%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রা
বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড এবং অর্থনৈতিক লেনদেনে সাবলীলতার দরুণ মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতির একটি অপরিহার্য উপাদান। স্বভাবতই সবগুলো মুদ্রা মূল্যমান এক পাল্লায় পরিমাপ করা হয় না। এমনকি কিছু কিছু মুদ্রা অন্যগুলোকে ছাড়িয়ে আশ্চর্যজনক উচ্চতায় উঠে আসে। এই আকাশচুম্বী তারতম্যের কারণ কী! বর্তমান বিশ্বের সব থেকে দামি ১০টি মুদ্রার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি চলুন পটভূমিটাও জেনে নেওয়া যাক।
বৈদেশিক মুদ্রার মান নির্ধারণ হয় কীভাবে?
বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যমান মূলত নির্ধারিত হয় দু’টি প্রধান উপায়ে: ফ্লোটিং রেট ও ফিক্সড রেট।
ফ্লোটিং রেট
এই রেটটি নির্ধারিত হয় মুক্ত বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। যখন একটি মুদ্রার চাহিদা বেশি হয়, তখন এর মূল্য বাড়ে। আর চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে তার দামটা পড়তে থাকে। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত এবং মৌলিক কারণ একটি ন্যায্য বিনিময় হার সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে প্রভাবিত করে। আর সেই অনুযায়ী পরিবর্তন হতে থাকে চাহিদা ও সরবরাহ।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয়দের মধ্যে মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যায়। এর পেছনে নটবর হিসেবে কাজ করে সুদের হারের পরিবর্তন, বেকারত্বের হার, মুদ্রাস্ফীতি ও ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলো।
ফিক্সড রেট
বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হিসেবে একটি দেশের সরকার নিজেদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে দেয়। এই হার বজায় রাখার জন্য সরকার সেই বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রা ক্রয় ও বিক্রয় করে।
আরও পড়ুন: আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
স্বল্পমেয়াদে ফ্লোটিং রেটের গতিবিধিকে ঘিরে দানা বাধতে থাকে অনুমান ও গুজব। কখনো সত্যিকার অর্থেই রেটের বিপর্যয় ঘটে, যার সূত্র ধরে পরিবর্তিত হতে থাকে দৈনন্দিন সরবরাহ ও চাহিদা। স্বল্পমেয়াদের এই অস্থিরতার চরম অবস্থায় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো হস্তক্ষেপ করে।
অর্থাৎ একটি মুদ্রার দাম অত্যধিক বেশি বা কম হয়ে গেলে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর এই হস্তক্ষেপ ঘটে। অন্যথায় এই অস্থিতিশীলতাটি দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং ঋণ পরিশোধের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সর্বপরি, মুদ্রার ফ্লোটিং রেটকে তুলনামূলকভাবে অনুকূল অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য ফিক্সড রেটের ব্যবস্থাগুলো প্রয়োগ করা হয়।
২০২৩ সালে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ মূল্যবান মুদ্রা
কুয়েতি দিনার
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুদ্রা হলো কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি), যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় যার বিনিময় হার ৩ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার। কুয়েতের ভৌগলিক অবস্থান সৌদি আরব এবং ইরাকের মাঝে হওয়ায় দেশটিকে তেল রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। ১৯৬০-এর দশকে প্রবর্তিত মুদ্রা দিনার সর্বপ্রথম ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ফিক্সড রেট করা হয়েছিল। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কুয়েতকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং একক মুদ্রামুখী ঝুঁকিগুলো হ্রাস করতে সাহায্য করে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১ কুয়েতি দিনারের দাম ৩৫৩ দশমিক ৭০ টাকা।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সপ্তম বিগটেক্স ২০২৩ (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো) এর ‘ইন অ্যাসোসিয়েশন পার্টনার’ হওয়ার জন্য রেডকার্পেট গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
রেডকার্পেট-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে আয়োজক কমিটি ১৩ জুলাই ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতা ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রেডকার্পেট এর পরিচালক ও প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা লুৎফর হোসেন, পরিচালক ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাজাহারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩ দিনব্যাপি রোসা দ্বিতীয় কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩ শুরু
বিজিএমইএ আগামী ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বহুল প্রত্যাশিত ৭ম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপোতে অ্যাসোসিয়েশন পার্টনার হিসেবে কাজ করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিজিএমইএ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য ও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আয়োজকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপোতে বিজিএমইএ-এর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের প্রাণবন্ত এবং সমৃদ্ধিশীল পোশাক শিল্পের প্রদর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম বলে তারা মনে করেন।
সমগ্র এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ প্রায় ১২টি দেশ হতে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব ধরনের যন্ত্রপাতি, টেকনোলজি ও এক্সেসোরিস উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, ও আমদানিকারকরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। তারা তাদের পণ্যের নতুনত্ব ও এই খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরবেন। যার ফলে বাংলাদেশের শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, উদ্যেক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্চেন্ডাইজাররা বেশ উপকৃত হবেন।
তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে দেশীয় ও বিদেশি প্রস্তুতকারক, ডিলার ও সরবরাহকারীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা হিসেবে বস্ত্র ও পোশাক খাতের প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বি-টু-বি সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হবেন।
এজন্য, বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক, উদ্যোক্তা, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্চেন্ডাইজারদের নাগালের মধ্যে বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতির নতুনত্ব ও খুঁটিনাটি পৌঁছে দিতে এই প্রদর্শনী গুলো সন্দেহাতীতভাবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
জার্মান ভাষা শিক্ষা নিঃসন্দেহে উচ্চশিক্ষা এবং পেশাগত সমৃদ্ধির জন্য একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করতে পারে। এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, অর্থনীতি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রভাবশালী অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে জার্মানি।
বিখ্যাত জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন অথবা সেখানকার কোনো স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকরি- লক্ষ্য যাই হোক না কেন, তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জার্মান ভাষায় দক্ষতা অর্জন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর এই অর্জনে অভাবনীয়ভাবে নিজেদের স্বাক্ষর রাখছেন। যারা তাদের সারিতে নিজেদের যুক্ত করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এই নির্দেশিকা নিবন্ধটি।
এটি বাংলাদেশ থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার সার্বিক ধারণা প্রদান করবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জার্মান ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা ও কোর্সগুলোর ব্যাপারে অবগত হওয়ার জন্য এটি এক পরিপূর্ণ গাইড হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার বিস্তারিত নির্দেশিকা
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্যতা
কমন ইউরোপীয় ফ্রেমওয়ার্ক অফ রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজ (সিইএফআর) অনুযায়ী জার্মান ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের স্তর ছয়টি- এ১, এ২, বি১, বি২, সি১ এবং সি২। এই ছয়টি স্তর যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন বয়সের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার আয়োজন করে গ্যোটে ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ শাখা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।
চলুন, এই পরীক্ষাগুলোর বিভিন্ন শর্ত এবং ন্যূনতম কত বয়স হলে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করা যাবে তা জেনে নিই।
এ১ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১: ফিট ইন ডয়েচ ১ (এফডি ১)
বয়স: ১০ থেকে ১৬ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের ন্যূনতম সিইএফআর-এর এ১ স্তরে জার্মান ভাষায় সাবলীল হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫-মিনিটের ৮০ থেকে ২০০ টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১: স্টার্ট ডয়েচ ১ (এসডি ১)
বয়স: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষায় সিইএফআর-এর এ১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ৮০ থেকে ২০০ টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
এ২ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২: ফিট ইন ডয়েচ (এফডি)
বয়স: সর্বনিম্ন ১২ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর এ২ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ২০০ থেকে ৩৫০টি ক্লাস শেষ করতে হবে।
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই সিইএফআর-এর এ২ স্তরের জার্মান ভাষা দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ২০০ থেকে ৩৫০টি ক্লাস শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আশায় নিরাশা এনে দিয়েছে লকডাউন!
বি১ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১২ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর বি১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
বি২ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি২
বয়স যোগ্যতা: ন্যূনতম ১৫ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষায় সিইএফআর-এর বি২ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
সি১ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি১
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১৬ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর সি১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫-মিনিটের ৮০০ থেকে ১ হাজার টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
সি২ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি২: গ্রসেস ডয়েচেস স্প্রাচডিপ্লোম (জিডিএস)
বয়স: ন্যূনতম ১৮ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর অনুযায়ী দক্ষতার সর্বোচ্চ স্তর সি২-এর দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের কমপক্ষে ১ হাজার টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বিশেষ সার্টিফিকেট পরীক্ষা
টেস্টডিএএফ
বয়স: ন্যূনতম ১৮ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর কমপক্ষে বি২ এবং সি১ স্তরের দক্ষতা থাকা জরুরি।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীর সম্পন্ন করা কোর্স ৪৫ মিনিটের ৭০০ থেকে ১ হাজার টিচিং ইউনিটের মধ্যে থাকতে হবে।
গ্যোটে-টেস্ট প্রো
বয়স: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন পরীক্ষা
যে শিক্ষার্থীরা গোথ-ইন্সটিটিউটের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করেন, এমন আভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি’তে বিশেষ ছাড় থাকে। এই অভ্যন্তরীণ প্রার্থী হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কোর্সের অবশ্যই যে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্তরের কোর্স সম্পূর্ণভাবে শেষ করতে হবে। বাইরের শিক্ষার্থী অর্থাৎ শুধুমাত্র পরীক্ষাতে যারা অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তাদের পরীক্ষা সমূহের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা সমূহ
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (এসডি১)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (ফিট ইন ডয়েচ)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (এসডি১)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২ (ফিট ইন ডয়েচ)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১ জুগ্যান্ডলিশ: ফিট ইন ডয়েচ
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি২
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি১
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি২
সূত্র: গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
বর্তমানে, বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউট শুধুমাত্র এ১ থেকে বি২ স্তর পর্যন্ত সার্টিফিকেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের সময় নতুন ইস্তেহারে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এই পরীক্ষাগুলো হালনাগাদকৃত ফি-এর ব্যাপারে জানতে অনুগ্রহপূর্বক বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন বা সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
জার্মান ভাষা আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেটের জন্য কোর্স
জার্মান ভাষা শেখা ও আন্তর্জাতিক জার্মান ভাষা সার্টিফিকেট পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বাংলাদেশে গ্যোটে ইন্সটিটিউট-এর এক্সটেনসিভ, ইনটেনসিভ, এবং ব্লেন্ডেড লার্নিং কোর্স রয়েছে।
প্রতিটি কোর্সে সাধারণত সর্বোচ্চ ২২ জন শিক্ষার্থী নেওয়া হয়। কোর্সগুলো সাধারণত জানুয়ারি, মার্চ, জুন এবং সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে থাকে।
কোর্সগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:
এক্সটেনসিভ ও ইনটেনসিভ কোর্স
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ১.১/এ১.২
অনলাইনে পরিচালিত এই কোর্সটি এ১ স্তরে একদম নতুনদের জন্য। এর প্রতি সপ্তাহে ২টি সেশন থাকে, যার প্রতিটি সেশন ৪৫ মিনিটের ৪টি টিচিং ইউনিট পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। এভাবে ১০ সপ্তাহে সর্বমোট ৭৫টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করা হয় কোর্সটিতে।
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ২.১/এ২.২
এ২ স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা এই অনলাইন কোর্সে প্রতি সপ্তাহে ২টি সেশন রাখা রয়েছে। প্রতিটি সেশন ৪৫ মিনিটের ৪টি টিচিং ইউনিট পর্যন্ত চলে। ১০ সপ্তাহে কোর্সটিতে মোট ৮০টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করা হয়।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ১
এ১ স্তরে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বানানো হয়েছে এই কোর্সটি। প্রতি সপ্তাহে থাকে ৪টি সেশন, যেগুলোর প্রতিটি সাড়ে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ১০ সপ্তাহে কোর্সে সর্বমোট ১৫০টি টিচিং ইউনিট শেষ করা হয়, যেখানে এ১-এ দ্রুত দক্ষতা অর্জনের সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ২
ইনটেনসিভ এ১ কোর্সের মতো একইভাবে এই প্রোগ্রামটিও শিক্ষার্থীদের এ২ স্তরের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। এরও প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন এবং প্রতিটিতে সাড়ে ৩ ঘন্টা সময়। তবে ১০ সপ্তাহে কোর্সটি সব মিলিয়ে ১৬০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি১
বি১ স্তরে পৌঁছাতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রোগ্রামটি। এই ইনটেনসিভ কোর্সের প্রতি সপ্তাহে রয়েছে ৫টি করে সেশন। প্রতিটি সেশন ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট স্থায়ী হয়। কোর্সটি ১০ সপ্তাহে সর্বমোট ১৯০টি টিচিং ইউনিটে শেষ হয়। ইউনিটগুলো জার্মান ভাষায় তুলনামূলকভাবে আরও উন্নত দক্ষতা এবং সংস্কৃতি বোঝার ওপর জোর দেয়।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি২
বি২ স্তরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তৈরি এই ইনটেনসিভ কোর্সে প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন থাকে। বি১-এর মত এই সেশনগুলোও ৪ ঘন্টা ৫ মিনিটের এবং ১০ সপ্তাহে মোট ১৯০টি টিচিং ইউনিটে পাঠদান করা হয়। এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের ভাষাকে পরিমার্জিত করা, শব্দভান্ডার প্রসারিত করা এবং উচ্চ-মধ্যবর্তী স্তরে যোগাযোগের ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে।
ইনটেনসিভ হাইব্রিড এ১
এই কোর্সটি ক্লাসরুম এবং জুম স্ট্রিমিং এর সমন্বয়ে তৈরি। অংশগ্রহণকারীরা শারীরিকভাবে ক্লাসে যোগদান করতে পারে। আবার বিকল্পভাবে যোগদান করতে পারে অনলাইন সেশনগুলোতেও। এর প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন, যেগুলোর প্রতিটি সাড়ে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ১০ সপ্তাহে কোর্সটি মোট ১৫০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ইনটেনসিভ হাইব্রিড এ২
হাইব্রিড এ১ কোর্সের মতো, এই প্রোগ্রামটি তৈরি করা এ২ স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানেও প্রতি সপ্তাহে সাড়ে ৩ ঘন্টার ৪টি সেশন, যেগুলোতে ক্লাসরুম এবং জুম মিলিয়ে অংশগ্রহণ করা যায়। ১০ সপ্তাহে কোর্সটি মোট ১৬০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ব্লেন্ডেড লার্নিং কোর্স
এই কোর্সগুলো ৫০/৫০ অনুপাতে ক্লাসরুম সেশন এবং স্ব-অধ্যয়নকে একীভূত করে। কোর্সের অর্ধেক পরিচালিত হয় একজন শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি ক্লাসে যোগদানের মাধ্যমে। বাকি অর্ধেক সম্পন্ন হয় ইনস্টিটিউটের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্ব-অধ্যয়নের অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে।
ক্লাসরুমের সেশনে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে তারা তাদের কথা বলা এবং শোনার দক্ষতা অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পান। অনলাইন স্ব-অধ্যয়নের অংশটি প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন শিক্ষার উপকরণ, অনুশীলনসহ বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
এই কোর্স ফরমেটটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা, বুদ্ধি এবং সঠিক ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করে পৃথক শিক্ষার প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন করে ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত চলে।
প্রতি সেশনের স্থায়ীত্বকাল ৩ ঘন্টা এবং কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা এখানে ৪৫ মিনিটের মোট ১৬টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করতে পারে। এই নমনীয় সময়সূচীটি অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার থেকে প্রতিশ্রুতিশীল বা বহুমুখী শিক্ষার পরিবেশের জন্য বেশ উপযুক্ত।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট কোর্সের সময়
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ
সময় (সপ্তাহ)
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ (এ১.১/এ১.২)
১০
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ (এ২.১/এ২.২)
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ/হাইব্রিড এ১
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ/হাইব্রিড এ২
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি১
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি২.১/বি২.২
৯
পরীক্ষা প্রস্তুতি (এ১/বি১)
১
সূত্র: গ্যোটে ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ
এই কোর্সের সময়, ফিসহ বিবিধ বিষয় বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হয়। সাধারণত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের সময় হালনাগাদকৃত কোর্স ইস্তেহারে নতুন ফি ঘোষণা করা হয়। তাই সর্বশেষ তথ্যের ব্যাপারে অবগত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট-এ চোখ রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
শেষাংশ
সর্বোপরি, এই নিবন্ধটি বাংলাদেশে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায় জানার সহজ সমাধান। জার্মান ভাষাতে ক্যারিয়ার গড়ায় উৎসাহীদের যাবতীয় প্রয়োজনগুলোই মূল কাঁচামাল বাংলাদেশ গ্যোটে-ইন্সটিটিউট-এর কোর্স এবং পরীক্ষা পদ্ধতির। তাই এই পদ্ধতিগুলো বাংলাদেশের জার্মান ভাষা শিক্ষার্থীদের পরম নির্ভরতার জায়গা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং মোট ৭২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এসময়ে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
২০২২-২৩ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থবছরে ৬৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করা হয়েছে। যা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য এবং ৯ বিলিয়ন মূল্যের পরিষেবা রপ্তানি করা হয়েছিল এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬৭ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ঘোষণার আগে মন্ত্রী বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মন্ত্রীকে বলেন।
নতুন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনা করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটও বিবেচনা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি এবং পণ্যের সাশ্রয়ী মূল্যসহ বাংলাদেশের কিছু সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তারা ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীন থেকে শিল্প স্থানান্তর করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভিয়েতনামেও শ্রমিক সংকট রয়েছে। এসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রপ্তানি ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে গত অর্থবছরে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে। তবে জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো ইইউ অঞ্চলের কিছু প্রধান বাজারে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার ও ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৯ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে ৮ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৩’ অর্থবছরে আরএমজি পণ্য রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার, মোট আয়ের ৮৫%
একই সময় প্রচলিত রপ্তানি বাজারের বাইরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
নিয়মিত বাজারের বাইরে আগের বছরের তুলনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছিল ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ
বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জোরালো তাগিদ বাংলাদেশের
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ ‘বিএসজিআই’ -এর মেয়াদ ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর নবায়ন না করলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হবে। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো এই পরিস্থিতিতে অনেকটা ‘উদ্বিগ্ন’৷
এবতাবস্থায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ সরকারকে বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জোরালোভাবে তাগিদ দিচ্ছে। কারণ, এটি বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
মঙ্গলবার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসি বাংলাদেশ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি, মো. সমীর সাত্তার, এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম,সিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় এই আহ্বান জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকে বিএসজিআই আজ অবধি তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে তিনটি মহাদেশের ৪৫টি দেশে ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করার সুবিধা দিয়েছে। যার অনুপাত কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত অর্থনীতিতে রপ্তানি করা গমের অনুপাত পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে এই বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফল এটি। সেইসঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানি। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিবেদন করেছে যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ২২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আবারও ইউক্রেন থেকে ২০২১ সালের মতো একই পরিমাণে গম সংগ্রহ করছে। আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টন গম ক্রয় করছে।
তারা বলেছে, ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানির অব্যাহত সুবিধা এইভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধিতকরণের মাধ্যমে, বিএসজিআই-এর যে কোনও ত্রুটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতি যা সত্যিকার অর্থে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সর্বোপরি মানবিক পরিণতিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্কিন ডলার সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে আশাবাদ নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতি সম্পর্কিত একটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। এতে বলা হয়, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়াসহ বহিরাগত প্রভাবের কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিষয়টি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পরিস্থিতি রাতারাতি সমাধান হবে না। সুতরাং, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনায় সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি তিন মাসে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্যসহ এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক ৯% সুদের হার তুলে নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের চাপে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব এখনো অর্থনীতিতে পড়েনি। কিন্তু অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।
অর্থনীতির একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বেশির ভাগই আসে এসব অঞ্চল থেকে। রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশ যায় এসব দেশে।
অন্যদিকে, আমদানির ৭২ শতাংশ আসে ভারত ও চীন থেকে। এখন সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে আমেরিকা থেকে। বর্তমানে যে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূ-রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ সামনে এসেছে। এই দুই দেশের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনা করছে। বাংলাদেশ এর সমালোচনা মানতে রাজি নয়, যদিও বলা হয় যে বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি নীতি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে বুথ বসাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কিছু বিধিনিষেধ ও সাম্প্রতিক ভিসা নীতিমালার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আকারে বাংলাদেশিদের অর্থ দেশে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশ এরই মধ্যে মোকাবিলা করছে। এর প্রভাব এখনও আছে।
যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত হানছে। আর্থিক খাতে অস্থিতিশীলতা ছিল। এখন তা সহজ হতে শুরু করেছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য সরবরাহ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে আগামী দিনগুলোতে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
দেশীয় পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণায় সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদক এবং অভ্যন্তরীণ স্বাদু পানির মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এছাড়া উচ্চ মানের ওষুধ, জেনেরিক ওষুধ, অনন্য পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, আসবাবপত্র, খেলনা এবং ইলেকট্রনিক পণ্যসহ অনেক বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন হচ্ছে দেশে। এসব পণ্য আমদানির জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য বর্তমানে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য উল্লেখ করে টিপু মুনশি জানান ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পণ্য রপ্তানি করেছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেলের উদ্বোধন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজারে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতি অঞ্চল নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে দেশভিত্তিক আলাদা অর্থনৈতিক জোন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ইতোমধ্যে দুই দফা বৈঠক করেছে এবং খুব শিগগিরই তৃতীয় বৈঠকে বসবে। ঢাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ইউনাইটেড কিংডম ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগের অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়মিত সংলাপ আমাদের যৌথ মূল্যবোধ এবং মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগকে আরও শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ডেভেলপিং কান্ট্রি ট্রেডিং স্কিম-ডিসিটিএস এর অধীনে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা দীর্ঘতম সম্ভাব্য সময় পর্যন্ত আমাদের ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধার স্থিতি অব্যাহত রাখতে চাই। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশ উত্তরণের পর পরবর্তী আরও ছয় বছর শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে পাশে থাকারও আহ্বান জানান।
এসময় সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোন তার দেশ বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশিাপশি এভিয়েশন, শিক্ষা এবং প্রতিরক্ষার বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার চমৎকার বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে রেডিমেড গার্মেন্টস ছাড়াও বাংলাদেশী পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। ভবিষ্যতে এ বাজার বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশে তার দেশের ব্যবসায়ীরা নানা ধরণের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে মোকাবেলা করছেন বলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং সেগুলো সমাধানের জন্য অনুরোধ জানান। নির্দিষ্ট করে সমস্যার কথা জানালে সেগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও ট্রানজিট চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) একটি 'বাজার-ভিত্তিক' মার্কিন ডলারের বিনিময় হার চালু করে, নতুন অর্থবছর ২০২৩-২০২৪-এর এইচ-১ এর জন্য সর্বোচ্চ হারের ওপর একটি সীমা নির্ধারণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সায় বিক্রি করছে, আগের হার থেকে ২ টাকা ৮৫ পয়সা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
বাজারভিত্তিক হারে ডলার বিক্রির নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দামও সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির।
এদিকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে ব্যাঙ্কগুলো বিভিন্ন হারে মার্কিন ডলার বিক্রি করছে।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির এবং মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে বিভিন্ন হারে ইউএস ডলার বিক্রি করছে, আমদানিকারকরা এলসির জন্য প্রতি ডলারে ১১২ টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার সূত্রের বিরুদ্ধে।
রপ্তানিভিত্তিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে মঙ্গলবার মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে এলসি খুলতে যাওয়া ব্যবসায়ী রুবায়েত হোসেনকে এলসির জন্য ডলারপ্রতি ১১২ টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে জানান, উচ্চহার সত্বেও রুবায়েত তার প্রয়োজনের অর্ধেক ডলার পেয়েছিলেন এবং এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবসার জন্য বিরক্তিকর বলে বর্ণনা করেন।
এর আগে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ অর্থবছর থেকে ছাড়ের হারে ব্যাংকগুলোর কাছে আর ডলার বিক্রি করবে না। তাই আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সর্বোচ্চ মূল্যে ডলার বাজারভিত্তিক হারে বিক্রি করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারের অধীনে ডলারের সর্বোচ্চ দর ১০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বিএএফইডিএ অনুযায়ী, এখন থেকে ডিলার ব্যাংকগুলো যে হারে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে এক টাকা যোগ করবে এবং বিসি (সংগ্রহের জন্য বিল) বিক্রির হার দেবে। তবে এই হার ১০৯ টাকার বেশি হতে পারবে না। ব্যাংকগুলো এখন রপ্তানি বিল ১০৭ দশমিক ৫০ টাকায় এবং রেমিটেন্স ১০৮ দশমিক ৫০ টাকায় কেনে।
বাফেদা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গড় ডলার ক্রয়মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানি মূল্য নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩ দিনে এলো ১২৩ টন কাঁচা মরিচ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিন দিনে এলো ১২৩ টন আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ। মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) বিকালে পাঁচটি ট্রাকে ৩৩ টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
এর আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রবিবার ৪৫ টন এবং সোমবার ৪৫ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়।
ঢাকা ও খুলনার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানরা এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করে নিয়ে আসে। কাঁচা মরিচের চালানগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে চলে যাচ্ছে।
বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আজ ভারত থেকে ৫টি ট্রাকে ৩৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৬টি ট্রাকে এল কাঁচা মরিচ
তিনি জানান, এগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে আরও কয়েক ট্রাক কাঁচা মরিচ এপারে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও জানান, গত তিনদিনে এ বন্দর দিয়ে ১২৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে বেনাপোলের মেসার্স ঊষা ট্রেডিং ঢাকার এন এস এন্টারপ্রাইজ ও খুলনার এস এম করপোরেশনসহ আরও কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানি করছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ্ জানান, জরুরি ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় কাঁচা মরিচের চালানগুলো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খালাসের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের আমদানি মূল্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতিকেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।
বেনাপোলের আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, আমদানি হওয়া কাঁচামরিচ তাদের রপ্তানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহনসহ দুই দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের আর ও অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়।
তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়ে যায় ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।
সীমান্তের ওপারের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর রপ্তানিকারক ফিরোজ বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বনগাঁর স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি দর ছিল ১৬০ থেকে ২৮০ রুপি কেজি। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০০ রুপিতে।
তিনি আরও বলেন, এদিন ভারতের নাগপুরে কেজি প্রতি পাইকারি দর ছিল ৭০ রুপি।
প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি