রাজনীতি
অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনেক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার কোনো সংযোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, ‘তিনি (কামাল) পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার প্রস্তাব করেছেন। তার (অর্থমন্ত্রীর) নিজস্ব ফার্ম দীর্ঘদিন ধরে আদম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত…। তিনি এমন অনেক কাজ করছেন যার সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার কোনো সংযোগ নেই।’
বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল নিজেই টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এখন সেই অবৈধ অর্থ বৈধ করছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশ নয়। তারা (আ.লীগ) এটাকে বর্বর, অসভ্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে ফখরুল বলেন, জনগণের প্রত্যাশা ছিল নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের প্রভাব মুক্ত করতে ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা দুঃখজনক যে ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি নির্বাচন কমিশনের চিঠি পেয়েও নির্বাচনী এলাকা ছাড়েননি। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পুরো নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব প্রমাণিত হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইসির নির্দেশনা অমান্য করে সরকারের আদেশে ক্ষমতাসীন দলের এমপি নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করেছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করেছে শুধু কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নয়, বাংলাদেশের পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাই সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।’
গত ৮ জুন নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইসি।
তবে কুমিল্লা-৬ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ বাহার ইসির এ নির্দেশনা মানেননি।
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বুধবার করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) বিকালে সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল সিসিইউতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে দেখতে যান। ‘তারা তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে (খালেদা) কেবিনে রেখে পরবর্তী ফলোআপ চিকিৎসা দেয়া হবে।’
জাহিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে যে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে সেখানে হাসপাতালের সিসিইউ এর সব সুযোগ-সুবিধা স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তাকে কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবেন এবং তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন। ‘মেডিকেল বোর্ড তার অবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে সোমবার জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম পরীক্ষায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ‘ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
বাকি দুটি ব্লকের বিষয়ে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকালে তার হার্টের মূল ধমনীতে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
কুসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কী হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। নির্বাচনের আগে কুমিল্লায় একজন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে বাধ্য করতে ব্যর্থ হয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। এতে প্রমাণিত হয় যে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ অমান্য করার জন্য ইসি যদি ক্ষমতাসীন দলের এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে নির্বাচন কীভাবে হবে সে সম্পর্কে একটি বার্তা দেবে।
আরও পড়ুন: জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
ফখরুল বলেন, কুমিল্লার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের এমপির বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাকক্ষে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গত ৮ জুন নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইসি।
তবে কুমিল্লা-৬ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ বাহার ইসির এ নির্দেশনা মানেননি।
আরও পড়ুন: আগুন নিয়ে খেলবেন না, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
যেখানে একজন সাংসদকে আদেশ মানতে বাধ্য করার ক্ষমতা নেই ইসির সেখানে ভবিষ্যতে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে ইসি-তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি এই নির্বাচন কমিশনে যেই আসুক, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কিছুই করতে পারবে না। এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের পর্যবেক্ষণ ঠিক ছিল।’
খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক শেষে সোমবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড আজ (সোমবার) ম্যাডামের (খালেদার) সর্বশেষ অবস্থা এবং বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে। তারা তাকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জাহিদ জানান, হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে মেডিকেল বোর্ডের ১৯ সদস্যের মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শনিবার তার এনজিওগ্রাম করার পর মেডিকেল বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তা শেষ হবে। আগামীকাল বিকাল ৫টায় আবার মেডিকেল বোর্ড বসবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা খালেদাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আন্তরিকভাবে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে চিকিৎসকরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা ও বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে রবিবার তিনি বলেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম টেস্টে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে প্রায় ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ‘ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়েছে।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, তার কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকেলে তার হার্টের মূল ধমনীতে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড আজ বিকালে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, এদিন বিকাল ৫টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে চিকিৎসকরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা ও বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া এখনও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ‘তার কার্ডিয়াক পয়েন্ট এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়’।
তিনি বলেন, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
এর আগে রবিবার জাহিদ হোসেন বলেছেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম টেস্টে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক এবং কিছু জটিলতা থাকায় ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘শনিবার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে করোনারি এনজিওগ্রাম করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে। একটাতে এনজিও গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি এখন সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় ওনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অন্য দুটি ব্লক অপসারণের জন্য যে ওষুধের প্রয়োজন তা তার কিডনিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, পরিবারের কোনো সদস্য ও বিএনপি নেতাদের এখন তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি পুর্নব্যক্ত করে বিএনপি বলেছে, চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে জনগণ সরকারকে ক্ষমা করবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য চূড়ান্ত আহ্বান জানাতে চাই। অন্যথায়, আপনাদের অবশ্যই সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে...।’
রবিবার এক সমাবেশে বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিদেশে খালেদার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। অন্যথায়, তার খারাপ কিছু ঘটলে, দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। তারা আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা। রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়ে আসছে যদিও ক্ষমতাসীন দলের দণ্ডিত নেতারা একই সুযোগ পাচ্ছেন।
আগুন নিয়ে খেলবেন না, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
আওয়ামী লীগের অবস্থান সাম্প্রদায়িক শক্তি ও বিএনপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মাঠে মোহাম্মদপুর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল এবং তাই থাকবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের জন্ম রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এবং কখনোই রাজপথ ছাড়বে না।’
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, এটি নাশকতা না অন্য কিছু তা জানতে গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করছে।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতাদের সরকারের সমালোচনার নিন্দা জানিয়ে তিনি আগুন নিয়ে না খেলতে তাদের সতর্ক করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানও বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক এবং কিছু জটিলতা থাকায় ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে করোনারি এনজিওগ্রাম করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে। একটাতে এনজিও গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি এখন সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় ওনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অন্য দুটি ব্লক অপসারণের জন্য যে ওষুধের প্রয়োজন তা তার কিডনিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, পরিবারের কোনো সদস্য ও বিএনপি নেতাদের এখন তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকালে খালেদা জিয়ার হার্টে একটি রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে এক জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
ফের হাসপাতালে খালেদা জিয়া
সরকারের সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে: বিএনপি
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট শুধু সরকারের সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই বাজেট কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের বাজেট নয়। এটা শুধু অর্থ পাচারকারী ও যারা ডলার পাচার করে তাদের বাজেট।’
তিনি বলেন, ‘দেশের এই কঠিন সময়ে এবারের বাজেট সম্পূর্ণ অবাস্তব বাজেট। এটি শুধু সরকার সমর্থিত লোকদের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।’
শনিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বাজেট নিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
এর আগে বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির প্রস্তাব দেয়ায় সরকারের নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, লুটেরাদের অবৈধ অর্থ বৈধ ও নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিতে নতুন বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও তাদের আত্মীয়স্বজন এবং ব্যবসায়ীদের বিদেশে টাকা পাচারের সুযোগ তৈরি করতেও এই বাজেট করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, চাল, ডাল, লবণ, চিনি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি এবং অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ও ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম কমানোর কার্যকর কোনো কৌশল না নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সম্পদ বাড়াতে ও অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিতে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
অর্থ পাচারকারীদের জন্য প্রস্তাবিত দায়মুক্তিকে তিনি অবৈধ বলেছেন। ‘এটি শুধু অনৈতিকই নয়, আইনের পরিপন্থীও। এটি দুর্নীতি ও অর্থপাচারকে ক্ষমা করার সমতুল্য।’
ফখরুল বলেন, এই পদক্ষেপ চলমান অর্থপাচারের মামলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলবে এবং পাচারকারীরা আরও বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করতে উৎসাহিত হবে। ‘এটি একটি অন্যায়, বেপরোয়া ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি একটি অসাংবিধানিক পদক্ষেপ যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের তথাকথিত জিরো টলারেন্স নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ বাতিলের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
একইসঙ্গে অবিলম্বে অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার হার্টে রিং বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করে করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজ দেখতে পান। পরে তারা সফলভাবে সেখানে একটি রিং স্থাপন করেছেন।’
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মির্জা ফখরুল।
এর আগে এক জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
তিনি বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রিং বসানোয় তিনি হার্টের সমস্যা থেকে সাময়িক রিলিফ পাবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারলে খালেদার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি আবারও জানান।
আরও পড়ুন: খালেদার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মেডিকেল বোর্ড
ফখরুল বলেন, ‘অন্যথায় তার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটলে তারা দায়ী থাকবে।’
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।