������������������������
ডেনমার্কে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূতাবাস মিলনায়তনে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
এ দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় হুয়ন ইভেন্ট সেন্টারে এই দিবস উপলক্ষ্যে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আগত অতিথিদের মধ্যে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার নের্তৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সব শহীদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আত্নত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা তার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে গেছেন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি জ্ঞান নির্ভর ও ডিজিটাল মধ্যম আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম অংশীদার। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে।
পরিশেষে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
পরিশেষে ইফতার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
আলোচনা সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা পর্বে বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম, পরবর্তীকালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন।
তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য, প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মবলিদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানে ইফতার মাহফিল ও নৈশভোজ আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করেছে।
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিনটি উপলক্ষে হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের নির্ভীক, আপোষহীন ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ছাড়া বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো না।’
হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শই অনুসরণ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
এপ্রসঙ্গে তিনি বিগত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে সেসব বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
হাইকমশিনার ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সফর এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠকই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করে আগামীতে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও গভীর হবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ও আবদুল আহাদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার অতিথি ও মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযোদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সকালে হাইকমিশনার দূতাবাসে কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের র্কমসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মীত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ এবং দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
এদিনটিতে (২৬ মার্চ) সরকারি ছুটি থাকে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে স্বাধীনতা দিবসের একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
প্রধানমন্ত্রী আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের প্রথম দিনের কভার এবং ৫ টাকার ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন।
সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সরকারি, আধা-সরকারি ভবন ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং দেশের সকল দেশপ্রেমিক সন্তানদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাসপাতাল, কারাগার, চাইল্ড কেয়ার এবং বৃদ্ধাশ্রম ও ডে কেয়ার সেন্টারে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হয়।
শিশুপার্ক, জাদুঘর দিনভর সবার জন্য খোলা থাকে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও চাঁদপুরের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) টার্মিনালে জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নৌবাহিনী জাহাজসমূহ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে দেশের সকল জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি, ২ দিনের রিমান্ডে পুলিশ সদস্য
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করার সময় পোশাকধারী দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় স্থানীয়রা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে চাঁদাবাজি করার সময় ধরে ফেলেন।
পরে তাদের মহাসড়কের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সমাজে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধ করুন: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক রানা বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সদস্য দুইজন হলেন, জেলার বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়ার ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া।
তারা দুইজন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিস্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
মামলার তদন্ত করছেন মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোকাম্মেল হক।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুইজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল। তারা পুলিশের পোশাক সংগ্রহ করে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের কাজ করেছে। এই ঘটনায় একজন পিকআপ চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না: আইজিপি
স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাজাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা রানিকে বরণ করেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে রাজা ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং ফার্স্ট লেডি ও রানী জাতীয় স্বাধীনতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নির্মিত বঙ্গভবন মাঠে ভিভিআইপি মঞ্চে যান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ও রানী আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে রাজা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দরবার হলে আগত রাষ্ট্রীয় অতিথিদের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেন।
এর আগে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিলে ভুটানের রাজ যোগ দেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
ভুটানের রাজা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজা কুড়িগ্রামে আরেকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাকে বিদায় জানাবেন।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিফোনের মাধ্যমে স্বীকৃতির বার্তা পাঠান।
সেই তখন থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ফলস্বরূপ, ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
দেশে আরও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
দেশে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ২৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৫ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৪ জনে।
টুইটার ও ফেসবুকে তারেক রহমানের বক্তব্যের জবাবে যা বললেন তন্ময়
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ ২৬ তারিখে গ্রেপ্তারের পূর্বে। এ বিষয়ে একাধিক দলিল বর্তমানে রয়েছে। কিন্তু তারপরও স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে বিএনপি বারবার জিয়াউর রহমানের কথা বলছে। সম্প্রতি তারেক রহমান আবারও জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বললে টুইট করলে শুরু হয় বিতর্ক। সম্প্রতি ফেসবুক ও টুইটার প্রকাশিত এক ভিডিওতে জিয়ার নিজের মুখ থেকেই জানা যায়, ২৭ তারিখ তিনি সহ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সেনা সদস্যরা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের দখল নেন। তাহলে কী নিজের বাবার বক্তব্যকে অস্বীকার করছেন তারেক রহমান?
আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ এ বিষয়ে তারেক রহমানের মিথ্যা তথ্য দিয়ে করা এ বিষয়ক টুইটের কমেন্টে ভিডিওটি দিয়ে লেখেন, 'হে আমার গল্পকার, শোন তোমার বাবা তৎকালীন মেজর জিয়া কি বলেছেন।'
এরপর এই ভিডিওটি তন্ময় আহমেদ তার অফিসিয়াল টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন। যেখানে জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকারের ছোট একটি অংশ প্রকাশ করা হয়। সেখানে জিয়াউর রহমান বলেন, 'আমরা চট্টগ্রামের রেডিও স্টেশনের দখল নেই ২৭ তারিখে (২৭ মার্চ)।' অর্থাৎ ২৬ মার্চ তিনি কোন ঘোষণা প্রদান করেননি।
ভিডিওতে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানের দেওয়া ভাষণের একটি ভয়েস রেকর্ডও প্রকাশ করা হয়। যেখানে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের মহান জাতীয় নেতা এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছি।'
ভিডিওতে আরও বলা হয়, ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানের আগেই একজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি হলেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান।
এই ভিডিওতে প্রশ্ন করা হয়, 'স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া হলে ২৭ তারিখের পরিবর্তে আমরা কেন ২৬ তারিখ স্বাধীনতা দিবস পালন করি।' আরও বলা হয় ঘোষণাপত্র পাঠ করলেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারেন না।
আরও পড়ুন: সরকার বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় কিন্তু তাদের আধিপত্য চায় না: কাদের
ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে তার বর্ণনায় টুইটারে তন্ময় আহমেদ লেখেন, বিএনপির গল্পকার এবং পলাতক আসামি দলীয় প্রধান তারেক রহমান বলেন, দেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। কিন্তু তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র দখলের কথা জানায়। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভয়াবহভাবে পরাজিত বিএনপির ডামি নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ইতিহাসের ক্লাসে ভর্তি হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন গণহত্যা শুরু করে তখন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, 'এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পাকিস্তানের একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টেলিপ্রিন্টারে ইংরেজি বক্তব্য পাঠানো হয় বেশ কিছু স্থানে। এ ছাড়াও ওয়ারলেসে পাকিস্তান রেডিওর কাছাকাছি ফ্রিকোয়েন্সিতে বঙ্গবন্ধুর রেকর্ডকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ জন। আর ঢাকার বাইরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ জন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও নারী ১১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৬৪৫ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১০৩৮ জন ও নারী ৬০৭ জন।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে আজ (সোমবার) ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ঐদিন কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে। দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান।
এরপর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘একাত্তরের গণহত্যা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আরিফা রহমান রুমা। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ও পরবর্তী ৯ মাসে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচী পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন।