রাজনীতি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে আ.লীগের নানা কর্মসূচি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালন করবে রবিবার।
বিএনপি-জাময়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে দিবসটি পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি।
দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ আগস্টে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
কাল সকালে প্রথমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে নির্মিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুক হাইকোর্টে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের সম্মান জানাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খী ও সর্বস্তরের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই দিন হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন লোক নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সেদিনের হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মী ল্যান্স করপোরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আব্দুল কুদ্দস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুন্সি, হাসিনা মমতাজ রীনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম, মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মো. হানিফ, আবুল কাশেম, জেহাদ আলী, মমিন আলী, এম শামছুদ্দিন এবং ইসহাক মিয়া।
এছাড়া গ্রেনেড হামলায় স্প্রিন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক আবু সায়্যিদ এবং এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের জন্য জাপানে বিশেষ দোয়া
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী আজ
বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক তালেবানী চক্র: ইনু
বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক তালেবানী চক্র বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেছেন, দেশে শুধু বিএনপিই নয় জামায়াত, রাজাকার এবং হেফাজত ও তালেবানী চক্রের মিলনে অস্বাভাবিক একটি সরকার তৈরির পায়তারা চলছে।
শনিবার দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জাসদের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের যাপিত জীবনকে পুঁজি করে তারা ঘোলা পানিতে ক্ষমতা দখলের পায়তারায় লিপ্ত আছে।
ইনু আরও বলেন, দেশের সংবিধান বিচার বর্হিভূত হত্যা স্বীকার করে না। জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল যে মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেছে সরকারও সে পক্ষে। এসব বিষয় পুঁজি করে যারা সরকার অদল বদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এছাড়া বর্তমানে সিন্ডিকেট করে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে।
বরিশাল জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হাই মাহাবুবের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন, জাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য হাসানুল কবির বাদল, জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
আরও পড়ুন:গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
বাম জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
অন্যের সহায়তায় যারা ক্ষমতায় আছে তারা বাংলাদেশকে শাসন করতে পারে না: ফখরুল
শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের ‘সমর্থন’ চাওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা অন্যের দয়ায় ক্ষমতায় থাকে তাদের বাংলাদেশকে শাসন করার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না এবং তারা একের পর এক তার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ যখন নিজেদের স্বাধীন (জাতি) হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে সাহায্য করতে বলেন।’
লোডশেডিং, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক দমননীতির প্রতিবাদে শনিবার ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউটিএবি)-আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মন্তব্যে প্রতীয়মান হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকার ভারত সরকারের মদদে ক্ষমতায় এসেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তার অবস্থান থেকে সরে আসেননি এবং তিনি আগে যা বলেছিলেন পুনরায় তা নিশ্চিত করেছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সুতরাং আমাদের পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যারা অন্যের দয়ায় ক্ষমতায় থাকে তাদের এই দেশ শাসন করার অধিকার নেই। তাদের এদেশের সরকার চালানোর কোনো অধিকার নেই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় থাকতে পারেন তার জন্য তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, এই সরকার দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ‘এটাই আমাদের সমস্ত সংকটের মূল কারণ। আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে এবং নির্বাচিত না হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশকে ধ্বংসকারী এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে অপসারণ করে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করা এখন আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: বাম জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন
জ্বালানি সংকটের পেছনে রয়েছে দুর্নীতি, লুটপাট, আত্মঘাতী চুক্তি: বিএনপি
ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের 'দয়ায়' ক্ষমতায় আছে কিনা প্রশ্ন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সমর্থন চাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক সমাবেশ থেকে মন্ত্রীরা বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন। আপনারা যখন এত হুমকি দিচ্ছেন, তখন কেন আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের সরকার এবং আপনাদের প্রধানমন্ত্রীকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্য চাইছেন?’
সোমবার এক আলোচনা সভায় এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
আরও পড়ুন: ভারতকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায়ে সাহায্য করতে বলেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তাদের দল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সরকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারত সরকারের কাছেও জানতে চাই যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তার অর্থ কী? তার মানে কি এই সরকার ভারতের সমর্থনে টিকে আছে? মানুষ এর অর্থ জানতে চায়। এটা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সত্যিই স্বাধীন রাষ্ট্র হবে কি না, বাংলাদেশ সত্যিই একটি গণতান্ত্রিক দেশ হবে কি না এবং বাংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার হরণ করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করে জনগণকে ভোট ও নির্বাচিত করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় থাকতে পারেন তার জন্য তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন বিদেশি শক্তির শক্তিতে বলীয়ান নয়, আমরা বাংলাদেশের জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। সমস্ত বৈদেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু।
তিনি বলেন, 'এই দেশে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সুতরাং যারা অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বের হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বিশ্ব থাকতে পারে না।'
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য আওয়ামী লীগকে নাকি বিদেশি শক্তি টিকিয়ে রেখেছে -এ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ, জনগণের শক্তিতেই আমরা বলীয়ান। বিএনপির পৃষ্টপোষকতায় সারাদেশের ৫০০ জায়গায় বোমা ফোটানোর প্রতিবাদে ১৭ আগস্ট সমগ্র দেশব্যাপী আমরা বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। এটা ছিল ট্রায়াল মাত্র। কিন্তু গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেবের যে সংবাদ সম্মেলন তাতে আমার মনে হল ট্রায়াল দেখেই তারা ভয় পেয়ে গেছে। আমরা মাত্র রিহার্সেল দিয়েছি, ফাইনালি নামব আগামী মাসে, তখন তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের তুলনা হয়না: তথ্যমন্ত্রী
১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনকে জবাই করা হয়েছিল। কিন্তু কারবালার প্রান্তরে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি, তাদের সবাইকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১১ বছরের বেবি সেরনিয়াবাতকে হত্যা করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা বেগম আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন প্রকৃতপক্ষে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারসহ সকল কুশীলব ও এর পটভূমি রচয়িতাদের মুখোশ উন্মোচন ও বিচারকের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঠিক ইতিহাস জানানো আমাদের দায়িত্ব।'
সভার আয়োজক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, স্বজন কুমার তালুকদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
ফিলিস্তিন, মিয়ানমারে নজর দিন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকারদের কথা শুনুন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত ফিলিস্তিন, মিয়ানমারের দিকে নজর দেয়া এবং ভালো হতো যদি তাদের হাইকমিশনার এদেশে ২০১৩-১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে হতাহতদের পরিবারের কথা শুনতেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে শিশুরা ইসরায়েলি সৈন্যের দিকে ঢিল ছুঁড়লে প্রত্যুত্তরে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে তাদের হত্যা করা হয়। আর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশকে বাহবা দিলেই হবে না, মিয়ানমারে গিয়ে সেখানে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। মানাবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটা এসব দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নজর দেয়া উচিত।
ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লংঘনকারী জিয়া ও তার দল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল, খুনিদের পূণর্বাসিত করেছিল। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা নিষ্কন্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। আর ২০১৩-১৪-১৫ সালে তার তৈরি করে রেখে যাওয়া দল বিএনপি ও তাদের দোসর জামাতের হরতাল-অবরোধের নামে শত নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপির মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমার শঙ্কায় জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট তার সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ সফরকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যে কথা বলেছেন, সে প্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এই আইন। আমাদের এ আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলবো অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুরে এ আইনের দিকে তাকাতে। সেখানকার আইনে আমাদের চেয়েও কঠিন ধারা আছে। আমাদের যে ধারাগুলো নিয়ে কথা হয়, ভারত ও পাকিস্তানেও একইরকম ধারা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রেমওয়ার্ক ল' করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। সেটির আলোকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের আইন করেছে। কই, সেগুলো নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না।
'অনেক সময় আইন না পড়ে, না বুঝেও নানা ধরনের কথা বলা হয়' উল্লেখ করে সেইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'হ্যাঁ, এই আইনের যাতে কোনো অপপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য আমরা সতর্ক আছি, কেউ যাতে নিগৃহীত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।'
হাছান মাহমুদ এসময় গভীর শ্রদ্ধা ও শোকে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদদের স্মরণ করেন এবং বলেন, 'যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলব ও যারা এর পটভূমি রচনা করেছে, বাসন্তীকে জাল পরিয়ে জনগণকে উত্তেজিত করেছে, তাদের বিচার ও মুখোশ উন্মোচনের জন্য কমিশন গঠনের দাবির সঙ্গে আমি একাত্ম।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে কৃষিবিদ ও কৃষির সকল ক্ষেত্রে কর্মরতদের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে একটি নিবেদন হিসেবে পরিবেশ গবেষক ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের আয়তনের চারভাগের একভাগ নেদারল্যান্ডসের কৃষিখাতে বার্ষিক রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রায় আমাদের মোট রপ্তানির সমান। আশা করি, আমাদের কৃষিবিদরা কৃষিজমি রক্ষাসহ বহুমুখী কার্যক্রমে দেশের কৃষিখাতকে তৈরি পোশাক খাতের মতো অন্যতম প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎসে পরিণত করতে সচেষ্ট থাকবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা ফের মাঠে, প্রতিরোধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, জিয়াউর রহমান কমিশন্ড অফিসার হিসেবে জীবনের বিনিময়ে হলেও রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে তা ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধু হত্যায় কুশীলবের ভূমিকা নিয়েছেন, সংবিধান লংঘন করেছেন, সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছেন।
বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছিল ও সরকারি চাকরি দিয়েছিল তারা এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান চায় এবং বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। এরাই দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল এবং এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. মো. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী
অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে অযথা পণ্যের দাম বা পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘জ্বালানির সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধিকে সুবিধা হিসেবে নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের মুনাফা বাড়াতে পণ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বাড়িয়েছে। এটি (অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি) কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সরকার এগুলো মনিটরিং করছে এবং আশা করি ব্যবসায়ী সংগঠন ও নেতারা এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখবেন। প্রয়োজনে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা হরতাল (হরতাল) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিশ্বজুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে।
এ সময় গণতান্ত্রিক বাম জোটের হরতাল কর্মসূচির লাভ যেন বিএনপি নিজের ঘরে না তুলতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বাম নেতাদের অনুরোধ করেছেন তিনি।
এই আওয়ামী নেতা বলেন, ‘বাম ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। এ কারণে আমি তাদের সম্মান করি। কিন্তু বাম ভাইরা হরতাল ডেকেছেন, যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন। গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন। কিন্তু বাম ভাইদের আমি বিনীত অনুরোধ করবো তাদের কর্মকান্ডে যেন স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গিগোষ্ঠি এবং দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপিসহ যেন অন্যরা লাভবান না হয়। তাদের হাতে যেন দেশটা চলে না যায়, সেভাবেই তারা তাদের কর্মকাণ্ড করবেন এটাই আমার অনুরোধ।
আরও পড়ুন: বাম জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন
জ্বালানি তেলের দাম কমানোসহ কয়েকটি দাবিতে আগামী ২৫ আগস্ট দেশজুড়ে অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট। মঙ্গলবার শাহবাগে এক সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যেসব গুমের কথা বলে কিছুদিন পরে দেখা যায় তাদের খুঁজে পাওয়া যায়। বিএনপি যে গুমের তথ্য প্রকাশ করে এগুলো যে সঠিক নয় এতে সেটিই প্রমাণ হয়। বাংলাদেশে যারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে আমি মনে করি যে আজকের দিনের দাবি হচ্ছে যে, ২০১৩-১৪ সালে যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বা সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর জন্য যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, এগুলোর দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।
ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, অগ্নিবোমা মানুষের ওপর নিক্ষেপ করেছে তাদেরকে মদদ দিয়েছে যেসব বিএনপি নেতারা তাদের দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন। দ্রুত বিচার না হলে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে না, এটাই আজকের দাবি হওয়া উচিৎ।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সু-সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর। এই মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় চেষ্টা করছে সরকার। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের দেড় শতাধিক অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুর মাঝে খাবার পরিবেশন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর আগস্ট মাসের একদিন দুপুরে তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে এভাবে খাবার পরিবেশন করে আসছে আইন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, সকলেই জানেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কতদিন পর শুরু হয়েছে। আবার বিচার করতে গিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছে। সেকারণে অধস্তন আদালতে বিচার শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এটি এখন উচ্চ আদালতে আছে। খুব শিগগিরই এই মামলার আপিল শুনানি শুরু করা হবে। এ ব্যাপারে এটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাঁর সরকারের সময় যেহেতু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হয়েছে, তাই সব হত্যা মামলারই বিচার হবে। ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, সব মামলার বিচারই পর্যায়ক্রমে শেষ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারোয়ার এবং তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত করার এখতিয়ার নেই: কাদের
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘কথিত গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কাছে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে তা তদন্ত করার কোনো এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই।’
২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার ১৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারাদেশে ৫০০ টিরও বেশি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা হয়।
পড়ুন: বাম জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন
সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার ১৭ বছর
বাম জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী, জ্বালানি ও সারের পাশাপাশি পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ২৫ আগস্ট সারাদেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের (এলডিএ) ডাকা অর্ধদিবস হরতালে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার রাজধানীর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানে কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
অস্বাভাবিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি বাম দলগুলোর হরতালকে সমর্থন করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি ন্যায্য দাবি আদায়ে যে কোনো দলের আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি।’
এর আগে ১৬ আগস্ট বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট এলডিএ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৫ আগস্ট দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল ডাকে।
গত ৫ আগস্ট সরকার ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বর্তমানে ডিজেল প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, অকটেন প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতি এবং দীর্ঘদিন ধরে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত ৯ আগস্ট বিএনপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আজ বুধবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি। আগামী ১৯ আগস্ট রাজধানীতে জ্বালানি খাত নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করবে দলটি।
এছাড়া ২২ আগস্ট থেকে মহানগর ও তাদের সকল ওয়ার্ড, জেলা ও উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।