������������������������
চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ ক্লাইমেট অ্যাডাপশন এক্সপোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ন্যাপ এক্সপো একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম। এই ফোরামে বিভিন্ন দেশ, সংস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডাররা ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পারস্পরিক যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।
আয়োজনটি বিশ্বজুড়ে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বিনিময়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে এবং পারস্পরিক সুবিধাগুলোকে উৎসাহিত করবে।
ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এ অংশ নিতে ১০৪টি দেশের ৩৮৩ জন প্রতিনিধি ইউএনএফসিসিসি-তে নিবন্ধন করেছেন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, এনজিও প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকসহ ৫৫০ জন এই অভিযোজন সভায় অংশ নেবেন।
এক্সপোতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ফাঁকফোকর ও প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
এবারের সম্মেলনে মোট ২৩টি স্টল থাকবে, যেখানে বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রম প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সমবায় গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়া চার দিনের ৩৪টি সেশনে বিশেষজ্ঞরা ট্রান্সফরমেশনাল অ্যাডাপটেশন, ফাইন্যান্সিয়াল মেকানিজম, অ্যাডাপটেশন অ্যাক্টিভিটি মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন টুলস এবং জেন্ডার রেসপনসিভ অ্যাডাপটেশন নিয়ে আলোচনা করবেন।
জলবায়ু অভিযোজন বিষয়গুলো প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের জন্য ১৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ তার উদ্ভাবনী অভিযোজন ব্যবস্থা যেমন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পার্বত্য অঞ্চলে সৌরশক্তি চালিত পানি আহরণ, জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও রাস্তার কাজের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রদর্শন করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে।
জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
খুলনায় শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই সুপেয় পানির তীব্র সংকটে জনজীবন ভোগান্তি
খুলনার দাকোপ উপজেলায় শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে খাবার পানির সংকট মানুষকে আরও দিশেহারা করে ফেলছে।
দ্বৈত সংকটে বিশুদ্ধ খোলা পানি বিক্রির দোকানেও পড়ছে পানি কেনার দীর্ঘ লাইন। কিছু লোক আবার দূর-দূরান্ত থেকেও সংগ্রহ করছেন এই পানি। আবার বাধ্য হয়েও কিছু লোক ডোবা-নালার পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা এই উপজেলায় ৩টি পৃথক দ্বীপের সমন্বয় গঠিত। এর চার পাশে নদীতে লবণ পানির প্রচণ্ড চাপ থাকায় খরা মৌসুমে সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দেয়। প্রতি বছরের মতো এবারও ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের সর্বত্রই সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দুই লাখেরও বেশি মানুষ সুপেয় পানির জন্য হা-হুতাশ করছেন। এমনকি চায়ের দোকান, খাবার হোটেল, মিষ্টির দোকানে খরিদ্দারকে বিশুদ্ধ পানি দিতে না পেরে দোকানীরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। আবার চলতি রবি মৌসুমে এ অঞ্চলের প্রধান ফসল তরমুজ, বোরো ক্ষেতেও সেচ দিতে না পারায় গাছ মরাসহ ফল ভালো বড় না হওয়ার কারণে অনেক কৃষক লোকসানে পড়েছেন।
এখানে কোথাও গভীর নলকুপ সফল না হওয়ায় রয়েছে অগভীর নলকুপ যা অধিকাংশ অকেজো। আবার কোন কোন নলকুপের পানিতে লবণ, আর্সেনিকযুক্ত এবং অতিরিক্ত আয়রন। এছাড়া এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত রেইন ওয়াটারও নেই। যে কারণে এলাকার মানুষের খাবার পানির একমাত্র ব্যবস্থা পুকুরের পানি ফিল্টার করে খাওয়া। কিন্তু অপ্রতুল পুকুরগুলোতে পানি স্বল্পতার কারণে প্রায় সকল ফিল্টার বা পিএসএফগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এলাকার কতিপয় স্বচ্ছল ব্যক্তিরা বটিয়াঘাটা, খুলনাসহ বাহিরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি কিনে জীবন ধারণ করছেন। আর মধ্যবিত্ত এবং নিন্ম আয়ের মানুষ বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে যে পুকুরে পানি আছে সেখান থেকে সরাসরি পানি নিয়ে পান করছেন। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র অভাবের কারণে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার অনুপযোগী পানি খেয়ে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। এতে অনেকেই ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে।
কালাবগি এলাকার রবিউল ইসলামসহ আরও অনেকে জানান, প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার পথ নৌকায় যাওয়া আসা করে কৈলাশগঞ্জ এলাকা থেকে অতি কষ্টে বিশুদ্ধ পানি এনে খেতে হচ্ছে। আর যাদের ভাল অবস্থা টাকা পয়সা আছে তারা বাহিরে থেকে পানি কিনে খায়। আবার এলাকার কিছু অসহায় গরিব মানুষ সরাসরি পুকুরের পানি পান করছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
দাকোপের হোটেল মালিক রচীন ইউএনবিকে বলেন, পানি সংকটের কারণে খরিদ্দারদের পানি দিতে পারছি না। পুকুরের পানি খাবার অনুপযোগী হওয়ায় তা দিয়ে পেলেট ধোয়ার কাজ চলছে আর খরিদ্দারদের এক টাকারও বেশি দামে প্রতি লিটার পানি কিনে খেতে দিতে হচ্ছে।
তার মতো চা দোকানদার হাফিজুর রহমানও একই অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, সুপেয় পানি সংকট নিরসনে ৩২ পৌরসভা পানির প্রকল্পের আওতায় একটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের কাজও। বর্তমানে সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে আর এই কাজ সম্পন্ন হলেই পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সংকট অনেকটা নিরসন হবে বলে মনে করেন তিনি ।
এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, বর্তমানে এখানে সুপেয় পানির আধারের মধ্যে ২ হাজার ৬৬৮টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং (ট্যাংকি), ২৭টি গভীর নলকূপ, ৫০০টি অগভীর নলকূপ সচল রয়েছে। এছাড়া সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের ২৩৪টি, উপকূলীয় জেলা সমুহে বৃষ্টির পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮৩৩টি ট্যাংকি, কমিউনিটি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ২১টি, ১৮টি পন্ড আল্টা ফিল্টার, আরও প্লান্ট ২টি ও ১৫টি ভ্যাসেল টাইপ পিএসএফের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া কয়েকটি এনজিও কিছু পানির ট্যাংকি ও কয়েকটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্যান্ট নির্মাণ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় রয়েছে অপ্রতুল। এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ নিরাপদ সুপেয় পানির জন্য রেইন ওয়াটার হারভেস্টিংয়ের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মার্চ হতে মে মাস পর্যন্ত প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং খরার কারণে পানির চাহিদা তীব্র থাকে। এ অঞ্চলে তরমুজ চাষের সময়ও ব্যাপক পানির সংকট দেখা দেয়। এই সময়ের জন্য ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পুকুর, দিঘি খনন করা প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন খাল খননের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, পানি সংকট সমাধানের জন্য এ অঞ্চলে আরও অনেক বেশি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং (ট্যাংকি) ও পুকুর খনন করা দরকার। একই সঙ্গে পানির জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণও করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে শরবত বিক্রেতাদের 'পোয়াবারো'
চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। তারপরও জীবিকার তাগিদে মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। মরু অঞ্চলের মতো প্রখর তাপ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের জনজীবন।
অসহ্য গরমে সামান্য প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুটছে ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানে। শরবতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাস্তার মোড়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকান। অর্থাৎ এই গরমে শরবত, জুস বা শরবত জাতীয় পানীয় বিক্রেতাদের পোয়াবারো। আগে যে বিক্রেতা দিনে ১ হাজার টাকার শরবত বিক্রি করতেন, সে এখন দিনে বিক্রি করছেন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। যে বিক্রেতা দিনে দুইশো গ্লাস বিভিন্ন শরবত বা জুস বিক্রি করতেন, তার বিক্রি বেড়ে এখন এক-দেড় হাজার গ্লাসে পৌঁছেছে।
প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে এসব দোকানে সব বয়সের মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। লেবু শরবত বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লেবু, ট্যাং, বিট লবণ মিশ্রিত লেবু শরবত বিক্রি হচ্ছে নানা দামে। এক টুকরো লেবুর রস, বিট লবণ, ট্যাং আর ঠান্ডা পানি মিশ্রিত এক গ্লাস লেবু শরবত বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকায়। এছাড়া দুধের তৈরি মাঠার চাহিদাও তুঙ্গে এই গরমের দিনে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ জেলার উপজেলা শহরগুলোতে শরবত বিক্রির ধুম। ১০ টাকা গ্লাস থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ফলের রসের তৈরি এসব শরবত কিনে পান করছেন পথচারীরা।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে আইসিডিডিআর,বি'র স্বাস্থ্যবিধি জারি
বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চানসিরকাপন গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো- নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সিরাজ মিয়ার ছেলে রিহান আহমদ ইয়াসিন (১০) ও চানসিরকাপন গ্রামের টিটন মিয়ার ছেলে ইউসুফ রুহান (১১)।
স্থানীয়রা জানান, বিশ্বনাথ সদরের ৭নং ওয়ার্ডের চাঁনসিরকাপন গ্রামের একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন রিহান ও রুহানের পরিবার।
বিকাল ৫টার দিকে পরিবারের কারও অনুপস্থিতিতে পুকুর পাড়ে খেলার সময় ওই দুই শিশু পানিতে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনে দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে শিশুদের লাশ ভাসতে দেখা যায়।
পরে তাদের উদ্ধার করে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে স্কুল শিক্ষার্থীর অবস্থান
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে নওগাঁয় চোখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘণ্টাখানিক শহরের তাজের মোড় ও ব্রীজের মোড়ে তিনি এই অবস্থান করেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া। তিনি নওগাঁ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এসময় শিক্ষার্থীর হাতে থাকা পোষ্টারে লেখা ছিল 'সড়কে নিরাপত্তা চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ চাই'। এসময় স্থানীয় পথচারীরাও এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সড়ক দুর্ঘটনার দায় পুলিশ-বিআরটিএ এড়াতে পারে না: জাতীয় কমিটি
এসময় একই পথে যাওয়া পথচারী জুলফিকার রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা আসলে সড়কে কেউ নিরাপদ নয়। বাসা থেকে বের হলে সুস্থভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারব কি না তার কোন নিশ্চয়তা নাই। একটি ছোট শিশু শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগ সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবারই উচিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার হওয়া।
নিলুফার ইয়াসমিন, তানহা খাতুন নামের আরও দুই পথচারী বলেন, তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাচ্চাটির এমন প্রতিবাদ ও দাবি খুবই যৌক্তিক। আমরা তার দাবিকে সমর্থন করছি। তাকে দেখে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। প্রতিদিনই সড়কে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সবাই এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে বলেন, টিভি-পত্রিকাতে প্রতিদিন দেখি মৃত্যুর খবর। তার অধিকাংশই সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। রাস্তায় বের হলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে আবার বাড়িতে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারব কি না তার কোন নিশ্চয়তা নাই। প্রতিদিন এত মৃত্যুর খবর দেখে খুবই কষ্ট পাই, ভয়ও লাগে।
ছোঁয়া আরও বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে নওগাঁ-সড়কের সাহাপুর নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এক বাবা-মা। আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এখন ভাবুন সেই শিশুটির কি হবে। শিশুটি বাবা-মার আদর-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে গেল সারা জীবনের জন্য। আমি চাই নিরাপদ সড়ক। নিরাপদে সড়কে চলাফেরা করতে চাই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা: ১৮ মাসের ইয়াসিন বাবার পর মাকে হারালো, মৃত্যু বেড়ে ১৫
ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার বাবা সঙ্গীত শিল্পী খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান মারা যায় সড়ক দুর্ঘটনায়। পাগল হাসান আমার সহকর্মী ও বন্ধু ছিল। এর আগে ১৭ এপ্রিল নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের সাহাপুরের নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এনামুল হক ও বৃষ্টি আক্তার নামের দম্পত্তি। আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছরের শিশু জুনাইদ ইসলাম। এই ঘটনাগুলো আমার মেয়ের মনে মারাত্মকভাবে দাগ কেটে যায়। মেয়েটি আমার এত মৃত্যুর খবর প্রতিদিন শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না। যার কারণেই সে বলেছে, আব্বু আমি নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে চাই। মেয়ের এই মহৎ ও যৌক্তিক চাওয়াকে না বলতে পারিনি। যার কারণে পুরো সমর্থন জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আজ আমার ছোট্ট মেয়েটা একাই যেভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরাপদ সড়কের দাবি করছে ঠিক সেভাবে দেশের সবাই যদি এমন করে সচেতন হতো ও দাবিগুলো তুলে ধরতো, তাহলে প্রতিদিন এমন প্রাণহানির মতো ঘটনা অনেকটাই কমিয়ে আসতো। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, সবাই যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন চাই। আর তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ, যানবাহন চালক ও মালিকদেরকে একসঙ্গে কাজ করার আহব্বান জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ এস এম রায়হান আলম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি যানবাহন চালক ও মালিকদের সচেতনও করছি। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার এমন উদ্যোগ আমাদের অনেক মুগ্ধ করেছে। এমন দাবি ও সচেতনতাবোধ যদি সবার মাঝে জাগ্রত হতো তবে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত
দাবদাহের প্রভাব মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন,‘ এ গরমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বয়স্ক ও বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে যখন খবর এল (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা ও বয়স্করা।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।
শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। মে মাসের পরিস্থিতি আরও ভয়বহ হতে পারে বলে বলা হচ্ছে।
ছুটি বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বুঝে যদি আমরা মনে করি, ডেফিনেন্টলি আমরা ছুটি বাড়াব। বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।
হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণে লাগবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে।
এ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজযাত্রীদের টিকা নেওয়ার আগে সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারগুলো থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সঙ্গে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরিন আর/এম/ই, আর.বিএস, এক্স-রে চেস্ট পি/এ ভিউ, ইসিজি, সিরাম ক্রেটিনিন, সিবিসি উইথ ইএসআর, ব্লাড গ্রুপিং অ্যান্ড আরএইচ টাইপিং।
এসব রিপোর্ট অবশ্যই ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে।
হজযাত্রীরা মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।
কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- সব জেলার সিভিল সার্জন অফিস।
এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।
এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিকেলে দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে এম ভি আব্দুল্লাহ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ নিরাপদে দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ সময় রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় সময় জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম সূত্র জানায়, কয়লা খালাসের জন্য আজ রাতেই জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর কথা রয়েছে। তা না হলে সোমবার জাহাজটি জেটিতে ভিড়বে।
এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মিদশার পর ১৩ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এই পথ পাড়ি দিয়ে আট দিনের মাথায় জাহাজটি আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাল।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
তাপপ্রবাহে আইসিডিডিআর,বি'র স্বাস্থ্যবিধি জারি
প্রচণ্ড গরমের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে কিছু নির্দেশিকা জারি করে জনগণকে তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইসিডিডিআরবি, বি।
অতিরিক্ত গরমের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির লক্ষণগুলো হলো-
. অস্বস্তি বোধ করা
· ডিহাইড্রেশন
· প্রচণ্ড মাথাব্যথা
· নিদ্রাহীন
· শরীর ব্যথা
· পেশী ব্যথা
· খাবারের প্রতি অনীহা
· ত্বকের ক্ষত
· কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা
· শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা
· হার্টের সমস্যা
· হিট স্ট্রোক
· হিট ক্র্যাম্প
যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন
· শিশুরা
· বয়স্ক ব্যক্তি
· প্রতিবন্ধী ব্যক্তি. দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণ শ্রমিক
· অতিরিক্ত স্থুল ব্যক্তি
· বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো একাধিক জটিলতা রয়েছে
হিট স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে করণীয়
· বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে রোদ এড়িয়ে চলুন
· বাইরে বের হলে যতটা সম্ভব ছাতা, টুপি বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন
· বিশেষ করে সুতির তৈরি হালকা রঙের পোশাক পরা
· পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা
· সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাসি, খোলামেলা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন
. দিনের বেলা একটানা ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন
· একাধিকবার স্নান করুন বা সম্ভব হলে পানি ছিটিয়ে দিন
· ক্রমাগত প্রস্রাবের রংয়ের দিকে নজর রাখুন, তা যদি হলুদ বা গাঢ় হয়, তাহলে পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
· খেয়াল রাখতে হবে ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা বাষ্প না হয়
· অসুস্থবোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে 'অতি তীব্র' তাপপ্রবাহ বইছে
এর উপরে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণের জন্য ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তীব্র তাপপ্রবাহে সারা দেশ প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে, কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে।
রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকাসহ খুলনা বিভাগ এবং রাজশাহী জেলার কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ: হিটস্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু
২৭ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বেসরকারি হজযাত্রী প্রতিস্থাপন
বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সব কার্যক্রম আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২১ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, হজ-২০২৪ মৌসুমে গুরুতর অসুস্থতা, মৃত্যু অথবা অন্য কোনো কারণে কোনো হজযাত্রী হজে যেতে না পারলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি তার জায়গায় আরেকজন হজযাত্রীকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
এরূপ প্রতিস্থাপন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
তবে হজযাত্রীকে না জানিয়ে বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিস্থাপনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।