���������������������
অগ্নিসংযোগকারী ও 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের' রাজনীতিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়: হাছান মাহমুদ
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাসে জড়িত ও ‘রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে’ তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অধিকার থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাজনীতিবিদ নয়। এরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
‘আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করছে’ এমন রাজনীতিবিদদের যারা আর্থিকভাবে সমর্থন করছে তাদের সমালোচনা করেন হাছান।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান আরও বলেন, ‘তারা এখনও সুযোগ খুঁজছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বার্ন ইউনিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা ভুটানকে মুগ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, কলকাতায় ব্যর্থ চেষ্টার পর দগ্ধ ভুটানের এক নাগরিককে বাংলাদেশে সফলভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এ বিষয়ে।
আরও পড়ুন: দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনে কোনো কৃতিত্ব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র সাফল্য অর্থ পাচার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের গল্প মাত্র দুটি- বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন এবং গরিব মানুষের অর্থ বিদেশে পাচার। ‘অন্য সব সেক্টরে ব্যর্থ হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের পরিবারের সঙ্গে তার সার্কিট হাউজ রোডের বাসভবনে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির প্রায় ১৮ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং আরও অনেককে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেন ড. মঈন।
সরকার কীভাবে হাবিব উন নবীর বিরুদ্ধে চার শতাধিক মামলা করতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
মঈন অভিযোগ করেন, ‘যারা সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে এবং সমালোচনা করে তাদের প্রায়শই মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় এবং কারাদণ্ড ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়।’
জাতীয় নির্বাচন তদারকিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলের মহাসমাবেশ বানচাল করার পর সরকার বিএনপির ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এটা দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগ, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এমনকি নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন মঈন।
তিনি বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ছাড়া আইনের শাসন ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সম্ভব হবে না। এই রকম সহিংস পরিবেশে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
মঈন খান আরও বলেন, সরকার শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই ধ্বংস করেনি, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং খাত তারল্য সংকটে ভুগছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘তারা গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে কানাডায় বেগম পাড়া, দুবাইয়ে গুলশান ৩, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রতিষ্ঠা করেছে।’
তিনি বলেন, টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংক ম্যানেজাররা এখন গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তথাকথিত সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার নামে সরকার নতুন খেলা শুরু করেছে।
ড. মঈন বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে কারণ তারা একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সফল হয়নি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারত।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার(৩ এপ্রিল) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
'বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আওয়ামী লীগ দিশেহারা' বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশাহারা হয়ে উদ্ভট আবোল-তাবোল কথা বলা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ভোটে না আসার যে কি যন্ত্রণা সেটি বিএনপি নেতারা সবাই বুঝতে পারছে।
উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকবিহীন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এক প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচন দলীয় প্রতীকবিহীন ও উন্মুক্ত প্রার্থিতায় হবে। দলীয় প্রতীকবিহীন উপজেলা নির্বাচন এবারই প্রথম নয়। আগে উপজেলা নির্বাচনগুলো দলীয় প্রতীক বিহীনই হতো, শুধু গতবারই দলীয় প্রতীকে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অবশ্যই অযাচিত হস্তক্ষেপ সমীচীন নয়, মানুষ তাদের পছন্দ মতো ভোট দেবে, আমরা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছি না।’
'দেশে আইনের শাসন নেই' ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন আছে বলেই তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও আদালতের দেওয়া জামিনে মুক্ত আছেন।
আরও পড়ুন: রিজভীর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন: ড. হাছান
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি কখনো বলেনি তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং আমরা বলেছি বর্তমান সরকারের অধীনে 'সাজানো, একতরফা, প্রহসন ও প্রতারণামূলক' নির্বাচনে অংশ নেবো না।
তিনি বলেন, ‘এবারের উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে আগের নির্বাচনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য হবে না। তাই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের উত্তরার বাসায় দেখা করতে যাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না রাখার সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নিজেই স্বীকার করে যে দেশের জনগণ নৌকা প্রতীককে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই নৌকা ডুবিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, 'আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জিতে একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণকে শাসন করায় বিশ্বাস করি না, তাদের সেবা করার জন্য রাজনীতি করি।’
তিনি বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে কি দেবে না, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, 'বিএনপির সংগ্রামের ফল না পেলে ৯৫ শতাংশ মানুষ ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করল কেন?’
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে ক্ষমতায় থাকার জন্য আর বিএনপি রাজনীতি করছে মানুষের সেবা করার জন্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করেছে, বিএনপি কখনো তা চিন্তাও করে না।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তারা (জনগণ) প্রহসন, সাজানো ও একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করে তা বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে ৫০ লাখ আসামির বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দেওয়ার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। তিনি বলেন, আমরা অল্প কিছু স্বৈরাচারী দেশকে চিনি, যেখানে বিরোধী দলের দমন বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
রিজভীর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন: ড. হাছান
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রিজভী সাহেবের কথা এত অশালীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত যে, মনে হয় তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা প্রয়োজন। ড্যাব না পারলে স্বাচিপের ডাক্তাররা চেষ্টা করতে পারে।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন এবং দেশ ভিক্ষুকে পূর্ণ এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও 'মানি-লন্ডারিং'য়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই পর্যন্ত এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। আর তার ছোট ভাই অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র কোকোর পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে- এসব ঢাকতেই তাদের এত কথা।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তাদের মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব আবার মঈন খানের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও এসব অবাস্তব কথা বলার আরেক কারণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে লর্ড জেরেমি পারভিসের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র (লর্ডস স্পোকসপার্সন) লর্ড জেরেমি পারভিস।
বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অব্যাহত সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকার জন্য লর্ড জেরেমিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তাদের লর্ডসভা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার বিষয়সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
বাংলাদেশকে অন্য দেশের অধীনতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দুস্থদের মাঝে ঈদের বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি দমনের চেষ্টা করছে তারা।’
রিজভী আরও বলেন, যাদের সামর্থ্য আছে তারা সাধারণত নিকটাত্মীয়, গরিব ও অভাবী মানুষদের খাওয়ানোর জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। এটি দেশে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি ও ধর্মীয় প্রথা।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
তবে এ বছর কিছু সংগঠনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বা বাইরে ইফতার পার্টি করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘তারা (সরকার) এটা পছন্দ করে না। তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানছে।’
এই বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী তার প্রভুদের ইচ্ছা পূরণের জন্য এসব করছেন।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমরা যদি গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে বুঝতে পারি কীভাবে তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছে।’
এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকের পক্ষে রিজভী বলেন, ‘তারা আমাদের জনগণ এবং আমাদের মূল্যবোধকে সম্মান করে না। আমরা কেন তাদের শাড়ি বা টুথপেস্ট কিনব।'
রিজভী বলেন, ‘তারা নিয়মিতভাবে সীমান্তে আমাদের লোকদের হত্যা করছে।’
তিনি আরও বলেন, 'সীমান্ত হত্যা নিয়ে চুক্তি আছে, প্রোটোকল আছে, কিন্তু বিএসএফ তাতে মাথা ঘামায় না। তারা প্রায়ই সীমান্তে আমাদের লোকজনকে হত্যা করছে।’
ভারত প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'তারা দাবি করে তারা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্বীকার করে না। এমনকি তারা বাংলাদেশিদেরও সম্মান করে না। তারা কেবল একটি রাজনৈতিক দলের পাশে দাঁড়িয়েছে যাতে তারা স্থায়ীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘তারা তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে এবং তাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য বিশ্বব্যাপী তদবির করেছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, লোকেরা কেন তাদের পণ্য ব্যবহার করবে যখন তারা তাদের ইচ্ছাকে সম্মান করে না এবং একটি দলের স্বার্থে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে উপেক্ষা করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে-বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন- বাংলাদেশ কোথায় আছে?
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন- ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, উদ্বেগ ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয়, উদ্বেগের বিষয় হলো ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে কি না, বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। যে কারণে (আবরার ফাহাদ হত্যার) বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারা দেখবে এমন পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত আছে কি না এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিএনপি নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আহত দেওয়ান শাহিনকে দেখতে গিয়ে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজনের হামলায় দেওয়ান শাহিন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও খারাপ ছিল।সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মানিক ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’ উদযাপন করেছিলেন। ‘এটি জাতির জন্য কলঙ্ক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই লজ্জাকে অলংকার বলে মনে করে।’
প্রশাসনের মদদে তারা বেপরোয়া আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নৃশংসতা চালিয়ে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে নাটোর বিএনপি নেতারা আ. লীগের নেতা-কর্মীদের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ‘নিপীড়ন সত্ত্বেও নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে ছাড়েনি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের যে দৃশ্য, নাটোরেও একই রকম।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
আওয়ামী লীগকে একটি বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তারা (আ. লীগ) রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং তাদের বর্বরতার জবাব দিতে প্রস্তুত হতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য সরকার অপেক্ষা করছে। ‘আমার ধারণা গণভবনে তার মৃত্যুর খবর শুনলেই মিষ্টি বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের কাছে আমাদের কিছু আশা করার নেই। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা যা করছে তা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কুইক রেন্টাল, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগই নয়, যারা নির্লজ্জভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে, বিরোধী দল দমনে সহযোগিতা করেছে তারাও এই লুটপাটের অংশ।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিএনপির আন্দোলনের সময় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি (বেনজীর) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ জাতি জানতে পেরেছে যে তিনি (বেনজির) একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন যা আলিফ লায়লার গল্পকে হার মানায়।’
কীভাবে তিনি এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করলেন জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ ও মাংস কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। লেবুর দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় রোজা ভাঙার জন্য পানীয়ের ব্যবস্থা করাও সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, প্রতি কেজি খেজুর ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা একজন দিনমজুর বা রিকশাচালকের পক্ষে কেনা একেবারেই অসম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো সরকার গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ছাত্র রাজনীতি সরাসরি নিষিদ্ধ করা হলে বুয়েট 'নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর' হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। আর আমি যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকি, তাহলে বুয়েট ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না- এটা কী ধরনের আইন?'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্যানেলের সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির জন্য হল বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দলের অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি দলীয় সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন ও 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' ডাক দেওয়াকে ফাঁকা বুলি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান যে ভাষায় কথা বলতেন, বিএনপি সেই ভাষায় কথা বলছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতের বিরুদ্ধে। তারা ভারতফোবিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আবরার খুনের পর বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তারা রিজার্ভের কথা বলছে, যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের