%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার- স্লোগান নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে সব ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দেশের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় (২০২২-২০২৩) দেওয়া বক্তৃতায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভেদাভেদ ভুলে দেশের অর্থনীতিকে সামনের এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ খুবই জরুরি।
দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অসহিষ্ণু কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের ব্যবসায়ীরা।
মাহবুবুল আলম বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্যসংক্রান্ত পরিস্থিতি ও নীতিমালা ক্রমশ আধুনিকায়ন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু যেমন: ক্রস বর্ডার ট্রেড ও কানেক্টিভিটি, বিনিয়োগ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের সুপারিশ প্রণয়ন, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা, অবকাঠামো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সাপোর্ট, এনার্জি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বেসরকারি খাতের অবস্থান মতামত ও সুপারিশমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একাত্ম হয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে একটি স্মার্ট এফবিসিসিআই গড়ার ম্যানিফেস্টো নিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এফবিসিসিআই নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের জানানোর জন্য প্রতি মাসে ই-বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি গতিশীল, ব্যবহারবান্ধব ও ইন্টার্যাক্টিভ এফবিসিসিআই গঠনে ডিজিটাল ওয়েবসাইট প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য স্মার্ট অফিস তৈরির লক্ষ্যে গুলশানে এফবিসিসিআইর অফিস সম্প্রসারিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় পুরান ঢাকায় নতুন শাখা অফিস খোলা ও উত্তরায় একটি ভকেশনাল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, গুলশানে এফবিসিসিআইয়ের এক্সটেন্ডেড অফিস চালু, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন, পুরুষ জামানতকারী ছাড়াই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা কিস্তি প্রাপ্তি, আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা দুই মাস বাড়ানোসহ পলিসি অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতের সুরক্ষায় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকার কথা সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন মাহবুবুল আলম।।
গত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, এফবিসিসিআইয়ের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় আগত সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত দেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা তাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, পরিচালক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বান
পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন: আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্প ও টেকসই ব্যবসার জন্য পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন।
তিনি লিঙ্গ সমতার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক খতে আমার ভাল অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি। খাতটিকে আরও টেকসই উন্নয়নে লিঙ্গ সমতা, নারীর দক্ষতা ও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’
পোশাক শিল্পে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব ও দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস: অ্যাডভান্সিং উইমেন লিডারশিপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি ইন দ্য সাপ্লাই চেইন’- শীর্ষক অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) পরিচালিত ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস’ বা গিয়ারের উদ্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত গিয়ার উদ্যোগটি ২০১৬ সাল থেকে ৮০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যার মধ্যে ৫২৮ জন সুপারভাইজরের ভূমিকায় উন্নীত হয়েছেন।
গিয়ার পোশাক খাতের নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের কর্মজীবনে নেতৃত্বমূলক পদে যেতে সহায়তা করে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, গিয়ারের ফলে শ্রমিকদের লাইন দক্ষতা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের থেকে নারীরা ৩৯ শতাংশ বেশি মজুরি পান গিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে।
বাংলাদেশের জন্য পোশাক খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ কাজ করেন। এই খাতে কর্মরত ৫৫ শতাংশই নারী। যাদের মাত্র ৫ শতাংশ সুপারভাইজর বা নেতৃত্বদানকরী ভূমিকায় আছেন। যে পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে গিয়ার।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কারখানার মালিক, ক্রেতা, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘ সংস্থা ও সুশীল সমাজসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজেন একটি অন্তভুক্তিমূলক পোশাক খাত তৈরিতে।
বাংলাদেশে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘গিয়ারেরমত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এখানে লিঙ্গ সমতার অগ্রগতি অনেককে অনুপ্রাণিত করছে।’
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাচে লীনা খান বলেন, ‘গিয়ার প্রোগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন তারা নিজের উন্নতির পাশাপাশি ব্যবসায়েরও উন্নতি করছেন। পোশাক শিল্পে কর্মীদের অধিকার উন্নত করতে এবং খাতটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সরকার, মালিক, শ্রমিক ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রোগ্রামটি খুব ভালভাবে কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পের জন্য কৌশলগত আলোচনা, সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং নীতি বিষয়ক একটি আলোচনার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
গিয়ার প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে পরিচালিত একটি ফ্যাশন শো দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত
বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর থেকে অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিম্নোক্ত ৩টি শর্তের যে কোনো একটি পূরণ হলে পেঁয়াজের চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে:
- এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে যেসব জায়গার জন্য জাহাজে পেঁয়াজ তোলা হয়েছে।
- শিপিং বিল জমা দেওয়া হয়েছে; পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজ ইতোমধ্যে ভারতীয় বন্দরে এসে নোঙর করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপনের আগে সেগুলোর রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিশ্চিত হওয়ার পরেই এ ধরনের জাহাজে লোডিংয়ের অনুমোদন প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
- পেঁয়াজের চালান এই প্রজ্ঞাপনের পূর্বে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে রপ্তানির জন্য চালান কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশকরা পণ্যগুলোর তারিখ ও সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণসহ কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।
এর আগে ২০ আগস্ট ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
পরে ভারত সরকার ২৯ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য ফ্রি-অন-বোর্ড ভিত্তিতে টন প্রতি ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, এলসি শর্তের কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে এমন গুজব 'ভিত্তিহীন ও ভুল'।
বৃহস্পতিবার(৭ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এলসিগুলো ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক শর্ত, সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি নয়। সুতরাং এটিকে বাণিজ্য প্রয়োগ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরিমাপ হিসাবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।
বিজিএমইএর সদস্য, সহকর্মী, বন্ধু বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক বার্তায় বিজিএমইএ প্রধান বলেন, 'বিজিএমইএ আমাদের কূটনৈতিক মিশন বা কোনো দাপ্তরিক উৎস থেকে কোনো অনুমোদন বা বাণিজ্য কি পদক্ষেপকে সমর্থন করার মতো কোনো তথ্য পায়নি।’
তিনি সকল ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা এবং তাদের প্রতিনিধিদের বাহ্যিক বিষয় নিয়ে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান জানান, বিশেষ করে এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে অপ্রয়োজনীয় কোনো ধারা না ঢোকানোর জন্য।
ফারুক হাসান বলেন, 'আমরা আমাদের সদস্যদের এ ধরনের কোনো এলসি গ্রহণ না করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে এলসিতে এ ধরনের ধারা পাওয়া গেলে ব্যাখ্যা ও সংশোধনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ
শ্রমিকদের বৈধ অধিকার ও কল্যাণ রক্ষায় শিল্পের গৃহীত সকল অগ্রগতি ও উদ্যোগ এবং সাসটেইনেবিলিটি ভিশন ২০৩০ বিবেচনা করে তিনি বলেন, তারা পদক্ষেপের মাধ্যমে অনুসরণ করছে এবং তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ভিত্তি নেই।
তবে আমরা আমাদের সরকারের সঙ্গেও কাজ করছি, যাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা বা উদ্বেগের সমাধান করা যায়, যা শিল্পের মধ্যে অব্যাহত অগ্রগতি এবং শ্রমিকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে সমর্থন করে।
বহুল আলোচিত এলসিটি জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের 'কারিবান' নামে এক ফরাসি ক্রেতার জারি করা মাস্টার এলসির বিপরীতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। জেডএক্সওয়াই বিজিএমইএর সদস্য 'নিট কনসার্ন'-এর অনুকূলে এলসি হস্তান্তর করে।
বিজিএমইএ এলসির কপি সংগ্রহ করেছে। এটি দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এল জারি করেছিল।
এলসিতে যে সকল বিষয় উল্লেখ আছে-
‘আমরা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য কর্তৃক নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনো দেশ, অঞ্চল বা দলের সঙ্গে লেনদেন প্রক্রিয়া করব না। নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনও বিলম্ব, অকার্যকারিতা বা / তথ্য প্রকাশের জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই।’
বিজিএমইএ জেডএক্সওয়াইয়ের কাছে এ ধরনের ধারা বা শর্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
‘আমরা জেডএক্সওয়াইয়ের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পেয়েছি, পাশাপাশি মূল ক্রেতা কারিবানের কাছ থেকে একটি স্পষ্টকরণ বিবৃতি পেয়েছি, যা এটি স্পষ্ট করে তোলে।’
আরও পড়ুন: নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
এই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে:
ক) কারিবান জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে তার মাস্টার এলসিতে এই ধারাটি সন্নিবেশ করেনি।
খ) ধারাটি এসসিবি দুবাই সন্নিবেশ করেছিল, যা তারা ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে প্রতিটি এলসিতে করছে।
(গ) এই ধারায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে বলে উল্লেখ নেই।
ঘ) জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল নিশ্চিত করেছে যে তারা এলসির ধারাটি অপসারণ করবে এবং যদি প্রয়োজন হয় তবে তারা সেই ধারা ছাড়াই একটি নতুন এলসি জারি করবে।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ফিকির নতুন সভাপতি হচ্ছেন জাভেদ আখতার
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৪-২০২৫ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার।
এছাড়া, জৈষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম. ওয়াকার এবং সহসভাপতি হয়েছেন গ্রামীনফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত ফিকির ৬০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ফিকির ২০২২-২০২৩ মেয়াদের বর্তমান সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন জাভেদ আখতার।
আজ ফিকি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নবনির্বাচিত ১৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরিতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে আসছে ফিকি। বিশেষ এ চেম্বারের সভাপতির পদ গ্রহণ করা আমার জন্য একইসঙ্গে অত্যন্ত সম্মানের এবং গভীর দায়িত্ববোধের। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বাংলাদেশেকে বিনিয়োগের বাতিঘরে পরিনত করতে চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে ফিকি এবং ৯০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আনার মাধ্যমে একটি ব্যবসা-বান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার পূর্বসূরি নাসের এজাজ বিজয়কে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত দুই বছরে ফিকির সাফল্যকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে ফিকির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ এবং সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করে ফিকিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চাই।’
শুধুমাত্র চেম্বারের বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরা নয়, বরং ফিকির ভুমিকাকে আরও শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতিতে পরিনত করার লক্ষ্যে কাজ করার আশাবাদ জানান তিনি।
ফিকির বর্তমান সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় পরিচালনা পর্ষদের প্রতি তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় এ চেম্বারের নেতৃত্ব দানে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য আমি ফিকির সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। গত দুই বছরে চমৎকার এ পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এছাড়া, ফিকি তার গৌরবময় যাত্রার ৬০ বছর পূর্ণ করায় ২০২৩ সাল ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নানান আয়োজনে আমরা এ বর্ষপূতি উদযাপন করেছি।’
তিনি জানান, ‘আমি নবনির্বাচিত সভাপতি, জৈষ্ঠ সহসভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদকে অভিনন্দন জানাই। আমি বিশ্বাস করি, নতুন বোর্ড স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। নতুন পরিচালনা পর্ষদ আগামী দিনে ফিকিকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।’
এজেএমে ফিকির বিদায়ী এবং নতুন নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাদের এলসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ধারা সমর্থন করে না বিজিএমইএ’
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলেছে, শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এমন কোনো শর্ত বা ধারা অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করে না বিজিএমইএ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বিজিএমইএ এ কথা বলেছে।
সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা অতীতে এমন উদাহরণ দেখেছি, যেখানে ক্রেতার কাছ থেকে এলসি শর্ত উদ্ধৃত করে এটিকে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা হিসেবে সাধারণীকরণ করা হয়েছে।’
বিজিএমইএ'র এক সদস্যকে বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) অনুলিপি অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এসেছে।
বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) অনুলিপিতে বলা হয়, 'আমরা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনো দেশ, অঞ্চল বা দলের সঙ্গে লেনদেন করব না। নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো বিলম্ব, অকার্যকারিতা বা তথ্য প্রকাশের জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই।’
আরও পড়ুন: ভাঙচুর বন্ধ না হলে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় মালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে: বিজিএমইএ
বিজিএমইএ বলেছে, এই ধারার ব্যাখ্যায় উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে, যা সঠিক নয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘উল্লিখিত ধারার এলসি গ্রহণকারী সদস্যদের সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাখ্যা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
এতে বলা হয়, ‘যদি এই ধারা শুধু বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের পক্ষে জারি করা এলসিগুলোতে প্রদর্শিত হয়, তবে এটি নৈতিকতার লঙ্ঘন করে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের সদস্য কারখানাগুলোকে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে এই ধরনের ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা/পুনর্বিবেচনা করারও আহ্বান জানাচ্ছি।
বিজিএমইএ বলছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। মানবাধিকার ও পরিবেশগত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল, তাই বাণিজ্য নীতির যেকোনো উন্নয়ন আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে।’
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ বলেছে, এটি লক্ষ্য করা উচিত, এলসি একটি নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছ থেকে এসেছিল এবং এটি কোনো দেশের দ্বারা সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা নোটিশ নয়। সুতরাং, এটিকে বাংলাদেশের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ হিসেবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।
এতে বলা হয়, ‘আমরা বুঝতে পারি মানবাধিকার ও পরিবেশগত যথাযথ অধ্যয়ন আমাদের অনেক রপ্তানি বাজারের জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে।’
‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমমানকে এগিয়ে নেওয়ার’ জন্য চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর সই হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মারকটি চলমান বিশ্বব্যাপী শ্রম প্রচারাভিযানে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করেছে। কারণ এটির সম্পৃক্ততা এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশ অনন্য বলে মনে হয়।’
বিজিএমইএ’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা এর চেতনাকে সম্মান করি এবং মূল নীতিগুলোর সঙ্গে একটি সামঞ্জস্য খুঁজে পাই। যদিও স্মারকলিপিতে 'কূটনৈতিক ও সহায়তা সরঞ্জামের পূর্ণ পরিসর অন্তর্ভুক্ত এবং যথাযথভাবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা, ভিসা বিধিনিষেধ ও অন্যান্য পদক্ষেপসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। তবে এটি বাংলাদেশের জন্য গৃহীত হয়নি, বরং এটি শ্রমিকদের অধিকার ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অবস্থান।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলছে
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ’র আয়োজনে ৭-৯ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী নির্মাণ সামগ্রী, নির্মাণ প্রণালী ও সরঞ্জামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সুপ্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘২৮তম বিল্ড বাংলাদেশ ২০২৩’ চলছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘২২তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো ২০২৩’।
একই তারিখে ওয়াটার প্রযুক্তি ও সমাধান সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘৫ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৩’।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন ও নবায়নযোগ্য শক্তির উপর ভিত্তি করে আরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাওয়ার সিরিজ অফ এক্সিবিশন সংশ্লিষ্ট ‘২৫তম পাওয়ার বাংলাদেশ ২০২৩’, ‘২০তম সোলার বাংলাদেশ ২০২৩’, এবং ‘৫ম ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো ২০২৩’।
৭-৯ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রদর্শনীগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সপ্তাহব্যাপী চায়না চিত্র ও ফটো প্রদর্শনী শুরু
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীগুলো, উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও অগ্রগতির এক দারুণ সংযোগস্থল হয়েছে। এতে আমরা নেটওয়ার্কিং, জ্ঞান বিনিময় এবং নতুন অংশীদারিত্ব গঠনের জন্য একটি অবিশ্বাস্য সুযোগ পেয়েছি। যা, প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট পেশাদার, ব্যবসায়ী এবং উদ্ভাবকদের নিজ সেক্টরে অগ্রসর হতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।’
মেহেরুন এন. ইসলাম বলেন, ‘বহুমাত্রিক শিল্পক্ষেত্র নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীগুলো বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী। একাধারে নির্মাণ ও বিদ্যুৎ শিল্পের অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, প্রদর্শনীগুলো একটি ফলপ্রসূ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি-টু-বি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যের প্রসারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (আরপিই অ্যান্ড ডি) ড. মো. মিজানুর রহমান এবং আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টেক্সটাইল-গার্মেন্টস-প্রিন্টিং খাতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দিনব্যাপী রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব।
তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগেও উৎসাহী দেশটির ব্যবসায়ীরা। সৌদি আরবের এই বিনিয়োগকে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ হিসেবে দেখছে সরকার। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগের ফলেই এ ধরনের বিনিয়োগ বাড়ছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচন থামানো যাবে না: সালমান এফ রহমান
সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর দুপুরে অনির্ধারিত সফরে বিশেষ বিমানে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী এবং রেড সি গেটওয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে যান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্দর নগরীতে এসে সরাসরি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে যায় এই প্রতিনিধিদল। ঘুরে দেখেন পুরো টার্মিনাল এলাকা।
পরে সাংবাদিকদের সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রী এই খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন সবসময়। সরকার ব্যবসা করে না, বরং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে– এটাই প্রমাণ করেছেন তিনি।
এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা মনে করেন, বিশ্ব বাণিজ্যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
এসময় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের প্রশংসা করেন সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী।
এই অঞ্চলকে ঘিরে ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ের সঙ্গে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে ২২ বছরের চুক্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ল্যান্ডলর্ড বন্দর ধারণার যুগে প্রবেশ করল চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে সৌদি আরব থেকে ৩১ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে।
সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আবদুল আজিজ আল ফালিহ এবং ইনভেস্টরস আউটরিচ উপমন্ত্রী বদর ইব্রাহিম আল বদর পৃথকভাবে ঢাকায় এসেছেন।
উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি), সৌদি চেম্বার এবং আরএসজিটিআই, অ্যাকওয়াপাওয়ার, সৌদি এক্সিম ব্যাংক, আল-জোমাইহ এনার্জি অ্যান্ড ওয়াটার, ডেজার্ট টেকনোলজি, ডাটা ভোল্ট, রাসি ইনভেস্টমেন্ট, এসএএল লজিস্টিকস, ফ্লাই ন্যাস, ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন কনট্রাক্টিং, আল-জামিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল, আল-হোরাইশ ফর ট্রেডিংসহ শীর্ষস্থানীয় সৌদি কোম্পানির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই
ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি নেটওয়ার্কিং সেশন করেন। তারা আজ একটি ব্যবসায়িক সেমিনারে যোগ দেবেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সৌদি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটিআই) লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক বৈঠকে যোগ দিতে সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এই উচ্চ পর্যায়ের সফরের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০২২ সালের একই মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে।
সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। তবে আগের মাসের (অক্টোবর) তুলনায় বেড়েছে।
সোমবার (৪ ডসেম্বর) প্রকাশিত ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে রপ্তানি আয় করেছে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
তৈরি পোশাকের (আরএমজি) চালান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি কমেছে। আরএমজি সেক্টর নভেম্বরে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিটওয়্যার সাবসেক্টরে পোশাকের চালান বিশেষভাবে কমে গেছে। গতমাসে যা ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের চেয়ে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। ওভেন পোশাক থেকেও আয় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে, চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ সালের ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সামগ্রিক রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রধান খাতগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া বাকি সব খাতে রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে হিমায়িত খাবার অন্তর্ভুক্ত; চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাট ও পাটজাত পণ্য; কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%