রাজনীতি
পল্টনে বাম জোটের হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
বাম গণতান্ত্রিক জোটের (এলডিএ) ডাকা অর্ধদিবস হরতাল পালনকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে হরতালের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করেছে।
ভোজ্যতেল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ) অর্ধদিবস হরতালের ঘোষণা দেয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দেশব্যাপী ডাকা তাদের এ হরতাল শেষ হয়।
রিয়াজ মন্টু নামে এক হরতাল সমর্থক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলাম। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।’
আরও পড়ুন: বাম জোটের হরতাল: নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১০
হরতাল সমর্থকরা রাজধানীর পল্টন মোড়ে মিছিল বের করে এবং সকাল থেকে কাকরাইল থেকে জিপিও মোড় এবং প্রেসক্লাব থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বামপন্থী নেতা-কর্মীরা শাহবাগ মোড়ও অবরোধ করেন।
সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক-শাহবাগ) মো. নুরুন নবী জানান, সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ, ফার্মগেট থেকে শাহবাগ এবং প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে এবং এর ফলে রাজধানীর অন্যান্য স্থানেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: বাম জোটের হরতাল: খুলনায় মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক ৬
সোমবার সকাল ৬টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ হরতাল চলে।
এর আগে ১১ মার্চ দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতালের ডাকে এলডিএ।
বাম জোটের হরতাল: খুলনায় মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক ৬
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় হরতালের সমর্থনে বাম জোট মিছিলের প্রস্তুতিকালে ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর গোলকমনি শিশু পার্ক ও ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, আটক ১
তবে বাম জোটের ডাকা অর্ধদিবসের হরতাল খুলনায় তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। সকাল ৯টার দিকে নগরীতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস চলছে। এমনকি অফিস আদালতও স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নসৃষ্টি করে মিছিল করার প্রস্তুতিকালে কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৩ মোবাইল চোর আটক
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ বামজোটের পক্ষ থেকে ২৮ মার্চ সারাদেশে অর্ধদিবস হরতাল ডাকা হয়। এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকেও ২৮ মার্চ হরতাল ও তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। সিপিবি বলেছে এ হরতাল কোন দলের নয় এ হরতাল সবার। এ হরতাল দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে হরতাল।
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের অর্ধদিবস হরতাল সোমবার
ভোজ্যতেল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালন করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ)।
রবিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এলডিএ নেতারা জানান, এদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
দলটির সমন্বয়ক সাইফুল হক সর্বস্তরের জনগণকে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি সরকারকে যেকোনো ধরনের উসকানি দেয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান।
হরতালের সমর্থনে জোটটি ইতোমধ্যে কয়েক লাখ লিফলেট বিতরণ করেছে এবং দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছে। এছাড়া দলটি ব্যাপক গণপ্রচার ও সারাদেশে সমাবেশ করেছে।
সাইফুল বলেন, ‘প্রচারণার সময় মানুষ আমাদের ধর্মঘটের ডাকে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। দলমত নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা গেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে তাদের প্রচারণায় বাধা দেয় এবং তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা জনগণের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে এই হরতাল পালন করতে চাই। আমরা আশা করি আমাদের ধর্মঘটের সময় কেউ আমাদের উসকানি দেবে না।’
হরতাল চলাকালে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কাজের কারণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীন দল দায়ী থাকবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
সাইফুল জানান, সকাল ৬টায় এলডিএর জ্যৈষ্ঠ নেতারা পুরানা পল্টন এলাকাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেবেন এবং পিকেটিংয়ে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থনে হরতাল সফল হবে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ, দোকান মালিক, কর্মচারী, পরিবহন মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের এগিয়ে আসতে হবে।’
এর আগে গত ১১ মার্চ ইউটিলিটি সার্ভিস এবং ভোজ্যতেল, চাল, মসুর ডাল ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছিল দলটি।
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে মির্জা ফখরুলকে বাধা
চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
রবিবার দুপুরে নগরীর ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা জানানোর পর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন দলের নেতারা।
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সমাবেশের অজুহাত দেখিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহরকে যেতে দেয়া হয়নি বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহর দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের দিকে যেতে চায়। কিন্তু নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় পুলিশের বাধার কারণে তারা কালুরঘাট যেতে পারেন নি।
এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল দুই নম্বর গেট এলাকায় আসে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিপ্লব উদ্যানে ফুল দেয়া শেষে আমরা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে যেতে পারিনি। পুলিশের বাধা পেয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভাস্থলে চলে যায়।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, বিএনপিকে দুই নম্বর গেটে শ্রদ্ধা নিবেদন আর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের কালুরঘাটে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তাই তাদের বাধা দেয়া হয়েছে।
এ দিকে সকাল থেকে কালুরঘাটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষাকবচ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রক্ষাকবচ হচ্ছে বিএনপি।তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছর পরেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো দেশে আস্ফালন করে। এখনো সক্রিয় এই অপশক্তি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে খুশি নয়। নানা সময় তারা দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তারা করোনার সময়, পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এবং এখন তারা দেশের মানুষকে নিয়ে মশকরা শুরু করেছে। এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমাদের দেশেও আমদানি নির্ভর কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেটি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন, যাতে কম মূল্যে তারা টিসিবি’র পণ্য কিনতে পারেন। এতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু বিএনপি ও কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারীর অস্বস্তি বেড়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিল: তথ্যমন্ত্রী
‘যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিএনপির চেষ্টা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে গণহত্যা শুরু হয়েছিল। এটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি,আমাদের সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যৌক্তিক। কিন্তু একটি দলের নেত্রী, যিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি যখন বলেন আসলে ত্রিশ লাখ মানুষ মারা যায় নাই, তখন এই গণহত্যার স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহল প্রশ্ন করে। বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার এই ধরণের বক্তব্য এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিএনপির চেষ্টা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। না হয় আমরা গণহত্যার স্বীকৃতি সহজে পেতাম।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে যে বাংলাদেশকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল; সেদেশকে যখন ধ্বংসস্তুপ থেকে পুনর্গঠিত করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বঙ্গবন্ধু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যদি সেই হারে থাকতো, তাহলে স্বাধীনতার ১৫-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো একটি উন্নত রাষ্ট্র।’ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র। এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন দুই হাজার ৬’শ ডলারের কাছাকাছি, যেটি ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে পৃথিবীর মাত্র ২০টি দেশে পজিটিভ জিডিপি গ্রোথ হয়েছিল, তার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ। এতে দেশের মানুষ খুশি, সমস্ত পৃথিবী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু একটি পক্ষ প্রশংসা করতে পারে না। সেটি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত এবং কিছু কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবী। তারা এই উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করতে পারেন না।’চট্টগ্রামের ষোলশহরে এলজিইডি অডিটোরিয়ামে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের পরিচালনায় উত্তর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈন উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী
ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবরা আবার সরব হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেগুলো এ আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
তিনি বলেন, যদি সত্য ঘটনাগুলো সামনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। আজকে যদি মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে বইয়ে লেখা হয়, তাহলে তারা জানে তারা যে মিথ্যাচার করছে, তা সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু এটাই সত্য যে ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস বিকৃতি থেকে দেশটাকে মুক্ত করার জন্য সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার নিজেদের সুবিধামতো নির্বাচন পদ্ধতি বানিয়ে নিয়েছে: খসরু
আমীর খসরু বলেন, সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, সবাই সব সময় তা সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধকে বেচাবিক্রি করার কালচার নেই। আর এটা ক্ষমতাসীনরা যখন করে তখন সেটা ইতিহাস তো হই না, এটা প্রোপাগান্ডা হতে পারে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মাইলফলক উন্মোচন করার জন্য ২৭ মার্চ সভা করছি। বিএনপির নীতি নির্ধারকরা অনেক আলাপ আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিকালে ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্ত করার জন্য এই কর্মসূচি। যেহেতু মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস, সেহেতু এই মাসে শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে। একটি দল যখন আত্মসমর্পণ করেছে, সেখানে শহীদ জিয়ার আবির্ভাব ঘটেছে, তিনি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে কাজটি করেছিলেন সেটি জাতিকে জানাতে হবে।
এই সময় তিনি আগামী ২৭ মার্চ রবিবার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচি সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ধানের শীষে ভোট দিতে জনগণ মুখিয়ে আছে: খসরু
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুনের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
১৯৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি আ’ লীগের
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংস হামলাকে 'গণহত্যা' হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এই ‘ন্যায়বিচারের আহ্বান’ জানানো হয়েছে। ভিডিওটি আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
পোস্টটিতে বলা হয়েছে, ‘বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের সমকক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চেয়েছিল। পরিবর্তে, ঘুমের মধ্যে তাদের নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খানের সহকর্মী টিক্কা খান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করার জন্য ডেথ স্কোয়াডকে একত্র করে। তারা এক রাতে সাত হাজার বাঙালিকে হত্যা করে। সেই দিন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা দু’লাখেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ এবং ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি সম্প্রীতি বাংলাদেশের
এই ব্যাপক গণহত্যার ফলে ৩০-৪০ মিলিয়ন বাঙালি বাস্তুচ্যুত হয় এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়।
হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া গণহত্যার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল।
এই প্রতিবেদনে পূর্ব পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে ব্যাপক নৃশংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টটিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এই প্রতিবেদনের প্রতিটি কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই জঘন্য অপরাধগুলো এখনও গণহত্যা হিসেবে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত হয়নি। ১৯৭১ সালের এই নারকীয় হামলাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে শুধুমাত্র গণহত্যার ভুক্তভোগীদের ভয়াল অভিজ্ঞতার প্রতি চরম অবিচার করাই হবে না; এর ইতিহাসের প্রতিও অবিচার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট
জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হবে শুক্রবার
স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
স্বাধীনতা পদক প্রদানে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এটি এতটাই ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত স্বাধীনতা পদক নিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চিকিৎসা ও সেবা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আমির হামজা নামে একজন অখ্যাত ব্যক্তিকে পদকের জন্য মনোনীত করেছে এবং পরে তা বাতিল করে তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (হামজা)? অন্যদের পরিচয় বের করতে তদন্ত করুন। তাদের অধিকাংশই মন্ত্রীদের আত্মীয় বা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক, ২০২২’ তুলে দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লুটপাট ও দুর্নীতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে দেশকে বাঁচাতে হলে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতের কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতায়নের শতভাগ অর্জন ‘মিথ্যা’ প্রচারণা: বিএনপি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। ‘তারা আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মী ও গণতন্ত্রপন্থী জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ৬০০-এর বেশি মানুষকে গুম করেছে। হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এটাই আওয়ামী লীগের আসল রং।’
তিনি দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকল পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী বিএনপির আয়োজিত দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইমেলা ও প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মেলা ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মেলা ও প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এবং বিকাল ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বইমেলা ও প্রদর্শনীতে বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্লেষণধর্মী বই এবং আলোকচিত্রের পাশাপাশি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক: বিএনপি
এছাড়া জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ও চিত্রকর্ম রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরতে তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বর্তমান সরকার জনগণ ও নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাই আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: ‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
ইসির আলোচনায় বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সংলাপ শুরু করেছে,তাতে তার দলের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে আমরা এই ইসি গঠন প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই জড়িত নই এবং আমরা এর কোনো কিছুতে (সংলাপে) যোগ দেবো না।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে একটি ভালো ইসির পক্ষেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণে আমরা এতে (সংলাপে) আগ্রহী নই। আলোচনায় কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে,কারা নেই, কারা এতে যোগ দিচ্ছেন এবং তারা কী বলছেন; তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের একমাত্র দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন।
এর আগে সকালে, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ জন সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রস্তুতির জন্য চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আলোচনায় বসেন।
যদিও ৪০ জন সুশীল সমাজের সদস্যকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র ১৫ জন এতে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে কী ধরনের সরকার ক্ষমতায় থাকবে তা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আলোচনায় অনেক আমন্ত্রিত অতিথির অনুপস্থিতি প্রমাণ করেছে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে সুশীল সমাজেরও এতে কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ‘গত দুই-তিনটি নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে পারে না।’
জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,‘আমরা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিপক্ষে। কারণ আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে গণবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ ইতোমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। এখন যদি পানি, বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে। আমরা এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’
এসময় সরকারকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া পরিষদের নেতা ও অনুসারীদের নিয়ে ফখরুল জিয়ার সমাধিতে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।