%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেও একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা।
ফখরুল বলেন, বাঙালি ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক ও সৈনিকরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল; স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও জনগণের সরকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠা তাদের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা লেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের আড়ালে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে গাজা নিয়ে বিএনপির নীরবতা ভাঙলেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, 'জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকার গঠন করায় এবং ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষকে শাসন করার তাদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই, যা আমাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছেও গ্রহণযোগ্য ছিল না।’
তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। জনগণ যখন ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তখন তাদের দমন করার জন্য স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সহজ নয়, কিন্তু আমরা ১৫ বছর ধরে তা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গত দুই বছরে বিএনপির ২২ জন নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছেন এবং তারা কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে একটি স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় আছে, যেখানে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
অবশেষে গাজা নিয়ে বিএনপির নীরবতা ভাঙলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা সফর শেষে দেশে ফেরার পর প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। এসময় গাজা সংঘাত নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'দেশ যখন চলমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অভিশাপে' তখন আমরা এখানে ইফতারের জন্য সমবেত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি বিশ্ব বাংলাদেশে একটি নির্বাচন নয়, বরং একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য অপমান দেখেছে।’
রবিবার(২৪ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে সংঘাত চলছে তা নিয়ে বিএনপি প্রথমবারের মতো মত প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে এই গণহত্যা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে এই সংকটের একমাত্র সমাধান বলে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির সংগ্রামের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে মূল্য দেন, যা একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা তা অর্জন করতে পারছি, ততক্ষণ হয়তো আমাদের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। হাজার হাজার কিলোমিটার সীমান্তে বৈধভাবে কিছু সীমান্ত বাণিজ্যও হয়। বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকের মূল উদ্দেশ্য দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানো, যাতে জনগণের ভোগান্তি হয়।’
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বক্তৃতা শেষে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের মাঠের নেত্রীরাও ভারতীয় শাড়ি পরবেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন - এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।'
ড. হাছান বলেন, 'ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক যারা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে শামিল হয়ে রিজভী সাহেব নিজের পরনের শালটিও জ্বালিয়ে দিয়েছে। আসলে শালটি ভারত থেকে কিনেছিল, নাকি বঙ্গবাজার থেকে কিনেছে আমি জানি না।'
সোমালি দস্যুদের হাত থেকে নাবিক ও জাহাজ উদ্ধার তৎপরতা
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের ভূমিকা রাখা হচ্ছে- সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি হাইজ্যাক হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক ও জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ‘জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে। কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা এরই মধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা সহসাই নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।’
চট্টগ্রাম উন্নয়ন সমন্বয় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আন্তঃদপ্তর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ড. হাছান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্প শেষ হতে আরও আড়াই বছর বাকি আছে। এই আড়াই বছর সময়ের মধ্যে জনগণের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেটির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একইসঙ্গে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর যাতে নিয়মিতভাবে মেনটেইনেন্স করা হয় সেটিকেও গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: দেশে উৎপাদিত শস্য ও খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে কর্মসূচির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আজকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বে-টার্মিনালের জন্য এরই মধ্যে পাঁচশ একর জায়গা প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আরও তিনশ একরের বেশি জায়গা তারা পাবে, সেটির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে। এরই মধ্যে ডিপি ওর্য়াল্ড ও সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে তিনটি ভাগে কাজ হবে। একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি ডিপি ওয়ার্ল্ড করবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও সেখানে যুক্ত হচ্ছে। এটা একটি বড় অগ্রগতি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বে-টার্মিনাল হলে সেটি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে আরও বড় একটি নতুন বন্দর হবে, যেটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সম্পদ হবে এবং একইসঙ্গে এই বে-টার্মিনাল দিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের পণ্য সরবরাহ আমরা করতে পারব। এছাড়া চট্টগ্রামে পাহাড়কাটা বন্ধ ও যানজট নিরসনসহ সার্বিক অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও প্রতি তিন মাস পরপর সমন্বয় সভা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান হাছান মাহমুদ।
চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামের উন্নয়নসংক্রান্ত সমন্বয় সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, এম এ ছালাম, এম এ মোতালেব সিআইপি, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, ডিআইজি নুরে আলম মিনা, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। টাকা না থাকায় মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না। অথচ স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্রের পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল বলে দাবি করলেও তারা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তিকে অস্বীকার করে দেশে ধনীশ্রেণি প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
তিনি বলেন, দেশ নিয়ন্ত্রণে ২২০টি পরিবারকে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে তারা। অথচ পাকিস্তান আমলে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা ছিল ২২টি।
৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করে আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো শক্তিধর দেশগুলো বলেছে, অবাধ নির্বাচনের ন্যূনতম মানদণ্ড রক্ষা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, কেউ অস্ত্র হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় স্বৈরাচারীদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
ঈদের ছুটিতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলে নজরদারি বাড়ান: কাদের
আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সতর্কতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সড়ক ভবনে ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত সংশ্লিষ্টদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা এখনো দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আছি। এসব দুর্ঘটনার শেষ নেই। তিন চাকার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য নিরাপদ সড়ক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যদি অনিচ্ছুক থাকি তবে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এক্ষেত্রে অন্যকে দোষারোপ না করে বরং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস: কাদের
থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল ঈদে রাস্তায় সবচেয়ে বড় উপভোগ্য বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২২টি মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এখানে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এ সময় ঢাকা শহরে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, 'এই শহরে অনেক কারখানা আছে যারা এসব গাড়ি তৈরি করে। আমি নিজে দেখেছি। তারা গাড়ি রং করছে। রং দশ দিনও স্থায়ী হয় না।’
মন্ত্রী বলেন, 'ঢাকার প্রাইভেট কার ও বাসের দিকে তাকান। ঢাকা শহরের এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ি আমাদের উন্নয়ন অর্জনে লজ্জাজনক।’
ঈদে গাড়ির ফিটনেস দেখানোর বদলে সত্যিকার ফিটনেস সম্পন্ন গাড়ি বের করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ঈদের জন্য সম্ভাব্য ১৫৫টি যানজট পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজ গণতন্ত্র নেই। নেই কোনো মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বৃহস্পতিবার বিএনপির গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো কৃতিত্ব দিতে চায় না। রাজনৈতিক দলের অবদান ছিল; নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণতান্ত্রিক রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, একমাত্র রাজনৈতিক দলই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও সৈনিকসহ সর্বোচ্চ ত্যাগী সৈনিকসহ জনসাধারণের অবদানকে অস্বীকার করে তারা।
তিনি আরও বলেন, সে সময় দেশের সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধকে 'রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ' হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।
জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা চারদিক থেকে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ থেকে ১ লাখ, কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ লোক ভাতা পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ভারত সরকারের সমর্থনের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে বিসর্জন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বুধবার(২০ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন।
রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেট চায় না, বরং ‘মোদি সরকারের সমর্থনে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে এবং পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা দখল করে।’
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে একটি 'ডামি রাষ্ট্র' হিসেবে বিবেচনা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পেছনের আসল শক্তি বাংলাদেশের জনগণ নয়, ভারত। আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ভারত দেশের নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: বিএনপি
বিদেশি প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, 'এমনটাও বিশ্বাস করতে হয় যে, ভারত বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করে।’
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিবৃতির কথাও উল্লেখ করেন রিজভী ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতার নামে আমাদের সার্বভৌমত্বের ধারণাকে বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে।
ভারতের কথিত আধিপত্যকে আওয়ামী লীগের মেনে নেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ কখনোই ভারতের আধিপত্য মেনে নেবে না, এমনকি আওয়ামী লীগ নেতারা করলেও।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপির বিরোধ ভারতের জনগণের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত সরকারের নীতির সঙ্গে।
বাংলাদেশে 'ইন্ডিয়া আউট' ক্যাম্পেইন জোরদার হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এটা দেশটির প্রভাবের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ।
প্রচারণা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে রিজভী উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের সামাজিক মাধ্যমের আন্দোলনকে ‘সমীচীন নয়’ বলে মনে করেছেন। যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে ভারতের ভূমিকার প্রতি জনগণের অসন্তোষের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অস্বস্তির বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
কিংস পার্টি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট (বিএনএম) গঠনে মূল ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার বনানীতে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
হাফিজ বলেন, পবিত্র রমজানের কারণে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যে সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার একটি ছবি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ছবিটি ব্যবহার করে কয়েকটি পত্রিকা কাল্পনিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যা ছয়বার সংসদ সদস্য এবং দুইবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক ছিল এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল। তারপরও আমার অপরিচিত কিছু সাংবাদিক এমন সংবাদ প্রকাশ করছেন, যা আমার এবং দল ও সমর্থকদের জন্য বিভ্রান্তিকর।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তারা সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে এসেছিল, কিন্তু আমি তাকে দলে আসতে প্রভাবিত করিনি।’
কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করে এই বিএনপি নেতা প্রশ্ন করেন, ‘আমি কি বিএনএমে যোগ দিয়েছি? আমি কি বিএনপি ভেঙেছি? এটা স্পষ্ট যে আমি দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন তারা আমার দল ও আমার সমর্থকদের বিভ্রান্ত করতে গুজব ছড়াচ্ছে।’
কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা তাকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, রাজনীতির কোনো শর্টকাট পথ নেই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ
হাফিজ বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। তারা লক্ষ্য করেছেন বিএনপির নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়া নিয়ে আমার ভিন্ন মত রয়েছে। তারা ধরে নিয়েছিল, আমি বিএনপি ছাড়তে আগ্রহী।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ৩২ বছর পর দল ছেড়ে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব বলে তাদের জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, আমি শারীরিকভাবে ভালো নেই। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব।'
মেজর হাফিজ বিএনএমে যোগ দেবেন- সাবেক তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র হাফিজ জানান, বিএনপির সঙ্গেই থাকবেন।
তিন-চারজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বিএনএম গঠন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সাকিব আল হাসানকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন এবং তিনি (সাকিব) রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
হাফিজ বলেন, 'আমি সাকিবকে বলেছি এটা তোমার ব্যাপার। তুমি এখনও খেলছ তবে রাজনীতি নিয়ে আরও ভাব। আমার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে সাকিব সেখান থেকে চলে যায়।’
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ফোন কলে কোনো দল ইসির নিবন্ধন পাবে, এটা বাস্তবসম্মত নয়। আমি কিছু বললাম না। কারা এটা করেছে, আপনারা জানেন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো দলীয় কাউন্সিল হয়নি। আমি বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কখনো অপ্রীতিকর কিছু বলিনি।’
আরও পড়ুন: ইসির নিবন্ধন পেল বিএনএম ও বিএসপি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: বিএনপি
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জুম অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ডিপ ফেক প্রযুক্তি দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ডিপ ফেক ভিডিওটি সরকারপন্থী কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশ-বিদেশের বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই নয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্য সদস্যদের ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে।
রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপির আইটি বিভাগের তদন্তে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের হয়ে বিরোধীদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কাজ করছে ‘নাহিদ রেইন’ নামে একজন প্রতারক।
এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কিন্তু সত্য হলো, প্রধান অপরাধীকে অনলাইন ও অফলাইনে সহায়তা করছে এক প্রভাবশালী বিদেশি।
রুহুল কবির রিজভী বিএনপি নেতাদের নামে চাঁদাবাজির অপরাধে অবিলম্বে নাহিদ রেইনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অ্যাঙ্কর ও লোগো ব্যবহার করে তাদের মিথ্যা উন্নয়নের অসংখ্য ডিপ ফেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
এছাড়া তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস সম্পর্কেও ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ডিপ ফেক ভিডিওটির গুরুত্ব অনুধাবন করে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সংবাদদাতা বেঞ্জামিন পার্কিন গত ১৪ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে কীভাবে এআই ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের একটি দুর্বৃত্ত চক্র ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করছে।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে এই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা