রাজনীতি
রওশন ভালো আছেন, দেশে ফিরছেন সোমবার: জিএম কাদের
চিকিৎসার জন্য প্রায় সাড়ে সাত মাস অবস্থানের পর সোমবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
রবিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সোমবার রওশন এরশাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এখন ভালো আছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, রওশন এরাশাদের শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
রওশনকে স্বাগত জানাতে দুপুর ১২টার মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রওশনকে দেখতে থাইল্যান্ড যান জিএম কাদের।
যোগাযোগ করা হলে রওশন এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ এমপি জানান, তার মা এখন ভালো আছেন, তবে খুব দুর্বল।
তিনি বলেন, ‘তার পায়ে সমস্যা আছে এবং এখনও ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। শক্তি ফিরে পেতে সময় লাগতে পারে। ওনার আরও ফিজিওথেরাপি দরকার।’
সাদ জানান, আগামী ৫ জুলাই রওশন ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যাবেন।
এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রওশনকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বুমরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার আগে রওশন এরশাদ (৭৮) বার্ধক্যজনিত জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পড়ুন: উন্নত চিকিৎসার জন্য রওশন এরশাদকে ব্যাংককে নেয়া হয়েছে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৩ দিন থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তার গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, দেশে আবারও ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) এখনও অসুস্থ। তবে তিনি এখন স্থিতিশীল। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে আমরা তাকে এখন এখানে (হাসপাতালে) রাখতে চাই না। তবে কোনো জটিলতা দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।’
‘রক্তপাতের জটিলতা এখন তার জন্য একটি খুব চ্যালেঞ্জিং বিষয়। যেহেতু তার লিভার সিরোসিস সমস্যা রয়েছে, তিনি এখন রক্তপাতের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তার কিডনির জটিলতা কাটিয়ে উঠেছে। তবে হৃদপিণ্ডে এখনও দুটি ব্লকেজ রয়েছে।’
প্রফেসর শাহাবুদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়াকে বাসায় পূর্ণ নজরদারিতে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকার দমন-পীড়ন ও দুঃশাসন চালিয়ে জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করেছে। গুমসহ অপশাসন ও অপকর্মের কারণে দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রেই দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
শুক্রবার ২০১০ সালের ২৪ জুন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমের বাসায় গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ফখরুল।
তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, যাদের গুম করা হয়েছে তাদের জীবনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গুমের শিকার পরিবারগুলো উত্তরাধিকার সনদ ও সম্পত্তির মালিকানা পাচ্ছে না এবং তারা তাদের নিখোঁজ প্রিয়জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা অর্থ লেনদেন করতে পারছেন না। এই পরিবারগুলো গুরুতর সংকটে আছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে।তাদের শাসনামলে সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের সনদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ। কিন্তু ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকার এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতেই বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও হেফাজতে হত্যা করা হচ্ছে, এটা সভ্য সমাজে হতে পারে না।
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার সিলেট সফর করা ফখরুল বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এবং তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ (শুক্রবার) বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কোভিডের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে বলে এভারকেয়ারের মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ভাবছে।’
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বাসায় তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।
জাহিদ বলেন, ‘আশা করি, ম্যাডামকে বিকালের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আজ বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করবে।
গত ১০ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে।
করোনারি এনজিওগ্রামে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে।
১৫ জুন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মানুষ বন্যাকবলিত এলাকায় অনাহারে না খেয়ে আছে। বিনা চিকিৎসায় আছে, অথচ তারা (সরকার) পদ্মাসেতু নিয়ে ব্যস্ত।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার খাজার মোকাম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুলের দাবি, সিলেটের ৩০ লাখ বানভাসি মানুষের জন্য মাত্র ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে শতকোটি টাকা খরচ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য গান-বাজনা হবে। কিন্তু জনগণ না খেয়ে আছে, মারা যাচ্ছে-সেদিকে তাদের খেয়াল নাই। কারণ, জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না।
ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন , বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যার্থ হয়েছে সরকার। লাখ লাখ মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও প্রধানমন্ত্রী গুটিকয়েক মানুষকে ত্রাণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় খালেদা জিয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন-কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ঘুরে গেছেন বন্যাকবলিত এলাকা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতির জন্য বড় বড় প্রজেক্ট করে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য। কিন্তু জনগণের জন্য প্রজেক্ট করে না।
শেয়ালের কাছে যেমন মুরগি দেয়া যায় না, তেমনি শেখ হাসিনার হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া যায় না। তাই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
জনগণের ভোটের অধিকার ফেরাতে এই সরকারকে রুখে দেয়ার জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাওয়ায় ৯০টি পশ্রাব খানা ৯ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করেছে। এই টাকা যদি সিলেটের বন্যার্তদের দেয়া হত তাহলে মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত দিন তারা মানুষের জন্য কোন কাজ করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসনে রেখেছে। এই সরকার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চলনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
পড়ুন: আ’লীগের হাত ধরে বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
আ’লীগের হাত ধরে বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দীর্ঘ ৭৩ বছরের পথচলায় আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাঙালি জাতির সব অর্জন এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে কোনো উৎসব করছে না সরকার: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার পর আরও একটি বড় অর্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বিশ্ববেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস প্রকৃত পক্ষে বাঙালি জাতিরই ইতিহাস। বাঙালি জাতির সব অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িয়ে আছে।
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এখনো স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশে আস্ফালন করে এবং তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি এখনো জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে রাজনীতি করে এবং তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে পরাস্ত করে আমরা বাংলাদেশকে উন্নতি সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির
ঢাকা, ২২ জুন (ইউএনবি)- পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা মানুষ হত্যা করে এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে মারতে চায়; যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. ইউনূসকে চুবিয়ে মারতে চায় তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী কখনো সেখানে যেতে পারে না।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বুধবার সকালে ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায় সরকার।
সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাল সরকার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির সাতজন নেতা-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে- আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুলাল চন্দ্র বলেন, তিনি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়তালি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের হুমকি বলে বর্ণনা করে আসছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাল সরকার
২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বুধবার বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার।
সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির সাতজন নেতা-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে- আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুলাল চন্দ্র বলেন, তিনি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন।
রিজভী বলেন, একজন উপসচিব বিএনপি কার্যালয়ে তিনি উপস্থিত থাকার সময় আমন্ত্রণপত্র দেন। ‘আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এতে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দলের নেতাদের এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কোনো কারণ নেই।
সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি
সাতক্ষীরা সদরে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাঁশদহা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মোশাররফ হোসেন মোশা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপজেলার ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বেগমগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ গুলিবিদ্ধ ৩
বাঁশদহা শহীদ স্মৃতি কলেজের উপাধ্যক্ষ দীপক কুমার মল্লিক জানান, অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন কলেজের কাজ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। কলেজের গেট থেকে একটু দূরেই বাঁশদহা গ্রামে পৌঁছালে পেছন থেকে মাথায় হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত মোটরসাইকেল আরোহী গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়েন যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজিত রায় জানান, মোশাররফ হোসেন মোশার পায়ে যে গুলি লেগেছে, তা ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। পায়ে এক্স-রে করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রচারণার সময় হঠাৎ হামলায় পিরোজপুরে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইউম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গুলি করার কারণ এবং কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষ তাদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বন্যা কবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় ভয়াবহ বন্যার জন্য হাওর অঞ্চলে সরকারের অপরিকল্পিত বাঁধ ও সড়ক নির্মাণকে দায়ী করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার মানুষ ভাত ও খাবারের জন্য হাহাকার করছে। চারপাশের সবকিছু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা খাবার পাবে কোথায়? তাদের কাছে খাবার পৌঁছাবে কী করে?’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সরকার দেশের ৫০ লাখ বন্যা কবলিত মানুষের জন্য মাত্র এক দশমিক পাঁচ টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ ভারতীয় শিল্পী মিমি চক্রবর্তীকে তিন কোটি টাকায় বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
বন্যার জন্য সরকার দায়ী উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এখন রঙিন আলোয় পদ্মা সেতু দেখবেন এবং মানুষকে ক্ষুধার্ত, অনাহারে ও জলমগ্ন রেখে আনন্দে মনের আনন্দে ক্ষমতায় থাকবেন। দেশের জনগণ এটা আর মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাতিল করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিএনপির
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যার কারণ জানার চেষ্টা করেছেন কি? আমরা জানি, রাষ্ট্রের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন হাওর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও একটি সড়ক নির্মাণ করেছেন; যা রাষ্ট্রপতির বাড়ি বলে পরিচিত।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য ৫০-৬০ লাখ মানুষ এখন বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ পানিতে তলিয়ে গেছে, কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদ্মা সেতু নিয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। আপনি পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।’
রিজভী রাত ৮টার পরে দোকান ও শপিং মল বন্ধ করার পদক্ষেপের জন্যও সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। ‘তবে আপনারা কেন রাত ৮টার পর দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন? কোথায় গেল আপনাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ?’
তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি পদক্ষেপ নেয় এবং আইন ও নীতিমালা তৈরি করে। তারা এটা করে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং তাদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করতে।
আরও পড়ুন: বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল