রাজনীতি
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ‘বিশাল শোডাউনের’ প্রস্তুতি বিএনপির
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সংকটের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জনসভার মাধ্যমে ‘বিশাল শোডাউন’ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
আন্দোলনের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলকে শক্তিশালী বার্তা দিতে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট এরই মধ্যে রাজধানীর সব ওয়ার্ড থেকে জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বুধবার ইউএনবিকে দলটির শীর্ষ নেতারা এসব কথা জানিয়েছেন।
এদিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, জনগণ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে তখন সরকার জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তারা সরকারের এই অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশে বিশাল জনসমাগম প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দেবেন।’
সালাম জানান, নগরবাসী যারা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়, তারাও সমাবেশে অংশ নেবেন বলে তারা আশাবাদী।
তিনি বলেন, সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমাবেশকে ব্যাপক সফল করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে কি না জানতে চাইলে সালাম বলেন, তারা বিষয়টি পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন জনসমুদ্রের সাক্ষী হবে। ‘এটি একটি স্মরণীয় সমাবেশ হবে কারণ আমরা এর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তারা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাবেশ করবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সমাবেশের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে আমাদের শক্তি সম্পর্কে বার্তা দেব এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাব।’
এর আগে সোমবার জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের প্রতিবাদ সমাবেশসহ দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
'গণতন্ত্র মঞ্চ' রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন ও রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষরা নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে 'গণতন্ত্র মঞ্চ' নামে যে জোট গঠন করেছে, রাজনীতি কিংবা ভোটের মাঠে তার কোনো গুরুত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় মন্ত্রী তার মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সোমবার জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন -এই সাত দলের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ জোট গঠনে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'গণতন্ত্র মঞ্চ নামে ৭ দলীয় একটি জোট গতকাল গঠিত হয়েছে দেখলাম। যারা এই জোট গঠন করেছে, তারা সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ এবং রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এরা প্রত্যেকেই নানা দল করে, নানা ঘাটের পানি খেয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছেন এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।'
'এটি একটি গুরুত্বহীন জোট এবং ভোটের রাজনীতি বলুন বা দেশের সার্বিক রাজনীতি কোনো ক্ষেত্রেই তাদের কোনো গুরুত্ব নেই' উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারা নিজেরা যেহেতু গুরুত্বহীন, তারা মিলে একটি জোট গঠন করে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মাত্র, অন্য কিছু না।'
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
এর আগে সকালে মহাখালীতে পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জের ধরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, '২০১৯ সালে যখন পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হয়, তখন বিএনপি-জামাত সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে দেয় যে পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত লাগবে, নরবলি দিতে হবে। তাসলিমা বেগম রেনু সেসময় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন। বিএনপি-জামাত সৃষ্ট গুজবের প্রেক্ষিতে তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শুধু তাসলিমা বেগমই নয়, বিএনপি-জামাতের গুজবের কারণে আরও অনেককে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।'
'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবার নির্দেশনা দিয়েছেন' উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় রেনু বেগম হত্যার বিচারের বিষয়েও দলীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহাখালী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
সাতটি রাজনৈতিক দল মিলে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোটকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য বিরোধী জোট হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের উত্থান একটি সাফল্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের সূচনাকে স্বাগত জানাই। তারা (নতুন জোট) যে দাবিগুলো বলেছে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সেই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি।’
মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল বলছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি তারা (নতুন জোট)ও একই দাবি করছে। তাই আমরা মনে করি এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রচেষ্টার সাফল্য। আমরা মনে করি এটি ভবিষ্যতের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য একটি পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
এর আগে সোমবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সাতটি বিরোধী দলের নতুন প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ (গণতন্ত্র ফোরাম) চালু করা হয়।
জোটের শরিক দলগুলো হলো- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী ওনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন।
একযোগে আন্দোলনের জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর প্লাটফর্ম গড়ে তোলার পদক্ষেপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, তাদের প্রচেষ্টা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য তারা এখনও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ছাড়া এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তাদের দল ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করেছে।
ড. নজরুল বলেন, ‘অনেক মন্ত্রী আছেন যারা বলছেন, আমরা আন্দোলন করতে পারি না... আন্দোলন মানে সংগঠিত উপায়ে জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। তা হরতাল বা অন্য বিভিন্ন উপায়ে হতে পারে। এটা এমন নয় যে আমরা হরতাল বা অবরোধ কার্যকর করতে পারব না। তবে কেন আমরা অনুপযুক্ত সময়ে এলোমেলোভাবে এটি করব? ’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পতনের ভয়ে বিএনপি ও এর আন্দোলনকে নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করছেন। ‘তাদের মন্তব্যে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ আছে। তারা মহা বিপদে আছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে লোহাগড়া উপজেলার পারশালনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কাজী তারিকুল ইসলাম (৪২) উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই।
আরও পড়ুন: খালাসের পরও কারাগারে ৭ বছর: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
সোমবার সন্ধ্যায় নড়াইল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গালমন্দ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে কাজী তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) সকালে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সরকার আন্দোলনে ভীত-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণতো কিছু দেখছে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একবার শুনি রাজপথ দখলে নেবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনো শুনি নির্বাচন হতে দেবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।
জ্বালানি সঙ্কটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ সংকট কোনো দেশের নয়, পুরো বিশ্ব একই সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি না করেই বিএনপি ও তাদের দোসররা সরকারকে দোষারোপ করছে।
দুর্নীতির বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি নড়চড় হয়নি।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে এবং জনসাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া উচিত নয়। অন্যথায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
তিনি গণপরিবহনে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করার অঙ্গীকার করেন।
পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
নজিরবিহীন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভোলা জেলা শাখার সভাপতি নূরে আলম ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
সমাবেশে ফখরুল বলেন, চলমান লোডশেডিং এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে সহযোগী সংগঠনের দুই নেতাকে হত্যার বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করাও তাদের কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
ফখরুল বলেন, কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।
এছাড়া, শুক্রবার দলের সকল মহানগর ও জেলা ইউনিট সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর পতন নিশ্চিত করতে তাদের দল আগামী দিনে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে আসবে।
ফখরুল রাজধানীর শাহবাগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ওপর পুলিশের হামলার জন্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগের কাছে এখন দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও হত্যার বিকল্প নেই। ‘কিন্তু তাদের দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হবে।’
উল্লেখ্য, সরকার শুক্রবার রাতে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা: বিএনপি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জাপার
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।
রবিবার দলটির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানের বৈঠকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করবে জাপা যা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার সারাদেশে দলের সকল বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
শুক্রবার রাতে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ, ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ ও ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। বর্তমানে ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, অকটেন প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে জ্যৈষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে হতাশায় ফেলেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে আর ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও আমাদের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে। তাই তাদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না।’
গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভোলা জেলা শাখার সভাপতি নূরে আলম ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আবুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রবিবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করে দেশে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। কারণ এতে সব পণ্যের দাম, সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অর্থনীতিতে খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে।’
ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান হচ্ছে বলে সরকার যুক্তি দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘কেন লোকসানে যাবে? বিপিসি বিগত বছরগুলোতে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা বিপুল মুনাফা করেছিল। সে সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিল, কিন্তু আপনি তা কমালেন না। এমনকি, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করেছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানির দাম তুলনামূলকভাবে কম বলে দেয়া তথ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের নিন্দা করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য ও পরিসংখ্যান দেন। ‘তাদের প্রতিটি তথ্যই ভুল। তাই, আমরা জনগণকে মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম ছিল ১৪ ডলার, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যাওয়ায় তা এখন তিন ডলারে নেমে এসেছে। এর মানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে, অন্যান্য দেশগুলো কমিয়ে দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে আমাদের দেশে তা জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য আরও বেড়ে যায়।’
তিনি বলেন, জ্বালানির দাম; বিশেষ করে ডিজেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধিতে কৃষক, সাধারণ মানুষ ও মোটরসাইকেল চালকদের মারাত্মক দুর্ভোগে ফেলেছে। ‘কিন্তু সরকার এটা নিয়ে কম চিন্তিত। কারণ দেশ চালাতে জনগণ নয়; পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী দরকার। এটা আর চলবে না। দেশের মানুষ আর এই শাসনকে এভাবে দেশ চালাতে দেবে না।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে বলপ্রয়োগ করে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য ইতোমধ্যে অনেক মানুষকে হত্যা করেছেন এবং অনেককে গুম করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আপনারা আমাদের নূরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যা করেছেন।’
৩১ মার্চ বিএনপির সমাবেশে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আরমান হোসেন গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত এবং ছাত্রদল নেতা নূরে আলম গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ফখরুল বলেন,‘আমরা চাই সরকার অবিলম্বে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করুক এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল
সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা: বিএনপি
সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আরও বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গতরাতে (শুক্রবার রাত) জ্বালানি তেলের মূল্য একধাপে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা ছাড়া কিছুই নয়।’
শনিবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা শাখার ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়।
শনিবার সড়কে গণপরিবহনের কমতির বিষয়টি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কারণ যাতায়াতের ভাড়া বাড়বে; এছাড়া চাল, ডাল, লবণ ও ভোজ্য তেলসহ সকল প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো দেশে এর প্রভাব পড়বে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে জনগণকে সরকার ভুল তথ্য দিয়েছে। কিন্তু রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তারা (সরকার) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
তিনি বলেন, ঋণ মঞ্জুর করার জন্য আইএমএফ কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যেখানে বিভিন্ন পণ্য ও খাতে সরকারের ভর্তুকি উঠিয়ে নেয়ার কথাও আছে। তাই সরকার এখন এসব করছে (লোন পাওয়ার জন্য)।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের কিছুটা মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তা অসহনীয় মাত্রায় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেল, গ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলেছে। কাঁচামরিচের দাম এখন ৩০০ টাকা। এধরনের নিপীড়নে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সরকার ‘অতিকায় দানব’ এ পরিণত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই অত্যাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা দেশপ্রেমিকদের এখন একমাত্র দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলন কোনো চক্রান্ত হতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছেন যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে এবং তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের চেনেন। আমি তাকে অনুরোধ করতে চাই... আপনি স্পষ্টভাবে তাদের নাম প্রকাশ করুন দয়া করে। জাতি জানতে চায় তারা কারা।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
সরকার পতনের যে কোনো আন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্র নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে চাই যে আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনকে সরিয়ে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে কোনো চক্রান্তের প্রশ্নই আসে না। আওয়ামী লীগই ২০০৮ সালে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালে বিএনপিকে হারানোর ষড়যন্ত্র করেছিল এবং আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচন একইভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল... এমনকি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছিলেন যে রাতে ভোট হয়েছে এবং তারা নিজেরাই করেছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তারা আবারও আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের [ষড়যন্ত্রকারীদের] সবাইকে চিনি,’ তিনি বলেছিলেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে, অনেক সাংবাদিককে দমন ও হত্যা করেছে, অনেককে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়েছে এবং মিডিয়াকে আটকানোর জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। ‘আওয়ামী লীগের জন্য এটা স্বাভাবিক কারণ এটা তাদের মৌলিক চরিত্র। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মানুষকে ধোঁকা দেয়াও দলের চরিত্র। এই দল যা বলে তার ঠিক উল্টোটা করে।’
৬৪ জেলার মধ্যে ৪০টিতে পুলিশ সুপার (এসপি) বদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনে নতুন করে রদবদলের মাধ্যমে যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগের সদস্য তাদের এসপি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম