বাংলাদেশ
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১১ জন
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩৪
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩৯ জন ঢাকায় এবং ৭১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৯ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট দুই হাজার ৮৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ১২৮ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৭৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে দুই হাজার ৩৩৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৬৭২ জন ঢাকার ও বাকি ৬৬২ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৪৭
দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ১০১
মে মাসে ৪৯১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
চলতি বছরের মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৬৩১ জন। নিহতের মধ্যে ৬৭ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু।
এই সময়ে ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যা মোট নিহতের ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন। যা মোট নিহতের ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১ দশমকি ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত ৩
শুক্রবার (৯ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় চার জন নিহত ও দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহন ভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যান অনুসারে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৪১ জন (৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ), বাসযাত্রী ছয় জন (১ দশমিক ৪৭ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ট্যাঙ্কার আরোহী ৩৬ জন (৮ দশমিক ৮২ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৮ জন (৪ দশমিক ৪১ শতাং), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক) ৬৮ জন (১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-মাহিন্দ্র-ইটভাঙ্গা মেশিন গাড়ি) ১৫ জন (৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ২০ জন (৪ দশমিক ৯০ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি (৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি (৯ দশমিক ৭৭ শর্তাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে চারটি (শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত
বনানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত, আহত ১
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত বৈঠক শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে বাইরের শক্তি ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে: প্রধানমন্ত্রী
ট্রাস্টের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের ব্যবস্থাপনা কমিটি পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করেন এবং জাদুঘর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে।
এছাড়া বৈঠকে উপ-কমিটির প্রতিবেদনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় ট্রাস্টের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবির মধ্যেই ছিল স্বাধীনতার প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা শেষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় সদর উপজেলার টুকেরবাজার নৌপুলিশের অভিযানে বালু ও পাথর বোঝাই স্টিল বডির নৌকা জব্দ এবং দুই জনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার টুকেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র মল্লিকের নেতৃত্বে নৌপুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের রক্তি নদীর আবুয়ার মুখে অভিযান চালিয়ে নৌকা জব্দ ও তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কাটাখালী অনন্তপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে যুবরাজ ও আবিনুর মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা: লক্ষ্মীপুরে জেলে-নৌপুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১
স্থানীয় ও নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসআই পরিমল চন্দ্র মল্লিকের নিকট খবর আসে যে একটি চক্র প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে যাদুকাটা নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নৌকা জব্দ ও তাদের আটক করে।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে পরিমল চন্দ্র মল্লিক জানান, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যারা অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করবেন তাদের বিরুদ্ধে নৌপুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ৬ কৃষক নিহত
সুনামগঞ্জে লেনদেনের অর্থ নিয়ে কথা কাটাকাটি, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান, বিজয়ী জিম্বাবুয়ের প্রতিষ্ঠানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিবাদন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন ক্রিয়েটিভ ইকোনমি পুরস্কার প্রদান করেন।
প্যারিসে ইউনেস্কো সদরদপ্তরে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই পুরস্কারের বিজয়ী জিম্বাবুয়ের প্রতিষ্ঠান মিউজিক ক্রসরোডস-এর প্রতিনিধি মেলোডি যাম্বুকো’র হাতে এই পুরস্কারটি তুলে দেন।
বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশ সংক্রান্ত ইউনেস্কো ২০০৫ কনভেনশন-এর সাধারণ পরিষদের সভার উদ্বোধনী দিনের কার্যসূচির শেষে আয়োজিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ছাড়াও ইউনেস্কোর সংস্কৃতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ও সহকারী মহাপরিচালক আর্নেস্তো অতোনে-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধির পাশাপাশি সাধারণ পরিষদে যোগদানকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশের দূতাবাস-এর কূটনৈতিক উদ্যোগে এবং সকল সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতিক্রমে এই পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: সার্ক লেখক ও সাহিত্যিকদের ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করল সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩
পরবর্তীতে, ২০২১ সালে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে অনুরূপ একটি আয়োজনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা প্রথম বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন।
দ্বি-বর্ষভিত্তিক এই পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা উদ্ভাবনী সাংস্কৃতিক উদ্যোগসমূহকে উৎসাহিত করা হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, আত্মত্যাগ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। একটি সদ্যস্বাধীন দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা আনয়নে বঙ্গবন্ধু’র তারুণ্যনির্ভর উদ্ভাবনী অর্থনীতির যে রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন তা উদ্ধৃত করেন।
এই পুরস্কার প্রদানের ফলে বাংলাদেশের জাতির পিতার অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সহকারী মহাপরিচালক আর্নেস্তো অতোনে তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এই পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নে উদ্ভাবনী চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ইউনেস্কোর সংস্কৃতিবিষয়ক এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও বলেন, এই পুরস্কার প্রদানের ফলে তরুণ সমাজ উদ্ভাবনী অর্থনীতির দর্শনকে ধারণ করবে এবং তা চর্চার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক নিয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ সাংবাদিকতা পুরস্কার
বিচারকমন্ডলীর সভাপতি ইলান স্টিফেনস জানান, এ বছর বিশ্বের ১৯টি দেশ হতে পুরস্কারের বিবেচনার জন্য মোট ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়ে, যার প্রতিটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও অভিনব। তবে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে তাদের উদ্ভাবনী চর্চা ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংযোগ স্থাপনে নারী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করার জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আলোচনা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কারের স্মারক বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নিকট তুলে দেন। এ সময় ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা বিজয়ীকে সনদপত্র প্রদান করেন।
পুরস্কার প্রদান শেষে ফ্রান্স-প্রবাসী বাংলাদেশের একটি ব্যান্ডদল মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আয়োজনের শেষভাগে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের সম্মানে কূটনৈতিক রিসিপশন ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল অপো
গাইবান্ধায় স্কুলব্যাগে ধারালো অস্ত্র, কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক
স্কুলের পোশাক পরা অবস্থায় গাইবান্ধায় দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং-এর ১৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু স্কুলছাত্রকে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে রেল স্টেশন এলাকায় জড়ো হতে দেখা যায়। তাদের অস্বাভাবিক চলাফেরা ও আচরণে স্টেশনে থাকা লোকজন ভীত হয়ে পড়ে।’
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
পরে খবর দিলে গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশ এসে স্টেশন এলাকায় তল্লাসি চালিয়ে স্কুলব্যাগ ও স্কুলের পোশাক পরিহিত ১৬ জনকে আটক করে।
পুলিশ আরও জানায় যে তাদের স্কুলব্যাগ তল্লাসি করলে বই খাবার ভেতর লুকানো অবস্থায় কয়েক প্রকারের ধারালো অস্ত্র পাওয়া যায়।
পুলিশ অস্ত্রসহ স্কুল ছাত্র আয়ান আলী, লিমন মিয়া, মুন্না আকন্দ, লিয়ন ইসলাম, মো. আলী সান, মেহেদী হাসান, মেজবাউল ইসলাম, হিমেল সরকার, শালিন, রিয়াদ সরকার, মজিদ আদনান, জীবন সরকার, রিয়াদ সরকার ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে আটক করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে তারা কিশোর গ্যাং-এর সদস্য হিসেবে শহরের বিভিন্ন এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়।
এ ব্যাপারে ওসি ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, যেহেতু তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেছে, তাই পুলিশ তাদের আটক করে।
গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ১৫ সদস্য আটক
নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও চলমান উন্নয়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার বিকালে টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটিসিও) একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
মাছরাঙা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এটিসিও সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আত্মস্থ না হলে সব অর্জনই বৃথা যাবে।
মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘গত পাঁচ দশকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই সময়ে রাষ্ট্রবিরোধী মহল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করেছে।’
তৃণমূলে গণমাধ্যমের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চক্র যাতে দেশের ইতিহাস বিকৃত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য এটিসিও নেতৃবৃন্দকে আরও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকে অবশ্যই সরকারের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করতে হবে... একই সঙ্গে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশে গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেকোনো ধরনের ছদ্মবেশে ইতিহাস বিকৃতি রোধে দেশের টিভি চ্যানেলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন খুব সন্নিকটে। . . যারা গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী তাদের জন্য এটি একটি অ্যাসিড টেস্ট। তাই মিডিয়াকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং দেশের জন্য কী ধরনের জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন তা নির্ধারণে গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে প্রতিহত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি এটিসিও’র সার্বিক কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বৈঠক শেষে ইউএনবিকে জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- এটিসিও’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির পরিচালক আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, এটিসিও’র পরিচালক-বৈশাখী টিভির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন, বাংলাভিশনের চেয়ারম্যান আবদুল হক, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, নাগরিক টিভির পরিচালক নাভিদুল হক, ইটিভির ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক জহিরুদ্দিন মাহমুদ মামুন এবং এনটিভির পরিচালক মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে আরও ব্রিটিশ বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের কাছ থেকে পরিচয়পত্র গ্রহণকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বঙ্গভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানানোর সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ব্রিটেন বাংলাদেশের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। যুক্তরাজ্য দেশের অর্থনৈতিক ও কারিগরি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
আরও পড়ুন: তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পর প্রথম লন্ডনে যাওয়ার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অবিশ্বাস্য সম্মান প্রদর্শনের জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ এবং ব্রিটেনের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘এরপর থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য একসঙ্গে পথ চলা শুরু করে… এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্বরান্বিত হয়েছে।’
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব বর্তমানে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন যে তার দেশ এর অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সবসময় পাশে থাকবে।
হাইকমিশনার কুক তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বৈঠকে বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বাংলাদেশকে অবশ্যই পাইলট প্রকল্প স্থগিত করতে হবে: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বাংলাদেশকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প স্থগিত করতে হবে, যেখানে তারা তাদের জীবন ও স্বাধীনতার জন্য ‘গুরুতর ঝুঁকির সম্মুখীন’।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টার টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত যেতে বাধ্য করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ‘প্রতারণামূলক ও জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা’ ব্যবহার করছে বলে প্রতিবেদন রয়েছে।
অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযোগী ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’
তিনি বলেন, ‘ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, যিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক হামলা চালানোর বাহিনীকে কমান্ড করেছিলেন। তিনি এখন একটি নৃশংস সামরিক জান্তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার অস্বীকার করে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ১ হাজার ১৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি প্রাথমিক দলকে একটি অনির্দিষ্ট তারিখে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হবে এবং বছরের শেষ নাগাদ ৬ হাজার জনকে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপগুলো ইঙ্গিত দেয় যে প্রথম প্রত্যাবর্তন আসন্ন হতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘এছাড়াও শরণার্থীদের ফেরত যেতে রাজি হলে তাদের মোটা অঙ্কের অর্থের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর রয়েছে। এই প্রতিশ্রুতিগুলো এমনও করা হচ্ছে যখন বাংলাদেশ শিবিরে থাকা ব্যক্তিদের জন্য খাদ্য রেশন প্রতি দিন দশমিক ২৭ ডলার কমানো হচ্ছে। প্রত্যাবাসিত পরিবারগুলোর জন্য তহবিল কোথা থেকে আসবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
পাইলট প্রকল্পের অধীনে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের নিজেদের গ্রামে ফিরে যেতে দেওয়া হবে না। যাদের মধ্যে অনেকের বাড়িঘর ২০১৭ সালের গণহত্যা হামলার সময় ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে ফেলা হয়েছিল। শরণার্থীরা মংডু শহরের ‘অভ্যর্থনা’ এবং ‘ট্রানজিট’ কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যাবে, এর পরে তাদের ১৫টি নবনির্মিত ‘গ্রাম’-এর একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্থানান্তরিত করা হবে - যেখানে তাদের অবাধে যেতে দেওয়া হবে না।
মার্চ মাসে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ মিয়ানমার জান্তা কর্তৃপক্ষের (এসএসি) দুটি ক্যাম্পে বাংলাদেশ সফরের সুবিধা দেয়।
বাংলাদেশ এবং এসএসি কর্মকর্তারা কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য রাখাইন রাজ্যে একটি ‘যাও এবং দেখুন’ সফরের সমন্বয় করেছে।
বাংলাদেশি কর্মকর্তারা বলেছেন যে উদ্বাস্তুরা তাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা নিয়ে ‘সাধারণ সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছে, কিন্তু এই আশ্বাসগুলো এই প্রতিবেদনের দ্বারা বিরোধী ছিল যে যারা ভ্রমণে অংশ নিয়েছিল তারা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ দিয়ে দুইদিন পর ফিরল অপহৃত ৪ রোহিঙ্গা
স্পেশাল র্যাপোর্টার বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন সম্ভবত আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করবে এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যতে নৃশংস অপরাধের জন্য উন্মোচিত করবে।’
অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, ‘আমি অবিলম্বে প্রত্যাবাসন পাইলট প্রোগ্রাম স্থগিত করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করছি।’
বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও কথায় ও কাজে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। এর মধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক স্তরের সহায়তা প্রদানের ব্যর্থতাকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যারা জীবিকা নির্বাহ করতে অক্ষম, ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছেন এবং যাদের শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ খুব সীমিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী ২৩ রোহিঙ্গার খাদ্য সহায়তা বন্ধ করল ইউএনএইচসিআর
ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
শিক্ষার্থীরা admission.eis.du.ac.bd এই ওয়েব ঠিকানায় তাদের ফল দেখতে পারবেন। তাছাড়া সংক্ষিপ্ত বার্তার পরিষেবার (এসএমএস) মাধ্যমেও ফল দেখা যাবে।
এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল দেখতে ইংরেজিতে ‘ডিইউ’ লিখে একটি স্পেস দিয়ে ‘বিইউএস’ লিখতে হবে, এরপর আবারও সেপ্স দিয়ে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর দিতে হবে এবং তা ১৬৩২১ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
এক হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে ৩৮ হাজার ২৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ হাজার ৫২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ বছর সমন্বিত পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রতিটি ইউনিটে (বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা) সকল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
ব্যবসায় অনুষদে মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৩০টি, কলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়।
সকল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে ১৮ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে বিষয় পছন্দের ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবির ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ