ব্যবসা
রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রমজান মাসে সামান্য মুনাফা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী সাধারণ মানুষকে লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা না দিয়ে ক্রস চেক এবং কেনাকাটা করার পরামর্শ দেন।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুন্সী এসব কথা বলেন।
জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উৎসবে নানা রকম ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে, এতে সামান্যই (লাভ) হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভিন্ন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। একটু বেশি সংযমী হোন। এই মাসে দাম যুক্তিসঙ্গত রাখুন, কম লাভ করুন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার মানবাধিকার। আমরা যখন ভোক্তাদের তাদের সমস্ত অধিকার সম্পর্কে জানাতে পারি, তখন আমাদের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে। ভোক্তাদের সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানে ডিসিদের কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ সরকারের
টিপু মুনশি রমজানে জনগণকে তাড়াহুড়ো করে পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা একবার একটি পণ্য প্রচুর পরিমাণে কিনলে, এটি বাজারকে প্রভাবিত করে এবং তারপরে ব্যবসায়ীরা এটিকে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোর সুযোগ হিসাবে নেয়।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান তার বক্তব্যে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা কমাতে সরকারের পদক্ষেপ জোরদার করার পাশাপাশি আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় অনুষ্ঠানে সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ডিএনসিআরপির মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, টিসিবি চেয়ারম্যান আরিফুল হাসান, ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবসে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মুনশি।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
সেখানে যে জনবল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর সাথে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার
শনিবার বিকালে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন যে বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ যোগ দিতে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে বিকালে গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি মন্ত্রী।
এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।
আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
বেক্সিমকোর তৈরি ৬৫ লাখ পিপিইর প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ
বিজনেস সামিট: প্রথম দিনেই সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি ও এমওইউ সই
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী দিনে শনিবার (১১ মার্চ) সৌদি আরব ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি চুক্তি এবং ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের জন্য সৌদি কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে এবং রংপুর চিনিকল ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের উন্নয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে দুটি এমওইউ সই হয়।
অন্যদিকে, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সঙ্গে আরেকটি এমওইউ সই হয়।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) চীন কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (সিসিপিইটি) সঙ্গে একটি এমওইউ সই করেছে।
এফবিসিসিআই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ৩ দিনব্যাপী বিজনেস সামিটের আয়োজন করছে, যা আগামী সোমবার শেষ হবে।
সামিটের কারিগরি উপদেষ্টা ড.এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, এই সামিট; বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস প্রমোশন ইভেন্টে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা করে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাজারের সক্ষমতা এবং বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে চায়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক আস্থা সমীক্ষা: ব্যবসাগুলো সম্প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছে
তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনটি জাতীয় ও বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক, অনুশীলনকারী, নীতি ও বাজার বিশ্লেষক, একাডেমিয়া এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গে ব্যবসায়-টু-ব্যবসায় নেতাদের মিথস্ক্রিয়া করার একটি সুযোগ তৈরি করে।
সৌদি আরব, চীন ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব, চীন ও ভুটান বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে জ্বালানি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মুন্সি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরব একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, যারা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া সৌদি আরব কৃষিভিত্তিক শিল্প ও খাদ্য খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
ভুটানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। এ জন্য তারা সমুদ্র ও স্থলবন্দরের নানা সমস্যা দূর করে দ্রুত বাণিজ্য বাড়াতে চায় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
মুন্সী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান এবং অর্থনীতি আগের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশ এগিয়ে আসছে।’
রবিবার, বিআিইসিসি-এর সামিট সেন্টারে মূল সেক্টর, কনজিউমার গুডস, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, লং টার্ম ফাইন্যান্স, অ্যাপারেল ও টেক্সটাইল, ডিজিটাল ইকোনমি, এনার্জি সিকিউরিটি, জাপান বাংলাদেশ বিজনেস এবং এগ্রো বিজনেস-এ বিনিয়োগের সুযোগের ওপর ৯টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর
বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে আদানির এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়েছে। যদিও বিদ্যুতের শুল্কের সমস্যাগুলো এখনও সমাধান করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮মিনিটে এটি শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী, পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে একই সময়ে চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
পিজিসিবি বলেছে, ‘আদানি প্ল্যান্ট থেকে কমবেশি ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবনির্মিত ট্রান্সমিশন লাইন এবং সাবস্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের জন্য রাত ৯টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
সংস্থাটি বলেছে যে তারা সীমান্তবর্তী মানকাশা এলাকা থেকে রোহনপুর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত ১৩৪ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করেছে। ‘এছাড়াও, বিদ্যুৎ সরানোর সুবিধার্থে বগুড়ায় একটি ৪০০/২৩০কেভি সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদযাপন করল দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড.সুতপা ভট্টাচার্য, ম্যারিকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর এইচআর শ্যামল কিশোর এবং ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস ফাহমিদা।
এবারের উদযাপনের বিশেষত্ব ছিলো প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৬ জন নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে আসে যারা তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য দারাজ বাংলাদেশ অফিস প্রাঙ্গণে আসার সুযোগ পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
দারাজ মাস্টারকার্ড ‘সেভ স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন ২০২৩ শুরু
দারাজ নিয়ে আসছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন
১ কোটি পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু টিসিবির
রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রায় এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিসিবি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) থেকে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, ছোলা ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু করবে।
এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দুটি ধাপে বিক্রি করা হবে। প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
কার্ডধারীরা টিসিবির নির্দিষ্ট সেলস পয়েন্ট এবং ডিলারের আউটলেট থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছয়টি পণ্য কিনতে পারবেন।
একজন কার্ডধারী একবারে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, চিনি, ছোলা এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
কার্ডধারীরা প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা, খেজুর ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৭০ টাকা, ছোলা ৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটারে কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
ব্যবসায়িক আস্থা সমীক্ষা: ব্যবসাগুলো সম্প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছে
বাংলাদেশ বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে রিপোর্ট ২০২২-২০২৩ অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য সামগ্রিক ব্যবসায়িক আস্থা সূচক (বিসিআই) ৭৪ দশমিক চারে এ দাঁড়িয়েছে। এটি পরবর্তী ছয় মাসের ব্যবসায়িক অবস্থার জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো নিশ্চিত যে আগামী ছয় মাসে উৎপাদন খাতের জন্য অর্ডারের পরিমাণ, পরিষেবা খাতে পরিষেবার চাহিদা, বিক্রয় মূল্য এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বাড়বে।
ফলস্বরূপ, ব্যবসাগুলো একই সময়ের মধ্যে তাদের কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ প্রসারিত করতে ইচ্ছুক।
এছাড়া, ব্যবসায়িক সত্তা, বিশেষ করে উৎপাদন খাতে, খরচের প্রতি কম আস্থা রয়েছে, যা বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ভাড়া এবং উপকরণের খরচসহ ব্যবসার খরচের বোঝা মোকাবিলায় অবিলম্বে পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এবং ইউএসএআইডি-র অর্থায়নে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যাক্টিভিটি যৌথভাবে ‘৫ম বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে রিপোর্ট ২০২২’ চালু করেছে।
গত ছয় মাসে (মার্চ ২০২২- আগস্ট ২০২২) বিদ্যমান ব্যবসায়িক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে এবং পরবর্তী ছয় মাসের জন্য (ডিসেম্বর ২০২২ –জুন ২০২৩) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে টার্নিং পয়েন্টের পূর্বাভাস দেয়ার জন্য ৫৬৭টি ব্যবসায়িক সংস্থাকে কভার করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর ২০২২-এর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যবসাগুলোকে প্রস্তুত করতে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে সক্ষম করা।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, ৫ম বিজনেস কনফিডেন্স জরিপ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এতে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের সুপারিশকৃত সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবসায়িক আস্থা জরিপের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নিউইয়র্কে বিসিআইইউয়ের বাণিজ্যবিষয়ক বৈঠক
তিনি বলেন, ‘আমরা জেনে আনন্দিত যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা সত্ত্বেও ব্যবসায়িক অবস্থার একটি আশাবাদী ধারণা দিয়েছে বিল্ড পরিচালিত সামগ্রিক ব্যবসায়িক আস্থা সূচক (বিসিআই)।’
‘জরিপের অন্যান্য স্কোরগুলো ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং উদীয়মান ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাসের কিছু দৃশ্যমান পুনরুদ্ধার দেখায়৷
এছাড়াও, আগামী ছয় মাসে ব্যয়ের আস্থা ২২ দশমিক চার-এর মতো নিচে নেমে গেছে এবং সরকারকে অবশ্যই আর্থিক ও আর্থিক ব্যবস্থায় এটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে৷’
বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বিসিআই-এর সাতটি উপাদানের মধ্যে ছয়টি বিষয়, যেমন, কর্মসংস্থান, সেবার চাহিদা, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, বিক্রয়মূল্য এবং বিনিয়োগের অনুভূতির উন্নতির কারণে বিসিআই-এর ঊর্ধ্বমুখী আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে।
সাতটি উপাদানের মধ্যে কেবলমাত্র সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় সূচকটি একটি হতাশাবাদী প্রদান করে। এই গবেষণায় ৫০ এর মধ্যবিন্দুর সঙ্গে শূন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত বিস্তৃতি সূচক যেখানে ৫০ এর কম মানে সংকোচন বা কম আশাবাদ এবং ৫০ এর বেশি মানে সম্প্রসারণ বা আশাবাদ।
গত ছয় মাসে (মার্চ ২০২২ - আগস্ট ২০২২) সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় সূচক ৩৫ দশমিক আট-এ দাঁড়িয়েছে এবং পরবর্তী ছয় মাসে (ডিসেম্বর ২০২২ - জুন ২০২৩) ২২ দশমিক চার -এ পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সমীক্ষায় প্রায় 72 শতাংশ ব্যবসায়িক সংস্থা জানিয়েছে যে আগামী ছয় মাসে সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়বে।
বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান বলেছেন, ‘ব্যবসায়িক আস্থার সমীক্ষা হলো ব্যবসাগুলো কেমন চলছে তার সংক্ষিপ্ত সূচক। এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবসার অবস্থার একটি পৃথক পরিমাপ।’
‘বিসিএস হলো সকালের কয়েকটি চিহ্ন। আমরা আশা করি যে এই লক্ষণগুলো ব্যবসায়িকদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। তবে, স্থিতাবস্থার পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের প্রবণতাগুলো দেখতে হবে। আমাদের কণ্ঠস্বরহীনদের কথা বলতে হবে। এই ক্ষেত্রে, তারা সিএমএসএমই, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা। এটা ভালোভাবে স্বীকৃত যে বাংলাদেশ প্রতিটি সূচকে ভালো করছে।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সমীর সাত্তার বলেন, বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে ২০২২-২৩ থেকে একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।
‘এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আস্থা এবং স্থিতিস্থাপকতা দেখাচ্ছে। সরকারকে বিবেচনা করতে হবে এমন একটি প্রধান সুপারিশ হলো যে ব্যবসা করার খরচ কমানো দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিএমএসএমইগুলো একাধিক সমস্যায় ভুগছে৷ সিএমএসএমইগুলোর জন্য অর্থ পাওয়া অন্যতম চ্যালেঞ্জ৷ আমরা সিএমএসএমই বিভাগ থেকে মাধ্যমটিকে সরানোর সুপারিশ করব৷ একটি ধারণা হলো যে এই সমীক্ষাটি আরও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷ আরও কোম্পানি এবং সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন৷ জরিপটিকে আরও অন্তর্ভুক্ত করুন।’
আরও পড়ুন: বিসিআই সভাপতি হিসেবে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পুননির্বাচিত
১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ৯৩ জন
কোনো প্রকার তদবির কিংবা ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া কেবল শারীরিকভাবে ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে সরকারি চাকরি পেলেন ১৪জন নারীসহ মোট ৯৩ প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার দিনভর মৌখিক পরীক্ষা শেষে রাতে তাদের ফুল আর মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ (পিপিএম বার)।
চাঁদপুর পুলিশ লাইনস্ এর মালটিপারপাস শেডে আয়োজিত এ ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)/কনস্টেবল’- পদে নিয়োগ পরীক্ষায় পুরুষ প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৭৬৫ জন এবং নারী ছিলেন ২৬১ জন।
নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অভিনন্দন ও তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, শারীরিক ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা উদ্বোধন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, স্যার আইজিপি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি যুগপোযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ার লক্ষ্য হিসেবে আপনাদের এই নিয়োগ অন্যতম একটি ধাপ। আপনাদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্বল হবে, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পরে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ নির্বাচিত প্রার্থী ও অভিভাবকদের অভিব্যক্তি শুনতে চান।
এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নির্বাচিত কয়েকজন আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।
তখনো তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে কোনও ঘুষ ছাড়াই সততার সঙ্গে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ: ৬ পদে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে চাকরির সুযোগ
খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ
রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) রমজানের আগে খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য এক কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক দু’টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
অনুমোদন অনুসারে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা টিসিবি, মেঘনা ভোজ্য তেল শোধনাগার লিমিটেড থেকে ১৯০ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করবে। এতে প্রতি লিটারের মূল্য পড়বে ১৭২ দশমিক ০৮ টাকা।
আর ইউএন ট্রেডিং, ঢাকা থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) প্রতি লিটার ১৭২ দশমিক ০৮ টাকা দরে ৮৬ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।
আরও পড়ুন: ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
মন্ত্রিপরিষদ কমিটি চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন সেকশনের জন্য ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় সরবরাহ, সংগ্রহ, ইনস্টলেশন এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ পরিষেবাগুলোর জন্য জে এন্ড সি ইমপেক্স লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তির জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
নরসিংদী সড়ক বিভাগের অধীনে ‘সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু’ -এর টোল আদায়ের জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডকে (সিএনএসএল) পরিষেবা প্রদানকারী হিসাবে তিন মাস সময় বৃদ্ধি করে (মার্চের ১ তারিখ থেকে ২ মে ২০২৩) পর্যন্ত নিয়োগের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদের সম্মতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
সেবার বিনিময়ে ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ পাবেন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
কমিটি ১৬৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ এর একটি চুক্তিবদ্ধ সিভিল ওয়ার্কস প্রদানের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১১০ কোটি ২০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন(এমটি) ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া সার সংগ্রহের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)-এর একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বিসিআইসি সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
দোতলা বাড়ির ছাদে টিনের ছাউনির ঘর। ঘরের চারপাশ কাঠ ও তারের নেট দিয়ে ঘেরা। খামারের ভেতর কবুতরের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন জাতের পাখি। পাখির কিচিরমিচিরে বাড়িটি সবসময় মুখরিত থাকে।
বাসার কাছে আসতেই শোনা গেল পাখির কলরব। ছাঁদে গিয়ে আটকে গেল চোখ। সুন্দর পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা।পাখিগুলোর মধ্যে কোন কোন পাখি ওড়াওড়ি করছে। কোন পাখি বানাচ্ছে বাসা। মনোরম সব দৃশ্য দেখতে পাখিপ্রেমীরা আসছেন এই পাখির খামারে। কেউ কেউ আবার পাখি কিনছেনও।
খামারটি তামিমের। তামিম এখানে পরিচিত ‘পাখি তামিম’ নামে।
তামিম ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের বাসিন্দা মো. মোকসেদ আলীর ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সে। ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি।
তামিম জানান, পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০১৪ সালে অনার্সে পড়ার সময় ঢাকার কাঁটাবনের একটি পাখির খামার থেকে প্রথমে দুটি বাজরিগার পাখি নিয়ে এসে বাসার ছাদে একটি খাঁচায় রাখেন। পরবর্তীতে সেই পাখি বাচ্চা দিলে সেটিকে বড় পরিসরে করার চিন্তা করেন তামিম।
আরও পড়ুন: শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি