%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
আসন্ন রমজানে মরিচ, আলু, শসা, বেগুনসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল জাতীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এই খাতের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, কোনো অসাধু ব্যক্তি যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
রবিবার(১০ মার্চ) সকালে কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স বিষয়ক এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। এ মাসকে কেন্দ্র করে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজি যেমন বেগুন, মরিচ, আলু, শসা ইত্যাদির সরবরাহ ও মূল্য যেন স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে কেউ যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এই খাতের ব্যবসায়ীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি, পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে এই খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দেশে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগই সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থার উন্নয়নে সঠিক পরিসংখ্যান ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে পথে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হাজী আবুল হাসেম বলেন, কাঁচামাল নিয়ে সাধারণ ভোক্তারা সব সময় আগ্রহী হলেও রমজান মাস এলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অহেতুক দাম বাড়িয়ে বা সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে বিপদে না ফেলার আহ্বান জানান তিনি।
হাসেম বলেন, মানুষ যেন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে কটু কথা বলার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. এমরান মাস্টার।
তিনি বলেন, বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা বা সংকট এড়াতে সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের বিপণন ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু ও আধুনিক করতে আড়ৎদারদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল গঠন ও সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়াও পণ্যের সংকট যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে কাঁচামাল পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি দেশের কোন জেলায় কী পরিমাণ ফসল ও শাকসবজি উৎপাদিত হচ্ছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার, শহিদুল হক মোল্লা, আমির হোসেন নূরানী, তপন কুমার মজুমদার, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলের আগুনে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী
'ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা অভিযানের নামে হয়রানি' অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকদের
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই অভিযানকে ‘লোক দেখানো ও হয়রানি’ বলে অভিযোগ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
বেইলি রোডের আগুনের পর ধানমন্ডি গুলশান, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এদিকে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ, এসব অভিযানে সমন্বয় নেই। সরকারি সংস্থাগুলো যে যার মতো অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এসব অভিযানকে ‘হয়রানি’ ও ‘লোক দেখানো অভিযান’ বলে দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন অভিযান কাম্য নয়। এসব অভিযান তো নিয়মিত পরিচালনা করার কথা ছিল। সমস্যা সমাধানে সমন্বিত অভিযান প্রয়োজন। অন্যথায় এ ধরনের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’
কোনো ভবন ত্রুটিপূর্ণ থাকলে রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টদের দায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওইভাবে ভবনে অভিযান হলে আগে তো রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভবন মালিকের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা। ওই অবৈধ ভবন ভাড়া নিয়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা মালিক এরপর আসবে। কিন্তু ভবনে ত্রুটির দায়ে তাদের গ্রেপ্তার না করে একজন রেস্টুরেন্টকর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা অন্যায়। কেননা তারা এই প্রক্রিয়ার কোনো অংশই নয়। তাদের বলির পাঁঠা বানিয়ে দায়ীদের বাঁচিয়ে দেওয়ার এটা একটা প্রক্রিয়া।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
এ বিষয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বর্তমান সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। তার কাছে আমরা বিষয়টি জানাতে চাই। উনি যদি মনে করেন আমরা দোষী তাহলে আমরা সব বন্ধ করে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি অবশ্যই আছে। তাই বলে কি সব বন্ধ করে দেওয়া লাগবে? সব সেক্টরের ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তার মানে তো এই নয় যে, সব বন্ধ করে দেবেন। এসব অভিযান লোক দেখানো। আসল জায়গায় কেউ হাত দেয় না। এই ব্যর্থতার দায় কেউ নেবে না। আমরা মালিক সমিতি হিসেবেও ব্যর্থ হয়েছি।’
অভিযানে কতটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৪০টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সংস্থার ১২টি লাইসেন্স থাকার পরও সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে জুলুম করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
দেশে কতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে এবং কর্মসংস্থান সংখ্যা কত হবে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ এ পেশার ওপর নির্ভরশীল।
ইমরান হাসান বলেন, এই ক্ষতি আমরা কীভাবে পোষাব। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে আমরা যে ইমেজ তৈরি করেছি, সেটি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
হয়রানি না করে টাস্কফোর্স গঠন করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
রেস্তোরাঁ সেক্টরে এই প্রথম এত বড় দুর্ঘটনা হয়েছে। তবে এটিই শেষ দুর্ঘটনা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে সবাইকে একটি নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে: সংসদে চুন্নু ও রেজাউল
এদিকে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে অভিযান কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, সরকারের কোন সংস্থা গিয়ে কোন ভবন ভাঙবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।
জাপা মহাসচিব আরও বলেন, এক ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে দোকান ভাঙেন। আরেকজন গিয়ে বলছেন বন্ধ করেন। এতে করে এলোপাতাড়ি হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এটা না হয়, তার জন্য দায়িত্বশীলদের সমন্বিতভাবে ধীরস্থিরভাবে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সমন্বয়হীনতার অভাবে আবারও সমস্যা হবে।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হবে। চিহ্নিত ভবনের প্রবেশমুখে ঝুঁকিপূর্ণ নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগও বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজউক ভবন নির্মাণে অনুমোদন দিলেও, এরপর সেখানে ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সনদ, কলকারখানা অধিদপ্তরের সনদ নিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতে হয়। তাই রাজউক চাইলে একা এখানে কিছু করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত: মেয়র তাপস
বিজিএমইএ নির্বাচন-২০২৪: ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ, গণনা চলছে
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট দিয়েছে ৮৯ শতাংশ ভোটার। নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করার পর চলছে গণনার কার্যক্রম।
শনিবার(৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উত্তরার বিজিএমইএ ভবনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন সাংবাদিকদের বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে ৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বড় ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি।
এবারের নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৪৯৬ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ২২৬ জন ভোট দিয়েছেন, যা ৮৯ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে ঢাকার ২ হাজার ৩২ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৮৩৯ জন বা ৯০ শতাংশের বেশি (৯০.৫০ শতাংশ) ভোট দিয়েছেন। চট্টগ্রামে ৪৬৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৭ জন, যা প্রায় ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন ৭০ জন প্রার্থী। বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ নামে দুটি প্যানেল।
সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দেন সেবা ডিজাইনের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান কচি, যিনি বিজিএমইএ'র বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। আরেকটি প্যানেল ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সুরমা গার্মেন্টসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি কমিটির বর্তমান পরিচালক। এছাড়া ফয়সাল একসময় সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
এস আলম সুগার মিলের আগুনে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এস আলম গ্রুপের চিনিকলে অগ্নিকাণ্ডে চিনির সরবরাহ ও দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বুধবার (৬ মার্চ) প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এর ওপর এক কর্মশালা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা আগুনে কী পরিমাণ চিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার প্রাথমিক নিরূপণ সম্পন্ন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, এই পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ হাজার টনের মধ্যে হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
তিনি আরও বলেন, ‘রমজানে প্রায় ৩ লাখ টন চিনির প্রয়োজন হলেও কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া চিনির পরিমাণ চাহিদার ১০ শতাংশের কম। এ ঘটনায় চিনির বাজার দরে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানে উচ্চ চাহিদা রয়েছে এমন বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে খেজুরসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা এলিজাবেথ গাচুরি।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
আটাব নির্বাচন: আরেফ-আফসিয়া'র গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট প্যানেল জয়ী
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ -আটাবের দ্বি-বার্ষিক (২০২৩-২৫) নির্বাচনে সারাদেশে পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করেছে আবদুস সালাম আরেফ ও আফসিয়া জান্নাত সালেহ'র নেতৃত্বাধীন আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনে ৩টি প্যানেল অংশ নেয়।
ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করেন আটাব নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা।
আরও পড়ুন: বিমানের বিরুদ্ধে ১০ দিনের আল্টিমেটাম সিলেট আটাবের
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৮৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আফসিয়া জান্নাত সালেহ। তিনি ঢাকা থেকে ৬২৪, চট্টগ্রাম থেকে ১২৫ ও সিলেট থেকে পান ৮৫ ভোট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮১৪ ভোট পান আবদুস সালাম আরেফ। তিনি ঢাকা থেকে ৬০৬, চট্টগ্রাম থেকে ১২৪ ও সিলেট থেকে পান ৮৪ ভোট পান।
টিকেট সিন্ডিকেট করে মুল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট বন্ধ, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির সুষ্ঠূ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ ও অনুমোদনহীন অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধসহ দেশিয় পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।
‘গড়ি তারুণ্যদীপ্ত অভিজ্ঞ সদস্যবান্ধব স্মার্ট আটাব’ এই স্লোগান নিয়ে আবদুস সালাম আরেফ-আফসিয়া জান্নাত সালেহ’র গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে ঢাকার হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন- মোস্তাফিজুর রহমান হিরু, লায়ন মো. শফিক উল্লাহ নান্টু, দিদারুল হক, মো. মনসুর আলম পারভেজ, সবুজ মুন্সি, আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ তোয়াহা চৌধুরী, মো. শাহীন উজ জামান, মো. ফজলুল হক, আবুল কালাম আজাদ, কালাম সিকদার , মো. ইফতাখার আলম ভূঁইয়া , এস. এম , বিল্লাল হোসেন সুমন, এ. টি. এম খোরশেদ আলম ও এ এম এম কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ছয় দফা দাবিতে সিলেটে আটাবের গণঅবস্থান
চট্টগ্রাম থেকে মোহাম্মদ আবু জাফর, এইচ. এম মুজিবুল হক সাকুর, মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, মোহাম্মদ ওসমান গণি, সৈয়দ মাসুদ হোসেন এবং সিলেট থেকে মো. জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান, আব্দুল হক, নজির আহমেদ আজাদ, মিসির আলী, রুশু চৌধুরী, মো. মোজাম্মেল হোসেন রুবেল, মো. আব্দুল কাদির ও মো. হারুনুর রশীদ।
আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্যানেল লিডার আবদুস সালাম আরেফ বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সদস্যদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ত্ব দিয়ে স্মার্ট আটাব গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, এ বিজয় আটাব সদস্যদের। এ বিজয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয়। মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড সহ সকল সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমে সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এন্ড টুরিজম এক্সপো আয়োজন করছে আটাব
৭ মাসে ইউরোপে ১৩.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৩.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডে রপ্তানি যথাক্রমে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। তবে, ইতালিতে স্থানীয় পোশাক রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
একই সময়ে, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৮৭১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন নীতি উন্মোচন
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসে, অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ে ৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ২৩ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ভারতে পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং ক্রমাগত উদ্ভাবন ও টেকসই চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ। এই গতি বজায় রাখার জন্য, আমাদের অবশ্যই স্থায়িত্ব এবং নৈতিক অনুশীলনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
মঙ্গলবার(৫ মার্চ) রাজধানীতে ‘ভিশন বাংলাদেশ এবং পোশাক শিল্পের টেকসই অর্জন এবং প্রতিযোগিতামূলকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টেকসই অবস্থার দিকে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ইইউর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। এসময় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগিতা পোশাক শিল্পের মধ্যে নৈতিক অনুশীলন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য সরকার, শিল্প ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
সব কর্মীদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কাজের পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন।
তিনি বলেন ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ মৌলিক অংশ। ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ এবং কর্মজীবনে অগ্রগতির সুযোগগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা শ্রমিকদের মঙ্গল এবং শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নিশ্চিত করতে পারি। যেটি টেকসই ব্যবসাও নিশ্চিত করে।’
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী বলেন, ‘টেকসই অবস্থা কেবল একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতাই নয়; এটি ব্যবসায়িক দিক দিয়েও বাধ্যতামূলক। পরিবেশবান্ধব অনুশীলন এবং নৈতিক মানগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারি এবং শিল্পের জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারি।’
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন নীতি উন্মোচন
ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশনের (এনসিসিডব্লিউই) সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শ্রমিকরা পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড। তাদের চাওয়া-পাওয়া শোনা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত করা টেকসই পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সম্পৃক্ততার সঙ্গে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের ইতিবাচক ভূমিকা পোশাক শিল্পের মধ্যে সম্প্রীতি ও টেকসই বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে, আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গঠন করতে চাই, যেখানে বাংলাদেশের টেকসই পোশাক শিল্প এবং প্রতিযোগিতা একসঙ্গে কাজ করে।’
আইএলও-আইএফসি বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এবং জিআইজেড এবং ওয়াটারএইডের সহযোগিতায় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম (সাফ)-২০২৪-এর আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ।
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প নেতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীজনরা আরও নৈতিক ও পরিবেশবান্ধব পোশাক শিল্পের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে এই খাতে ৪০ লাখেরও বেশি লোক কাজ করেন। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাফ ২০২৪ এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে এই খাতের সব কর্মকর্তারা এক হয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে আলোচনা করে সমাধানের পথকে তরান্বিত করতে পারেন। একই সঙ্গে এই ফোরাম পোশাক খাতের সেরা উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করেছে। পোশাক খাতকে আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই ফোরাম।
দিনব্যাপী ফোরামে প্রায় ৫০০ জন দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের সঙ্গে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জেষ্ঠ সহসভাপতি আমিন হেলালী।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
এফবিসিসিআই নেতারা বলেন, দেশের বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে আরও জোরালোভাবে কাজ করতে হবে।
আমিন হেলালীর নেতৃত্বে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ব্যবসায়ী হোক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান, কমপ্লায়েন্স নিশ্চয়তা ও তদারকির সঙ্গে জড়িত কি না; শাস্তি নিশ্চিতের জোর তাগিদ দেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডকে মনুষ্যসৃষ্ট সংকট উল্লেখ করে এফবিসিসিআই নেতা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা হলো না পটুয়াখালীর জুয়েলের
শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল প্রতি লিটারের দাম ১৬৩ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী উদ্যোক্তাদের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১৬৩ টাকা দরে বিক্রি হবে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য ১.১০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে টিসিবি
সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দিতে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল তারা সেই চিঠি পেয়েছেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহ থেকে দেশে পেঁয়াজ আসবে।
শুল্ক ছাড় দিয়ে বাজারে নির্দিষ্ট ধরনের খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে অন্তত ১০ ধরনের খেজুর আছে। এর মধ্যে বস্তায় বস্তায় আসা জায়েদি খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী