ব্যবসা
দারাজ মাস্টারকার্ড ‘সেভ স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন ২০২৩ শুরু
দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ মাস্টারকার্ড-এর সহযোগিতায় ‘সেভ, স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন-২০২৩ এর ঘোষণা দিয়েছে। কেনাকাটার মৌসুমে ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে নগদহীন লেনদেন বাড়াতে ক্যাম্পেইনের ডিজাইন করেছে দারাজ।
ক্যাম্পেইনটি ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ এ শুরু হয়ে চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের সময়কালে, যে কোনো বাংলাদেশি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত মাস্টারকার্ড-ব্র্যান্ডেড ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রিপেইড কার্ড সহ যেকোনো কার্ডধারীকে প্রতিবার ন্যূনতম ১০০০ টাকা দিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি (৫) লেনদেন করতে হবে। সর্বোচ্চ ব্যয় করা শীর্ষ ১৩ কার্ডধারীরা আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় দম্পতি ভ্রমণ ভাউচার এবং স্মার্টফোন জেতার সুযোগ পাবেন।
ক্যাম্পেইনের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীরা যথাক্রমে দুবাই, ব্যাংকক এবং কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্রাভেল ভাউচার পাবেন। এই তিনদিন এবং দুই রাত্রির প্রতিটি ভাউচারের মধ্যে দুইজনের জন্য বাসস্থান এবং বিমান ভাড়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকি দশটির (১০) প্রত্যেকে ১০টি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাবেন।
আরও পড়ুন: দারাজ নিয়ে আসছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন
এছাড়াও শুধুমাত্র খুচরা লেনদেন এই ক্যাম্পেইনের জন্য যোগ্য হবেন, এবং সর্বোচ্চ খরচের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ১৩ (১৩) বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে।
অন্যদিকে বাণিজ্যিক ক্রয়ের জন্য লেনদেন ক্যাম্পেইনের যোগ্য হবে না।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য মাস্টারকার্ড, ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রিপেইড কার্ডধারীদের দারাজে তাদের মাস্টারকার্ড সংরক্ষণ করতে হবে এবং দারাজ মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করার সময় তাদের মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে হবে।
উল্লেখ্য, দারাজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মায়ানমারে শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
এটি বিশ্বমানের মার্কেটপ্লেস প্রযুক্তিসহ এক লাখেরও বেশি সক্রিয় বিক্রেতাকে ৫০০ মিলিয়ন লোকের একটি অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল ভোক্তা শ্রেণির কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা দেয়৷
দারাজ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে, এটি তার বাজারে সবচেয়ে দক্ষ এবং ডিজিটালাইজড লজিস্টিক অবকাঠামো পরিচালনা করে। দারাজের দৃষ্টিভঙ্গি হলো দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ হওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন গ্রাহক ও ব্যবসায়ীকে সেবা দেয়া।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্ট উদযাপিত, দারাজে বিক্রির রেকর্ড!
অফুরান উল্লাসে ৮ বছরে দারাজ
দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানকে সামনে রেখে চিনির দাম কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আমদানি শুল্ক কমাতে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
একইসঙ্গে বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না বলেও জানান তিনি।
বুধবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে শিক্ষিত সন্তান থাকলে মানুষের অভাব থাকবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চিনির দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু বেশি। আলোচনা হয়েছে, আমরা চিন্তা করছি একটা চিঠি পাঠাবো যাতে করে যে ডিউটি (শুল্ক) আছে, সেটা যেন পুনর্বিবেচনা করা হয় রমজান মাসকে সামনে রেখে।
এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ, ছোলা এগুলো ভালো আছে। দামও আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ভোজ্যতেল সয়াবিন, পামের আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম বেড়েছে, তেমনটা নয়। ভালো অবস্থায় আছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম আগামীতে বাড়বে না।
এক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে টাকার রেটের বিষয় স্থির থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সাতটি আইটেম নিয়ে কথা বলেছি। আজকে মূলত রমজান মাসকে সামনে রেখেই আলোচনা করেছি। তাতে করে দেখা যাচ্ছে যে, মোটামুটি ভাবে যে অবস্থা আছে তাতে করে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এলসি খোলার বিষয়ে কিছু সমস্যা আছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব।
সেটাও আশা করি ওভারকাম করতে পারব আমরা।
এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে। এটা কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেমন আপনি যদি এলসি খুলতে করতে চান কিন্তু আপনারটা খুলছে না, তখন আমাদের জানালেন।
আমাদের সেক্রেটারি সাহেব এলসির ব্যাপার নিয়ে রিকোয়েস্ট করবেন, যাতে আপনারটা খুলে দেয়া হয়।
এসময় পাশে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এটা একটা বিষয়। আরেকটা হচ্ছে অনেক সময় এলসিবিহীনও আমরা অনুমতি দিতে পারি। এলসিবিহীন আনা যায়। সেরকম পরিস্থিতি হলে আমরা অনুমতি দিয়ে দেবো, এলসি লাগবেনা।
এলসি ছাড়া কিভাবে করা যাবে-জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, এটা যায়। ছোটখাটো খুব এসেনশিয়াল হলে আমরা দিতে পারি।
বাজারে আসলে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ আছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় সমস্যা। এ ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের কালোবাজারি এবং অতিমুনাফা লাভের প্রত্যাশা আছে। এ বিষয়টি এ সভায় আলোচনা করা হয়েছে কিনা, যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটি কিভাবে? রমজান স্বস্তির মাস, আমরা সেই বিষয়টি দেখতে চাই। এ বিষয়ে একজন সাংবাদিক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করেছি। এ সমস্যাগুলো আছে বলেই সেটা নিয়েই প্রথম পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে-সেই দামটা বাজারে এভেইলেবল কিনা।
তৃতীয়ত হলো-কেউ উচ্চ লাভের আশায় মজুতদারি করেছে কিনা। এসবগুলোই আমরা মনিটরিং করছি।
তিনি আরও বলেন, এ কথা ঠিক যখন একটু ক্রাইসিস হয় অনেক সময় বড় করে দেখে একটা সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে। আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। সামনের দিকে এলসি ওপিনের যথেষ্ট চেষ্টা চলছে৷ রমজান মাসে সমস্যা হবে না বলেই আমরা মনে করছি।
আরও পড়ুন: খাদ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধার অনুরোধ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এক লাখ মেট্রিক টন (এমটি) চাল আমদানি করবে সরকার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক দু’টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গম, ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করবে সরকার
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া একটি প্রস্তাবনায়, খাদ্য অধিদপ্তর এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে ভারত থেকে ২১০ দশমিক ৩৫ কোটি টাকার ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করবে।
সরবরাহকারীকে উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছিল এবং প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৩৯৩ দশমিক ১৯ মার্কিন ডলার। একই ধরনের চালের আগের দাম ছিল ৪৪৩ দশমিক ০৫ মার্কিন ডলার।
একই মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের অধীনে, খাদ্য অধিদপ্তর সিঙ্গাপুর থেকে ২১৩ দশমিক ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল এম/এস এগ্রোক্রোপ ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড এর মাধ্যমে আমদানি করবে।
উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সরবরাহকারী নির্বাচন করা হয়েছে এবং প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম হবে ৩৯৭ দশমিক ০৩ ডলার। এর আগে একই ধরনের চালের আমদানি খরচ হয়েছিল প্রতি মেট্রিক টনে ৩৯৩ দশমিক ১৯ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: আরও ২০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি
মিয়ানমার থেকে ২ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে ডলার প্রতি ১ টাকা বেশি পাবেন ব্যবসায়ীরা
রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০২ টাকা পাবেন।
সোমবার থেকে কার্যকর রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন ডলারের হার ঘোষণা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা)।
এটি আগের দর থেকে এক টাকা বেশি যা ডলার প্রতি ১০১ টাকা ছিল।
ডলারের দাম নির্ধারণে রবিবার রাতে এবিবি ও বাফেডার নেতারা বৈঠক করেন।
এতে রপ্তানি আয়ের জন্য হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও প্রবাসী আয় ও আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১ টাকা বেশি পাবেন। আর প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে যা ১০৭ টাকা।
এ ছাড়া আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় থেকে ডলারের মূল্য শূন্য দশমিক ৫০ টাকা বেশি হবে।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ১০২ টাকা।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় ১০৪ দশমিক পাঁচ টাকা। এর সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫০ টাকা যোগ করলে প্রতি ডলার আমদানি বিল হবে ১০৫ টাকা।
গত বছরের মার্চ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মার্কিন ডলারের স্বল্প সরবরাহ রয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের ওপর ৫% ভ্যাট কমানোর মেয়াদ বাড়ল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
সরকার ভোজ্য তেলের ওপর হ্রাসকৃত পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে পূর্ববর্তী নোটিশের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার পর এই মেয়াদ ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানির সময় সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এবং গত বছরের মার্চ মাসে উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে।
ভোজ্যতেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগের মধ্যেই ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
১৩ দশমিক ৪২ ও ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাক খাত যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ ও ১০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ডিসেম্বরে পোশাক শিল্প ভালোই চলেছে। ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে চার দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা এক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা ক্যালেন্ডার বছরের তথ্য বিবেচনা করি তাহলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই বাংলাদেশ ২০২২ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বিজিএমইএ-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।’
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘নিটওয়্যার খাত থেকে রপ্তানি আয় ২৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে ওভেন খাত থেকে আয় ২০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। উভয় খাতে ২০২২ সালে যথাক্রমে ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ ও ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি হয়েছে।’
ইপিবি অনুসারে, ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
এক সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
দেশে শুধুমাত্র গত দুই মাসে (নভেম্বর ও ডিসেম্বর) রপ্তানি থেকে ১০ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা দুই মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালে লেদারপণ্যের রপ্তানি হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মতে, ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা একমাসের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ও।
২০২২ সালের নভেম্বরে রপ্তানি আয় প্রথমবারের মতো ৫ বিলিয়ন অতিক্রম করে। ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
রপ্তানি আয়ে যথারীতি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক।
তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় ডিসেম্বরে বছরে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এক ইউনিটের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিসেম্বরে পোশাক খাতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তিনি বলেন, ভালো দাম এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিলাস বহুল পণ্যের অনুপাত বৃদ্ধির কারণে পোশাক খাতের অবদান বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশে কারখানাগুলো চালু রাখার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্ডার পেয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পোশাক নির্মাতারা প্রতি পিস ৪০ ডলারের বেশি দামে জ্যাকেট রপ্তানি করছে, যা আগে ছিল ৩০ ডলার।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার এবং ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। পোশাক খাতের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য জুলাই মাসে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছরে ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ আগস্টে রপ্তানির মাধ্যমে ৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।
সেপ্টেম্বরে এটি গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন হয়েছে। কেননা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে পোশাকের অর্ডার কমে যায়।
আরও পড়ুন: জুলাই-নভেম্বর: প্রধান দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’
জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে: মন্ত্রী
ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
অব্যবস্থাপনা এবং ঋণ কেলেঙ্কারির সমালোচনা সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফা অর্জনে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)। বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইবিবিএল এখন দেশের সর্বোচ্চ আমানত ধারণকারী ব্যাংক। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঋণ কেলেঙ্কারির প্রতিবেদনের পর এই ব্যাংক থেকে অনেক আমানতকারী টাকা তুলে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ইসলামী ব্যাংকে তারল্য সংকটে ৪০০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলি বিতরণকৃত ঋণ এবং সংগ্রহের আপডেটের ওপর তাদের শাখা অফিসের তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
শনিবার প্রকাশিত বিবি’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২০২২ সালে আগের (২০২১) বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা মুনাফা অর্জনে ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আইবিবিএল। ২০২২ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর), ব্যাংকটি দুই হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির (আইবিবিএল) মুনাফা ছিল দুই হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে তা ছিল দুই হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে, ২০২২ সালে, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। ২০২১ সালে তা ছিল দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা।
কিন্তু পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে প্রভিশন বা সেফটি স্টক সংরক্ষণ এবং কর্পোরেট ট্যাক্স পরিশোধের পর নিট মুনাফা গণনা করা হবে। নিট মুনাফা হল ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা।
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফা করতে পারেনি। বিপরীতে, তারা ৩৭১ কোটি টাকা লোকসান করেছে; গত বছরও লোকসান হয়েছিল ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া ছয় মাসে সিটিজেন ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ব্যাংকটি ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে কার্যক্রম শুরু করে।
অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে এবং এ ধরনের ঋণের সুদ আয় খাতে দেখিয়ে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। কাগজে ভাল দেখানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সদিচ্ছা প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রান্তিকে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে বিবি’র পর্যবেক্ষক
২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) শনিবার বলেছেন, সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ ছিল অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ও পুনর্গঠনের একটি বছর।
বিজিএমইএ পরিচালক মো মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্যোগ, কোভিড-১৯-এর দ্বারা সৃষ্ট সমস্ত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আমরা আমাদের স্থিতিস্থাপকতা প্রমাণ করেছি এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। উন্নত অর্থনীতিগুলোও মন্দার দিকে যাচ্ছে, আর আমরা আমাদের অর্থনীতি এখনও মহামারি সঙ্কট থেকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যসহ পণ্যের দাম বাড়ছে এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২২ সালে রেকর্ড ৮ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছিল; যা ২০২১ সালে ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।’
তাই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা সংকুচিত হচ্ছে। এসবই খুচরা বিক্রয় বাজারকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনকে ব্যাহত করছে।
রুবেল বলেন, ‘তবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে, আমাদের পোশাক রপ্তানি ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার ছিল। এটি তৈরি পোশাক (আরএমজি) উৎপাদনের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা, কেননা আমরা ৪০ বছরের যাত্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বাজারগুলো ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মার্কিন অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি অংশ দ্বিগুণ হয়েছে। ০৯ অর্থবছরে রপ্তানি ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ২২ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’
২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বিশ্ব বাজারে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে স্থান পেয়েছে।
রুবেল বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শীর্ষ ডেনিম-সোর্সিং দেশ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক চীনের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ আমাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বছর হয়ে থাকবে, কারণ আমরা ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছাড়িয়েছি।’
বিজিএমইএর পরিচালক বলেন, ‘২০২২ সালে আমরা ইএসজি অগ্রাধিকার ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ এর সঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্নির্মাণ করেছি। আমাদের কাছে ইউএসজিবিসি দ্বারা স্বীকৃত লিড (এলইইডি) সবুজ আরএমজি কারখানার সংখ্যা সর্বাধিক। বর্তমানে, লিড গ্রিন কারখানার সংখ্যা ১৮৩, যার মধ্যে ৬০টি প্লাটিনাম।’
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় সাফল্যের মধ্যে একটি ছিল ‘মেড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহ’।
রুবেল বলেন, ‘শুধুমাত্র ২০২৩ সালে এগিয়ে যাওয়া নয়, পরবর্তী দশকেও আমাদের এই সমস্ত রূপান্তর বজায় রাখতে হবে এবং চালিয়ে যেতে হবে। পণ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন, ফাইবার ও বাজার বৈচিত্র্য এবং মূল্য সংযোজন এই সেক্টরের জন্য প্রধান সুযোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও আমাদের ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরোয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে আমাদের সক্ষমতা বিকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশন, ডিজাইন ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
ওএমএস-এর জন্য ২ কোটি ৯ লাখ লিটার তেল ও ৮ হাজার টন ডাল কেনা হবে
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কোনো টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে মোট দুই কোটি ৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।
টিসিবি খোলা টেন্ডারের মাধ্যমে আট হাজার মেট্রিক টন মসুর ডালও সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে কার্যত উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
পণ্যগুলো তার চলমান খোলা বাজার বিক্রয় (ওএমএস) প্রোগ্রামের জন্য সংগ্রহ করা হবে যা সারা দেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য চালু করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে টিসিবি ওএমএস প্রোগ্রামের আওতায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার সেনা ভোজ্যতেল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রায় ৪৪ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। সে হিসেবে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৪ টাকা ৫ পয়সা।
টিসিবি ওমানের জাদ আল রাহিল ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি সালতানাত (স্থানীয় এজেন্ট: স্কাই ট্রেডিং) থেকে ডিপিএম এর মাধ্যমে ১৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে। অর্থাৎ প্রতি লিটারের জন্য খরচ হবে ১৩৭ টাকা ৯৪ পয়সা।
এছাড়া ডিপিএমের মাধ্যমে শুন শিং এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৫ টাকা ৫ পয়সা।
টিসিবি আরাবেল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক এএস (স্থানীয় এজেন্ট: বিআইএনকিউ, ঢাকা) ৮১ টাকা ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আট হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা।
আরও পড়ুন: ১ কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি
৩.৩০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল আমদানি করবে টিসিবি