%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন নীতি উন্মোচন
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে পোশাক শিল্পে সহায়তা করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন ও পণ্য বৈচিত্র্যকে তুলে ধরেছে টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব (টিটিআইএইচ)।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ম্যানুয়েল উপস্থাপন করেছে টিটিআইএইচ; যা উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শ্রম ব্যয় বৃদ্ধি, স্বল্প ব্যয়ের দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, উচ্চ উৎপাদন ব্যয়, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক শিল্প এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
এক্ষেত্রে টিটিআইএইচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি এবং টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৮তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস মেশিনারি এক্সিবিশনের (ডিটিজি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ইনোভেশন কনফারেন্স ২০২৪-এ টিটিআইএইচ 'ম্যানুয়াল ফর ইমপ্লিমেন্টেশন অব ইনোভেশন প্রজেক্টস' (এমআইআইপি) প্রকাশ করেছে।
এমআইআইপি স্ক্র্যাচ একটি কারখানা এবং প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি সম্পূর্ণ ম্যানুয়েল। একটি দল তৈরি করতে, উদ্ভাবনের সুযোগ খুঁজে বের করা, উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেয় এটি। এছাড়া সমস্যার সমাধান করতে উদ্ভাবনী প্রকল্পটি সফল করতে এবং উদ্ভাবনের প্রতিলিপি বা পরিমাপ করতে এবং সর্বোপরি কারখানায়, উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরি করতে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেয়।
ইনোভেশন কনফারেন্স ২০২৪-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
এ ছাড়া বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, আইটিইটি প্রেসিডেন্ট শফিকুর রহমান, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আইয়ুব নবী খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক আমিন।
অনুষ্ঠানে ইনোভেশন কনফারেন্স-২০২৪ -এ ইনোভেশন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। টেক্সটাইল টুডে ২০১৮ সাল থেকে একটি ইনোভেশন হাব হিসেবে কাজ করছে। এটি তার ‘ব্যবহারিকভাবে পরীক্ষিত উদ্ভাবন মডেলের’ মাধ্যমে কারখানাগুলোকে সক্ষমতা সম্পন্ন করে।
আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’
এই নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি কারখানাগুলোকে 'ইনোভেশন সার্কেল' নামক উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর ধারণা, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়। এর আওতায় রয়েছে সহায়তা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং বিশেষজ্ঞ নির্দেশনার মাধ্যমে উচ্চ-প্রভাবশালী ক্ষেত্র খুঁজে বের করা যায়। এটি ক্রমাগত উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে।
'ইমপ্লিমেন্টিং ইনোভেশনস অ্যান্ড ইটস মেথড' শীর্ষক একটি কৌশলগত প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আউটপেস স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক ও বিটিএমের পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব হায়দার, এপিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসিব উদ্দিন, সেন্ট্রো টেক্স লিমিটেডের পরিচালক (মার্চেন্ডাইজিং) তৌফিক আনোয়ার, আরক্রোমা বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর সৈয়দ মোহাম্মদ ইসমাইল, ডাইসিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমানুর রহমান ও সাউথ ওয়েস্ট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শামীম রহমান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তিতে
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ ও বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন দুবাই চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ এবং মাহবুবুল আলম।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল বলেন, 'সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সব সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
তিনি বলেন, ‘আমাদের লাখ লাখ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাই-বোনেরা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে এফবিসিসিআইয়ের পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলো তুলে ধরেন মাহবুবুল।
তিনি নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতি হিসেবে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠা এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর সমাপ্তির কথাও তুলে ধরেন।
ইপিজেডে বিনিয়োগকারী জাপান, ভারত ও কোরিয়ার মতো দেশগুলোর সাফল্যের গল্প তুলে ধরে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল হক। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, পায়রা ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে বিপুল বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
মাহবুবুল আলম বাংলাদেশের পোশাক, সিরামিক, চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের মতো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত খাতগুলো বিবেচনায় নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য দুবাই চেম্বারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এদিকে দুবাই চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দুবাইয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ ফায়াজুর রহমান ভূঁইয়া, ফখোরুস সালেহীন নাহিয়ান, আবুধাবি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর হতে এনবিআরের প্রতি অর্থমন্ত্রীর আহ্বান
রাজস্ব আদায় বাড়াতে অসাধুদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে এবং সৎ ব্যবসায়ীদের কর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআরকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করলেও এখনো আমাদের কর জিডিপি অনুপাত সন্তোষজনক নয়। আশা করি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করের জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর চেষ্টা করবে।’
আলী বলেন, ‘কাস্টমসের অন্যতম প্রধান কাজ বাণিজ্য সহজীকরণ। আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাস্টমসকে সত্যিকারের স্মার্ট, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কাস্টমসের অন্যতম দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কাস্টমসের সক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা বিশেষ নজর দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার ও কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এ ছাড়া এনবিআর সদস্য জাকিয়া সুলতানা, মো. মাসুদ সাদিক, হোসাইন আহমেদ ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
'ইনসেপশন অব সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সংলাপে বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির পরিবর্তে সামাজিক বিমা চালুর সময় এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জিআইজেড এ সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য পারভীন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তারা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখলেই চলবে না।
বক্তারা বলেন, এখনই সময় সামাজিক বিমা চালুর। সরকারের অ্যাকশন প্ল্যানে বিষয়টি তুলে আনা উচিত বলে মনে করেন তারা।
তারা বলেন, অনেক দেশ ১০০ বছর আগে সামাজিক বিমা চালু করলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেসব দেশ এখন এই ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের উচিত সেসব দেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
মূল প্রবন্ধে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, জ্ঞানের ঘাটতি দূর করা, ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট সহজতর করা, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং থিম্যাটিক ক্ষেত্রগুলোতে অগ্রগতি ট্র্যাক করার লক্ষ্যে কাজ করে এসআইএফ (সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম)।
বোধগম্যতা ও বাস্তবায়ন বাড়ানোর জন্য সাংগঠনিক ও অপারেশনাল কর্মপ্রবাহের স্পষ্টতার উপর জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, আর যাদের সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার কথা, তারা তা পায় না। যাদের পাওয়ার কথা নয়, তারা পায়।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
এ বাস্তবতায় সামাজিক বিমা চালু হলে এসব ফাঁকফোকর দূর করা সম্ভব হবে।
দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বিমা না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন আইএলওর ঢাকা অফিসের চিফ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট সৈয়দ সাদ হোসেন জিলানি।
এর জন্য তিনি মন্থর আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। সরকার আট বছর আগে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করে। তবে তা বাস্তবায়নের গতি খুবই কম বলে জানান তিনি।
এর জন্য তিনি মূলত আমলাতন্ত্রের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করেন।
‘সামাজিক বিমা সবার জন্য; এটি কেবল দরিদ্রদের জন্য নয় কারণ আমাদের প্রত্যেকে বেকারত্ব, অসুস্থতা ও বার্ধক্যের অভিজ্ঞতা হতে পারে', টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্পের (ইআইপিএস) শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান আঘাত সুরক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড সিলবিয়া পপ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তারা বলেন, দেশে ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিমা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং অনেক পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিমা কোম্পানিগুলোরও নিয়মিত মিনি ইনস্যুরেন্স প্রোডাক্ট থাকে।
এসব প্রকল্প ও কাজের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে হবে, তাহলে সামাজিক বিমার কাজে গতি আসবে বলে জানান বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
বিদ্যুৎ খাতকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২ হাজার ৬২ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধের লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে বন্ড বিষয়ক চুক্তি করেছে সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সমন্বিত এ চুক্তি সই করা হয়। সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড চুক্তি করে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভর্তুকির টাকা দিতে সরকারের অক্ষমতার কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তাদের দেনা শোধ করতে পারছে না। যার ফলে কেউ কেউ ঋণখেলাপি হওয়ার পথে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের 'গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি'তে রাশিয়ার রোসাটম থেকে ইউরেনিয়ামের নতুন ব্যাচ গ্রহণ
এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ৮ শতাংশ হারে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেটের সমান। ভবিষ্যতে রেপো হারের যেকোনো উত্থান-পতনের সঙ্গে একইভাবে বন্ডের সুদের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।
মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং পরে এসব বন্ড পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণ ১৫-২০ বছর মেয়াদি বন্ডের বিপরীতে, এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর, বিদ্যুৎ খাতের জরুরি প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে এই অর্থের মাধ্যমে। অর্থ বিভাগ এ খাতের বকেয়া আরও নিরসনে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে।
চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন ১১ নভেম্বর
ডিমের দাম বাড়ানোয় ডায়মন্ড এগ ও সিপিকে জরিমানা
অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোয় ডিম সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডিমের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডায়মন্ড এগ লিমিটেডকে আড়াই কোটি টাকা এবং সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
এর আগে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বিসিসি। মামলার শুনানি শেষে গত ২২ জানুয়ারি কমিশন এ জরিমানার আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা বিসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে। তা না হলে জরিমানার সাথে প্রতিযোগিতা আইনের আলোকে প্রতিদিন এক লাখ টাকা করে যোগ করা হবে।
বাংলাদেশ ডাক কমিশনের নবম সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং '১৫ দিনে ডিম ও মুরগির বাজার থেকে ৫১৮ কোটি টাকা লুট' শিরোনামে অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে বাজারে ডিমের বিক্রয়মূল্য অস্বাভাবিকভাবে নির্ধারণ এবং বাজারে ডিমের সরবরাহ সীমিত বা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ডায়মন্ড এগ লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনে অভিযোগ উঠেছে।
রায়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন এবং আইনজীবীদের লিখিত ও মৌখিক যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান দুটিকে জরিমানার আদেশ দেয় বিসিসি।
আরও পড়ুন: গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে পাট ও চামড়া খাতে বিনিযোগ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান। মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
এ ছাড়া পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাতে, এগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটোরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছে।
২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সব মিশনের প্রধান এবং ট্রেড বা কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে অনেক বিদেশি প্যাভেলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হবে বলেও জানান।
যেসব পণ্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানু্ফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবীতে অনুষ্ঠিব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার কামনা করেন।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বর্তমানে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি অংশীদারিত্বের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাদারী খাতে সার্টিফিকেশন ও অ্যাক্রিডিটেশন সমতায়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
এছাড়া, সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা দূরীকরণ, সেবা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্বের প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উদারীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা সত্যিই প্রসংশনীয় উল্লেখ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগের আগ্রহ প্রকাশ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
এসময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
নাহার চৌধুরীকে প্রথম বাংলাদেশি এমডি নিয়োগ দিল কোকা-কোলা
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেভারেজ কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে জু-উন নাহার চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে প্রথম কোনো নারী হিসেবে তিনি এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দেশের বোতলজাতকরণ এবং ব্যবসায়িক অংশীদার, গ্রাহক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন নাহার চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ ঘোষণা
নাহার চৌধুরী ইউনিলিভারের মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিভিন্ন পদে তিনি কাজ করেছেন।
তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী ‘লাইফবয় হাত ধোয়া ক্যাম্পেইন/হ্যান্ডওয়াশিং ক্যাম্পেইন’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেয়। দেশের ৬০টির বেশি এলাকায় ৮৬ হাজার তরুণ একই সঙ্গে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়।
২০১৪ সালে রেকিট বেনকিজারে যোগদানের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ায় কর্মজীবন শুরু হয় জু-উন নাহার চৌধুরীর। সেখানে তিনি ডেটলের ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে ডানোন ইন্দোনেশিয়ার হেড অব ইনোভেশন হিসেবে কাজ করার পর তিনি এফএমসিজি পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই এন্ড-টু-এন্ড ই-কমার্স ফ্যাসিলিটেটর প্রতিষ্ঠানটি আসিয়ানভুক্ত সাতটি দেশে কাজ করে।
ইন্দোনেশিয়ায় আট বছর কাটিয়ে ২০২৩ সালে দেশে ফিরে তিনি এপেক্স-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজুন: ডিআইটিএফ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
নতুন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জু-উন নাহার চৌধুরী বলেন, ‘বোতলজাত পার্টনার কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস (সিসিবিবি) ও আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে ভোক্তাদের সতেজ রাখতেও আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে কোকা-কোলার এই যাত্রায় নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমাদের ব্র্যান্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কার্যক্রমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নাহার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তিনি ২০২১ সালে যোগ দেওয়া সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজ অপারেশনস ফর সাউথওয়েস্ট এশিয়ার (এসডব্লিউএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় বিজয় বাতিজা বলেন, ‘আমরা জু-উনকে কোকা-কোলায় স্বাগত জানাই। কোকা-কোলা কোম্পানি বাংলাদেশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে একটি টেকসই ব্যবসা গড়ে তোলার উপর তার দৃষ্টি পুনর্ব্যক্ত করে। জু-উন দেশে কোম্পানির যাত্রার একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে যোগদান করেছেন এবং আমাদের অংশীদাররা এফএমসিজি এবং ই-কমার্সে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু অর্জন করবে।’
কোকা-কোলা বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি যারা বাংলাদেশে শতভাগ রিসাইকেল করা পিইটি বোতল বাজারে ছেড়েছে। ডিজিটাল মিউজিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কোক স্টুডিও বাংলার ২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন+ সাবস্ক্রাইবার নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যা বাংলাদেশের কয়েকটি বড় ব্র্যান্ডের সম্মিলিত গ্রাহক সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
পোশাক শিল্পের জন্য শুল্ক প্রক্রিয়া সহজ ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এনবিআর কার্যালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাডমিন) ফারজানা আফরোজের সঙ্গে বৈঠক তিনি এই আহ্বান জানান।
কাস্টমস, ভ্যাট ও বন্ড সম্পর্কিত সেবাসহ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা কীভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (আরএমজি) কাছ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে পারে- বৈঠকে সেই বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো.মুনির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান কাস্টমস, বন্ড ও ভ্যাট সম্পর্কিত তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের বর্তমান সমস্যা, বিশেষ করে চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও উত্তেজনাপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস তৈরি পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে পোশাক রপ্তানিকারকরা কীভাবে লড়াই করছে তা তিনি উল্লেখ করেন।
হোসাইন বলেন, এনবিআরের কাছ থেকে সেবাসংক্রান্ত যে কোনো জটিলতা তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অসুবিধাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
জবাবে ফারজানা আফরোজ পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনবিআরের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
রাজধানীর পূর্বাচলে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী ভুটান বাণিজ্য মেলা রবিবার শেষ হচ্ছে
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। বরাবরের মতো এবারও দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী