রাজনীতি
বিদ্যুৎ বিভ্রাট: ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
মঙ্গলবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনদিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট ২৯ জুলাই এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট ৩০ জুলাই বিক্ষোভ করবে। এসময় অন্য সকল মেট্রোপলিটন শহরে এই কর্মসূচি পালন হবে।
এছাড়া বিএনপির সকল জেলা ইউনিট ৩১ জুলাই একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করার আহ্বান জানানো হয়।
ফখরুল বলেন, শহরাঞ্চলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা এবং গ্রামাঞ্চলে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া নিয়ে তাদের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে আরও বলা হয়, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে সঙ্কট আরও বেড়েছে। ‘শুধুমাত্র দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুণ্ঠনের জন্য সরকার দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সঙ্কট শিল্প ও কৃষি খাতে প্রভাব ফেলার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ফখরুল আরও জানান, শিগগিরই তারা একটি প্রেস কনফারেন্সে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে হওয়া দুর্নীতি, অসঙ্গতি ও অব্যবস্থাপনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে বিএনপি-জাসদ
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি মেনে নিন নতুবা ক্ষমতা হারাবেন: আওয়ামী লীগের প্রতি ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দার আলী আর নেই
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সচিব হায়দার আলী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
রবিবার রাত ১০টায় রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হায়দারের ছেলে ব্যারিস্টার জিসান হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাবা অনেকদিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থহীনের সাবেক ড্রামার রুমি রহমান আর নেই
জিসান বলেন, ভোটকান্দি ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণখোলায় পারিবারিক কবরস্থানে হায়দারকে দাফন করা হবে।
হায়দার আলী কর্ম জীবনে তথ্য, পাট ও বস্ত্র এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৮ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে বিএনপি-জাসদ
বিএনপি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একযোগে আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গঠনে সম্মত হয়েছে।
রবিবার জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রবের রাজধানীর উত্তরার বাসায় দল দুটির মধ্যে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে তাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বৈঠক শেষে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গড়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি তারা দেশ ও এর শাসন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠবে। আন্দোলন নিজেই তার গতিপথ এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।’
রব বলেন, তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য একই সঙ্গে ‘স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা এবং এর নিপীড়নমূলক অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে অপসারণ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা জনগণের সঙ্গে একত্রে মাঠে থাকব, যারা আমাদের গন্তব্য নির্ধারণ করবে। মাঠে আন্দোলনের কৌশল তৈরি করা হবে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন তদারকিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে চা খেতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি প্রথমে বলেন যে আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন। আপনি এই ঘোষণা দিন, তারপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে চা খেতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।’
রবিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার গঠনই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না হওয়ায় দেশ এখন ব্যাপক দুর্নীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং, আমরা বলতে চাই, চা খেতে দেয়ার মতো হাস্যকর মন্তব্য করার কোনো মানে হয় না। আমরা একটি কথা বলতে চাই যে আপনি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করুন এবং এভাবে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনুন।’
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিএনপি নেতারা তার কার্যালয় (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) ঘেরাও করতে এলে তিনি চা খাওয়াবেন।
আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যা বলতে চায় আমি তাদের কথা শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে ঐক্য গড়তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘ভয়ঙ্কর শাসন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি দেশবাসীকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে পরাজিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং এভাবেই দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: সিইসির প্রশংসা করলেও বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেবে না বিএনপি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি আমার কার্যালয় দখল করতে এলে চা দেবো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই বিএনপির নেতারা তার (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কার্যালয় দখল করতে এলেও তিনি তাদের চা খাওয়াবেন এবং ধৈর্য ধরে তাদের কথা শুনবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের চা দেব, বসার জায়গা দেব। তারা যা বলতে চায় আমি তা শুনব। দেখুন, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
শনিবার আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বোমা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘কিন্তু, যদি তারা বোমা নিক্ষেপ করে এবং ভাংচুর করে তবে তারা উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা,’ তিনি বলেছিলেন।
বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখল করতে চাইলেও পথে ব্যারিকেড না দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলামোটরের ব্যারিকেড পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের (বিএনপি) মিছিলে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তারা যেখানে খুশি সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে পারে।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন আ.লীগের প্রধান। তিনি বলেন, ‘এখন কে দল চালাচ্ছে? বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী দলের নেতা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি তা করছে। ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির একজন নেতা দেশ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে বসবাস করছেন।
সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ নাকচ করে দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সারাদিন কথা বলার পরে, তারা অভিযোগ করে যে তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। কিন্তু তারা অভিযোগ করে যে তাদের মিছিলে জনগণকে অংশ নিতে দেয়া হয় না। ‘কেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লোকেরা অংশগ্রহণ করবে,’ তিনি প্রশ্ন করেন।
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি মেনে নিন নতুবা ক্ষমতা হারাবেন: আওয়ামী লীগের প্রতি ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে তাদের দলের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় জড়ানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবি (নির্বাচনকালীন সরকার) মেনে নেয়ার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাধান আসবে।
এবার জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দাবি আদায়ে আগামী দিনে অন্য সব বিরোধী দলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন শুরু করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীতে অনেক আন্দোলন করার অভিজ্ঞতা আছে। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে আমরা ১৯৯০ সালে এমন একটি আন্দোলন করেছি..আমরা এখন সেই মডেল অনুসরণ করে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করবে। ‘আন্দোলন নিজেই পরে নির্ধারণ করবে এটি কোন পথে যাবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন প্রশাসন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে সরকার রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণভাবে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিইসির প্রশংসা করলেও বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেবে না বিএনপি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আসলেই বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে বোঝা উচিত যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের জন্য কিছু না করে শুধু বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে বিএনপি জনগণের সামনে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারছে না। বিএনপি নেতারা জাতির সামনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ সফলতার সঙ্গে সব সংকট মোকাবিলা করেছে।
তার দাবি, বিএনপি নেতারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসকে নস্যাৎ করতে প্রতিনিয়ত নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
কাদের বলেন, বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে একটি হতাশাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত হতাশার গল্প বলে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা প্রায়ই বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে দেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে চায়।
তারা দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায় বলেও জানান তিনি।
দুই দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি আলাদা উল্লেখ করে কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে সমান্তরালে রেখে তুলনা করার কোন সুযোগ নেই।
পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা খুন
কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা খুন
কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইমন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইমন হাসান মাওলা উত্তর টেকপাড়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাছানের ছেলে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের পরিবার জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেশকার পাড়ার বাঁকখালী নদীর সিকো বরফ কল পয়েন্টে ইমন তার বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যায়। একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ খান, সৈয়দ আকবর, রমজান, ইমান, সানি ও ফরহাদসহ একদল দুর্বৃত্ত ইমনকে নির্বিচারে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গিয়াস বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে রয়েছে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: বড় ভাইয়ের ঘুষিতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রকল্পে ‘মেগা’ দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অন্ধকার এক খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ জীবিকার সব উপায় হারিয়ে ফেলেছে। দেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচক এখন নিম্নগামী।’
সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিতে দেশ ভরে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লুটপাট, মানি লন্ডারিং, হত্যা ও দুর্নীতির গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের আর্থিক খাত লুণ্ঠনে সবসময় (লুটেরাদের) সহযোগিতা করেছে। কারণ লুটপাটের মূল হোতারা সবাই সরকারের এজেন্ট...বাংলাদেশকে দেউলিয়া করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লোডশেডিং সরকারের ভুল নীতির ফল: বিএনপি
ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে এ বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইল থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে ফেনীর বাসায় নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি নেতা বলেন, জসিমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকতে এবং তার দুঃশাসন অব্যাহত রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই তারা দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণকে শত্রু মনে করে ক্ষমতাসীন দল সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন আওয়ামী কারাগারে বন্দী। নাৎসি শাসনের বিষাক্ত দখলে মানুষের জীবন বিপন্ন এবং সবাই জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দলের অস্তিত্ব সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘তাই তাদের এখন একমাত্র কর্মসূচি পরিকল্পিত ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারের জন্য মিথ্যা মামলা করা। সরকার নির্লজ্জভাবে প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
ফখরুল বলেন, সরকারের সেই ‘অশুভ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জসিমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জসিমের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
সরকার পতনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: আব্বাস
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এবং সাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে বিনাশ করতে হলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের চিরতরে বর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি, একাত্তর সালে যারা ফতোয়া দিয়েছিল, হিন্দুরা গণিমতের মাল, সেই জামায়াতে ইসলাম বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল এবং তারা স্লোগান দেয়- আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।’
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও যুব সংগঠনকে যুবকল্যাণ তহবিলের অনুদানের চেকও বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে নয়, জনগণের কাছে যান: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী