
সাক্ষাতকালে দুদকের চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এসময় তিনি দুদক অফিসের অবকাঠামো ও জনবল সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘উন্নয়নের এ ধারাকে টেকসই করতে দুর্নীতি প্রতিরোধ খুবই প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যেন উল্টো পথে হাঁটছে: রাষ্ট্রপতি হামিদ
তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যাতে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবার থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
দুদক প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে সপ্তাহব্যাপী শিল্প ও সংস্কৃতি প্রদর্শনী
রোহিঙ্গাদের স্মৃতি, অভিজ্ঞতা এবং প্রত্যাশার প্রতিনিধিত্বকারী ১০০ সাংস্কৃতিক পণ্য এবং শিল্পকর্ম নিয়ে ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শুরু হলো সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এর সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস)-এর আয়োজনে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রবিবার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয় একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
আইওএম -এর রোহিঙ্গা কালচারাল মেমরি সেন্টার (আরসিএমসি)-এর সাথে যুক্ত রোহিঙ্গা কারিগররা হাতে তৈরি এসব পণ্য প্রস্তুত করেছেন নেদারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায়। প্রদর্শনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যকে বৃহৎ পরিসরে সংরক্ষণে আরসিএমসি-এর চলমান উদ্যোগের অংশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে অস্ট্রেলিয়া পাশে আছে: হাইকমিশনার
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন,‘এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যের সৌন্দর্য এবং এর বিভিন্ন দিক প্রদর্শনের মাধ্যমে সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়িত করা এবং এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেন পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও চলমান থাকে তা নিশ্চিত করা। আরসিএমসি প্লাটফর্মটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর গল্প বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে তুলে ধরতে এবং অভিবাসীদের সঙ্গে যুক্ত করতে সহযোগিতা করছে।’
প্রদর্শনীর সংগ্রহের মধ্যে ‘মিয়ানমার লাইফ’,‘ক্যাম্প লাইফ’ এবং ‘ফিউচার লাইফ’ শিরোনামের চিত্রকর্মগুলো রোহিঙ্গাদের অতীত,বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে চিত্রিত করে।ঐতিহ্যবাহী ঘর,নৌকা এবং আসবাবপত্রের স্কেল মডেলগুলো আরাকানের (বর্তমান রাখাইন)দৈনন্দিন জীবনকে তুলে ধরে।কৃষিকাজ, মাছধরা এবং গৃহস্থালীকর্মের বিভিন্ন যন্ত্র তাদের ঐতিহ্যগত জীবিকা এবং কারুশিল্পের দক্ষতা নির্দেশ করে। এছাড়া ক্যাম্পের ভিডিওগুলো রোহিঙ্গা কারিগরদের গল্প বলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মস্কোর সহযোগিতা চায় ঢাকা
এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা কারিগর সইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ডানা আছে পাখা নেই, মন আছে আশা নেই। এই প্রদর্শনী আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছে।’
আরসিএমসি’র আরেকজন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিনিধি মো. শিব্বিলি বলেন,‘আমার স্বপ্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি এবং ইতিহাসে যা কিছু নিহিত আছে তা তুলে ধরা।’
বাংলাদেশে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো বলেন,‘রোহিঙ্গা কালচালার মেমরি সেন্টার এবং এ জাতীয় যত প্রয়াস আছে সে সবের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে বস্তুগত এবং অধরা ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক পরিচয় নিশ্চিত করবে এবং মাতৃভূমির সঙ্গে তাদের বন্ধন দৃঢ় করবে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যানে জেরার্ড ভ্যান লিউয়েন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি হচ্ছে মনের প্রতিফলন, উজ্জ্বীবন এবং লালনপালন। শিল্পকর্ম, কারুশিল্প এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ সবার জন্য সুগম করা উচিত, বিশেষ করে বাস্তহারা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের জন্য। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পরিচয় সংরক্ষণের মাধ্যমে আরসিএমসি তাদের আশা এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করেছে। আমি আশা করছি, প্রথমে ঢাকা এবং পরবর্তীতে আমস্টারডামে এই প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অঙ্গীকার এবং তাদেরকে দেয়া বাংলাদেশের আতিথেয়তা বিশ্বব্যাপী আরও বড় পরিসরে স্বীকৃত হবে।’
আরও পড়ুন: নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ এজেন্ডায় থাকবে: ইইউ
প্রদর্শনী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটো গ্যালারিতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই প্রদর্শনীর পরে শিল্পকর্মগুলো নেদারল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হবে ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামে আরেকটি প্রদর্শনীর জন্য। সীমিত আকারের একটি সংস্করণ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে তাদের গবেষণা কর্মসূচির জন্য।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারুশিল্পের প্রদর্শনী প্রকৃতপক্ষে একটি মহত উদ্যোগ। এটা নির্দেশ করে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সংস্কৃতি সংরক্ষণে শ্রদ্ধাশীল। এই উদ্যোগটি আইওএম এবং নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।’
গবেষণা এবং প্রাসঙ্গিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ‘দ্য সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ অব এনএসইউ’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে জ্ঞান বিতরণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমানে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছে। আরসিএমসি রোহিঙ্গাদের আর্ট থেরাপি দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের সুরক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করছে। পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা এই কাজটি করে প্রতিষ্ঠানটি।
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬ তম অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি ত্যাগ করেছেন। তিনি এখন নিউইয়র্কের পথে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে ১৮ বারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে যাচ্ছেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দিবেন।
এছাড়াও, শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। ২০-২৪সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে (ইউএনএইচকিউ) পাশাপাশি অন্যান্য ইভেন্টে অংশ নেবেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ফিনল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ছোট গ্রুপের এইচওএস/এইচওজি-র সাথে একটি বৈঠকে যোগ দিবেন এবং একটি গাছ লাগাবেন। এছাড়া সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইউএনএইচকিউ এর উত্তর লনে শান্তি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
মোদী বিরোধী বিক্ষোভ: ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ জনের জামিন
গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতার জন্য আটক হওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ জনকে ঢাকার একটি আদালত জামিন দিয়েছেন। রবিবার ভার্চুয়াল শুনানির সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস জামিনের এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, এমডি নয়ন, আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, সোহেল মৃধা, মোস্তাক আহমেদ, আজিম হোসেন, মো. রুহুল ইসলাম সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিসান, মো. সোহেল আহমেদ, শেখ খায়রুল কবির, শোভন হোসেন, গোলাম তানভীর, মো. হেমায়েত, ইসমাইল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম এবং কাজী বাহাউদ্দিন মনির।
আরও পড়ুন: ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আকরাম গ্রেপ্তার
২৫ মার্চ, মোদির সফরের প্রতিবাদে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ যখন নেতাকর্মীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তখন পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। তখন পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরদিন পুলিশ এই সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মামলা করে।
অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
দেশে অভিন্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সাজার চর্চা নিশ্চিতে একটি সাজা প্রদান নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রিট আবেদনকারী। রিটে গত বছরের ১ ডিসেম্বর যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ে সাজাপ্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রসঙ্গ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপিপন্থি ১১ আইনজীবীর আগাম জামিন
রিটে বলা হয়, নির্দেশিকার অনুপস্থিতিতে বিস্তৃত এখতিয়ারের কারণে বিচারককে অনিশ্চিত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ সাজা প্রদানে পরিচালিত করে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। রিটে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের নীতিমালা রয়েছে। এটি নিশ্চিত হলে অপরাধের গুরুত্ব ও গভীরতা অনুসারে সাজা প্রদানের বিষয়টি নীতিমালায় ওঠে আসবে।