������������������������
জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ)’ শীর্ষক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সব স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সব প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায়। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদের পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরও নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে মৎস্য খাতের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষিদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে।
এ সময় জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মাছ চাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মাছ চাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কারেন্ট জালের উৎস নির্মূল করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের মৎস্য খাতের সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগণের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্যের বিরোধিতা ভাইয়ের
নিউ ইয়র্কের কুইন্সে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি অভিবাসী উইন রোজারিও। স্থানীয় সময় বুধবার তাকে হত্যা করা হয়।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওজোন পার্কে তার পরিবারের সঙ্গে যে অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সেখানকার বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, কর্মকর্তারা ৯১১ নম্বরে কল করে এক ব্যক্তিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানান। সেখানে পৌঁছানোর পরে, তারা ছুরি হাতে উইনকে দেখতে পান। পুলিশ প্রথমে টেজার দিয়ে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার মা অপ্রত্যাশিতভাবে এর মধ্যে এসে পড়লে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে প্রাণঘাতি গুলি চালানো হয়।
তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের ভাই উশতু রোজারিও পুলিশের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, কর্মকর্তারা যখন গুলি চালায় তখন তাদের মা উইনকে ধরে রেখেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ অপ্রয়োজনীয় ছিল।
তিনি আরও বলেন, দুজন সশস্ত্র কর্মকর্তাকে দেখেও উইন মারাত্মক হুমকিস্বরূপ কোনো পরিস্থিতি তৈরি করেনি।
উশতু ও উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে এসেছিল এবং উইনের স্বপ্ন ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া। তবে পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে বিলম্বের কারণে তার পরিকল্পনা আটকে যায়, যা গত বছর অনুমোদিত হয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত: ব্লিঙ্কেন
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুঃখজনক ঘটনার মধ্যে দিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের সময় পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে নানা বিষয় তুলে ধরে। সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছেন যে বর্তমান পদ্ধতির যথেষ্ট সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে এবং পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, নিউ ইয়র্ক সিটিতে এধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচি রয়েছে, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পেশাদাররা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে, এই প্রচেষ্টাগুলো এখনও গোটা শহরে পুরোপুরি গৃহীত হয়নি, সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে নানা ফাঁকফোকর রয়েছে। উইনের মৃত্যুই এর প্রমাণ।
এ সম্প্রদায়ের সদস্য ও কর্মকর্তারা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনোভান রিচার্ডস মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় সমাজের পদ্ধতিগত পরিবর্তনে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে ‘হয়রানির’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের আশ্বাসে দেশব্যাপী কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দেশব্যাপী আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আয়োজিত বিশেষ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একটি হাসপাতালের প্রাণ। তারা খেয়ে না খেয়ে হাসপাতালের রোগীদের সেবা করেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়ে চলে গেলে এই ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই রোগীদের নানারকম অসুবিধাগুলোর দেখভাল করেন। কাজেই তাদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে আমি নিজে ফাইল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী ফাইল গ্রহণ করেছেন এবং অতি দ্রুত দেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির সুরাহা করতে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন না করে চিকিৎসা শিক্ষার কাজে মনোযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি ফাইল গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা দ্রুততম সময়ে আপনাদের ভালো খবর দিতে সক্ষম হব।’
বিশেষ সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, সচিব, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধ্যক্ষ, পরিচালকসহ পেশাজীবী চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা সভায় তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বর্তমানে ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা, প্রতি বছর এক হাজার টাকা করে ভাতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা, হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, চিকিৎসকদের ঝুঁকিভাতা রাখা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোম-ঢাকা রুটে বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে মত বিনিময় সভা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম-ঢাকা রুটে ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ইতালির রোমে ইতালি প্রবাসীদের জন্য ইফতার ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) রোমের এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি বিমান ফ্যান্স ক্লাব ইতালির সদস্যরা ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৯ বছর পর ২৭ মার্চ থেকে ঢাকা-রোম-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আবার চালু হয়েছে। উদ্বোধনী ফ্লাইটটি রোমে পৌঁছানোর পর রোম এয়ারপোর্ট অথরিটি (এডিআর) ও ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এসে যাত্রীদের এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কনভয়কে স্বাগত জানান।
বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে রোম রুটের ফ্লাইট। রোম থেকে ঢাকা রুটে প্রথম ফ্লাইটে ১১টি বিজনেস ক্লাস এবং ২৪৩টি ইকোনোমিক ক্লাসে যাত্রীসহ পূর্ণ হয় বিমানটি।
এ পথে আবার বিমান চালু হওয়ায় ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা দারুণ খুশি এবং তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
দেশের ৩২২টি উপজেলায় ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
১১টি প্রকল্পের মোট সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা (শুধু সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে অন্তর্ভুক্ত)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে নেওয়া হবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
এর মধ্যে সাতটি নতুন প্রকল্প এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া এর মধ্যে একটির খরচ না বাড়িয়ে শুধু সময় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
প্রকল্পের তথ্যপত্র অনুযায়ী, ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬২টি জেলার ৩২২টি উপজেলার ৬৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ (তৃতীয় পর্যায়) সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের পল্লি অবকাঠামো উন্নয়নে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে পাঁচটি জেলার ৩৫টি উপজেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: একনেকে ৩৯০৯৪ কোটি টাকার ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন
নতুন পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৬৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ চ্যান্সেলারি ভবন ও মিশরের কায়রোতে আবাসিক ভবন নির্মাণ, কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামজ্জিদ-বালিয়াদীঘি সীমান্ত (এন-০৬) ৪৮১ জাতীয় মহাসড়ক (নবাবগঞ্জ অংশ) যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ৩৭১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের উন্নয়ন কক্সবাজার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের উন্নয়ন এবং ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স নির্মাণ।
সংশোধিত প্রকল্প তিনটি হচ্ছে- ২৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা (বর্তমানে ব্যয় ধরা ২ হাজার ১৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) অতিরিক্ত ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ও ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগি সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত), ১৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা (বর্তমানে ব্যয় ৯২৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা) ব্যয়ে প্রমোটিং রেজিলিয়েন্স ফর ভালনারেবল থ্রু অ্যাকসেস টু ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ইমপ্রুভড স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন (প্রভাতি) এবং ১ হাজার ৪৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে (বর্তমানে ব্যয় ৩,৪৩৩ কোটি টাকা) ব্যয়ে ৮টি বিভাগীয় শহরে (প্রথম সংশোধিত) পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, কার্ডিয়াক ও কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)।
এছাড়া বৈঠকে শাহবাগের বাংলাদেশ বেতার কমপ্লেক্স ঢাকার আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর এবং এর নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনূস সেন্টারের ‘মিথ্যাচার’ ও ইসরায়েলি ভাস্করের কাছ থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পুরস্কার পাওয়াকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি..... এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি বলেন, গাজায় শিশু ও নারীসহ মানুষ হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে প্রতিবাদের একটি শব্দও শোনা যায়নি।
হাসান বলেন, ‘গাজার এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপক ইউনূস একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এটা কী? এটার কী মানে? এর মানে কি তারা গাজায় ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করছে?’
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসকে ইউনেস্কো পুরস্কৃত করেনি, এটা ইউনূস সেন্টার মিথ্যা প্রচার করেছে।
ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়, এর আগেও তারা একই ধরনের মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: মহিবুল হাসান
এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'দ্যা ট্রি অব পিস' পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো।
তিনি বলেন, আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে একজন ইসরায়েলি ভাস্কর 'ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টার যে তথ্য প্রচার করেছে তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সঠিক রেকর্ড তুলে আনা জরুরি; যাতে কোনো ভুল তথ্য আমাদের দেশের সুনাম নষ্ট না করে। এটা বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক বিধায় এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনূস সেন্টার ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে মিথ্যা দাবি অব্যাহত রাখলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন মন্ত্রী। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ড. ইউনূস এবং বাংলাদেশ উভয়ের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেজন্য অবিলম্বে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যু কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে, যার ফলে দুই দেশের সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিছুদিন আগে আমি যখন ভারত সফরে গিয়েছিলাম, তখন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা যায়। অতীতের তুলনায় এখন প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে।’
লালমনিরহাট ও নওগাঁয় সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা যেন না ঘটে তা তারা দেখতে চান।
বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার, অপরাধী বা বাসিন্দাদের সীমান্ত অতিক্রম রোধ এবং তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু বিজিবি ও বিএসএফ সম্পৃক্ত রয়েছে, তারা মনে করে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একই সঙ্গে জাহাজটিকেও উদ্ধার করা। আমি শুধু বলতে চাই, আমরা অনেক এগিয়েছি।’
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তারা যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং ক্রুদের উদ্ধারে বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাহাজে খাদ্য সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতীতে কখনও খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি। আশা করছি এ ক্ষেত্রেও তা হবে না।’
বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে জিম্মি করার ৯ দিন পর সোমালি জলদস্যুরা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রমজানে প্রতি শুক্রবার গ্রাহকের দেওয়া টিপ দ্বিগুণ করে রাইডারকে দেবে ফুডপ্যান্ডা
রমজান মাসজুড়ে রাইডার পার্টনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।
ক্যাম্পেইনের আওতায় রমজানে প্রতি শুক্রবার গ্রাহকদের দেওয়া টিপের সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থ যোগ করে রাইডারদের দেবে ফুডপ্যান্ডা।
যানজট, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দ্রুততম সময়ে দক্ষতার সঙ্গে গ্রাহকের দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দেন ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি পার্টনাররা। তাদের কঠোর শ্রম ও উদ্যমের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ এবং তাদের নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়ার অংশ হিসেবে বিশেষ এ উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
এ প্রসঙ্গে ফুডপ্যান্ডা’র অপারেশনস ডিরেক্টর আন্দালিব হাসান বলেন, ‘কেবল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই নয়, বরং রাইডারদের প্রতিদিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ফুডপ্যান্ডা’র লক্ষ্যপূরণে নিরলস সহায়তা করায় রাইডার পার্টনারদের আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
সারা দেশের ফুডপ্যান্ডা রাইডাররা এ ক্যাম্পেইনের জন্য আওতাভুক্ত হবেন। গ্রাহকের দেওয়া টিপের অর্থ দ্বিগুণ করে সাপ্তাহিক বিল পরিশোধের সময় তা যুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি। শুধুমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) এবং ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডে পরিশোধ করা অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে টিপ দ্বিগুণ করার এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপ্যান্ডা
দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসা ডোনাল্ড লু’র
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে ডোনাল্ড লু এ কথা বলেন।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকানদের কথা উল্লেখ করে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, ‘তাদের শক্তি ও অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে সর্ম্পকের ভিত্তি তৈরি করেছে। বাংলাদেশি আমেরিকানরা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার জন্য আমরা গর্বিত।’
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশি আমেরিকান উদ্যোক্তাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা তাদের অনন্য উদ্ভাবনী শক্তি ও ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন।
‘শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ, জয় বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোহাম্মদ ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান: অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বিরাজ করছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, সবার সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে দুই দেশ তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও এগিয়ে নিতে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।’
মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তরিত করার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা সকল বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করি।’
পরে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে অতিথিদের উপস্থিতিতে কেক কাটেন। এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্যে দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অ্যাম্বাসেডর রেবেকা গঞ্জালেস, ডিরেক্টর, ফরেন মিশন অফিস, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মার্কিন সরকার, ইউএসএআইডি, ইউএসটিআর, এনডিআই, আইআরআই ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত: ব্লিঙ্কেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত স্টেট সিনেটর বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস দিনব্যাপী এক কর্মসূচির আয়োজন করে। যার মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রার্থনা।
সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন এবং কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন দূতাবাসের দিনব্যাপী কর্মসূচির দুই পর্ব পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন