%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ভয়-ভীতি আমাদের দমন করতে পারবে না: ফখরুল
আগামী নির্বাচনের আগে প্রতিপক্ষকে দমন করতে সরকারের তীব্র দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে বিএনপি।
সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন দলটির মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অনির্বাচিত’ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় বসতে দীর্ঘদিন ধরে দমন-পীড়ন, হত্যা, গুম ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করছি যে নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার পুরানো স্টাইলে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তারা বিভিন্ন জেলায় ছাত্রদল ও আমাদের নেতাকর্মীদের এবং তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমরা আজ শপথ নিয়েছি যে কোনো ভয়-ভীতি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড আমাদের দমাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, তারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল বাধা ও দমন-পীড়ন কাটিয়ে বর্তমান ‘দুর্বিষহ’ এই শাসনকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা থেকে হটাবেন।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারকারীদের জন্য সরকারের দায়মুক্তির পরিকল্পনার সমালোচনা বিএনপির
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করব।
এর আগে ফখরুল দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৮১ সালের ৩০মে তিনি তৎকালীন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে খুন হন।
এসময় পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অভিযোগকে প্রত্যাখান করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতা) এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য এ ধরনের মন্তব্য করছে।’
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশের মানুষ রাজপথে নামতে শুরু করেছে এবং রাজপথে রক্ত উৎসর্গ করেছে। ‘আমরা আশা করি এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পাবে।’
বিএনপি নেতা স্মরণ করেন যে জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘একদলীয় শাসনের অপসারণ করে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন এবং বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন, তা এখন বাংলাদেশে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতারা মাথা নত করে দেশ ছাড়বেন: ফখরুল
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
অর্থপাচারকারীদের জন্য সরকারের দায়মুক্তির পরিকল্পনার সমালোচনা বিএনপির
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের নেয়া পরিকল্পনাকে অপকৌশল বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতারা) দেশের সম্পদ লুটপাট করছে এবং জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলটির আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার এখন বলছে দায়মুক্তি দিয়ে পাচার করা অর্থ ফেরত আনবে। ‘এটি আরেকটি অপকৌশল। এর মানে তারা নিজেরাই অর্থ পাচার করেছে এবং এখন তা বৈধ করার জন্য দেশে নিয়ে আসবে।’
অর্থপাচারকারীদের এমন দায়মুক্তি দিয়ে সরকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আরও জনগণের টাকা লুট করার সুযোগ তৈরি করবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না... আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার অর্থ পাচারকারীদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে সাধারণ ক্ষমার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় বাজেট সংসদে উত্থাপনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে আরও তথ্যসহ সার্কুলার জারি করবে।
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ দেশব্যাপী ১০ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।
আজ (রবিবার) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে ৭ জুন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতারা মাথা নত করে দেশ ছাড়বেন: ফখরুল
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন।
দিবসটি পালনে সোমবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দল ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতারা সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ জুন পর্যন্ত জিয়ার কর্মজীবন নিয়ে আলোচনার আয়োজন করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির নেতারা রাজধানীর বিভিন্নস্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন।
দলের সকল জেলা, মহানগর ও থানা শাখাও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অংশগ্রহণে আলোচনাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদল উসকানি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল। যখন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চায় তখন তো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্ররা বাধা দেবে খুবই স্বাভাবিক।’
রবিবার দুপুর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
গত ২৬ ও ২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং সংঘর্ষকে ঘিরে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদল যারা করে তাদের বয়স কত এখন। যারা ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদক তারা কি ছাত্র? তাদের বয়স ৪০ এর কোঠায়। তারা তো ছাত্রের বাবা। ছাত্রের বাবারা যখন শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে চায় তখন ছাত্ররা তো উত্তেজিত হবেই, সেটি খুব স্বাভাবিক। উসকানিটা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এসেছে। ছাত্রদের বাবা স্থানীয় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের পক্ষ থেকে এসেছে।
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু বেগম জিয়া মুক্ত আছেন, তিনি জেলখানায় থাকলে এই প্রশ্ন আসত না। তার দণ্ড স্থগিত করে যেহেতু বেগম জিয়াকে মুক্তভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং দেশে বিএনপির নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে এবং দেশে অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্যের মতো ঘটনা ঘটলে সেটার দায় দায়িত্ব বেগম জিয়ার ওপরও বর্তায়। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর তো বর্তায় বটেই বেগম জিয়ার ওপরও বর্তায়। সেজন্যই প্রশ্ন এসেছে বেগম জিয়াকে এভাবে বাইরে রাখার প্রয়োজন আছে কি না। সেজন্যই অনেকে দাবি তুলেছে তাকে আবার কারাগারে পাঠানোর।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেতু আমরা করতে পারবো না বলে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া, ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও অনেকেই আস্ফালন করেছিল। এটির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার বলতে দ্বিধা নেই এবং তার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই ড. মোহ্ম্মদ ইউনূস সাহেব তিনিও পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছেন। সেখানে যাতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে সেজন্য তার পক্ষ থেকে নানা অপতৎপরতা ছিল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা চোর, যারা দেশকে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান বানিয়েছিল। তারা এসব কথা স্বাভাবিকভাবেই বলবে। কারণ তারা অন্যদেরও একই জায়গায় নেয়ার চেষ্টা করে।
ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ইভিএম ভালো পদ্ধতি, কিন্তু যারা এটা পরিচালনা করবে তারা নিরপেক্ষ নয়।তাই ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় জাতীয় পার্টির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চুন্নু আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি না তা দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: জিএম কাদের
১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে হঠাৎ করেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ দায়েরের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির এই নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৪০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে উল্লেখ করে চুন্নু জানতে চান কেন এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে না।
তিনি অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের জন্য তাদের দলের দাবি পুর্নব্যক্ত করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশে মেগা প্রকল্পের নামে তিনগুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তাই দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা এখন জাতীয় পার্টির সরকার দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে পরিবর্তন চায় মানুষ: জিএম কাদের
আ.লীগের নেতারা মাথা নত করে দেশ ছাড়বেন: ফখরুল
বাংলাদেশে লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সময় আসছে যখন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মাথা নত করে দেশ ছেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, এই সরকার লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করে বাংলাদেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
শনিবার ঝিনাইদহের আব্দুর রউফ কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতায় ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, টাকা ও ঘুষ ছাড়া মানুষ এখন কোনো চাকরি পায় না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যখন চুরি-লুটপাটের কথা বলি, তখন তারা (আ.লীগ নেতা) আঘাত পায়। ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই। চুরি করলে মাথা নিচু করে রাখতে হয়। সময় আসছে যখন আপনাদের মাথা নিচু করে এই দেশ ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের দ্বারা ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্মম হামলা এবং ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের ওপর নিপীড়ন সম্বলিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে…আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগ এবং সরকারের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে অপরাধীরা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।’
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিষ্ঠুর’ হামলারও তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, তাদের ঊর্ধ্বতনদের কু-পরামর্শে সহপাঠীদের ওপর হামলার অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের রেহাই দেয়া হবে না। আগামী দিনে জনগণের আদালতে আপনাদের অপকর্মের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (ছাত্রলীগের সদস্যদের) সতর্ক করতে চাই যে আপনাদের সিনিয়র নেতাদের প্ররোচনায় নিজেদের জীবন নষ্ট করবেন না। জনসমর্থনের অভাবে সরকার ছাত্রদের সন্ত্রাসীতে পরিণত করছে এবং স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী স্টাইলে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য তাদের ব্যবহার করছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকারের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ‘দেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে; এখানে জনগণের ভোটাধিকার সহ কোনো অধিকার নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষও অসহায় হয়ে পড়েছে।’
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, তাদের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ‘দেশ ও বিদেশে সর্বত্র এই শাসকগোষ্ঠী সমর্থন শূন্য হয়ে গেছে। তাই এই সরকার ও শেখ হাসিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি একটি দুর্বল শাসন এবং এটি অপসারণের জন্য শুধুমাত্র একটি ধাক্কা প্রয়োজন।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল রাজপথে গণজাগরণ সৃষ্টি করে সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। ‘আমাদের ছাত্রদল ঢাকায় রক্ত দিয়ে এই শাসকদলকে অপসারণের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
একপক্ষ দেশকে তালেবান রাষ্ট্র ও অন্যপক্ষ শ্রীলঙ্কা বানাতে চায়: পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন; ততদিন বাংলাদেশ তালেবান বা শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশে দুইটি পক্ষ রয়েছে, তাদের একটি পক্ষ দেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে চায়। অন্য পক্ষ শ্রীলঙ্কা বানাতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে ততদিন তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।শনিবার দুপুরে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।সম্মেলনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আট উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী ঝড়- বৃষ্টি উপেক্ষা করে যোগ দিয়েছেন।তিনি বলেন, আমাদের আগামীর দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হলো আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করা এবং মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কে আসবে আগামীর নেতৃত্বে? কিন্তু প্রশ্ন হওয়া উচিত কেমন হবে আগামীর নেতৃত্ব। আপনারা প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেন এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন করুন। কারণ, যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সঠিক দল ও দেশ গঠন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখা দরকার রাজনীতির সঙ্গে নীতি কথাটি যুক্ত আছে। নীতি-নৈতিকতার চর্চা থাকতে হবে। আগে রাজনীতিবিদরা নৈতিকতার চর্চা করতেন। বঙ্গবন্ধুর এক কথায় ৩০ লাখ মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো কাউকে ভয় পায় না। তাই আমি বিশ্বাস করি যুবলীগের সহযোগিতায় আগামীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হবেন। কারণ সৎ নেতৃত্ব পরিচালনার বিকল্প নাই। সঠিক নেতৃত্ব না থাকলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সকল যুগেই প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন: শেখ পরশ
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর প্রধান বিচারপতি কোনো বিবৃতি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফখরুল এ ক্ষোভ জানান।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে প্রধান বিচারপতি এ ঘটনায় কোনো বিবৃতি দেননি। এমনকি যারা জোর করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব নিয়েছেন তারাও কোনো বিবৃতি দেননি।’
তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের আসল রূপকে উন্মোচিত করেছে।
ফখরুল বলেন,‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও ঘাতক বাহিনী আমাদের ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে রাস্তায় পিটিয়ে নির্যাতন করেছে। আমরা দেখেছি সন্ত্রাসীরা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে গণতন্ত্রকামী শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার রাজনীতিকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাসীনদের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
আহত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের দেখতে বিভিন্ন হাসপাতালে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, একজন মানুষকে কীভাবে এভাবে পিটিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া যায়, তা চিন্তাও যায় না। ‘আমাদের এক মেয়েকে এত জঘন্যভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল এবং নিপীড়ন করা হয়েছিল যে তিনি এখন আইসিইউতে রয়েছেন। এটাই আওয়ামী লীগের আসল বৈশিষ্ট্য।’
ফখরুল বলেন, তাদের দলের নেতাকর্মীরা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে তাদের দল ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি বিষয়ে আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করতে চাই, রাজনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংগ্রাম চালাতে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে কাজ করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাজি হয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এটিকে একটি শক্ত আকার দিতে পারি এবং এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একটি বৃহত্তর গণআন্দোলন শুরু করতে পারি।’
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুতে বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু ৪০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়? আমরা জানি কোথায় গেছে। এগুলো সব বের হবে।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরী পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, পদ্মা সেতু থেকে নাকি বেগম খালেদা জিয়াকে ফেলে দেবে। মনে হয় বাপের টাকা দিয়ে সেতু করেছে, এখানে কেউ উঠলে তাদের ফেলে দেব। আরে টাকাটা কার? ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু ৪০ হাজার কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেছে। বড় বড় কথা বলার আগে উত্তর দিতে হবে।ি
আরও পড়ুন: লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নাকি ঠুস করে ফেলে দেবে।
তিনি বলেন, এর অনেকগুলো কারণ হতে পারে। একটি হলো খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চেয়ে জনপ্রিয়। যিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এরশাদের পতন ঘটিয়েছেন। কিন্তু আপনি সেই এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। খালেদা জিয়া যখন সড়কে বের হবে, তখন লাখ লাখ মানুষ সমবেত হবে। সেটিকে আপনি ভয় পান। কারণ আপনি যখন সমাবেশ করতে যান, তখন পয়সা দিয়ে লোক আনলেও থাকতে চায় না।
জনগণ আওয়ামী লীগকে বর্ডার পর্যন্ত নিয়ে যাবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, মানুষ যখন হেরে যায় তখন বাঁচার জন্য শেষ চেষ্টা করে। এই জোয়ারে চুনিপুটি, ধামাচাপা পার্টি, চুরিচামারি পার্টি, হেলমেট লীগ, সন্ত্রাসী লীগ কোনো লীগই থাকবে না। এরা পালাতে পালাতে বর্ডার পর্যন্ত নিয়ে যাবে দেশের জনগণ। পালানোর পথ পাবে না এরা।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির