������������������������
সন্তানকে বাঁচাতে অসহায় পরিবারের আকুতি
ফরিদপুর সদর উপজেলার শিবরামপুর এলাকায় শুক্রবার রাতে রিকশাচালক শাকিল হাসান ও আমেনা বেগমের ঘরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে শিশু। কিন্তু জন্মের পর দেখা যায় নবজাতকে দুটি পা বাঁকা এবং প্রসাব পায়খানা রাস্তা নেই।
পরদিন শনিবার শিশুটিকে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে আনা হলে ভর্তি না নিয়ে পাঠানো হয় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে একদিন রেখে শিশুটির যথাযত চিকিৎসা সেখানে নেই জানিয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় সেখানকার চিকিৎসকরা। অর্থাভাবে ঢাকা নিতে না পেরে শিশুটির চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে আকুতি জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন তারা।
আরও পড়ুন: পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে করোনার টিকা পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
চিকিৎসক শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, বাচ্চাটির প্রসাব পায়খানার রাস্তা নেই, পিঠে একটা টিউমারের মত আছে। নাভী দিয়ে মাঝে মাঝে রক্ত ঝড়ছে। দুটি পা বাঁকা।
এব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুর রহমান ভুলু বলেন, ‘সব শুনে মনে হচ্ছে শিশুটির অনেকগুলো সমস্যা আছে, সেক্ষেত্রে বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। এধরনের চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) ও ঢাকা শিশুতে হয়ে থাকে। শিশু সার্জারি চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন, তবে আমার জানা মতে প্রসাব পায়খানার রাস্তা না থাকলে বেশ কয়েকটি সার্জারি করতে হবে, এই চিকিৎসা বেশ ব্যয় বহুলও বটে।’
শিশুটির নানা আবু তালেব বলেন, ‘তার মেয়ের জামাই রিকশা চালায়। এই দিয়ে যা আয় হয় তাতে কোন রকম সংসার চলে। আমিও দরিদ্র মানুষ। ঠিকমত খাওয়া দাওয়াই চলে না এই শিশুর চিকিৎসা করাবো কিভাবে? আমাদের পক্ষে এই শিশুর চিকিৎসা করানো সম্ভব না। দেশের দশ জন যদি সাহায্য করে তাহলে হয়ত আমার নাতিটার চিকিৎসা হবে। আমি দেশের মানুষের কাছে নাতিটাকে বাঁচানোর জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ৩৩৩-তে সাহায্য চেয়ে রিকশাভ্যান পেলেন হাটহাজারীর প্রদীপ
শিশুটির মা কান্নজাড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আপনাদের দুয়ারে আসছি, বাঁচা মরা আল্লাহর হাতে, আমার বাচ্চাটার চিকিৎসা যাতে করাতে পারি সেই ব্যবস্থাটা আপানারা দশ জনে করে দেন।’
বিষয়টি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে জানান, তিনি তাৎক্ষণিক ৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা করেছেন। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসন থেকে আরও সহায়তা করা হবে।
হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি হাতি ‘হত্যা’র প্রেক্ষাপটে হাতি হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
নির্দেশে হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাতি হত্যা রোধে সচেতনতা বাড়াতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আদালত তার রুলে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিনসহ তিন ব্যক্তি এই রিট আবেদন করেন। রিটে পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ ২১ জনকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে গত ৯ নভেম্বর মামলা করে বন বিভাগ। পিওআর (প্রসিকিউশন অফেন্স রিপোর্ট) মামলাটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন আদালতে করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, নেছার উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন ও আমান উল্লাহ। তারা সবাই সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
সুরমা নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে সুরমা নদী থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দক্ষিণ সুরমার কানিশাইল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রোমানা বেগম (৩৭) নগরীর অর্ণব-৩০ মিরের ময়দানের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের স্ত্রী।
লাশ উদ্ধারের পর নিহতের চাচাতো ভাই আকবর হোসেন রোমানা বেগমের লাশ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার জানান, গত শনিবার দুপুরে নগরীর মিরের ময়দান থেকে রোমানা বেগম নিখোঁজ হন। এরপর তিনি আর বাসায় আসেননি। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করেও ওই নারীর কোন সন্ধান না পাওয়ায় সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বামী আব্দুল হামিদ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, সুরমা নদীতে রোমানা বেগমের লাশ পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তিনি মানসিক রোগী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মানসিক সমস্যার কারণেই হয়তো তিনি নদীতে পড়ে মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কাজ আমাদের আলোকিত করে: মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ সফররত মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম সোমবার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম আমাদের আলোকিত করে। তাঁর নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত করেছিল।’
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট দর্শনার্থীর বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আবদুল গফুর মোহাম্মদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীর।
দু’দেশের দ্বি পক্ষীয় সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করতে ফয়সাল নাসিম তিন দিনের সরকারি সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসেন।
সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে দু’জনের বৈঠক শেষে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্টের সম্মানে একটি ডিনার আয়োজন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের সাথে বৈঠকের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ফয়সাল নাসিম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেকের সাথে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
তাঁর সফরকালে অন্যান্য দ্বি পক্ষীয় বিষয় ছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব সম্পদ রপ্তানি বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।
তিন দিনের সরকারি সফর শেষে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট বুধবার রাত পৌনে ৮টায় বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট
ব্রিটেনসহ মিত্র দেশের সহায়তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য বিএনপির দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশ পাঠানোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে দাবি সেটি সরকারের মানার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সেটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সকল চিকিৎসকদের দিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড হতে পারে, সেই বোর্ড পরামর্শ দিতে পারে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভী আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবসহ বিএনপির নেতারা এখন ডাক্তার হয়ে গেছেন। আ স ম রব সাহেবও এখন বড় ডাক্তার, মান্না সাহেবও ডাক্তার, তারা এখন ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারাই বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া জীবন মরণাপন্ন বা সংকটাপন্ন। কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতাল বা কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কিছু বলেননি।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে তথ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া আগেও অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও বিএনপি ধুঁয়া তুলেছিল যে বেগম জিয়াকে অবশ্যই বিদেশ পাঠাতে হবে, নইলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তখনও আমাদের দেশে চিকিৎসা নিয়েই তিনি ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। তখনকার মতো এখনও তারা একই ধুঁয়া তুলছেন। আসলে বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দাবিটা তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, এই পুরো দাবিটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।’
ডাকাত সন্দেহে ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর
২০১১ সালে রাজধানীর সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ঢাকার একটি আদালত আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এ দিন ধার্য করেন।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই ভোরে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের আমিনবাজারে ছয় শিক্ষার্থীকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে তিনজন মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাকিরা রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ম্যাপেল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার মডেল থানা পুলিশ ৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর মামলার বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আবারও পেছাল তিন্নি হত্যা মামলার রায়
বিবস্ত্র করে নির্যাতনে বেগমগঞ্জে ওসিসহ ৩ পুলিশকে বরখাস্তের রায় স্থগিত
বিচারিক ক্ষমতা হারালেন কামরুন্নাহার
রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ দেয়ার অভিযোগে বিচারক (জেলা জজ) মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারী বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
ধর্ষণের একটি মামলার এক আসামির জামিন আপিল বিভাগের আদেশে স্থগিত থাকার পরও জামিন দেন কামরুন্নাহার। এ ব্যাপারেই ব্যাখ্যা দিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাচঁ সদস্যের আপিল বিভাগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক এই বিচারক হাজির হন। এ সময় আপিল বিভাগ এই সিদ্ধান্ত দেন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর বনানী রেইনট্রি হোটেল ধর্ষণ মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর তৎকালীন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ৫ আসামিকে খালাস দেন। রায়ে বিচারক ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা গ্রহণ না করার জন্য পুলিশকে সুপারিশ করেন। এ সুপারিশের তীব্র সমালোচনা করেন আইন বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা। তারা বলেছেন, এ রায় আইন ও বিচারের পরিপন্থী এবং ধর্ষকদের অপরাধ করতে উৎসাহিত করবে।
এ ঘটনার পর গত ১৪ নভেম্বর তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: বিচারক কামরুন্নাহারের বক্তব্য বিব্রতকর: আইনমন্ত্রী
রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় বিচারকের পর্যবেক্ষণ নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়াবে
মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের খসড়া সোমবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিবেন। মন্ত্রিসভায় আজ সেটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ নভেম্বর সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত আরও ৮৯
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে ৭৫ জন ঢাকায় এবং বাকি ১৪ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫০৬ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৩৮৮ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার ৫৪২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ৯৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টিকা নেয়া পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ভারত
জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা মেয়াদ শেষে পদে থাকতে পারবে না
মন্ত্রিসভার অনুমোদিত জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০২১-এর খসড়া অনুসারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কোনো অজুহাতে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে পদে থাকতে পারবেন না।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে যুক্ত হন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হলে তাদের পদ ছাড়তে হবে। পরবর্তী কাউন্সিল (পরিষদ) গঠন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সংস্থা পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করবে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন,সভায় প্রস্তাবিত আইনটি পেশ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধিত) আইন ২০২১-এর মতো একই রকম পরিবর্তন আনা হয়েছে এই আইনে। কারণ কিছু স্থানীয় প্রতিনিধি মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিভিন্ন অজুহাত ও আইনি জটিলতার সুযোগে ১৪-১৫ বছর তাদের পদে বহাল থাকে।
তিনি আরও বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) জেলা পরিষদের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে থাকবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী