বাংলাদেশ
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জীবনবাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, আমরা উভয় দেশই সবদিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত একটু বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
শুক্রবার (৯ জুন) কলকাতার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পিয়ারলেস ইন হোটেলে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এসব আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি।
ধর্মনিরপেক্ষতা-অসাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কোন আপোষ করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, আন্দোলন- সংগ্রাম করেছে।
কিন্তু দেশে বিএনপিসহ কিছু দল রয়েছে, যারা ক্ষমতায় আসার জন্য সবসময়ই ধর্মকে ব্যবহার করে।
বাঙালি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হতে পারে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের বাঙালিরা শতাব্দীর পর শতাব্দী একসঙ্গে থেকেছে। এখন বাস্তবতার কারণে দুটি দেশ, ভৌগোলিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় পরিচয় ভিন্ন হলেও; বাঙালিদের চিন্তা-চেতনা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ, ভাষা-সংস্কৃতিসহ প্রায় সবকিছুই এক ও অভিন্ন।
সেজন্য, আমরা বাঙালিরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে বিশ্বে বাঙালিরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পরিণত হতে পারে।
সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি।
২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এছাড়া সামাজিক ইনডেক্সগুলোতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে আছি।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
বাইডেনের কাছে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি: অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যাননের দেয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন।
চিঠিতে লেখা দাবিকে ‘ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের ৯ জুন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ছয় সদস্যের চলতি বছরের ১৭ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনকে সম্বোধন করা চিঠিটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উক্ত চিঠির ১ পৃষ্ঠার ৩ অনুচ্ছেদে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কথিত হ্রাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও চিঠিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবুও চিঠিতে উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করার কারণ আমাদের কাছে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র: কংগ্রেসম্যান মিকস
২০১১ ও ২০২২ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারির তথ্য উদ্ধৃত করে সংস্থাটি জোড় দিয়ে বলেছে যে উভয় বছরে বৌদ্ধ জনসংখ্যার আকার প্রায় ০.৬১ শতাংশে স্থিতিশীল ছিল। তারা জোর দিয়েছিল যে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে আমরা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় অন্যান্য ধর্মের মানুষের সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতির সহবস্থান করছি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বর্তমান সরকার সময়েও।
তারা স্বীকার করেছে যে যখন সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সরকার তাৎক্ষণিক এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, এই জাতীয় সমস্যাগুলো মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এটির শেষে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল; কিন্তু আমাদের বর্তমান সরকার তাৎক্ষণিক এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা নিশ্চিত করছি যে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতির সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী।’
আরও পড়ুন: ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৬
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যুর সংখ্যা এক। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৫৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৪৭
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৮ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৪৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৪৭৩ জন ঢাকায় এবং ৭৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩ হাজার ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ২৭৬ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৭৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ হাজার ৪৫০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৫ জন ঢাকার ও বাকি ৬৬৫ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১১ জন
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩৪
দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ১০৭ জন
দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ১০৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪০ হাজার ৩১৯ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৭
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ৬২৭ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ৯৪ জন
দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ১০৩ জন
তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের পুরানো কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের একটি পুরানো কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) দেশের বৃহত্তম তিতাস গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনা করছে।
বিজিএফসিএল কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোপেক কূপটি খনন করেছিল।
আরও পড়ুন: মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ শুরু
বাপেক্স সম্প্রতি গ্যাস উৎপাদন পুনরায় শুরু করার জন্য কূপটি মেরামতের জন্য ওয়ার্কওভারের কাজ করার জন্য মাঠে নিযুক্ত ছিল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই সাফল্যের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘সবার জন্য স্বস্তি ও আনন্দের খবর। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের অধীনে তিতাস-২৪ নং কূপ থেকে আজ হতে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাপেক্স-সহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবিরাম প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেকোনো সংকট পাড়ি দেবার সামর্থ অর্জন করেছে। আস্থা রাখুন। আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।’
আরও পড়ুন: ইলিশা-১ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র: নসরুল হামিদ
অনেক বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে: নসরুল হামিদ
আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল পাশ হলে তা নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরো খর্ব করবে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার সংস্থাটি এই উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত সংশোধনী পাশ করা হলে কমিশনের নিকট নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘনের কারণে যৌক্তিক বিবেচিত হলে যে কোনো নির্বাচনী এলাকায় চলমান নির্বাচন বাতিলের যে ক্ষমতা বিদ্যমান আইনে রয়েছে, তা কেড়ে নেওয়া হবে বলে।
সংস্থাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্বৃতি দিয়ে জানায়, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী এই ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসকে মুক্তি দিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন: টিআইবি
বিষয়টিকে নির্বাচনী ব্যবস্থায় ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গত বছর অক্টোবরে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছিলো কমিশন। কমিশনের এই পদক্ষেপ ক্ষমতাসীন দলের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে মর্মে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মধ্যে যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছিলো, এই সংশোধনী তার যথার্থতাই প্রতীয়মান করে। সংশোধনীতে প্রস্তাবিত ‘ইলেকশন’ এর স্থলে ‘পোলিং’ শুধু শব্দগত পরিবর্তন নয়, এর ব্যাপকতা আরো অনেক বেশি। এই বিল পাশের মাধ্যমে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হলে তা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আস্থাহীনার সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ এর মতো দুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম হবে এমন প্রত্যাশার পেছনে যুক্তি যেখানে একান্তই বিরল; বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দমুক্ত ভূমিকার সম্ভাবনা যেখানে মরিচীকার মতো, সেখানে এই সংশোধনী কমিশনের বিদ্যমান আইনগত সক্ষমতা যতটুকুই রয়েছে তাকেও নিজেদের স্বার্থে আরো গণ্ডিবদ্ধ করার উদ্যোগ ছাড়া কিছ্ইু নয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন সমাধান নয়, অবিলম্বে বাতিল করুন: টিআইবি
তিনি বলেন, নির্বাচনী অনিয়ম রোধে কমিশনের ক্ষমতা এভাবে খর্ব করা অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ঋণখেলাপী ও বিলখেলাপীদের জন্য সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান আদেশে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন পূর্বে ব্যাংকঋণ ও বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধের অনুলিপি জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও, সংশোধনীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সে সুযোগ রাখা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে, ঋণখেলাপী ও বিলখেলাপীদের নির্বাচনে উৎসাহিত করা হচ্ছে- এমন ধারণা জোরালো হওয়া মোটেই অমূলক নয়।’উল্লিখিত সংশোধনী প্রস্তাবটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার চর্চার স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দমুক্ত ভূমিকা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের যৌথ কর্মপরিকল্পনা শিগগিরই চালু
বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ ও পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগে অংশীদার হতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষই বাংলাদেশে আরও বেশি ডেনিশ বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করার সুবিধার উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শুক্রবার কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ডেনমার্ক রাজনৈতিক পরামর্শে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
রাজনৈতিক পরামর্শে গত বছর দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া টেকসই ও সবুজ কাঠামোর আওতায় ২০২৩-২০২৮ সময়ের জন্য বাংলাদেশ-ডেনমার্ক যৌথ কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডেনমার্কের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অ্যান্ড গ্লোবাল ক্লাইমেট পলিসি ড্যান জর্জেনসেনের ১২-১৩ জুন বাংলাদেশ সফরের সময় যৌথ কর্মপরিকল্পনাটি চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
ডেনমার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, সার্কুলার অর্থনীতি, টেকসই নগরায়ন, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মেরিটাইম, আইসিটি এবং ব্লু ইকোনমি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লোটে মাচন রাজনৈতিক পরামর্শে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশের পক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ডেনমার্কে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং স্টার্টআপ ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর
তারা জাতিসংঘ ও অন্যান্য ফোরামের বিভিন্ন নির্বাচনে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রাজনৈতিক আলোচনার পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ডেনিশ স্টেট সেক্রেটারি ফর ট্রেড অ্যান্ড গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি লিনা গ্যান্ডলোস হ্যানসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশে ডেনিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিম, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন (ভার্চুয়ালি), বাংলাদেশে ডেনমার্কের মনোনীত রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ প্রমুখ রাজনৈতিক আলোচনায় যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গুজব ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার করে নির্বাচনকে সামনে রেখে অনলাইনে গুজব ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন সাংবাদিকেরা।
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের নিয়ে ফ্যাক্ট-চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথমদিনে এমন আশঙ্কার কথা জানান তারা।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে সত্য তথ্য উপস্থাপনে সাংবাদিকদের ফ্যাক্ট-চেকিং বিষয়টি জানা জরুরি।
দুই দিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ২৪ জন সাংবাদিক। তথ্যের সত্যতা যাচাই ও গুজব প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে তাদের হাতে-কলমে শেখানো হবে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে আদালতে আপিলের রায়ে জিতেছেন হংকংয়ের পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক
পরে তারা নিজ জেলায় আরও দশজন করে সাংবাদিকদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন।
আয়োজকেরা আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে সাংবাদিকেরা সঠিক সংবাদ প্রকাশে আরও দায়িত্বশীল হবেন।
ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন ও ইন্টারনিউজ এর সহযোগিতায় অ্যাডভান্সিং লোকাল ইলেক্ট্রোরাল রিপোর্টিং (অ্যালার্ট) ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূচি আয়োজন করেছে সেন্টার ফর কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ- সিসিডি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
স্থানীয় খেলাধুলার আরও ব্যাপক প্রসার করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠ্যক্রমের বাইরের কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা বাড়াতে স্থানীয় খেলাধুলার ব্যাপক প্রসারের ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি স্থানীয় খেলা এবং খেলাধুলাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার যাতে এগুলো আরও অনুশীলন করা যায়…। আমি চাই আমাদের ছেলে-মেয়েরা শুধু পড়াশোনায় নয়, খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকুক।’
শুক্রবার রাজধানীর বনানী এলাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খেলাধুলা, শারীরিক কসরত ও সাংস্কৃতিক অনুশীলন জনগণকে খুশি করার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস, দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশের প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার সারা দেশে (উপজেলা) মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে যেখানে সারা বছর বিভিন্ন খেলাধুলা চালানো যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরের উপকণ্ঠে পূর্বাচলে ফুটবল ও অন্যান্য খেলাধুলার জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পদক্ষেপ নেবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘এখন ক্রিকেটের জন্য পূর্বাচলে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা পদক্ষেপ নেব যাতে ফুটবলসহ অন্যান্য খেলার জন্য এর কাছাকাছি আরেকটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। গ্র্যান্ড ফিনালেতে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে ইউনিয়ন ব্যাংক।
তিনি চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার আপ দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও প্রাইজমানি বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবির মধ্যেই ছিল স্বাধীনতার প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ লাখ টাকা এবং রানার্স আপ দলকে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া তৃতীয় সেরা দল হিসেবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৩০ লাখ টাকা এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক চতুর্থ সেরা দল হিসেবে ২০ লাখ টাকা পেয়েছে।
বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত প্রথমবারের মতো 'শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩' ১৩ মে মোট ৩৪টি ব্যাংক দলের অংশগ্রহণে শুরু হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ও বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত
কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে যুবদল কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আটক ১০
কুমিল্লায় যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ১০ যুবদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় স্কুলব্যাগে ধারালো অস্ত্র, কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিকাল তিনটায় কান্দিরপাড়ের দক্ষিণ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে যুবদল।
এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও লাঠিচার্জ করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত আধা ঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ যুবদলের মিছিলে থাকা অন্তত ১০ কর্মীকে আটক করে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, যুবদলের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর অতর্কিত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ১৪ স্বর্ণের বার জব্দ, ৪ পাচারকারী আটক
সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ