বাংলাদেশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত
প্রায় দেড় যুগ আগে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ সাত আসামির জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একইসাথে জামিন স্থগিতের আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রবিবার (৩০ মে) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ৩০মে পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আদালাতের আদেশের বিষয়টি এস এম মুনীর নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: সাজাপ্রাপ্ত ৭ আসামির জামিন
এর আগে মঙ্গলবার সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ সাত জনকে চার মাসের জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। একই সাথে এই সময়ের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছিল।
শাবিতে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ
করোনা মহামারির কারণে আটকে থাকা বিভিন্ন বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ১৬৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ধরন, পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় ঠিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা প্রতিটি কোর্সের পরীক্ষা নিবো দু'টি ভাগে। অর্থাৎ প্রতিটি কোর্সে একটি ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্ট ও একটি ভাইবা থাকবে। মোট ৭০ নম্বরের এই পরীক্ষায় ৩০ থাকবে ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্টে ও বাকি ৪০ নাম্বার থাকবে ভাইবায়।
তিনি বলেন, ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্টের জন্য জুম অ্যাপ, গুগল ক্লাস রুম ও অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তারিখে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করবেন। প্রশ্নপত্র সমাধানের জন্য সময় দেয়া হবে ১২ ঘণ্টা এবং প্রশ্নের উত্তর হাতে লিখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে উত্তরপত্রের ছবি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তুলে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপ বা গুগল ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদেরকে আপলোড করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: শাবির ল্যাবে দশ মাসে ৪৫ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে যাচাই করার জন্য আমরা ভাইবা রেখেছি এবং এটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্ট জমা দেয়ার পর যে কোন দিন ওই কোর্সের ভাইবা হতে পারে। আমরা বিভাগগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছি তারা ঠিক করবে কবে ভাইবা নিলে তাদের এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধে হয়।
এদিকে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ বর্ষের কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভাইবা ছাড়া আর কোন পরীক্ষা বাকি নেই তাদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ভাইবা সরাসরি অপলাইনে নেয়া হবে। এ বিষয়ে বিভাগগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিবে।
গত বছর ৩১ মার্চ থেকে অনলাইনে ক্লাস করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অনলাইনের মাধ্যমে দুই সেমিস্টারের ক্লাস সম্পন্ন করেছেন তারা। করোনাকালীন সময়ে চলতি বছরের শুরুতে অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা সরাসরি শুরু হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার অনলাইনেই সবার পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের দ্বিমুখী লড়াই
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিলের রিট আবেদন খারিজ
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে পরীক্ষার ত্রুটি নিয়ে কোনো মেডিকেল পরীক্ষার্থী আবেদন করলে তা সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ১৯ মে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ফেরদাওস জাহান মারিয়াসহ ৩২৪ পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট দায়ের করেছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিটে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ফলাফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গত ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রচারিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে। আবার কোনো পরীক্ষার্থী যদি গতবছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন, তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফল থেকে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি পালন করা হয়নি।
এতে বলা হয়, যেসব পরীক্ষার্থীদের ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ফলে ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার প্রথমবার পরীক্ষায় যেখানে কোনো নম্বর কাটার কথা নয়, সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকেই ৫ নম্বর কেটে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দুটি করে। সেই সঙ্গে অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর ছিল না। সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি করা হয়েছে। ঢাকা জেলা কোটা আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে। উপজাতি কোটায় সংরক্ষিত আসনে অসংখ্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার মুখে পড়েছে। এসব কারণে প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করে এবং এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকায় ভিত্তিতেই মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আগামী ২২ মে থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে রিট
রিটে বলা হয়, যে ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অর্থই হলো প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা, তাদের আজীবন লালিত আকাঙ্ক্ষা চিকিৎসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করা। সেইসঙ্গে দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২ ও ৪০ এর পরিপন্থী।
করোনায় একদিনে আরও ২২ প্রাণহানি, শনাক্ত ১২৯২
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে শনাক্ত কমেছে, তবে মৃত্যু বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ১২ হাজার ৪৮০ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৯২ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৫ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন মারা গেছেন যা গত ৬৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১৮ মার্চ করোনায় ১৬ জন মারা গিয়েছিল। এছাড়া ১ হাজার ৪৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ভারতের, অবনতি চলমান
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৯১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৮.১২ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৯১ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৭ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্ব জুড়ে করোনার টিকা কার্যক্রম পরিচালনার পরও দিন-দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। সেই সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
ইতিমধ্যেই বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৮২ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৮১ লাখ ৮১ হাজার ১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ১৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৪৭ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৮৮ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৯৫ জন।
চীন থেকে দেড় কোটি টিকা ক্রয় করবে সরকার
চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকার সরাসরি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অনুমোদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আগামী তিন মাসের মধ্যে- জুন, জুলাই এবং আগস্টে মোট ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) টিকা সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার বলেন, ‘প্রতি মাসে চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ লাখ ডোজ ক্রয় করা হবে।
এর আগে ১৯ মে চীন থেকে করোনাভাইরাসের সিনোফার্মের টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার।
আরও পড়ুন: ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি ২৮ এপ্রিল রাশিয়া এবং চীনের কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনের প্রস্তাবকে নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
তবে রাশিয়ান স্পুটনিক-ভি এর পরিমাণ এবং ব্যয় সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসেনি। এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দায়বদ্ধ।
সিলেটে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু
সিলেটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং সুস্থ হয়েছে আরও ৪৮ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের চারটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ৬০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ মৃত্যু
বর্তমানে সিলেট বিভাগে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৩১৯ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র সিলেট জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৯২ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৭৯৫ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৪১৫ ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৪৪৫ জনের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট জেলায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। সব মিলিয়ে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৬ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৯২ জন, সুনামগঞ্জে পাঁচ, হবিগঞ্জে তিন, মৌলভীবাজারে আরও ছয় জন করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে করোনায় যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তারা সবাই সিলেটবাসী। এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৯৭ জনে। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৩১৯ জন, সুনামগঞ্জে ৩০, হবিগঞ্জে ১৮ ও মৌলভীবাজারের ৩০ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ মৃত্যু
ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ডাক অধিদপ্তরের নবনির্মিত সদর দপ্তর নান্দনিক ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ভবনটি উদ্বোধন করেন।
এসময় ডাক ভবন উদ্বোধনে ডাক অধিদপ্তরের জন্য ঐতিকহাসিক এই ক্ষণটি স্মরণীয় করে রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সমস্যা নিরসনে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০ মার্চ ২০১৮ একনেকে অনুমোদিত হয়।
নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তরুণদের মাছ চাষের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান এ.কে.এম রহমতুল্লাহ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল।
১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজের টিকা নেয়ার পর ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকা দেয়ার সুযোগ থাকবে। এর মধ্যেই সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করছে টিকা সংগ্রহের জন্য। আমরা আশাবাদী, এই টিকা সংগ্রহ হবে এবং দ্বিতীয় ডোজ সবাই পেয়ে যাবেন।’
বুধবার (২৬ মে) অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রয়েছে, আর দ্বিতীয় ডোজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, সেটা দিয়ে প্রথম ডোজ গ্রহীতা সবাইকে টিকা দেয়া যাবে না।’
তিনি জানান, একই সাথে চীন থেকে উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা মঙ্গলবার (২৫ মে) ৫০১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে এবং তাদের কারও মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আগামী সাত থেকে ১০ দিন তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে এ সময় জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘এ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি, চিকিৎসা ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি বিরল জাতের রোগ, এটি খুব বেশি সংখ্যক মানুষের হয় বলে তথ্য-উপাত্ত আমাদেরকে বলে না। তবে অবশ্যই এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল, এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা গত কিছুদিন যাবৎ ক্রমাগত কাজ করছি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, তাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করার চেষ্টা করছি। একইসাথে এই রোগ মোকাবিলায় যেসব ওষুধপত্র লাগে, সেগুলো কীভাবে সহজলভ্য করা যায় সেগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেব।’
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। তাই এই পরিস্থিতিতে কেউ যেন দাম নিয়ে সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজন রোগী পাওয়া গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিশ্চিত করে ফলাফলগুলো হাতে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা যদি একটুখানি অপেক্ষা করি, তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়ে সবাইকে জানাই তাহলে সবার মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হবে না। এখানে আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরণের উদ্বেগ বা উত্কণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই রোগটি আদিকাল থেকে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে আছে। বিশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষেত্রবিশেষে এর প্রাদুর্ভাব ও সংখ্যাধিক্য দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যেসব রোগীর ক্ষেত্রবিশেষ স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয় ও যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মেলাইটাস আছে তাদের জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সত্যিকার অর্থেই বিপদের কারণ হতে পারে। আমরা পরিস্থিতির দিকে গভীর পর্যবেক্ষণে করছি, আমরা আশা করছি এটি কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারবে না।
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয়: তথ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্রতম উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মিলিত প্রতীকী শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। আর স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তেই পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি এবং সে কারণেই আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা বর্ণিত রয়েছে।'
আরও পড়ুন: মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন: তথ্যমন্ত্রী
ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, যে ফিলিস্তিনকে সব মুসলিম দেশ সমর্থন দেয়, সেই ফিলিস্তিনেও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি, ইরাকেও তাই।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমাদের দল মনে করে, সবার আগে আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। কিন্তু বাংলাদেশে এমন একটি পক্ষ আছে যারা ধর্মের পরিচয়কেই আগে রাখে। আর তারপর তারা বাঙালি না বাংলাদেশি এ নিয়ে সার্বক্ষণিক দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে। সেখানেই তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।'
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে আ’ লীগ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী যেমন যুগান্তকারী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন, একইসাথে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর অপচেষ্টাও কঠোর হস্তে দমনে সরকার সবসময়ই বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা যাতে ন্যায় বিচার পান তার চেষ্টা থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
মানুষের মাঝে শান্তি-সম্প্রীতি-সাম্য প্রতিষ্ঠাই সকল ধর্মের মূলমন্ত্র আর বৌদ্ধ ধর্ম আরও একধাপ এগিয়ে সকল জীবের কল্যাণে ব্রতী, বলেন ড. হাছান।
বুদ্ধ পূর্ণিমার এইদিনে সকলকে নিজ নিজ ধর্মের মূলমর্ম বুকে ধারণ করে শান্তি-সম্প্রীতি-সাম্য প্রতিষ্ঠার ব্রত নেবার আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
ধর্মীয় উৎসবগুলো আমাদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশ হয়ে উঠেছে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমা, দুর্গাপূজা, ঈদ, বড়দিনসহ সকল ধর্মীয় উৎসবই এদেশে সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে সার্বজনীন রূপলাভ করে।
এই সার্বজনীন সম্প্রীতির চেতনা, যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চিরজাগরূক রাখতে চান, তার ওপর কালিমা লেপন বা তাকে নস্যাৎ করার সকল অপচেষ্টা রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান তিনি।
সভাশেষে মন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে পরিষদের পক্ষে সভায় আগতদের মাঝে উপহারসামগ্রী তুলে দেন ও বুদ্ধ পূর্ণিমা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ড. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং মহাথেরো আশিনো দীনরক্ষিত আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য দেন।
করোনা: দেশে ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে।
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জন মারা গেছেন। যা গত ৬৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১৮ মার্চ করোনায় ১৬ জন মারা গিয়েছিল।
এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ১২ হাজার ৪৫৮ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৯৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়নু: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৬ কোটি ৭১ লাখ ছাড়াল
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৬৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.১১ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৭ শতাংশ।
এদিকে, আগামী জুন মাসের ১৩ তারিখ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনা পরিস্থিতির যদি অবনতি না হয়, সেক্ষেত্রে প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখার কার্যক্রম শুরু করবে সরকার।
আরও পড়ুন: করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ভারতের, অবনতি চলমান
বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি হলে সরকার ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে করোন পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইউনিভার্সিটি গ্যান্টস্ কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।