রাজনীতি
ফের হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় শুক্রবারে রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার গুলশানের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।
তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ভোর ৩টা ২০ মিনিটে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
তবে ডা. জাহিদ তার অসুস্থতার বিষয়ে বিস্তারিত কি রাজি হননি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, চেয়ারপার্সন গুলশানের বাসা থেকে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন এবং সোয়া ৩টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
লুটকারীদের সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দেয়ায় সরকারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব, সাধারণ মানুষের জন্য নয়।
তিনি বলেন, ‘যারা জনগণের টাকা চুরি, ছিনতাই ও লুটপাট করেছে এবং পিকে হালদারের মতো তা বিদেশে জমা করেছে তাদের সাহায্য করবে এ বাজেট। তারা এখন ৭ শতাংশ কর দিয়ে বিদেশ থেকে কালো টাকা আনতে পারবে এবং কেউ এর বিরুদ্ধে কোনও প্রশ্ন তুলতে পারে না।’
শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতা আরও বলেন, অর্থ পাচারকারীরা দুদকের হাতে ধরা পড়বে না এবং কর দিলে তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট কোনো প্রশ্ন তুলবে না।
আরও পড়ুন: এটি লুটের বাজেট: ফখরুল
ফখরুল বলেন, সরকার এখন জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করছে, দেশের অর্থনীতি ও সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ৭ থেকে ১৫ শতাংশ করের বিনিময়ে বৈধ করা যাবে।
তিনি বলেন, বাজেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ভাড়া এবং সারের দাম কমাতে সাহায্য করবে না। গ্যাসের দাম যেমন বাড়বে, তেমনি সার ও সব পণ্যের দামও বাড়বে। কিন্তু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তেমন বাড়েনি।
বাজেটে জনপ্রশাসনে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, ডিসি, ইউএনও এবং সচিবালয়ে যারা কাজ করেন তাদের বেতন ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার এটা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফলে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
বাজেট ২০২২-২৩: কৃষিযন্ত্রে বিশাল ভর্তুকি
এটি লুটের বাজেট: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের আগামী বছরে জনগণের টাকা লুটপাটের সুযোগ বাড়াতে নতুন জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা বাজেট নিয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসি, কিন্তু এবার আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই না...এই বাজেট কে দিচ্ছে? তারা জনগণের প্রতিনিধি নয়।’
কাফরুল থানাধীন ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির চারটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলে ফখরুল আরও বলেন, বাজেট পেশ করার অধিকার যাদের নেই তারাই এই বাজেট দিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) শুধু লুটপাটের জন্য বাজেট তৈরি করে। তারা ভবিষ্যতে কত টাকা লুট করবে তার একটি হিসাব করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে। এখন তারা সেখান থেকে কত টাকা লুটপাট করবে তার একটি হিসাব করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, জাতীয় বাজেট নিয়ে তিনি বেশি কথা বলতে আগ্রহী নন, কারণ এই বাজেট কেবল ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লুটের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।
ফখরুল বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করে দেশের মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে, পুরো জাতি খারাপ সময় পার করছে। শুধু তাই নয় তারা দেশে লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট এবং তার চতুর্থ বাজেট।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উন্নয়নের হারানো গতি ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট রেখেছেন কামাল।
পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: উৎসবের আমেজ ফিরল সংসদে
বাজেট ২০২২-২৩: দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে
বাজেট ২০২২-২৩: পাচার হওয়া অর্থ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ
জনগণকে ‘চরম দুর্ভোগে’ ফেলায় সরকারের সমালোচনা বিএনপির
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে সরকার দেশের মানুষকে ‘চরম দুর্ভোগে’ ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সরকার দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। এ সমাবেশে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর।
আরও পড়ুন: জোনায়েদ সাকির ওপর হামলায় বিএনপির নিন্দা
এ সময় তিনি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং জনগণের ভোটে কখনোই নির্বাচিত হতে পারবে না।
আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির অনুসারী ও স্থানীয় জনগণকে সংগঠিত করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যা করা দরকার তা করতে হবে... জনগণের সংগ্রাম কখনই বৃথা যায় না এবং কখনও বিফলে যায় না। দলমত নির্বিশেষে সবাই এই সরকারের পদত্যাগ চাইছে।’
আরও পড়ুন: কন্টেইনার ডিপোতে আগুন: সরকারের অবহেলাকে দুষল বিএনপি
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল গণতন্ত্র ধ্বংস, মানুষ হত্যা, প্রতারণা ও লুণ্ঠন করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা এখন শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবে। ‘এই সরকারকে অপসারণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। রাজপথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
জোনায়েদ সাকির ওপর হামলায় বিএনপির নিন্দা
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটি একটি নারকীয় হামলা এবং ইতিহাসে কলঙ্ক হিসেবে থাকবে।’
মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে হাসপাতালে গিয়ে হামলার শিকার হন সাকি। এ ধরনের হামলা কেবল কাপুরুষের পক্ষেই সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘এই হামলা সভ্যতা ও মানবিক মূল্যবোধ বিরোধী। সরকার সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে যে দেশ চালাতে চায়, আজকের (গতকাল) ঘটনা তারই প্রমাণ।’
আরও পড়ুন: চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের সব ব্যর্থতা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর কৌশলও এই হামলা।
সাকির ওপর হামলার মধ্য দিয়ে ‘পৈশাচিক নাৎসিবাদ’ আরও তীব্রভাবে প্রকাশ পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসীদের রক্তাক্ত ছোবল থেকে নিস্তার পাচ্ছে না বিরোধী দল ও মতের মানুষেরা। এটা কীসের আলামত? ভোট, গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিরোধী শক্তিকে আক্রমণ করে ধ্বংস করতে তাদের অপচেষ্টা থেমে নেই। সরকার তাদের সব শক্তি দিয়ে একের পর এক অশুভ পরিকল্পনা এঁটে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে জোনায়েদ সাকির ওপর আক্রমণ করে তাঁকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এখন তাদের প্রতিহত করার সময়।’
‘ফ্যাসিবাদের’ বিরুদ্ধে রাজপথে ব্যারিকেড দিয়ে ‘অবৈধ’ সরকারকে পরাজিত করতে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ারম্যান সাকিলের দাফন সম্পন্ন
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি জোনায়েদ সাকির ওপর আওয়ামী ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং তার দ্রুত সুস্থত কামনা করছি।’
হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর হামলায় সাকিসহ তার দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কন্টেইনার ডিপোতে আগুন: সরকারের অবহেলাকে দুষল বিএনপি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য সরকারের অবহেলা ও অক্ষমতাকে দায়ী করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য সরকারের অবহেলা, সমন্বয়হীনতা ও অক্ষমতাই দায়ী বলে আমাদের বৈঠক মনে করে।’
সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। এ বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মঙ্গলবার দলটির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সব জায়গায় দুর্নীতি, জবাবদিহির অভাব ও সরকারের অক্ষমতার কারণে এত মানুষ মারা গেছে এবং ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ ধরনের ঘটনা ও দুর্ঘটনা রোধে কিছু নিয়ম-কানুন এবং পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত, কেউ এগুলো পর্যবেক্ষণ করে না। যাদের দায়িত্ব সমন্বয় নিশ্চিত করা তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না। এ কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।’
জনগণ ও সংসদের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহি না থাকায় সরকার সমর্থিত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে জবাবদিহি না করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘এই রাষ্ট্র কাজ করছে না এবং এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। আমি প্রায়ই বলি যে এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কারণ রাষ্ট্র কাজ করছে না, মিশিনারি কাজ করছে না এবং তারা যা করছে তার জন্য কেউ দায়বদ্ধ নয়। এই জন্যই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি
ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ উদঘাটন ও এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর লাইসেন্স নবায়ন না করার প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এর মালিকদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা উচিত।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান ফখরুল।
পদ্মা সেতুর ভিত্তি নিয়ে মিথ্যাচার করে নিজের রেকর্ড ভাঙলেন মির্জা ফখরুল: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন নিয়ে মিথ্যাচার করে বিএনপি মহাসচিব নিজের অসত্য কথনের রেকর্ড ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকরা মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্য 'বেগম জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছেন' এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'ফেসবুকে দেখলাম যে ফখরুল সাহেব একজন ভদ্র মানুষ। কিন্তু কোনো কিছু না খেয়েও যে তিনি জলজ্যান্ত মিথ্যা কথা বলতে পারেন, সেটি প্রমাণ করে মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেই নিজের মিথ্যাচারের রেকর্ড ভঙ্গ করলেন। আসলে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়াতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় তার মোবাইল থেকে ভিত্তিপ্রস্তর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মো. আনিছুল হক চৌধুরীর বাণী ও স্মরণিকার ছবিগুলো উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপিকে এ ধরনের অপপ্রচার না করে ভুল স্বীকার করার অনুরোধ জানাই। বিএনপির এখন বলা উচিত, তারা যে পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, সেটি তাদের ভুল ছিলো। ভুল স্বীকার করতে কোনো বাধা নেই, লজ্জাও নেই।'
পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি
এর আগে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস আয়োজিত 'শিশু বিষয়ক উন্নয়নে সাংবাদিকতা' বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
কর্মশালাটিকে সময়োপযোগী বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। আর উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন তাদের আত্মিক উন্নয়ন। কারণ, শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই হয় না। বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নয়নই যদি একমাত্র উন্নয়ন হতো তাহলে ইউরোপের দেশগুলোতে মানবিকতা ও মূল্যবোধের সংকট হতো না, দুর্ঘটনা হলে শুধু জরুরি সেবার অপেক্ষায় থাকতে হতো না, বয়স্ক ব্যক্তি মানেই বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হতো না।'
মন্ত্রী বলেন, 'ইউরোপ-আমেরিকার অন্ধ অনুকরণ নয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্রও গঠন করতে চান। সেজন্য নতুন প্রজন্মের মনের গভীরে মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ-এই চারের সমন্বয় ঘটাতে হবে। এবং এই কাজে সাংবাদিকদের হৃদয়গ্রাহী তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন শিশু, তাদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজকে সচেতন করতে পারে।'
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ কর্মশালায় বক্তব্য দেন। শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পড়ুন: পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি
নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
দলটি অবিলম্বে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৯ জুন ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগর এবং ১১ জুন জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া ১৩ জুন উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করবে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং মূল্য হ্রাসের দাবিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সব অঙ্গসংগঠনগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে।
ফখরুল বলেন, নতুন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এখন আরও বাড়বে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রান্নার চুলার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, সার কারখানা ও শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা গ্যাস কৃষি ও শিল্প উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পণ্যের দাম আরও বাড়বে। জনগণের পক্ষে এই খরচ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আগের দামে ফিরে আসার দাবি জানানো হয়েছে।’
এর আগে রবিবার দেশে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এবং নতুন দাম ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ঘোষণা অনুযায়ী, গ্যাসের দাম গড়ে ঘনমিটার প্রতি ৯ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৯১ টাকা করা হয়েছে।
সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য সব গ্রাহককে প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য বেশি মূল্য দিতে হবে।
পড়ুন: গ্যাসের দাম গড়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়ল
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে সরকারের কাছে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করার জন্য অবিলম্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত।’
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
একই সঙ্গে দেশের সব কন্টেইনার ডিপোতে ‘নজরদারি ব্যবস্থা’ চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার জনগণের কল্যাণে কিছু করে না, তাদের নিরাপত্তার কথাও ভাবে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ‘তথাকথিত অবকাঠামো নির্মাণের নামে নিজেদের পকেট ভারি করা এবং দুর্নীতি করা।’
চট্টগ্রাম অগ্নিকাণ্ডের পর দেশের পোশাক খাত ও অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ‘অবশ্যই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
তাজরীন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর দেশের পোশাক খাতের অবস্থা ভালো ছিল না। ক্রেতা ও পোশাক উৎপাদনকারী ও মালিকদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে গেছে বলে জানান তিনি।
এর জন্য সরকারকে দায়ী করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের উচিত ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করা।
আওয়ামী লীগ এখন লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচারে লিপ্ত। তারা শুধু জনগণের আশা নষ্ট করছে, পদ্মা সেতু ছাড়া আর কিছুই নেই।
এদিকে, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে ভয়াবহ আগুন ও কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৫০ নয় ৪১ বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা থাকায় মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের একজনকে একাধিকবার গণনায় আনার ফলে ভুল হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘একই মরদেহ দুবার কাউন্ট হয়েছে। পরে সবগুলো মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রকৃত সংখ্যা ৪১ জন পাওয়া গেছে। গণনার ভুলে লাশের সংখ্যা বেড়ে গেছে। মূলত এখন পর্যন্ত ৪১টি মরদেহ পাওয়া গেছে।’
পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ ম্লান করতে নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর বেগম জিয়া করেছেন, বিএনপি মহাসচিব স্বপ্নে দেখেই এমন কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ইদানীং এমন অনেক দিবাস্বপ্ন দেখছেন, এটিও সেই দিবাস্বপ্নেরই অংশ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে ফখরুল সাহেবের এ বক্তব্য বছরের সেরা আবিষ্কার।
মিথ্যাচার বিএনপির ধর্ম এটা সবাই জানে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে দিনে দুপুরে নির্জলা মিথ্যাচারের একটি নতুন রেকর্ড।
মাওয়া ও পদ্মার অপরপ্রান্তে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন বেগম জিয়া, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর কাছে জানতে চেয়ে বলেন, কবে, কখন এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন? নব আবিস্কৃত সেই ভিত্তিপ্রস্তরের ছবি দেখতে চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশরত্ন শেখ হাসিনাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা ইতিহাসের অংশ।
তখনকার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত এবং এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ছবিও পত্র- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,যা এখনো সংগৃহিত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যা বলছেন তাতে মনে হয় কয়েকদিন পরে হয়তো বলবেন পদ্মা সেতু জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো গোয়েবলসীয় কায়দায় নিরেট মিথ্যাচারকে বারবার উচ্চারণ করে সত্যে রূপদানের অপচেষ্টা মাত্র।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অতীত ষড়যন্ত্র অব্যাহত মিথ্যাচার এবং গুজব এ সেতুর নির্মাণকে কোনভাবেই বন্ধ করতে পারেনি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মার বুকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নিজস্ব অর্থায়নে গৌরবের এবং সক্ষমতার সেতু নির্মিত হওয়ায় বিএনপি নেতারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছেন।
বিএনপি নিজেরা তো কিছুই করেইনি এখন দেশের উন্নয়নে তাদের গাত্রদাহ হয় দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে তাদের নানান অপপ্রচারের সাথে এখন যুক্ত হলো বেগম জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের রূপকথার গল্প।
তিনি বলেন, এ গল্প সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
পড়ুন: পদ্মা সেতু: উদ্বোধনের অপেক্ষায় খুলনাবাসী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী