ব্যবসা
দুর্গাপূজা: হিলি স্থলবন্দরে ৮দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার ছুটি উপলক্ষে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা আটদিন বন্ধ থাকবে। তবে এসময় সচল থাকবে হিলির ইমিগ্রেশন বিভাগে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত ।
হিলির কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ১লা অক্টোবর থেকে সাত অক্টোবর পর্যন্ত পূজার ছুটিতে হিলি বন্দরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি করা হবেনা।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছুটির ওই সিদ্ধান্ত ভারতীয় হিলি এক্সপোর্টার এন্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অশোক কুমার চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনকে।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে আবার সচল হয়ে উঠবে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম।
হিলি কাস্টমস ও স্থল শুল্ক স্টেশন এর ডেপুটি কমিশনার বায়োজিদ হোসেন জানান, বন্দরে ছুটি পালনের কারণে কাস্টমসের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরুর সঙ্গে কাস্টমসের সকল কার্যক্রম পূর্বের নিয়মে চালু হবে।
এদিকে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ বদিউজ্জামান জানান, ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের পারাপারে সচল থাকবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শারদীয় দুর্গোৎসব, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি ছুটি উপলক্ষে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১০ দিন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আগামী ১০ অক্টোবর সকাল থেকে বন্দরের সকল প্রকার আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন এবং ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল খালেকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।
পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
পোশাক কারখানার উন্নয়নে বিশেষ তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। উন্নয়ন সংস্থা ও সরকারের সহায়তায় ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তা সংস্কার, প্রতিকার ও পরিবেশগত উন্নয়নে সহায়তা’- শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই প্রকল্পের অধীনে আগের ৭ শতাংশের বিপরীতে বর্তমানে ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ। নতুন ও পুরাতন সব ঋণেই ৫ শতাংশ সুদের হার প্রযোজ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আড়াই শতাংশ সুদে তহবিল পাবে, যা আগে ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিনিয়োগ অনুদান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্টস শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের অংশগ্রহণে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যার লক্ষ্যগুলো হলো- অগ্নিনির্বাপণ, কর্ম পরিবেশের উন্নতি, শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি পরিবেশ বান্ধব বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬ দশমিক ৪২ কোটি ইউরো প্রকল্পে উন্নয়ন সংস্থা এএফডি থেকে পাঁচ কোটি ইউরো ঋণ রয়েছে। বাকি অর্থ আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কেএফডব্লিউ, জিআইজেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে।
এ পর্যন্ত ১৭টি কারখানা এই তহবিল থেকে ১৭০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে এবং দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা অনুদান বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, পোশাক খাতকে চাঙ্গা করতে ঋণের সুদের হার কমানো হয়েছে। যাতে আরও বেশি কারখানা এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তাদের কার্যক্রম বিকাশে এগিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের
৫ হাজারের বেশি মানুষের চাকরি হচ্ছে বিডিজবস চাকরি মেলায়
পাঁচ হাজারের বেশি কারিগরী শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীর চাকরি হচ্ছে বিডিজবস কারিগরি চাকরি মেলায়। মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর পিএসসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় চাকরি মেলা ‘বিডিজবস কারিগরি চাকরি মেলা’। দেশের শীর্ষস্থানীয় ৬১ টি কোম্পানিতে ৪১০ টি পদে ৫ হাজারের বেশি লোকবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে চাকরি মেলার আয়োজন করে বিডিজবস ডটকম।
এদিন সকাল ১০ টায় মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষ এর সদস্য (সমন্বয় ও অ্যাসেসমেন্ট) ড. মো. জিয়াউদ্দীন। বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ. কে. এম. ফাহিম মাশরুর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
ফাহিম মাশরুর বলেন, বর্তমান চাকরি বাজারে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের থেকে কারিগরি শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনেক বেশি। কারিগরি শিক্ষার্থীদের অনেকেরই পাশ করার আগেই চাকরি হয়ে যায়, বেতনও ভাল। অন্যদিকে বিবিএ, এমবিএ করেও অনেকে বছরের পর বছর চাকরি পাচ্ছে না। কিন্তু এর পরেও অনেকে সচেতনতার অভাবে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে না। চাকরি মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কারিগরি চাকরির সুযোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা।
ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, আমাদের দেশে মোট শ্রমশক্তি রয়েছে ৮২ মিলিয়ন, পাশাপাশি ২ দশমিক ২ শতাংশ হারে বছরে প্রায় ২২ লাখ লোক শ্রমশক্তি বাজারে নতুন হিসেবে প্রবেশ করছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠির জন্য কর্মসংস্থান বা আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। সরকার দেশের ২৩ টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫ টি দফতরের অধীনে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি পর্যায়ের প্রায় ৬ হাজার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রমশক্তির দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
তিনি আরও বলেন, বছরে প্রায় ১৭ লাখ যুবক/যুবতী বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। কিন্তু সাপ্লাই সাইড (প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান) ও ডিমান্ড সাইড (শিল্প প্রতিষ্ঠান) এর মাঝে ম্যাচ মেকিংয়ের অভাবে এর সুফল পুরোপুরিভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিডি জবসের এই আয়োজনের কারণে সেই গ্যাপ অনেকটা দূর হয়েছে। চাকরি মেলা আয়োজনের জন্য বিডিজবস, এটুআই ও ব্রাক আইএসডিকে ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো: আলী আকবর খান, এটুআইয়ের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট আসাদ-উজ-জামান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডিজবসের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রকাশ রায় চৌধুরী।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে টেকনিক্যাল শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কারিগরি এডুকেশনের কোন শিক্ষার্থী বেকার থাকে না। তবে এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত প্রাকটিস। কারণ পড়াশোনা শেখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুশীলনের মাধ্যমে সফলতা পায় একজন শিক্ষার্থী। বিডিজবসকে বৃহত পরিসরে কারিগরি চাকরি মেলা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, মেলায় বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করে বিডিজবস। কারিগরি কর্মীরা যেন খুব সহজে কোম্পানিগুলোর কাছে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে, কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে সেজন্য সেমিনার করে প্রতিষ্ঠানটি। কারিগরি চাকরি মেলার আয়োজনে সহযোগিতা করেছে এটুআই এবং ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট।
আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ চা বোর্ডে চাকরি
দূতাবাসে নিয়োগ: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ৯০,০০০
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ অক্টোবর, ২০২২ থেকে রেমিটেন্সের জন্য প্রতি মার্কিন ডলার ১০৮ টাকার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে আগামী মাসে রেমিটেন্সের জন্য এই হার নির্ধারণ করেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা হলে বর্তমান রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অর্থনীতিবিদ ও পিআরআই-এর চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, যখন খোলা বাজারে প্রতি ডলারের দাম ১১৪ টাকার বেশি হয়, তখন আরও রেমিটেন্স আকর্ষণ করার জন্য এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তটি অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোকে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের সংকট সমাধানে কোনো সহায়তা হবে না।
সিপিডি-এর বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, যখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের চাহিদা বাড়তে থাকে তখন বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা সহায়ক নয়।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের বিভিন্ন দামে অসঙ্গতি সৃষ্টি করবে এবং রেমিটেন্স প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করবে।
প্রফেসর মুস্তাফিজুর বলেন, ফলে অবৈধ খাতকে উৎসাহিত করা হবে এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে বিনিময় হারের পার্থক্য বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রেরকরা প্রতি মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ৫ টাকা পাবেন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর, এবিবি ও বাফেদা রেমিটেন্সের জন্য প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ মূল্য ১০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
তবে, রপ্তানি আয় নগদীকরণের ডলারের হার আগের মতোই থাকবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা। আমদানি দায় পরিশোধ এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য প্রবাসী ও রপ্তানি আয় থেকে কেনা ডলারের গড় মূল্যের চেয়ে ১ টাকা বেশি হবে।
বৈঠক শেষে বাফেদা’র চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সময়ে সময়ে মূল্য পর্যালোচনা করার কথা ছিল। ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন দাম নির্ধারণ করেছি। নতুন দাম ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন আয়ারল্যান্ডে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি রপ্তানি শুরু করে।
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
এছাড়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ইতোমধ্যে ওয়ালটন টিভি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এদিকে আয়ারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল স্টোর ‘ডিড ইলেকট্রিক্যাল’ এ প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি। যা ইউরোপের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেই শুধু নয়; বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বিশাল মাইলফলক।
ইউরোপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান জানান, ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে টেলিভিশন রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এছাড়া এপ্রিলে ওয়ালটনের ৩২, ৪৩ ও ৫৫ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড টিভির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়।
এদিকে আয়ারল্যন্ডের খ্যাতনামা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সোমার লিমিটেড’ ওয়ালটন টিভির পরিবেশক হিসেবে বাজারজাত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন ফোনের অনলাইন প্রি-বুকে ১০০০ টাকা ছাড়
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, আয়ারল্যান্ডে টিভি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে ওয়ালটনের ভিশন ‘গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের পথে এক বিশাল মাইলফলক।
ভৌগোলিক দিক থেকে আয়ারল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বাজার। দেশটির প্রতিবেশি হচ্ছে গ্রেট বিটেন। তাই আয়ারল্যান্ডে রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর ফলে গ্রেট ব্রিটেনে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টেলিভিশন প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এই মিশন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে ৫টি মহাদেশীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশে ওয়ালটন টিভি রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছেন তারা।
সূত্রমতে, ৩৫টিরও বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এছাড়া ওয়ালটন টিভির মোট রপ্তানির প্রায় ৯৫ শতাংশই যাচ্ছে ইউরোপের উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন অল-ইন-ওয়ান পিসি বাজারে
বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চারদিনের সফরে তুরস্কে যাবে। আগামী মঙ্গলবার দেশেটির রাজধানী ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি দল
এতে বলা হয়, বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার নতুন বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণই ইস্তাম্বুল সফরের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ১০ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল ঢাকায়
সফরকালে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন ‘ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স’ আয়োজিত ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা এবং বিটুটিব সেশন’, ২৯ সেপ্টেম্বর ফরেন ইকোনোমিক রিলেশন্স বোর্ড অফ টার্কি (ডেইক) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার ও বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও সফরকালে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী মেহমেট মুসের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সাক্ষাৎ করবেন। একই সঙ্গে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিল্পাঞ্চল পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
চারদিনের এই সফর সেবা, উৎপাদন এবং জেনারেল ট্রেডিং খাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সম্ভাবানাময় খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চার কার্যক্রম বৃদ্ধিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
চাকরির ইন্টারভিউয়ে নিজেকে শান্ত রাখার উপায়
ইন্টারভিউ ভীতি খুবই সাধারণ একটা বিষয়, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদের জন্য সর্বাধিক যোগ্য প্রার্থীরাও এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকেন। যিনি প্রথমবার এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন তিনিও জানেন যে চাকরির চাকরির ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণের পূর্বে এবং ইন্টারভিউ চলাকালীন নিজেকে শান্ত রাখা জরুরি। কিন্তু যখন নিয়োগকর্তাদের সামনে নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করার সময় আসে, তখন নিজের অবচেতনেই সবাই স্নায়ুবিক চাপ অনুভব করে থাকেন। ফলশ্রুতিতে হঠাৎ করে হাত ঘামতে শুরু করে, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং মুখ শুকিয়ে যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক চাকরির ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণের পূর্বে এবং ইন্টারভিউ চলাকালীন সময় কিভাবে শান্ত থাকা যায়।
চাকরির ইন্টারভিউয়ে অস্থিরতার কারণ
মুখোমুখি প্রশ্নোত্তরের সময় নিয়োগকারীদের কয়েক জোড়া দৃষ্টির সামনে যে কোন চাকরি প্রার্থীই যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন তা হচ্ছে- কোথাও কোন ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো! একদিকে মনে-প্রাণে যখন তিনি ভাবছেন পুরো পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে তখন তিনি অনুভব করতে শুরু করেন, তার কন্ঠনালীর আশেপাশের পেশী টানটান হয়ে যাচ্ছে।
এ সময় তার কথা বলার সময় কণ্ঠস্বরে কম্পন সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে হাত-পা সহ সর্বাঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ে। মস্তিষ্কে জমা করে নিয়ে আসা তথ্যগুলো তখন একে অপরের সাথে রীতিমত দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু করে, চূড়ান্ত মুহুর্তে যেটি যে কোন একটি তথ্যের উপর মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। এ সময় বুকের ভেতর বাড়তে থাকা হৃদস্পন্দনের শব্দ নিজের কান-অব্দি পৌছে যায়।
পড়ুন: বাংলায় শিক্ষাদানকারী অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম: পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির অনন্য মাধ্যম
এই উদ্বেগ মূলত একটি সহজাত প্রবৃত্তি। ব্যথা বা যন্ত্রণার মত যে কোন শারীরিক সমস্যা অথবা স্নায়বিক চাপের মত যে কোন মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হলে মস্তিষ্ক এরকম প্রতিক্রিয়া দেখায়। শারীরিক বা মানসিক হুমকিগুলো মস্তিষ্কে প্রবেশের সাথে সাথেই স্নায়ুতন্ত্র বিপুল পরিমাণে অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসরণ করে, যেগুলো স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত।
অ্যাড্রেনালিন রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বাড়ানোর পেছনে মুল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। আর প্রাথমিক স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল রক্ত প্রবাহে শর্করা বা গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়। এ সময় মস্তিষ্ক বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ ব্যবহার করে এবং সেই সাথে টিস্যু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থের যোগান বৃদ্ধি পায়। আর শারীরিকভাবে এর প্রকাশভঙ্গি স্বরূপ উদ্বেগ সৃষ্টি হয়, যাকে স্ট্রেস প্রতিক্রিয়া নামে পরিচিত।
দীর্ঘস্থায়ী চাপের সময় শরীর অত্যধিক পরিমাণে কর্টিসল তৈরি করে, যা অত্যন্ত ক্লান্ত এবং নির্দিষ্ট কাজে মনযোগ দিতে অক্ষম করে তোলে। উচ্চ কর্টিসলের মাত্রা কোন কিছু শেখার এবং স্মৃতিশক্তির সাথে যুক্ত মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশকে অবনতির দিকে নিয়ে যায়। এর সাথে অ্যাড্রেনালিনের অবিরাম নিঃসরণ যে কোন পরিস্থিতির উপর স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ হারাতে সহায়তা করে, যা একটি ইন্টারভিউয়ের জন্য খুবই দরকারি ব্যাপার।
পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
চাকরির ইন্টারভিউয়ে নিজেকে শান্ত রাখার কৌশল
ইন্টারভিউয়ের দিনটির জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা
যে কোন কাজের জন্যই শারীরিক ও মানসিক ভাবে উপযুক্ত থাকার কোন বিকল্প নেই। ইন্টারভিউয়ের আগের রাতে ভালো ঘুম না হলে শত প্রস্তুতি থাকলেও পরের দিন সকালে কাঙ্ক্ষিত পার্ফর্মেন্স আসবে না। এছাড়া সকালের নাস্তা সঠিক সময়ে খেয়ে বের হওয়া বেশ জরুরি। হালকা খাবার বা ফল দিয়ে স্বাস্থ্যকর নাস্তা উদ্যমী দিনের সূচনা করাতে পারে। তবে ভরপেট খেয়ে ইন্টারভিউতে যাওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। নিজেকে ভাল ভাবে হাইড্রেটেড রাখার দিকে খেয়াল দিতে হবে।
যাদের ইতোমধ্যে শরীরচর্চার অভ্যেস আছে তাদের জন্য সুখবর। নিদেনপক্ষে শারীরিক দিক থেকে কোন বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে না। আর যাদের এরকম অভ্যাস নেই তারা সম্ভব হলে ইন্টারভিউয়ের দিন ভোর বেলা কোন খোলা পার্কে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করে নিতে পারেন।
সাধারণ করপোরেট সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে সুন্দর পোশাক পরিধান করা
সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছেদ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। যে কোনও পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাসী হতে চাইলে, সেই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিজের পছন্দের সেরা পোশাকটি বেছে নেওয়া উচিত। অতঃপর সেটা ভালো ভাবে পরিধান করে গেলে পোষাকের অসংলগ্নতা নিয়ে কোন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। চাকরিপ্রার্থী তখন নির্দ্বিধায় তার ইন্টারভিউয়ের প্রতি পূর্ণ মনযোগ দিতে পারবেন।
পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
তাই সাক্ষাৎকারের আগে কোম্পানির ড্রেস কোডটি ভালো করে চেক করে নেয়া জরুরি। অতঃপর নিজের ব্যক্তিত্ব এবং করপোরেট সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে এমন একটি পোশাক বেছে নিতে হবে। সুস্থ শরীর ও প্রফুল্ল মনের সংমিশ্রণে ইন্টারভিউয়ে ‘আগে দর্শনধারী’ ক্ষেত্রটিতে অনায়াসেই কৃতকার্য হওয়া যাবে। এরপরে সম্পূর্ণ মনযোগ দিয়ে ‘পরে গুণ বিচারী’ ক্ষেত্রটিতে কৃতকার্য হওয়া পালা।
ইন্টারভিয়ের জন্য সর্বতভাবে প্রস্তুত থাকা
প্রথমেই সঠিক সময়ে উপস্তিতিটা নিশ্চিত করতে হবে। ট্রাফিক জ্যামের কথা মাথায় রেখে অনেকটা সময় হাতে নিয়ে আগে ভাগেই ঘর থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য বের হয়ে যেতে হবে। এখানে ভুল করা মানেই ইন্টারভিউয়ের পুরোটা সময় ধরে নিজের অস্থিরতার সাথে যুদ্ধ করা।
টার্গেটকৃত কোম্পানী সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা ও নিজের কাজের অভিজ্ঞতা সহ ইন্টারভিউয়ের সাধারণ প্রশ্নোত্তরগুলোর উপর নিজের দখল রাখতে হবে। একটা ফাইলে করে জীবনবৃত্তান্ত, কভার লেটার, সার্টিফিকেট, কলম এবং নোটপ্যাড নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে কম্পিউটার, হেডফোন, স্পিকার এবং কনফারেন্সের অ্যাপ সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা আগে থেকে চেক করে রাখতে হবে। সর্বসাকূল্যে, ইন্টারভিউয়ের সময় কোন কিছুর ঘাটতির কারণে সৃষ্টি বিড়ম্বনা অস্থিরতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে সদাপ্রস্তুত চাকরি প্রার্থীর নিজের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস থাকে এবং তাকে ইন্টারভিউ করে নিয়োগকর্তারাও অভিভূত হন।
ইন্টারভিউয়ের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনা
প্রায়ই ক্ষেত্রে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউতে যাওয়ার সময় সেই চাকরিকেই জীবনের একমাত্র অবলম্বন ভেবে থাকেন। এটি না হলে সব-ই শেষ। এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। এটা চিরন্তন সত্য যে, এমন চাকরি আরো আছে এবং সেখানে আবেদনের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার অজস্র সম্ভাবনা আছে।
প্রতিটি মতবাদেরই একটা উৎকৃষ্ট বিকল্প আছে। কতটুকু কোম্পানির প্রিয়পাত্র হওয়া যাবে তার পরিবর্তে চিন্তা করতে হবে কোম্পানিটি একটি নির্ভরযোগ্য চাকরির জন্য কতটা উপযুক্ত। সুতরাং, নিয়োগকর্তারা ঠিক যেভাবে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রার্থীকে যাচাই করছেন, একইভাবে প্রার্থীরও পূর্ণ অধিকার আছে কোম্পানীকে যাচাই করা।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
যে কোন প্রত্যাখ্যান স্বাভাবিক ভাবেই মনোক্ষুন্ন অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। প্রকৃতপক্ষে মস্তিষ্কে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের জন্যও এই প্রত্যাখ্যাত হওয়া অভিজ্ঞতার ভূমিকা আছে। তাই মস্তিষ্ককে বুঝতে দিতে হবে যে, এই চাকরিটিই জীবন ধারনের শেষ অবলম্বন নয়। এখানে চাকরিটা হয়ে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। তাই আরো উত্তম সুযোগ অপেক্ষা করছে বিধায় এই প্রত্যাখ্যানের ঘটনাটি ঘটেছে।
ইন্টারভিউয়ের নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছানো
যে কোন পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে এটি একটি সাধারণ উপায়। সাধারণ লেনদেনের ক্ষেত্রেও ঠিক আগমুহূর্তে পৌঁছা ঠিক নয়। এতে বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই এক্ষেত্রেও অস্থিরতাকে পাশ কাটানোর জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে ইন্টারভিউয়ের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে। এতে দৌড়ে ইন্টারভিউ রুমে প্রবেশ করার অবস্থার সৃষ্টি হবে না। এ অবস্থায় শুধু যে নিয়োগকর্তারাই বিরক্ত হন তা নয়, চাকরিপ্রার্থীর নিজেরও স্বাভাবিক হতে বেশ বেগ পেতে হয়।
আর ইন্টারভিউয়ের ওয়েটিং রুমে আগে যেয়ে বসে থাকার অনেক সুবিধা আছে। এ সময় বাইরের যানজট পেরিয়ে আসার অস্থিরতা কমানো এবং ওয়াশ রুমে যেয়ে বাইরের ধুলো-বালি ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে নেয়া যায়। কাপড়ের কোথাও কোন অসংলগ্নতা থাকলেও তাও ঠিক করে নেয়া যায়। ফলে একদম ফ্রেশ অবস্থায় হাজির হওয়া যায় নিয়োগকর্তাদের সামনে।
পড়ুন: যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
এছাড়া পুরো ইন্টারভিউটা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনাগুলো আরো একবার ঝালিয়ে নেয়ার জন্য এই নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানোর কোন বিকল্প নেই। আর কোম্পানির অফিসের এলাকাটি যদি আগে থেকে পরিচিত না থাকে তাহলে তো এ বিষয়টি একদম বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়ায়।
পরিশিষ্ট
চাকরির ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণের পূর্বে এবং ইন্টারভিউ চলাকালীন নিজের মন ও মস্তিস্ক শান্ত রাখার উপায়গুলোর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে এগুলোর অনুশীলন করা প্রয়োজন। এটি আসলে রাতারাতি সম্ভব নয়। যারা প্রথম ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন তারাও বিষয়টি রপ্ত করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার দিনগুলো থেকেই। ধৈর্য্য ধরে একটি কাজের পুনরাবৃত্তি করাও একটি দক্ষতা, যা সেই কাজে ধৈয্যধারীকে আরো নিখুঁত করে তোলে।
এই অনুশীলনের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে নেতিবাচক চিন্তাকে পরিহার করা। কেননা নেতিবাচক চিন্তা চূড়ান্ত অবস্থায় যে কোন চেষ্টাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই উদ্দেশ্য হাসিলে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা শিখতে হবে। একজন মানুষের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা সে নিজেই। একজন চাকরিপ্রার্থী যখন নিজেকে অনুপ্রাণিত করে পুরো ইন্টারভিউটির পূর্বপরিকল্পনা করতে পারেন, তখন চাকরি পাওয়ার প্রচেষ্টা অর্ধেক সম্পন্ন হয়ে যায়। বাকিটা নির্ভর করে সেই পরিকল্পনাটা বাস্তবায়নের উপর।
পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) দেশটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ালে তা আত্মঘাতী হবে: এফবিসিসিআই
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এছাড়াও হাইটেক পার্ক ও ৬ লাখের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার থাকায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান।
এছাড়াও গত ১৩ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি বাংলাদেশ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম তরুণরাও যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত খাতগুলোর বাইরেও নতুন নতুন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিকশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সভাপতি। ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, রোবোটিকস, ব্লকচেইন, স্পেস, বায়ো-হেলথসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগস্টে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে আট হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। যার ফলে দেখা যায় বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আগস্টে এনবিআরের সংগ্রহ করা ভ্যাট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১৯ কোটি টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: এনবিআর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে সহায়তা করে: চেয়ারম্যান
এ প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) মইনুল খান বলেন, ব্যয় কমানোর কারণে সরকারি ব্যয় কমেছে। তারপরও নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে।
সাধারণত বেসরকারি খাতের তুলনায় সরকারি ক্রয় থেকে বেশি ভ্যাট আদায় করা হয়। এবারের বিষয়টি ব্যতিক্রম বলেও জানান তিনি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ৪০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৩১৯ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রথম দুই মাসে আয়কর খাতে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা এবং শুল্ক খাতে ১৪ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে ৩০টি ছোট খাতে ভ্যাট আদায় হয়েছে চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি, রড-সিমেন্ট, হোটেল ও রেস্তোরাঁর মতো বেসরকারি খাত থেকে ১০ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা