������������������������
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সফর 'স্থগিত'
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, পারস্পরিক সুবিধাজনক নতুন তারিখে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনার অংশ।
২০ এপ্রিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদেরও আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।’
সফরের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে তার ঢাকায় আসার কথা ছিল।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের কথা ছিল।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতে জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে সাতটি ধাপে আগামী ১৯ এপ্রিল লোকসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর আগামী ৪ জুন ভোট গণনা করা হবে।
প্রাক-নির্বাচনী জরিপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট আবারও নির্বাচিত হতে পারে। তবে তারাও পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: শ্রিংলা
এ বিষয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে এটি ভারতের নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে।'
তবে সফরটি ঠিক কবে হবে তা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে এখনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান মোদি। সে সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ লিডারস সামিটে বাংলাদেশ অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করলে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী মোদী তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশীয় এবং বিমসটেক দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এর আগে গত ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়।
এফওসি হলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে দুটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ প্রক্রিয়া।
দ্বিপক্ষীয় সংলাপে উভয় পক্ষ সাধারণত সীমান্ত ও নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতাসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে।
গত মার্চ মাসে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিনয় কোয়াত্রার কার্যকালের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার।
১৯৮৮ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবায় যোগ দেয়া কোয়াত্রা ২০২২ সালের ১ মে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।
আরও পড়ুন: ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা
অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
অননুমোদিতভাবে বালু কিংবা মাটি দিয়ে জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
এছাড়াও আবাসন, বাণিজ্যিক ও শিল্প কাজে কৃষিজমির অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় বিভাগীয় কমিশনারদের এসব নির্দেশনা দেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, দুই ও তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষায় স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অবৈধভাবে জমির উপরিস্তর কর্তন অথবা জমিতে বালু বা মাটি দ্বারা ভরাট রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে জনগণ যেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দ্রুত জানায় এবং অবৈধ ঘটনা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।
কৃষিজমি সুরক্ষা ও পরিবেশ রক্ষায় ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ (খসড়া) চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, আবাসন, বাড়ি-ঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিল্প-কারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণরোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা; কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিংয়ের মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা।
সভায় গত এক মাসে খতিয়ান ডেলিভারির সচিত্র প্রতিবেদন দেখানো হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি, নওগাঁও, মেহেরপুর, লক্ষ্মীপুর, মানিকগঞ্জ, পিরোজপুর, মুন্সিগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলা।
এছাড়াও সভায় জনবল, সায়রাত মহাল, ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, ভূমি অফিস, আন্তজেলা সীমান্ত, জরিপসহ ভূমিবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) গঠন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা না থাকায় সেই অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এই প্লাটফর্ম ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় বিসিডিপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের দরকার ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যানের জন্য ৪৭ বিলিয়ন, ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশান প্ল্যানের জন্য ২৩০ বিলিয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যানের জন্য ৯০ বিলিয়ন আর ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নে দরকার ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে এমন বিনিয়োগগুলো অর্জনের জন্য, আমরা উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক সঙ্গে কাজ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে বলে জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এই অংশীদারিত্ব সরকারকে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে জলবায়ু অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে সামগ্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থ কাঠামোর উন্নতি ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার এই সুযোগকে পূর্ণ সম্ভাবনার সঙ্গে ব্যবহার করবে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করার এবং তার নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দেশের ক্ষমতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য এরই মধ্যে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। গত ১৫ বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সংস্কৃতির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসঙ্গে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেওয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরও মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজ করার চেষ্টা করব।
নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব-তাৎপর্য তুলে ধরুন: মহিলা-শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র হলো বর্তমান সংবিধানের ভিত্তি। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মহান মুক্তিযুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত করে।
স্বাধীনতা ঘোষাণাপত্রের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র: স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের সৃষ্টিতত্ত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল। সেই অনাড়ম্বর আন্তরিক ভালোবাসাপূর্ণ শান্ত সুনিবিড় পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি বহু নামকরা সাংবাদিক। সাক্ষী হিসেবে ছিলেন হাজারো স্থানীয় মানুষ। সনাতন ধর্মালম্বী একজনের বাড়ি থেকে আনা হারমোনিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ভবেরপাড়ার ছেলেরাই। গার্ড অব অনার প্রদান করেন স্থানীয় আনসার ও পুলিশের সদস্যরা। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুবউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: নারী ও পুরুষ সভ্যতার দুই হাত: সিমিন হোসেন
তিনি বলেন, সেসময় সকল ধর্মের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে বঙ্গন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে করা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি। তিনি তখনও পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী ছিলেন। তাই উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তাজউদ্দীন আহমদ। একই সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদের। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং হাজারো জনতার সামনে বক্তব্য দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করেছেন ‘মুজিবনগর’।
আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ও মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের গার্ড অব অনার প্রদানকারী সাবেক এসপি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মেলনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং নির্মূল কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।
সভা সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি নাট্যজন আসিফ মুনীর।
আরও পড়ুন: নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
দীর্ঘ সময়ের জুটি বাঁধার স্বপ্ন ৪০ দিনেই শেষ
জীবনের দীর্ঘ সময় পাড়ি দেওয়ার সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে জুটি বেঁধেছিলেন তারা। নানা আয়োজনও ছিল তাদের স্বপ্নকে ঘিরে। কিন্তু তাদের যাত্রাপথ মসৃণ হলো না। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রাপথটি শেষ হয়ে যায় মাত্র ৪০ দিনের মাথায়। সরিয়ে নেয় তাদের নিজ নিজ জন্মস্থানে।
জীবনের নির্মম এই পরিণতির শিকার হন ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত বিমানবাহিনীর সৈনিক ইমরান হোসেন ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নিপা আক্তার।
রাঙামাটির বাহাপানা এলাকার নুরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে ইমরান হোসেন চলতি বছরের ৮ মার্চ রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের আ. বারেকের কন্যা নিপা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় বুধবারের সড়ক দুর্ঘটনায় এ দম্পতি প্রাণ হারান।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সংরক্ষণ করা ইমরানের লাশ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেন। সন্তানের লাশের কঠিন বোঝা নিয়ে বিমান বাহিনীর বিশেষ এম্বুলেন্স করে দাফনের জন্য রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একইভাবে ইমরানের স্ত্রী নিপার লাশ তার পিত্রালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জনের মৃত্যু
একই উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের ইমরানের ভায়রা হাসিবুর রহমান, বড় শ্যালিকা নাহিদা আক্তার সোনিয়া এবং তাদের শিশুসন্তান, তাকিয়া (সাড়ে ৪ বছর), তাহমিদেরও (৮ মাস) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার প্রাইভেটকারের চালক একই উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের ইব্রাহিমেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে লাশ নিতে আসা বিমান সৈনিক ইমরানের পিতা নুরুল ইসলাম পুত্র শোকে পাথর হয়ে গেছেন।
তিনি জানান, ইমরান তার একমাত্র ছেলে সন্তান। ৪ ভাই-বোনের সবার ছোট ইমরান। তার মৃতুতে মা ও বোনরা পাগল প্রায়। পিতা হিসেবে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই কষ্ট অত্যন্ত পীড়াদায়ক, যা সহ্য করার মতো নয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকচালক ও সহকারী আটক
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইয়াবা সরবরাহ না করায় যুবক খুন
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ইয়াবা সরবরাহ না করায় তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে মাদকসেবীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের মীরসরাই হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মৃত হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুনের অভিযোগ
নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী বুধবার রাতে একই এলাকার শাহজাহান মেম্বারের বাড়িতে তার ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাশেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে।
কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেনি। সকালে রেললাইনে তার লাশ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য।
আমার স্বামীর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পাই খোকন মারা গেছে। দুবৃত্তরা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুনের অভিযোগ
ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৩
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৩ জন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৭ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও ১৩ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৯৩৯ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ২১২ জন ও নারী ৭২৭ জন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে: কাদের
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে বিএনপি নেতারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাদের 'মিথ্যা ও বানোয়াট' বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি বরাবরের মতোই নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।'
বিএনপির নির্বাচনবিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগকে কৌশলী অবস্থান নিতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবার নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আশা করে যারা দলের কাছে এবং দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তারাই নির্বাচিত হবেন।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে বিএনপিই প্রধান বাধা: কাদের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক নির্বাচনি প্রচারণা ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তখন বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে চায়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা অব্যাহত মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন তারা একদিকে আগুন সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে, অন্যদিকে বিরোধী দলকে দমন করার মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে। বিএনপি অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ করে সন্ত্রাসীদের রক্ষার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না এবং তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
বিএনপির অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি জানান, ইউএন সিস্টেম অব এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিংয়ের ফ্রেমওয়ার্ক এবং এ সংশ্লিষ্ট থিমেটিক এরিয়াসমূহের বিবেচনায় সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে 'ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস আন্ডার সিস্টেম অন এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং ইন ফোকাসিং ল্যান্ড অ্যান্ড ফরেস্ট অ্যাকাউন্টস ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এ সংক্রান্ত একটি সেল গঠন করেছে। এ সেলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন ও পরিবেশ পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রকৃতির সুরক্ষায় আমাদের আন্তরিক হতে হবে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার জন্য বিবিএসের পরিবেশগত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও জানান, এসডিজি, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, পারসপেক্টিভ প্ল্যান, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যানগুলো বাস্তবায়নে টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস এবং অন্যান্য পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রয়োজন। আর এগুলো বিবিএস প্রণয়ন করবে। বিবিএসের পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নের কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থাকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করতে হবে।
সেমিনারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ বিষয়টি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে এ কাজ সফল করতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াওকুন শি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপমহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র দাস।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক সাদ্দাম হোসেন খান।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বিবিএস সদরদপ্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন।