���������������������
গ্রাম আদালতকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার ক্ষমতা দিয়ে বিল উত্থাপন
গ্রাম আদালতকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা দিয়ে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এম তাজুল ইসলাম বিলটি উত্থাপন করেন এবং তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, কোনো সদস্য অনুপস্থিত থাকলে আদালত কাজ করতে পারে না।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো সদস্যের অনুপস্থিতিতে বিতর্কিত কোনো বিষয়ে ভোট হলে এবং দুই পক্ষের পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে চেয়ারম্যানের ভোট পাওয়া দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এছাড়াও, আগের আইনের কিছু উদাহরণে, ‘নাবালক’ শব্দটি ছিল, খসড়ায় তা বাদ দিয়ে ‘শিশু’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
২০১৩ সালে, গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে, সরকার ৭৫ হাজার পর্যন্ত জরিমানা আরোপের অনুমতি দিয়েছিল।
বিলের উদ্দেশ্য অনুসারে, গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয় জনগণের ছোটখাটো বিরোধের দ্রুত এবং সহজ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত হয়েছিল।
পরে, অধ্যাদেশ বাতিল করে গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ প্রণয়ন করা হয় এবং ২০১৩ সালে আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হয়।
প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে ছোটখাটো বিরোধে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ধারণা ও প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। একই সঙ্গে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সহজ ও দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেও কাজ করছে।
গ্রাম আদালত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি আধা-আনুষ্ঠানিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারি পদক্ষেপ সংসদে তুলে ধরলেন সিমিন হোসেন
বাল্যবিয়ে রোধে সরকারের গৃহীত ১৭টি পদক্ষেপের রূপরেখা সংসদে তুলে ধরেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
সোমবার জাতীয় পার্টির কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
চুন্নু তার প্রশ্নে করোনা মহামারির সময় উল্লেখ করে বলেন, দরিদ্র পরিবারে বাল্যবিয়ের হার অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ছিল।
এছাড়াও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মেয়েদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান তিনি।
জবাবে সিমিন হোসেন বলেন, মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯ অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সী বিয়ের হার ১৫.৫ শতাংশ এবং ১৮ বছরের কম বয়সী বিয়ের হার ৫১.৪ শতাংশ।
এ সময় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ১৭টি রূপরেখা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিমিন হোসেন বলেন, ৬৪ জেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে তদারকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলা ও উপজেলার মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ১৫০টি বাল্যবিয়ে বানচাল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত সহকারী এম ইউনুস আলী ইউএনবি জানান, মির্জা ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
তিনি জানান, ঘাড়ে ব্লকজসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে ফখরুলের সিঙ্গাপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ মার্চ বিএনপি নেতার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মির্জা ফখরুল নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালের অধ্যাপক শামসুল আরফিনের তত্ত্বাবধানে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে তিন মাসের বেশি সময়ে তাদের নেতা ফখরুলের ৬ কেজি ওজন কমেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট মেডিকেল চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
২০১৫ সালে একটি রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে থাকার সময় তার অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীর সমস্যা ধরা পড়ে।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে যান এবং এরপর থেকে প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য দেশটিতে যান।
২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির জনসভা ভন্ডুল হওয়ার একদিন পর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
দেশের বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে নিমজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিএনপি নেতা বলেন, কাদের দাবি করেছেন দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন অথচ তার প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, দেশে স্বল্প পরিসরে হলেও লোডশেডিং থাকবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ সকাল-সন্ধ্যা লোডশেডিংয়ে ভুগছে অথচ তাপমাত্রা এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি দেশের মানুষকে উপেক্ষা করে বিদেশি প্রভুর কাছে ধর্না দিচ্ছে- কাদেরের এই বক্তব্যের নিন্দা করেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সম্ভবত স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। কারণ তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন ভুলে গিয়েছিলেন যখন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা সিং আওয়ামী লীগকে তাদের সমর্থন করতে এবং এইচএম এরশাদকে নির্বাচনে যোগদান করানোর জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এটি একটি সার্বভৌম দেশে হস্তক্ষেপের স্পষ্ট লক্ষণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে: সংসদে চুন্নু ও রেজাউল
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
শনিবার (২ মার্চ) পার্লামেন্টে পয়েন্ট অব অর্ডারে অংশ নিয়ে চুন্নু নগরীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী রেজাউল করিম।
চুন্নু বলেন, সরকার চালাতে কর দেয় দেশের মানুষ। নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, ভবন নির্মাণে সরকারের ছয়টি সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার পর ভবনগুলোতে কোনো নজরদারি থাকে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, একটি ভবন এক উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হলেও তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে যারা মারা গেছেন তাদের দায় কে নেবে?’ এটা সরকার ও সরকারি অফিসের দায়িত্ব।
মুজিবুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনার পর সরকার বলছে তদন্ত করা হবে, একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ‘কিন্তু এরপর আর কোনো ফলোআপ হয় না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকারকে দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
এদিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম সংসদকে জানান, ধানমন্ডির সাত মসজিদ এলাকায় একটি ভবনে ১৫টি রেস্তোরাঁ রয়েছে, যদিও তাদের অনুমতি নেই।
তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কের পাশের ভবনগুলোতে শত শত রেস্টুরেন্ট থাকলেও তাদের কোনো অনুমতি নেই। খিলগাঁওয়ের তালতলায় বিভিন্ন বহুতল ভবনেও একই অবস্থা।’
সরকার এ বিষয়ে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রেজাউল।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে জানতে চাই এসবের দায়ভার কে নেবে, রাজউক হোক, ফায়ার ব্রিগেড হোক, পরিবেশ হোক, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা করুন।’
আরও পড়ুন: বিকালে শপথ নেবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকাকালে বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'আমরা তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। অভিযোগ পত্র দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’
রেজাউল করিম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দোষীদের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানান।
এর আগে অধিবেশনের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সংসদ।
আরও পড়ুন: দ্রুত বিচার আইন সংসদে উত্থাপন
অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সংসদে অফশোর ব্যাংকিং বিল ২০২৪ উত্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি উত্থাপন করেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, কোনো অনাবাসিক ব্যক্তি বা বিদেশি সংস্থা বিনিয়োগ করতে চাইলে তারা অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
অফশোর ব্যাংকিং করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। যারা এই লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের আর নতুন লাইসেন্স নিতে হবে না।
যে পাঁচটি মুদ্রা দিয়ে অফশোর ব্যাংকিং করা যাবে- মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও চীনা ইয়েন।
বিদেশে বসবাসরত একজন বাংলাদেশির যেকোনো আত্মীয় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং একজন সমর্থক হিসেবে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যারা অর্থ জমা করেন, তাদের দেশ থেকে টাকা পাঠানোর অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু অফশোর ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুমতি ছাড়াই দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
অফশোর ব্যাংকিংয়ের পদক্ষেপটি শুধু রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য নয়, আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যও।
যদি কেউ অফশোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা রাখে, টাকার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে না।
বিদেশে বসবাস করা ব্যক্তি বা সংস্থা বা বিদেশিদের প্রস্তাবিত আইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মরত তফসিলি ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আইএমএফের মান অনুযায়ী ভালো করছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট শিডিউল ব্যাংকের জন্য ব্যাংক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে।
তফসিলি ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য অ্যাকাউন্টের পৃথক বই ব্যবহার করা হবে; যা আর্থিক ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলো যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সম্পদ দায় ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে দেশীয় ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সব ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড সীমা তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত সব ধরনের প্রতিবেদন জমার ধরন প্রযোজ্য হবে।
বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের দেওয়া সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি পাবে।
আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের অ্যাকাউন্ট যেকোনো শুল্ক ও কর থেকে অব্যাহতি পাবে।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির শোক
ঢাকার বেইলি রোডে ৬ তলা বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আর যারা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবনের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তাদের কান্না-বেদনা খুবই হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী।
ফখরুল বলেন, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন- মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ আমি গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের শক্তি ও ধৈর্য দান করুন।’
অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি নেতা বলেন, দেশে আইনের শাসনের অভাব এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য জনগণকে জবাবদিহির দায়িত্ব সরকার মনে করে না, যা মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও দুর্দশার কারণ।
আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দ্রুত বিচার আইন সংসদে উত্থাপন
বহুল আলোচিত 'দ্রুত বিচার আইন' ধাপে ধাপে কার্যকর না করে এটিকে স্থায়ী আইন করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংসদে উপস্থিত না হওয়ায় তার পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
২০০২ সালে প্রথম দুই বছরের জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়। পরে সাত ধাপে আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হবে।
আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।
বিলে আইনটিকে স্থায়ী করা ছাড়া অন্য কোনো সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়নি। তাই আইনের বিদ্যমান সব ধারা এখনকার মতোই থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ধ্বংস, ডাকাতি, দস্যুতা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি, টেন্ডার ক্রয় এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত বিচারের স্বার্থে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন প্রণয়ন করা হয়।
আইনটি প্রণয়নের সময় এর মেয়াদ ছিল ২ বছর। পরে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে, এর মেয়াদ পর্যায়ক্রমে ৭ বার বাড়ানো হয় এবং সর্বশেষ ১০ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে এটি ১৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ২২ বছর করা হয় যা ৯ এপ্রিল, ২০২৪ এ শেষ হবে।
লিখিত বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অধিকতর উন্নতির জন্য মেয়াদ শেষে বারবার মেয়াদ বৃদ্ধি না করে এই আইনকে একটি স্থায়ী আইন করা প্রয়োজন।
এই আইনে অভিযোগ গঠন করলে জরিমানাসহ সশ্রম দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। প্রতিটি জেলায় একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
যেসব অপরাধ দ্রুত বিচার আইনের আওতায় পড়ে সেগুলো ১২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। এটি করতে ব্যর্থ হলে, এর মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়ানো যেতে পারে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বিলটি উত্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি যখন আইনটি পাস করে তখন আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল এর সমালোচনা করেছিল।
তিনি বলেন, আইনের নাম দ্রুত বিচার আইন হলেও আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুব কম মামলাই নিষ্পত্তি হচ্ছে।
চুন্নু আরও বলেছিলেন যে গ্রেপ্তারের সময়ই আইনটি বিবেচনা করা হয়। এই আইন নিয়ে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও সাধারণ মানুষ বা প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার সুযোগ রয়েছে।
চুন্নু বলেন, 'আজকে আপনারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায়, কাল যদি অন্য কেউ ক্ষমতায় আসে তাহলে এই আইনের মাধ্যমে আপনারাও হয়রানির শিকার হবেন।’
আইনটি স্থায়ী না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে এক বা দুই বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
‘আপনাদেরও (আওয়ামী লীগ) কষ্ট হবে, জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা যখন করা হয় তখন তারা প্রতিবাদ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, ২০০২ সালে যখন এই আইনটি করা হয়, তখন আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলগুলোকে নিপীড়ন করার উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির। কিন্তু সংসদ সদস্যরা যদি দেখেন গত ১৫ বছরে এই আইন কীভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, তাহলে তার (চুন্নু) বক্তব্য সঠিক নয়।’
আইনমন্ত্রী বলেছেন, দ্বিতীয়ত, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই আইন প্রয়োজন। এই আইন থাকায় গত ১৫ বছরে খুব বেশি অশান্তি হয়নি।
‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই আইন শুধু রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি রাজনৈতিক কর্মী বা নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। অনেক ধরনের সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা রোধ করা হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। তাই এই আইনকে চিরস্থায়ী করা উচিত।’
পরে বিলটি পরীক্ষা করে দুই দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগনসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্যে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এহেন পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহত জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বিকালে শপথ নেবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আজ বিকালে শপথ নেবেন।
বুধবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আনুষ্ঠানিক সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
সংসদ সূত্রে জানা গেছে, শপথ অনুষ্ঠানের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৫০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এর মধ্যে জাতীয় পার্টির দুইজন, একজন ১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির এবং বাকি ৪৭ জন আওয়ামী লীগের।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতীয় পার্টির দুই সদস্য শপথ নেবেন।
শপথ নেওয়া সংসদ সদস্যরা আজকের সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন।
সূত্র জানায়, আসন বণ্টন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার: সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী