%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার কর্মসূচির বাজেটে দান করবে বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) তার সদস্যদের জন্য একটি ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট করা অর্থ একটি বৃদ্ধাশ্রম এবং অন্যান্য সামাজিক সংস্থাগুলোতে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সুবিধাবঞ্চিত ও নিঃস্ব মানুষের যত্ন নেয়।
এর আগে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিজিএমইএ তাদের নির্ধারিত ইফতার কর্মসূচি বাতিল করে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রবিবার আপন ভুবন নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি এর বাসিন্দাদের সঙ্গে সময় কাটান।
পরিদর্শনকালে তিনি প্রবীণ নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যের জন্য আপন ভুবনে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এবং তাদের পোশাক, খাবার ও অন্যান্য উপহার প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ বাণিজ্য মেলা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক শারমিন হাসান তিথি।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে স্যামসাংয়ের ‘ঘর ভর্তি ঈদ ফুর্তি’ ক্যাম্পেইন
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রতিবারের মতো ঈদ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে স্যামসাং। নতুন এ ক্যাম্পেইনের আওতায় স্যামসাং টিভি, রেফ্রিজারেটর ও ওয়াশিং মেশিনে থাকছে বিভিন্ন অফার এবং এসব অ্যাপ্লায়েন্স কেনা যাবে বিশেষ প্রোমোশনাল প্রাইসে।
‘ঘর ভর্তি ঈদ ফুর্তি’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইনে স্যামসাং-এর বিভিন্ন মডেলের টিভিতে থাকছে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। স্যামসাং এর ৪৩ ইঞ্চি ফোরকে ইউএইচডি টিভি (এইউ৭৫০০) এখন কেনা যাবে মাত্র ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকায়। অন্যদিকে, ৫৫ ইঞ্চি কিউএলইডি ফোরকে স্মার্ট টিভি (৫৫কিউ৬০এ) ক্রেতারা কিনতে পারবেন এক লাখ ২১ হাজার ৯০০ টাকায়।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সের মধ্যে রেফ্রিজারেটর ও ওয়াশিং মেশিনও কেনা যাবে। স্যামসাং রেফ্রিজারেটরের মডেলের ক্ষেত্রে ক্রেতারা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ অফার উপভোগ করতে পারবেন। সাতশ’ লিটার সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর (আরএস৭২) কেনা যাবে মাত্র এক লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকায়। এ অফারের ওয়াশিং মেশিনের মূল্য শুরু হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা থেকে। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের ওয়াশিং মেশিনে দেওয়া হয়েছে মূল্য ছাড়।
এছাড়াও, হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলোতে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের ইএমআই সুবিধাসহ থাকছে ফ্রি ইনস্টলেশন ও ডেলিভারি সুবিধা।
আকর্ষণীয় এ ঈদ ক্যাম্পেইন নিয়ে স্যামসাং-এর কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘ঈদ হচ্ছে আনন্দ উদযাপনের সময়। এ সময় মানুষ তাদের ঘরও সাজিয়ে তুলতে চান। আনন্দ ও উদযাপনের এ সময়ে ‘ঘর ভর্তি ঈদ ফুর্তি’ ক্যাম্পেইনের মতো একটি ক্যাম্পেইন সবাইকে স্যামসাং-এর উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ করে দিবে। পাশাপাশি, ঝামেলাহীনভাবে তারা ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ১০ বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে স্যামসাং এর স্পেসম্যাক্স সিরিজের রেফ্রিজারেটর
বিশেষ শিশুদের জন্য স্যামসাং-ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের আর্ট ক্যাম্প
বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রদানকারী নগদ বৃহস্পতিবার বলেছে যে এটি বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে। যারা একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের জীবিকা হারিয়েছে।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেছেন, নগদ তার চলমান মেগা প্রচারাভিযান থেকে সমস্ত উপার্জন দান করবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসাগুলোকে, সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে যাদের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
নগদ ঈদ-উল-ফিতরের আগে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের গাড়ি, মোটরবাইক, স্মার্টফোন, নোটপ্যাড, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন এবং আরও অনেক কিছু জেতার সুযোগ দিয়েছে।
তানভীর বলেন, প্রচারণার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ তারা বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেবেন।
নগদ জানিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন থেকে তার আয় হয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: ঈদ: পুরস্কার পেল নগদ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীরা
চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আগামী শনিবার (৮ এপ্রিল) থেকে খোলা ও প্যাকেট চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমবে।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি খোলা ও প্যাকেট উভয় চিনির দাম প্রতিকেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়।
বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন এবং পণ্যমূল্য পর্যালোচনা টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার চিনির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৭ টাকার পরিবর্তে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১১২ টাকার পরিবর্তে ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় চিনির দাম বাড়ায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল্য নির্ধারণের পরও বাজারে চিনির দাম বাড়ছে। বর্তমানে খোলা চিনি প্রতিকেজি ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনির কেজিতে আবারও বাড়বে ৫ টাকা, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি
মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৩৩ শতাংশ, ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য উদ্ধৃত করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা বিগত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে আট দশমিক ৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির আট দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকেও বেশি।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে জনগণ ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় এবং নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীকে কেনাকাটা কমিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যে আট দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছে। ওই সময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
এর আগে গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে উঠেছিল। গত ১১ দশমিক ৯ বছরে (১৪৪ মাস) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর কখনোই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
২০২২ সালের আগস্টের পরে মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমেছে আট দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও বেশি।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে এডিবি
এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ২০২৩ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ করেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এডিবি বলেছিল, এবছরের এপ্রিল মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
মঙ্গলবার ২০২৩ সালের এপ্রিলের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে (এডিও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। গড় মূল্যস্ফীতি ২০২২ অর্থবছরের ছয় দশমিক দুই শতাংশ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে আট দশমিক সাত শতাংশে পৌঁছাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি কম হবে। কারণগুলো হলো- জ্বালানির ঘাটতি ও উচ্চ উৎপাদন খরচ, রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, মিতব্যয়ীতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস।
তবে চলতি হিসাবের ঘাটতির দিক থেকে গত অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ থাকলেও, এবার তা কমে হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশের জন্য এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা বড় ঝুঁকি হচ্ছে বিশ্বের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোর অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা কমে গেছে, রপ্তানির গতিও কমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বাহ্যিক প্রতিকূলতার প্রভাবের বিরুদ্ধে তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: এডিবি’র ১ বিলিয়ন: আলোচনার জন্য রাতে ঢাকায় আসছেন লাভাসা
গিনটিং বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে মূল সংস্কারগুলোকে ত্বরান্বিত করা দেশকে মধ্য মেয়াদে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এবং অভ্যন্তরীণ রিসোর্স মোবিলাইজেশন জোরদার করা, আর্থিক খাতকে সুস্থির করা এবং বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে অভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজারের অস্থিরতার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।’
গিনটিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে এডিবি দেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের উন্নতির জন্য সহ-অর্থায়নসহ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান পেয়েছে। বাংলাদেশে ৫০টি চলমান প্রকল্পে ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিম্নআয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে টিসিটির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের পাইলটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতে লেখা সকল কার্ড কিউআর কোড সম্বলিত স্মার্ট কার্ডে রুপান্তর করা হবে। যার কাজ চলমান রয়েছে। এসব কার্ড স্মার্ট কার্ডে পরিবর্তিত করলে অসঙ্গতিগুলো দূর করা সহজ হবে।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় টিসিবি আয়োজিত সারাদেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের টিসিবি পণ বিক্রয় কার্যক্রম এবং উত্তরা এলাকায় টিসিবি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, আমরা সবাই জানি করোনা মহাসংকটের পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষদের মধ্যে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের উন্নতসহ অনেক দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের বেশি ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্ববাজার বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে দেশের এককোটি পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে একবার দিলেও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় বার দেওয়া হচ্ছে এবং আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বিতরণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন তাদের দুঃখ কষ্ট অনুভব করেন। সেজন্যই তিনি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী অর্থাৎ প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচজন সদস্য হলেও প্রাই পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ মানুষকে সাশ্রয়ী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্ত প্রধানমন্ত্রী তা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তা বাস্তবায়ন করছি।
কার্ডধারীর সংখ্যা এককোটির বেশি করার চিন্তা সরকারের আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন যে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে এছাড়াও কিছু সংখ্যক নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা অর্থাৎ যারা বাদ পড়েছেন আমাদের নিকট আসছে তবে সংখ্যা খুব বেশি নয়। তারপরও আমরা বিশেষ বিবেচনায় বাদ পড়া মানুষকে পণ্য দিয়ে থাকি।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পণ্য মজুদের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুদ আছে। বিগত কয়েক বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এ বছর আমরা সরবরাহ ও বিতরণে শক্ত অবস্থানে আছি।
পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত এরপরেও বাজারে দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাজারে সব পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না। এ বিষয়ে একটা মিস কনসেপসন আছে যে মূল্য বৃদ্ধি মানেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্ত। ব্রয়লার মুরগি, মাংস ও মাছসহ কিছু পণ্য অন্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি, যাতে দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে রাখা সম্ভব হয়।
টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশে টিসিবি পণ্যে সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে উত্তরা এলাকায় আজকে এই সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধন করা হলো। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে পণ্য মজুদ করে কার্ডধারীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডি্য়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
আইএসও ২৭০০১: ২০১৩ সার্টিফিকেশন পেল রাইজআপ ল্যাবস
তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (আইএসএমএস)-এর জন্য আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেশন পেয়েছে আইটি পরিষেবা এবং প্রযুক্তি সমাধান প্রদানকারী কোম্পানি রাইজআপ ল্যাবস। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্থার স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুমোদিত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও) এই সার্টিফিকেটটি প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশে আইএসও-এর একটি স্থানীয় এজেন্সির একজন প্রতিনিধি রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এরশাদুল হকের কাছে আইএসও ২৭০০১:২০১৩ প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।
আইএসও ২৭০০১:২০১৩ একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান, যা তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের জন্য দেয়া হয়। গ্রাহকদের সংবেদনশীল তথ্য এবং তথ্যের সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য রাইজআপ ল্যাবস এই সার্টিফিকেটটি পায়। এর আগে আইএসও ৯০০১:২০১৫ সার্টিফিকেট অর্জন করে রাইজআপ ল্যাবস।
রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক বলেন, ‘বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ এই আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেশনটি পেয়ে আমরা আনন্দিত। রাইজআপ ল্যাবস সেবা গ্রহণকারীদের তথ্য সুরক্ষার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এই সার্টিফিকেশন সেবা গ্রহীতাদের নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য সফ্টওয়্যার সমাধান প্রদানের জন্য আমাদের অবদানের একটি স্বীকৃতি।’
একটি স্বতন্ত্র ও পৃথক প্রতিষ্ঠান রাইজআপ ল্যাবসের তথ্য নিরাপত্তা নীতি, পদ্ধতি এবং অনুশীলনের ব্যাপক মূল্যায়ন করার পর আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেটটি রাইজআপ ল্যাবসকে প্রদান করা হয়। সার্টিফিকেশনটি নিশ্চিত করে যে রাইজআপ ল্যাবস তার সেবা গ্রহীতাদের তথ্য এবং তথ্য সুরক্ষিত করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছে।
আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেশন অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সংগঠনগুলোর কাতারে যোগ দিল রাইজআপ ল্যাবস। এই সার্টিফিকেশন বাংলাদেশে একটি নেতৃস্থানীয় আইটি কোম্পানি হিসেবে রাইজআপ ল্যাবস’র অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
রাইজআপ ল্যাবস, একটি নেক্সট-জেনারেশন গ্লোবাল আইটি পরিষেবা এবং প্রযুক্তি সমাধান প্রদানকারী কোম্পানি। এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর করতে সাহায্য করে। এটি উদ্ভাবনী, বুদ্ধিমান, টেকসই সমাধান এবং পরিষেবাসমূহ ডিজাইন ও বিকাশ করতে ওয়েব থ্রি.জিরো, অটোমেশন, বিশ্লেষণ, আইওটি, ক্লাউড এবং উদীয়মান প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করে।
আইএসও ৯০০১:২০১৫ এবং আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেটধারী এ প্রতিষ্ঠানটি ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে সাহায্য করেছে, যেমন - ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএসএআইডি, এফএও, ডব্লিউএইচও, এটেক, বিবিসি, এফএইচআই ৩৬০, রবি আক্সিয়াটা লিমিটেড, মুর্কা, সেফ গার্ড, সুইস মার্কেটিং সিস্টেম, ইত্যাদি।
সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
সৌদি আরব এবং অন্যান্য প্রধান তেল উৎপাদনকারীরা মে থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন মোট এক দশমিক ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত আশ্চর্যজনক হ্রাস ঘোষণা করেছে। এই পদক্ষেপে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়তে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোষাগার পূরণ করতে তেলের উচ্চমূল্য সাহায্য করবে। কারণ, তার দেশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি আমেরিকান ও অন্যদের পাম্পে আরও বেশি অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করবে।
এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও টেনে আনতে পারে, যেটি সৌদি আরব এবং অন্যান্য মিত্রদের উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, এটির দাম কমিয়ে আনতে এবং রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে।
ক্লিয়ারভিউ এনার্জি পার্টনারস এলএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন বুক বলেছেন, শুধুমাত্র উৎপাদন কমানোর ফলেই মার্কিন পেট্রোলের দাম প্রতি গ্যালনে প্রায় ২৬ সেন্ট বাড়তে পারে।
সাধারণ বৃদ্ধির পাশাপাশি যখন রিফাইনারিগুলো গ্রীষ্মকালীন ড্রাইভিং মৌসুমে গ্যাসোলিনের মিশ্রণ পরিবর্তন করে তখন এনার্জি ডিপার্টমেন্ট প্রতি গ্যালন গড়ে ৩২ সেন্টে মৌসুমী বৃদ্ধির হিসাব করে, বলেন বুক।
তাই গড় মার্কিন মূল্যের সঙ্গে এখন প্রায় তিন দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার প্রতি গ্যালন রেগুলার। এএএ অনুসারে, এর অর্থ গ্রীষ্মকালে প্রতি গ্যালন গ্যাসোলিন ৪ ডলারের বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
তবে বুক বলেছে, তেল ও গ্যাসের দামে বেশ কিছু জটিল পরিবর্তন রয়েছে। প্রতিটি দেশের উৎপাদন হ্রাসের আকার নির্ভর করে বেসলাইন উৎপাদন সংখ্যার উপর যেটি ব্যবহার করছে, তাই হ্রাসটি এক দশমিক ১৫ মিলিয়ন নাও হতে পারে। হ্রাসগুলো কার্যকর হতে বছরের অনেক সময় লাগতে পারে৷ ব্যাংকিং সঙ্কটের কারণে মার্কিন মন্দা দেখা দিলে চাহিদা কমতে পারে। তবে গ্রীষ্মকালে এটি আরও বাড়তে পারে, কারণ এসময়টিতে আরও বেশি লোক ভ্রমণ করে।
বুক বলেন, যদিও সারা বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত প্রায় ১০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের মাত্র এক শতাংশ উৎপাদন কম হয়। তবুও দামের উপর প্রভাব বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, তেলের দাম যেভাবে কাজ করে তার জন্য এটা একটা বড় ব্যাপার। ‘আপনি এমন একটি বাজারে আছেন যা তুলনামূলকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ। আপনি একটি অল্প দূরে নিয়ে যান, চাহিদা কী তার উপর নির্ভর করে, আপনি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ মূল্য প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন।’
সৌদি আরব ওপেক সদস্যদের মধ্যে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। হ্রাসকৃত পরিমাণগুলো গত অক্টোবরে ঘোষিত একটি হ্রাস ছাড়াও যা বাইডেন প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করেছিল।
সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে তেলের বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। ২০২২ সালে সৌদি আরবের প্রতিদিন সাড়ে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল গড় উৎপাদনের পাঁচ শতাংশেরও কম এই ঘাটতি দেখায়।
ইরাক বলেছে যে তারা প্রতিদিন দুই লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এক লাখ ৪৪ হাজার, কুয়েত এক লাখ ২৮ হাজার, কাজাখস্তান ৭৮ হাজার, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার ব্যারেল এবং ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল উৎপাদন হ্রাস করবে। ঘোষণাগুলো প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানায়, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন যে মস্কো বছরের শেষ পর্যন্ত স্বেচ্চায় হ্রাস বাড়াবে পাঁচ লাখ । পশ্চিমা দেশগুলো মূল্যসীমা আরোপের পর রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে একতরফাভাবে কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সকলেই তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর তথাকথিত ওপেক+ গ্রুপের সদস্য, যার মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মূল সংস্থার পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য প্রধান উৎপাদক৷ তাৎক্ষণিকভাবে ওপেকের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেলের বগি লাইনচ্যুত: ২৩ ঘন্টায়ও উদ্ধার হয়নি, তেল ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের কৃষিজমিতে
শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধে সরকারের কাছে দেড় হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
নিটওয়্যার কারখানা মালিক সমিতির দাবি, আর্থিক সহায়তা না পেলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া নিয়ে মারাত্মক সংকটে পড়তে পারে রপ্তানিখাত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিকেএমইএ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান সাক্ষরিত ওই চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার অনুরোধ জানানো হয়।
রবিবার বিকেএমইএর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ হাতেম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েছে। টিকে থাকার এই সংগ্রামে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতও একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে।
চলমান বৈশ্বিক মন্দার কারণে বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত কার্যাদেশ না থাকায় উৎপাদন চলছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষমতায়।
বিকেএমইএ চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মাস শেষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিকেএমইএ বলেছে, ইতোমধ্যে রপ্তানি করা পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতারাও তাদের বকেয়া সময়মতো পরিশোধ করছেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া নিয়ে ব্যাপক চাপ রয়েছে। ‘এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও অর্থ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এই চাপ সামলানো খুব কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ