বাংলাদেশ
এফএও’র আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি-৩৬) সফলভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
আরও পড়ুন: অপ্রচলিত ফসল চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটি খুবই আনন্দের ও সম্মানের। এ বৃহৎ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের সকল সক্ষমতা রয়েছে। এটি সফলভাবে আয়োজনের জন্য আমরা সার্বিক পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করছি।
সোমবার বিকালে এ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক ও রিজিওনাল প্রতিনিধি জং-জিন কিমের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ও এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত এফএও’র আঞ্চলিক অফিস থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরেন। এছাড়া, তিনি সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করতে এফএও’র সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় এফএওর সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম সম্মেলন আয়োজনে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনটি ২০২২ সালের মার্চের ৮-১১ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।
আরও পড়ুন: মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
প্রতি দুই বছর পরপর এ আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ সালে প্রথম ভারতে ও গত সম্মেলন ভুটানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টিরও বেশি সদস্য দেশ অংশগ্রহণ করে। সদস্য দেশসমূহের কৃষিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কৃষি ও খাদ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা করেন। চার দিনব্যাপী বৈঠকের প্রথম দুদিন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও পরের দুদিন মন্ত্রীরা আলোচনায় মিলিত হন।
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গবেষকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
আজকের বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সচিব তাজকেরা খাতুন ও উপসচিব আকবর আলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, এফএও’র আঞ্চলিক অফিসের চিফ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজুমি আইকেদা লারহেড, ৩৬তম এপিআরসি কনফারেন্স সেক্রেটারি ডেভিড দোয়ি, এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ এ সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
নির্দেশনা অমান্য করলে লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখলে লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘নিজের পরিবারসহ শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের সকলকেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
আরও পড়ুনঃ তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
সোমবার সকালে বিজয় সরণি এলাকায় পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এ সব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শপিংমল ও দোকানপাট মালিকদের সরকারি নির্দেশনাসহ প্রচলিত আইন ও বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জনকল্যাণমূলক সর্বাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ডিএনসিসি মেয়র জানান।
আরও পড়ুনঃ যেখানেই ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানেই মামলা দেয়া হবে: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে খাদ্য সহায়তাসহ যেকোন জরুরি সেবা গ্রহণের জন্য ৩৩৩ নম্বর সচল রয়েছে। যেকোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করতে পারছেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে যেকোন নাগরিক অতি সহজেই এলাকার রাস্তা, মশক, সড়ক বাতি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা এই আটটি বিষয়ে সরাসরি তার মতামত কিংবা অভিযোগ ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উক্ত সমস্যার সমাধানও পাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ব্যবসা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সুন্দর ও আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু, শনাক্তেও রেকর্ড
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড ভাঙছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর আগে রবিবার (৪ জুলাই) দেশে ১৫৩ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনে।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ৩০ জুন ৮ হাজার ৮২২ আক্রান্ত হয়েছিল। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্তের হার ২৯.৩০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। মৃতদের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারী।
আরও পড়ুনঃ নাটোরে করোনার নতুন শনাক্ত ১৮৩
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন। সুস্থতার হার ৮৭.৮৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
এর আগে দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে আগামী গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
একদিনে ৩৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও ৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ৩৮ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং একজন ঢাকাই বাইরে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১২০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ১১৭ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৫০৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩৮৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: কিভাবে বাড়িতেই ভেজাল দুধ শনাক্ত করবেন
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৩১ নতুন রোগী হাসাপাতালে
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে আপাতত কোন সিদ্ধান্ত নেই আমাদের। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না৷ খুব শিগগিরই সবাইকে নিয়ে একটি অনলাইন মিটিং ডাকা হবে। তখন কোন সিদ্ধান্ত আসলে জানিয়ে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জবির নতুন ভিসি ড. ইমদাদুল হক
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আমরা খুব শিগগিরই অনলাইনে একটি মিটিং ডাকবো এবং সকল সিদ্ধান্ত মিটিং এর উপর ভিত্তি করেই নেয়া হবে। তাছাড়া আমাদের প্রাথমিক আবেদন শেষ হয়েছে সিলেকশন রেজাল্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে নাগাদ সিলেকশন এর ফলাফল প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর আমরা মিটিং এর আগে কিছু জানাতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ১৯ জুন থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়া কথা থাকলেও, গত ১১ জুন তা স্থগিত করা হয়।
কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল, একদিনে সর্বোচ্চ ১৫৩
দেশে করোনাভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
এর আগে দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে আগামী গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
সাত দিনের প্রাথমিক কঠোর লকডাউন পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে, গত ৩০ জুন ২১ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পৌঁনে ১২ কোটি টাকা, ২৩ হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিধিনিষেধসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তায় সারাদেশে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও ২৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই দেশের ৬৪টি জেলাযর জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ৫ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও তিন কোটি এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই ধরনের সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলার ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট ৩ হাজার ২৮০ টন চাল ও মোট তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দের শর্তানুযায়ী বরাদ্দ দেয়া চাল এবং নগদ টাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন শ্রমিকসহ কর্মহীন ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করতে হবে। ৩৩৩-নম্বরে ফোন করলে মানবিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদেরকে বরাদ্দ থেকে খাদ্য সহায়তা (চাল, ডাল, লবণ, তেল, আলু ইত্যাদি) দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসিত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
আরেকটি চিঠিতে কোভিড-১৯, বন্যা, নদী ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে ৬৪ জেলা প্রশাসকদের অনুকূলের মোট ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল এবং এক কোটি ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
লকডাউন লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজধানীতে ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪৯৬টি গাড়িকে জরিমানাসহ মোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১২ লাখ ৮১হাজার টাকা। সাতদিনের কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: লকডাউন অমান্য করায় মাদ্রাসা সিলগালা, জরিমানা!
লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য ১৬১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে। এই সময় ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করে চলাচলকারী গাড়ির কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা আদায় করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কাবস্থান থাকা সত্ত্বেও লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা আগের তিনদিনের তূলনায় বেশি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১ জুলাই থেকে সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। এটি চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন : ভোলায় ৪৩৮ জনকে জরিমানা
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৩১ নতুন রোগী হাসাপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ২৯ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং দুজন ঢাকাই বাইরে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১০০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ৯৮ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৪৬৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩৬৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: কিভাবে বাড়িতেই ভেজাল দুধ শনাক্ত করবেন
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত ভ্যান উল্টে পড়ে সবজি ব্যবসায়ী নিহত
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত ভ্যান উল্টে পড়ে আব্দুল আজিজ (৩৫) নামে এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে কলাবাগান থানাধীন কাঁঠাল বাগান ঢালে এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক সবজি ব্যাবসায়ী সাইফুল (৩০) ও ভ্যানচালক আলম।
আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরী বিভাগে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে নিহত ৫
এই দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এ এস আই) মো. আব্দুল খাঁন বলেন, ঢামেকে চিকিৎসারত অবস্থায় আব্দুল আজিজকে রাত পৌনে একটার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর ব্যাবসায়ী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সামান্য আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আজিজের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ভ্যান চালক জানিয়েছেন, নিহতের গ্রামের বাড়ি যশোর। নিকট আত্মীয় না আসায় তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।ভ্যান চালক আলম জানান, কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য শ্যামবাজারের দুই কাঁচামাল ব্যাবসায়ীকে নিয়ে কাওরানবাজার যাচ্ছিলেন । যাওয়া পথে কাঁঠাল বাগানের ঢালে পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনের রাস্তায় দৌড়ে যাওয়ার সময়ে একটি বিড়াল দ্রুতগামী ভ্যানটির নিচে পড়ে যায়। এতে ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। তখন ভ্যানে বসে থাকা দু'জনই ছিটকে পরে যান। পরে পথচারীদের সহযোগিতায় তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিকআপের চাপায় পথচারী নিহত