ব্যবসা
তাপপ্রবাহে এসির বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ
গত ছয় দশকের মধ্যে রাজধানীতে তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে উষ্ণতম দিনগুলোতে ভোগান্তির শিকার হওয়ায় এখানে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিক্রি দৃশ্যত দ্বিগুণ হয়েছে।
এসিই প্রায় একমাত্র বিকল্প যা স্বাভাবিক রুটিনে বিঘ্ন ছাড়াই কিছুটা স্বস্তি দেয়। ঢাকার অনেক ইলেকট্রনিক্সের দোকানে এসি কেনার জন্য গ্রাহকদের চাপ বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটের বিক্রয় অপারেটররা ইউএনবিকে জানান, সাধারণত গ্রীষ্মের মৌসুমে এসির বিক্রি বাড়ে। তবে এই বছর বিক্রয় বৃদ্ধি ইতোমধ্যে অসাধারণ, অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ, যা অনেকটাই তাদের প্রত্যাশার বাইরে।
তারা বলছিলেন যে আগে শুধুমাত্র ধনী পরিবারগুলোই এসি কিনত, কিন্তু এখন সমাজের অনেক বড় অংশ যা একসময় 'বিলাসবহুল' পণ্য হিসাবে বিবেচিত হত তা কিনতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
বিক্রয়কর্মীদের দাবি, তীব্র চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসি এখন আর 'বিলাসবহুল' পণ্য নয়, বরং 'নগরবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ'।
বনানীতে এলজি বাটারফ্লাই আউটলেটের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘গরম সবেমাত্র শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা যেভাবে ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ অতিক্রম করেছে তা সহনীয় নয়। এ জন্য প্রচুর এসি বিক্রি হচ্ছে। পণ্যটি দোকানে তোলার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। এখনও অনেক অর্ডার আছে, কিন্তু শেষ করতে পারছি না।’
অন্যদিকে গরমে এসির দামেও প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। গত বছরের তুলনায় এক টনের এসির দাম ১০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। যেসব বড় আকারের এসি বড় পরিসরে সেবা দিতে পারে, সেগুলোর দাম ব্র্যান্ডভেদে বেড়েছে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ওয়ালটনের মতো দেশি কোম্পানিগুলো এসির বাজারে প্রবেশ করলেও এখনও বিদেশি ব্র্যান্ডের আধিপত্য রয়েছে।
তাই এসি বিপণন সংস্থাগুলো আমদানি এসির উচ্চ মূল্যের চালিকাশক্তি হিসেবে মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রা বিনিময়ের অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছে, এমনকি তাপপ্রবাহ ক্রেতাদের পকেট শিথিল করার পরিস্থিতি তৈরি করার আগেই।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
মার্কিন বাজারে দরপতন পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমাতে ব্যর্থ
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই-২০২২ থেকে মার্চ-২০২৩ -এ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। যে কারও মানদণ্ড অনুসারে একটি চিত্তাকর্ষক অর্জন। এটি আরও বেশি চিত্তাকর্ষক যখন আপনি বিবেচনা করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির বৃহত্তম একক বাজার, যেখানে পাঁচ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের মতে, সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি শিল্পের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিও ২০২১-২২ অর্থবছর জুলাই-মার্চে রেকর্ড করা ১৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ (১১.৮ শতাংশ আরও সুনির্দিষ্টভাবে) বেড়ে ১৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
পোশাক রপ্তানির সামগ্রিক বৃদ্ধি একটি চিত্তাকর্ষক ১২ দশমিক দুই শতাংশ হয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার থেকে২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৩৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পের রপ্তানি প্রকৃতপক্ষে পাঁচ শতাংশ কমে যাওয়া সত্ত্বেও এটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান অর্জিত হয়েছে - চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছয় দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়। যা গত বছর রেকর্ড করা হয়েছিল ছয় দশমকি ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুক্তরাজ্য ও কানাডায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে তিনি দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার এবং এক দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি বছরে চার দশমিক ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে যেখানে ফ্রান্স এবং স্পেনে রপ্তানি যথাক্রমে ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, পোল্যান্ডে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অপ্রচলিত খাতে রিপোর্ট করা হয়েছে। অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ৩৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের মধ্যে ছয় দশমিক ৪৪ বিলিয়ন হয়েছে যা একই সময়ের মধ্যে চার দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ছিল।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের বলেন, ‘বিজিএমইএ নতুন বাজার অনুসন্ধানের সুবিধার্থে কাজ করছে, পাশাপাশি ব্যবসাকে সহজ ও সহজ করার জন্য নীতি সংস্কারের কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, এবং নতুন সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের (বিদ্যমান এবং নতুন) সামনে নতুন পণ্য এবং নতুন বাজারে আমাদের শক্তিগুলোকে প্রচার এবং হাইলাইট করার সময় এসেছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে আমাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।’
নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় অর্থ মন্ত্রণালয়ের
রপ্তানিমুখী নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকার নগদ প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ঈদুল ফিতরের আগে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আবেদন পাওয়ার ১১ দিন পর মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমানের সই করা এক চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার আবেদন জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আর্থিক সহায়তা না দিলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে পারে রপ্তানি খাত।
নগদ সহায়তার অর্থ ছাড়করণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এবং হিসাবরক্ষক মহাপরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সদস্য কারখানাগুলো ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ
বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ-কে পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি প্রদানের আহ্বান জানালেন কাদের
ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এশীয় অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বমানের ঔষধ উৎপাদন করে আফ্রিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি করছে। ঔষধ ছাড়াও আরও অনেক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ নিজস্ব ব্রান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এই অঞ্চলে বাণিজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য এগিয়ে যাবে নতুন দিগন্তে। নতুন নতুন পণ্য ও সেবার উদ্ভাবন আমাদের রপ্তানির ঝুড়িকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা আহরিত হবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে।
মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বিগত পাঁচ দশক দেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে যেভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের এ প্রচেষ্টা আরও বেগবান হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উত্তরোত্তর প্রসার ঘটাতে ভূমিকা রাখবেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং রেখে চলেছেন। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে সরকার ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করছে জানান তিনি।
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন এতে করে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয় অন্যদিকে বেকারত্ব হ্রাস পায়। এ দেশটা আমাদের সকলের।
উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীরা শুধু লাভের আশা না করে দেশের নানা খাতে অবদান রাখেন হলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের ফলে যে সকল মেগাপ্রকল্প নেওয়া হয়েছে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে দেশের অবকাঠামগত এবং সার্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন বাস্তবায়নের পথে।
জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিজয়ী সকল রপ্তানিকারককে অভিনন্দন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রপ্তানিতে রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতির পাশাপাশি এই ট্রফি রপ্তানি খাতে একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৮টি পণ্য খাতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। যারমধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৭টি ব্রোঞ্জ ট্রফি।
এছাড়া, রপ্তানিখাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ)’- প্রদান করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এছাড়া জাতীয় সংসদের সদস্যরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানেরা এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অগ্রিম আয়কর ও আগাম কর রহিত করার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
শিল্প উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে খরচ কমাতে অগ্রিম আয়কর ও আগাম কর রহিত করার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ বিষয়ে এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৩তম সভায় এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এফবিসিসিআই সভাপতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে চলমান বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের বিনিয়োগ ও উৎপাদনশীল খাতকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে একটি শিল্প ও বিনিয়োগ বান্ধব বাজেট প্রণয়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে দৃঢ় করতে ব্যবসায়িক খরচ (কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস) কমিয়ে এনে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিনিয়োগ সুরক্ষা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুষম বিনিয়োগ সহায়ক মুদ্রা ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, শিপিং খরচসহ সকল ধরনের পরিবহন খরচ হ্রাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া জরুরি’।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নে বিনিয়োগ, দেশীয় শিল্প ও সেবা এবং সিএমএসএমই-কে শুল্ক করের যৌক্তিক প্রতিরক্ষণ; ক্ষেত্র বিশেষে অব্যাহতি বা বন্ড সুবিধা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে রপ্তানি বৈচিত্রকরণ, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণ; নিত্য ব্যবহার্য পণ্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা; করনীতি, কর পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণের মাধ্যমে কর নেট বা কর জাল সম্প্রসারণ; স্বেচ্ছায় কর প্রতিপালন হার বৃদ্ধিপূর্বক রাজস্ব আদায় তথা কর জিডিপি’র অনুপাত বৃদ্ধি; আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কারিগরী ও কর্মমুখী শিক্ষা এবং শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ নজর রাখার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব পলিসি কার্যক্রম পৃথক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বিভাগ গঠন, মুদ্রা পাচারে সহায়ক ও আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা পরিপন্থী বিদ্যমান ট্যারিফ মূল্য ও মিনিমাম ভ্যালু সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন রহিত করে এর বদলে বিনিময় মূল্য সিস্টেম চালু; প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদেরকে প্রদত্ত বন্ড সুবিধার বাহিরে অন্যান্য রপ্তানিকারকদের জন্য কেন্দ্রীয় বন্ড ব্যবস্থা প্রবর্তন করা; জমি ক্রয়, নির্মাণ এবং শিল্প ও সেবা খাতের ইউটিলিটি বিলসহ সকল উৎপাদনশীল খাতে দেওয়া যাবতীয় প্রশাসনিক সেবা সম্পূর্ণরূপে পরোক্ষ করমুক্ত রাখার বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি, তালিকাভুক্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, মৌলিক এবং দেশে উৎপাদিত হয়না এমন কাঁচামাল-এর শুল্ক হার ১ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা; আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে তালিকাভুক্ত পণ্য বা সেবার ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা; জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হার হ্রাস করার আহ্বান জানান মো.জসিম উদ্দিন।
এছাড়াও মূসকের ক্ষেত্রে উপজেলা পর্যন্ত ভ্যাট অফিসের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে সক্ষম ভ্যাট প্রদানকারীদের ভ্যাট নেটের আওতায় আনা, আমদানিকৃত উপকরণের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ আগাম কর ধাপে ধাপে রহিত করা, নিম্নআয় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যবহার্য পণ্য, সাধারণ পণ্য পরিবহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পের কাঁচামাল/উপকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রি-সাইক্লিং, টেন্ডার বহির্ভুত সরাসরি পণ্য মেরামত বা সার্ভিসিং খাত ইত্যাদি ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দেয়া, করদাতাদের ব্যবসা পরিচালনা ও মূসক কর্তৃপক্ষেরও করদাতাদের তদারকি সহজ করতে ভ্যাট নিবন্ধন, রিটার্ন দাখিল, রিফান্ড, অডিটসহ সকল কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে অটোমেশন নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
আয়করের ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা এবং মহিলা ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা, এসএমই শিল্পের বিকাশ তরান্বিত করার জন্য প্রিন্টিং শিল্প, প্যাকেজিং ও বাইন্ডিং এর সরবরাহকারীদের উৎসে আয়কর এর আওতা বহির্ভূত করা, সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকাভূক্ত ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
অনষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি এম এ মোমেন।
তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে স্থানীয় পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও সূদৃঢ় করতে আগামি বাজেটে যথাযথ দিক নির্দেশনা থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, মীর নাসির হোসেন, প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, বর্তমান সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, সালাউদ্দিন আলমগীর, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালকবৃন্দসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশনে বিপ্লব ঘটিয়েছে: ড. আতিউর
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের আর্থিক খাতকে ডিজিটালাইজেশনে অসাধারণ কাজ করছে।
তিনি বলেন, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এবং গ্রামীণ ও শহর উভয় এলাকার সকল পর্যায়ের আয়ের লোকেরা ডিজিটাল পরিষেবা ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনাবাসিক বাংলাদেশিদের সংগঠন স্কলারস বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ট্রান্সফরমেশন অব দ্য পেপার মানি টু ডিজিটাল: টেকিং ফ্রম অ্যান্ড মেকিং অব সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিউর এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে আন্তঃপরিচালনাযোগ্য সুবিধার উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও বেশি মানুষের অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিবেদন দ্রুত পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে বিবি’র নির্দেশ
তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। যেখানে প্রকৃত লেনদেন এবং আর্থিক অপরাধ শনাক্ত করা সহজ হবে।
সেমিনারে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, পিএইচডি। গবেষণাপত্রে, তিনি আইএমএফ এবং ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের প্রতিবেদনের একটি সমীক্ষা উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশ ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান করেছে।
এটি দেখায় যে ওভার এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং কার্যক্রম ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল এস কাদির।
কাদির শক্তিশালী ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য চারটি মূল মৌলিক কার্যক্রমের পরামর্শ দিয়েছেন যেমন ইউনিফাইড লিগ্যাল ফ্রেম, সঠিক ট্র্যাকিং বা ব্যক্তির জাতীয়তা চিহ্নিত করা, ব্যবহৃত প্রযুক্তির জন্য শক্তিশালী এবং বিশ্বব্যাপী, এবং সঠিক শাসন।
সেমিনারে ব্যক্তিগতভাবে এবং কার্যত বিভিন্ন দেশ থেকে অধ্যাপক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার কর্মসূচির বাজেটে দান করবে বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) তার সদস্যদের জন্য একটি ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট করা অর্থ একটি বৃদ্ধাশ্রম এবং অন্যান্য সামাজিক সংস্থাগুলোতে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সুবিধাবঞ্চিত ও নিঃস্ব মানুষের যত্ন নেয়।
এর আগে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিজিএমইএ তাদের নির্ধারিত ইফতার কর্মসূচি বাতিল করে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রবিবার আপন ভুবন নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি এর বাসিন্দাদের সঙ্গে সময় কাটান।
পরিদর্শনকালে তিনি প্রবীণ নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যের জন্য আপন ভুবনে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এবং তাদের পোশাক, খাবার ও অন্যান্য উপহার প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ বাণিজ্য মেলা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক শারমিন হাসান তিথি।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে স্যামসাংয়ের ‘ঘর ভর্তি ঈদ ফুর্তি’ ক্যাম্পেইন
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রতিবারের মতো ঈদ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে স্যামসাং। নতুন এ ক্যাম্পেইনের আওতায় স্যামসাং টিভি, রেফ্রিজারেটর ও ওয়াশিং মেশিনে থাকছে বিভিন্ন অফার এবং এসব অ্যাপ্লায়েন্স কেনা যাবে বিশেষ প্রোমোশনাল প্রাইসে।
‘ঘর ভর্তি ঈদ ফুর্তি’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইনে স্যামসাং-এর বিভিন্ন মডেলের টিভিতে থাকছে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। স্যামসাং এর ৪৩ ইঞ্চি ফোরকে ইউএইচডি টিভি (এইউ৭৫০০) এখন কেনা যাবে মাত্র ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকায়। অন্যদিকে, ৫৫ ইঞ্চি কিউএলইডি ফোরকে স্মার্ট টিভি (৫৫কিউ৬০এ) ক্রেতারা কিনতে পারবেন এক লাখ ২১ হাজার ৯০০ টাকায়।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সের মধ্যে রেফ্রিজারেটর ও ওয়াশিং মেশিনও কেনা যাবে। স্যামসাং রেফ্রিজারেটরের মডেলের ক্ষেত্রে ক্রেতারা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ অফার উপভোগ করতে পারবেন। সাতশ’ লিটার সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর (আরএস৭২) কেনা যাবে মাত্র এক লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকায়। এ অফারের ওয়াশিং মেশিনের মূল্য শুরু হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা থেকে। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের ওয়াশিং মেশিনে দেওয়া হয়েছে মূল্য ছাড়।
এছাড়াও, হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলোতে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের ইএমআই সুবিধাসহ থাকছে ফ্রি ইনস্টলেশন ও ডেলিভারি সুবিধা।
আকর্ষণীয় এ ঈদ ক্যাম্পেইন নিয়ে স্যামসাং-এর কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘ঈদ হচ্ছে আনন্দ উদযাপনের সময়। এ সময় মানুষ তাদের ঘরও সাজিয়ে তুলতে চান। আনন্দ ও উদযাপনের এ সময়ে ‘ঘর ভর্তি ঈদ ফুর্তি’ ক্যাম্পেইনের মতো একটি ক্যাম্পেইন সবাইকে স্যামসাং-এর উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ করে দিবে। পাশাপাশি, ঝামেলাহীনভাবে তারা ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ১০ বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে স্যামসাং এর স্পেসম্যাক্স সিরিজের রেফ্রিজারেটর
বিশেষ শিশুদের জন্য স্যামসাং-ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের আর্ট ক্যাম্প
বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রদানকারী নগদ বৃহস্পতিবার বলেছে যে এটি বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে। যারা একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের জীবিকা হারিয়েছে।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেছেন, নগদ তার চলমান মেগা প্রচারাভিযান থেকে সমস্ত উপার্জন দান করবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসাগুলোকে, সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে যাদের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
নগদ ঈদ-উল-ফিতরের আগে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের গাড়ি, মোটরবাইক, স্মার্টফোন, নোটপ্যাড, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন এবং আরও অনেক কিছু জেতার সুযোগ দিয়েছে।
তানভীর বলেন, প্রচারণার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ তারা বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেবেন।
নগদ জানিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন থেকে তার আয় হয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: ঈদ: পুরস্কার পেল নগদ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীরা
চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আগামী শনিবার (৮ এপ্রিল) থেকে খোলা ও প্যাকেট চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমবে।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি খোলা ও প্যাকেট উভয় চিনির দাম প্রতিকেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়।
বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন এবং পণ্যমূল্য পর্যালোচনা টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার চিনির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৭ টাকার পরিবর্তে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১১২ টাকার পরিবর্তে ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় চিনির দাম বাড়ায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল্য নির্ধারণের পরও বাজারে চিনির দাম বাড়ছে। বর্তমানে খোলা চিনি প্রতিকেজি ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনির কেজিতে আবারও বাড়বে ৫ টাকা, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি