ব্যবসা
অটোমেশনের আওতায় এলো বেনাপোল বন্দর
দীর্ঘ দুই যুগ পর অটোমেশনের আওতায় এলো বেনাপোল স্থলবন্দর। গত দু’বছর ধরে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর পূর্ণাঙ্গ রূপ নিয়েছে এই অটোমেশন সেবা। আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অটোমেশন কার্যক্রমের সুফল পেতে শুরু করবে ব্যবসায়ীরা।
১৯৭২ সালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে প্রথম শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম ধাপে নিরাপদ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে বেনাপোল কাস্টম হাউসে শুরু হয় অটোমেশন পদ্ধতি। তবে বন্দরে অটোমেশন না থাকায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বন্দরের সকল কার্যক্রম চালু থাকায় নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে বন্দরের কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
ব্যবসায়ীদের দাবিতে বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১৯ সালে জুন মাসে বেনাপোল বন্দরে শুরু হয় পরীক্ষামূলক অটোমেশন কার্যক্রম। চলতি মাসের শেষ দিকে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন সেবা চালু হয়। বন্দরের প্রশাসনিক ভবন, রাজস্ব দপ্তর, এন্টি শাখা, কার্গো শাখাসহ বিভিন্ন স্থানে অটোমেশন পদ্ধতিতে কার্য ক্রম শুরু হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অটোমেশনের সাথে বন্দরের অটমেশনের কানেকটিভিটি দেয়ায় আমদানি পণ্য বন্দরে প্রবেশ থেকে শুরু করে রাজস্ব পরিশোধ পর্যন্ত সবধরনের তথ্য নজরদারিতে থাকছে কর্তৃপক্ষের।
ব্যবসায়ীরাও ঘরে বসেই তাদের পণ্যের অবস্থান ও খালাস প্রক্রিয়া জানতে পারছেন অনলাইনে। আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর এলাকায় প্রবেশের পর ডিজিটাল স্কেলে পণ্যের সঠিকতা নিরূপণ, ট্রাকের অবস্থান, বন্দরের শেডে পণ্য আনেলোডের স্থান ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যাওয়ার যাবতীয় তথ্য অটোমেশনের আওতায় থাকেছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় সরকারের। বন্দরে সিসি ক্যামেরা ও অটোমেশন চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কামর্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, আমদানি পণ্যের তথ্য আগে ম্যানুয়ালি খাতা কলমে এন্ট্রি করে তথ্য মজুদ করা হতো। অটোমেশন চালু হওয়ায় প্রতিটি কাজ দ্রুত ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে, এটাই ছিল ব্যবসায়ীরেদ দীর্ঘদিনের দাবি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কাস্টমসের পাশাপাশি বন্দরে অটোমেশন চালু হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ও স্বচ্ছতা ফিরে এসছে। আমদানিকারকরা ইচ্ছে করলে নিজেরা ঘরে বসে আমদানির তথ্য মোবাইলে জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দীর্ঘদিন পর হলেও বেনাপোল বন্দরে প্রথম অটোমেশনে চালু হলো। এতে করে বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। ইন্টারনেটে গুগলক্রমে আমদানিকৃত পণ্যের মেনিফেস্ট নম্বর এন্ট্রি দিয়ে বন্দরের ওয়েভ অ্যাড্রেসে গেলেই তার পণ্যের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারবেন আমদানিকারকরা।
দুবাই এক্সপো ২০২০: ভিজিটরদের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত এমিরেটস প্যাভিলিয়ন
আগামী ১ অক্টোবর (শুক্রবার) থেকে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাইয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রদর্শনী এক্সপো ২০২০ শুরু হতে যাচ্ছে। এই উপলক্ষে অসাধারণ সব উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে দর্শকদের মন মাতাতে প্রস্তুত দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন।
এক্সপো ২০২০ গতবছর অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও করোনা অতিমারির কারণে বহু প্রতীক্ষিত এই ইভেন্টটির তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পর্দা নামলো বেসিস সফটএক্সপোর
রবিবার বিমান সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরচুনিটি ডিক্টিক্টে আল ওয়াসলি ডোম থেকে পায়ে হাটা দূরত্বে অবস্থিত এমিরেটস প্যাভিলিয়ন। আগামী ৫০ বছরে আকাশ ভ্রমণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির প্রভাবে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক এভিয়েশন কেমন হবে তা সম্পর্কে ধারণা পাবেন ভিজিটররা। এছাড়াও দুটি তলাজুড়ে থাকবে ইন্টার্যাকটিভ বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও স্থাপনা যেমন ফ্লাইটের হলোগ্রাফিক মডেল, ভবিষ্যত ল্যাব, উড়োজাহাজের পারফেক্ট মডেল তৈরির চ্যালেঞ্জ, ভবিষ্যতের বিমানবন্দর ইত্যাদি।
আগ্রহী ভিজিটররা এখনই এমিরেটস প্যাভিলিয়ন ভিজিটের জন্য পছন্দের তারিখ ও সময় আগেভাগে বুক করতে পারবেন।
এমিরেটস প্যাভিলিয়নটির নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের মার্চে শুরু হয়ে চলতি বছরের জুনে শেষ হয়। ৪তলা বিশিষ্ট এই প্যাভিলিয়নটির নকশা উড্ডয়নরত উড়োজাহাজের পাখার আকৃতি দেয়া হয়েছে। প্যাভিলিয়নটি ঘণ্টায় ১২০ জন ভিজিটরকে স্বাগত জানাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: নেক্সট বিজনেস লিডার খুঁজছে গ্রামীণফোন
ডিজিটরদের সহায়তায় এমিরেটস কেবিন ক্রুরা সর্বক্ষণ নিয়োজিত থাকবেন। অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে থাকছে নিচ তলায় অবস্থিত প্যাভিলিয়ন ক্যাফে ও আগ্রহীদের জন্য এমিরেটস অফিসিয়াল সেন্টার থেকে এক্সপো সম্পর্কিত বিভিন্ন স্বারক সংগ্রহের সুযোগ। এক্সপো ২০২১ চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এমিরেটস প্যাভিলিয়ন ভিজিটরদের জন্য খোলা থাকবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
বাংলাদেশ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায় এই চালান।
বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাছের নমুনা পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি দেন।
১৭টি ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ রপ্তানি করে ভারতে। যার রপ্তানি মূল্য প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে: মন্ত্রী
ভারতে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫২ রপ্তানিকারকের প্রত্যেককে ৪০ টন করে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, আজ দ্বিতীয় দিনের মত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ নিয়ে কথকতা
নেক্সট বিজনেস লিডার খুঁজছে গ্রামীণফোন
নেক্সট বিজনেস লিডার (এনবিএল) ডিজিটাল’পদে চাকরি প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন।
নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামটির আওতায় গ্রামীণফোন মূলত তরুণ প্রজন্মের মাঝে সম্ভাবনাময় নেতৃত্বের গুণাবলীর সন্ধান করছে। গ্রামীণফোনের নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামটি প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ পথপ্রদর্শক তৈরির উদ্দেশ্য থেকে তরুণদের বিজনেস পারফরমেন্স, রেভিনিউ জেনারেশন, রিলেশনশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে। সেই সাথে নিজেদের ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী সম্পর্কে সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা তরুণদের ধারণাকে আরও স্পষ্ট করে তোলা এবং তাদের মাঝে প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বশীলতার মানসিকতা গড়ে তোলা গ্রামীণফোনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: খাঁচায় বন্দী পাখি: গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা
ডিজিটাল যুগে গ্রাহক ও ভোক্তাদের মানসিকতার বিবর্তনের মূল্যায়ন, তাদের চাহিদা অনুধাবন করা এবং সে অনুসারে সার্ভিস ডিজাইনের মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সম্পৃক্ততা বাড়ানোই মূলত এই পদের প্রধান দায়িত্ব। কর্মরত অবস্থায় প্রার্থীরা কাজ শেখার এবং এর সাথে তাদের দক্ষতার সমন্বয় সাধনের প্রতি কতটা মনোযোগী তার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করবে গ্রামীণফোন।
নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে নির্বাচিত তরুণেরা গ্রামীণফোনে কর্মরত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মেন্টরশিপ লাভের সুযোগ পাবেন, যা তাদেরকে আরও পরিণত হতে সাহায্য করবে। প্রোগ্রাম শেষে প্রার্থীরা বিজনেস ভ্যালু চেইনের আওতায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবেন, যা তাদের নেতৃত্বের গুণাবলীকে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ দান করবে।
আরও পড়ুন: এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস পেল গ্রামীণফোন
নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা সমূহ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা, অদম্য কর্মস্পৃহা, ডিজিটাল প্রোডাক্ট ও এর উন্নয়ন প্রসঙ্গে সম্যক ধারণা, বাজারে অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা ও ইতিবাচকতা যাচাই, গ্রাহকদের মানসিকতা অনুধাবন করা সহ সামগ্রিকভাবে ডিজিটাল বিজনেস ইকোসিস্টেম সম্পর্কে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে গ্রামীণফোন।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত, বিজনেস ও অন্যান্য ডিসিপ্লিন থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেক্সট বিজনেস লিডার প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ০-১ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং নারী প্রার্থীদের উৎসাহিত করছে গ্রামীণফোন। আবেদনের জন্য ভিজিট করুন https://www.grameenphone.com/about/career/vacant-positions
কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
কানাডার মতো সম্ভাবনাময় বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিশেষ করে হাই-এন্ড এবং বৈচিত্র্যময় পোশাক পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সম্প্রতি তিনি কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সাথে অটোয়ায় সাক্ষাৎ করে এ সহযোগিতা চান। সংস্থাটির পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিবও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক গল্পগুলো বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সামাজিক ও পরিবেশগত খাতে উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণ তুলে ধরার আহ্বান জানান।
পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
তিনি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর ১২ বছরের জন্য বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে কানাডায় হাইকমিশনের প্রচেষ্টা এবং ভূমিকার ওপর জোর দেন।
ফারুক আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কানাডায় বসবাসরত অনাবাসিক বাংলাদেশিদের (এনআরবি) সম্পৃক্ত করার উপায় খুঁজতে খলিলুর রহমানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর কারণে নজীরবিহীন সংকটের পর কীভাবে শিল্পটি ঘুরে দাড়াচ্ছে তা হাইকমশিনারকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৭১ কৃষকের মুখে হাসি ‘ফোটাল’ ইউসিবি
খাগড়াছড়িতে ৭১ কৃষকের মুখে হাসি ‘ফোটাল’ ইউসিবি
খাগড়াছড়ির ৭১ কৃষককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকার ঋণ দিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)।
প্রাথমিকভাবে কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মারমা উন্নয়ন সাংসদ কমিনিউটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষকদের হাতে ঋণ তুলে দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মং সার্কেল চিফ (রাজা) সাচিংপ্রু চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এখানে চাষিরা মনে করে প্রাইভেট ব্যাংক মানে অনেক কিছু কিন্তু এই ধারণা পাল্টে দিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি। অনেক সময় আমাদের চাষিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তারা নানা জটিলতার কারণে ঋণ নিতে পারে না। ফলে করোনার মাঝে কৃষকদের জীবন-যাপন আরও বেশি কঠোর হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় আমাদের কৃষকদেরকে সহজশর্তে জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে এই ব্যাংকের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে আমাদের চাষিদের যেকোন সমস্যায় আপনারা পাশে দাড়াঁবেন।’
আরও পড়ুন: অফিসার নেবে ইউসিবি ফিনটেকের `উপায়’
অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী বলেন, ‘দেশের এই সংকটের মাঝেও খাগড়াছড়ির কৃষকদের কাঁধে কাঁধ মিলাতে পেরে খুবই আনন্দিত। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে দরকার ক্ষতিগ্রস্তদের যতদ্রুত সম্ভব ঋণ দেয়া। এটি পালনে আমরা দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। আমরা এই প্রথম এক সাথে ৭১ জন কৃষককে মোট ২ কোটি ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। যেটি আর কোথাও দেয়া হয়নি। তাছাড়া যেসব এলাকায় কৃষকের জন্য সংকট আর বিপর্যয়, আমরা সেই সব এলাকার কৃষকদের পাশে দাড়াঁনোর জন্য চেষ্টা করবো।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ে ইউসিবির কর্মশালা
ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এন মুস্তাফা তারেক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ির ফলজ মালিক সমিতির সভাপতি দিবাকর চাকমাসহ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা মানবসত্তার মর্যাদা ও মানব উন্নয়নের সম্ভাব্য সব মাপকাঠিতেই অতি দরিদ্র বা অতি প্রান্তিকবহিঃস্থ মানুষ হলেও তাদের জীবন ধারণের একমাত্র ভরসা কৃষি। এমন অবস্থায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কৃষকদের সহায়তা করতেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতা (টিফা) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগমন্ত্রী ড্যান তেহান এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই টিফা চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ’ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সেবা প্রদান সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন: ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়ায় ৮০৪.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৫৯৬.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিগত দুই বছর বাণিজ্য আশানুরূপ হয়নি।
উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার এজন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিবে। আশা করা যায়, এই টিফা স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশ উপকৃত হবে এবং বেসরকারি সেক্টরে আগ্রহ বাড়বে।
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ড্যান তেহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্লাস্টিক ও শিক্ষাসহ বেশকিছু সম্ভাবনাময় সেক্টর রয়েছে।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তিনি ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে মানবিক কারণ বিবেচনায় বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে সরবরাহের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ দেশগুলোর দক্ষ গ্র্যাজুয়েটদের কাজের সুযোগ দিতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রীবাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া বিগত ২০০৩ সালে থেকে বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিয়েছে, এজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় এলডিসি গ্রুপের প্রস্তাবে সমর্থন থাকবে বলে আশা করছি। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় রপ্তানির বাজার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমাই ব্রুয়ার। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএফএস অপব্যবহার রোধে চট্টগ্রামে বিকাশের কর্মশালা
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজন করেছে বিকাশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ২৫০ তদন্ত কর্মকর্তা ও বিকাশের কর্মকর্তাদের নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সার্বিক সহায়তায় দামপাড়া পুলিশ লাইনে সম্প্রতি এই কর্মশালা আয়োজন করে বিকাশ। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মনিরুল করিম।
কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথ পদ্ধতিতে এমএফএসের ব্যবহার নিশ্চিত করতে, আর্থিক খাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ও এমএফএস সেবার অপব্যবহার রোধে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় ধারাবাহিক সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে এই সমন্বয় কর্মশালা আয়োজিত হলো। কর্মশালায় এমএফএস অপব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধসমূহ, অপরাধী চিহ্নিতকরণে প্রয়োজনীয় তথ্য সহায়তা এবং অপরাধী চক্র চিহ্নিতকরণের উপায় ও অপব্যবহার রোধে বিকাশ এর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও কর্মশালায় আর্থিক খাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সচেতনতার মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পরিপূর্ণরূপে পালনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এমএফএস সেবার অপব্যবহার রোধে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কীভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারেন সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু
দারাজে পেমেন্ট বিকাশ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যসহ কমিউনিটি ব্যাংকের সব গ্রাহক এখন তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন এবং বিকাশ থেকে কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমাও দিতে পারবেন।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এই যৌথ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন দেশের যে কোন স্থান থেকে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন লেনদেন করতে পারবেন। দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে এখন ব্যাংক শাখায় যাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
পাশাপাশি সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা কমিউনিটি ব্যাংকের ১৬৫টি এটিএম বুথ থেকে শতকরা ১.৪৯ হারে ক্যাশ আউট সেবাও নিতে পারবেন বিকাশের সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহক।
আরও পড়ুন: দারাজে পেমেন্ট বিকাশ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদ উদযাপনে বিকাশে অনুদান দেয়া যাবে
এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যসহ কমিউনিটি ব্যাংকের সব গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং লেনদেন আরও সহজ, নিরাপদ এবং সময় ও খরচ সাশ্রয়ী হলো। পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে কমিউনিটি ব্যাংকের সব সৃজনশীল সেবাকে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
এই সেবা পেতে প্রথমে গ্রাহকদের বিকাশ অ্যাপ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মধ্যে লিংক স্থাপন করতে হবে। লিংক স্থাপনের ক্ষেত্রে উভয় অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি তথ্য একই হতে হবে। লিংক স্থাপন হয়ে গেলে বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’ এর মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন এবং প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাপ ‘কমিউনিটি ক্যাশ’ থেকেও বিকাশ অ্যাকাউন্টে অ্যাড মানি করতে পারবেন গ্রাহক। কমিউনিটি ক্যাশ অ্যাপে নিজের অথবা প্রিয়জনের নম্বর বেনিফিশিয়ারি হিসেবে যুক্ত করে এই অ্যাড মানি সেবা নেয়ার সুযোগ থাকবে।
আবার ব্যাংকে না গিয়ে কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেয়াসহ ডিপিএস, ঋণের কিস্তি ইত্যাদি নানাবিধ সেবা বিকাশ অ্যাপের ‘ট্রান্সফার মানি’ এর মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই নিতে পারবেন। অ্যাড মানি বা ট্রান্সফার মানি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘ট্রানজেকশন লিমিট’ প্রযোজ্য হবে।
ড. বেনজীর আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা পুলিশের ব্যাংক করতে চাইনি। আমরা জনগণের জন্য ব্যাংক করেছি। কারণ পুলিশ কমিউনিটির জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে।’
তিনি বলেন, কমিউনিটি ব্যাংক গত দুবছরে অনেক দূর এগিয়েছে। আগামীতে এর গতি আরও ত্বরান্বিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মসিউল হক চৌধুরী বলেন, ‘যাত্রা শুরুর মাত্র দুবছরের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যসহ অসংখ্য গ্রাহকের নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক সব সেবা যুক্ত করেছি। বিকাশের সাথে এই দ্বিমুখী লেনদেন আমাদের গ্রাহকদের আরও বৈচিত্র্যময় এবং সৃজনশীল সেবা নেয়ার সুযোগ এনে দিল।’
বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে আমাদের এই যৌথ সেবা তাদের প্রতিদিনকার প্রয়োজনসহ যেকোন জরুরি আর্থিক লেনদেনকে সহজ করবে এবং দূরে থেকেও পরিবার ও স্বজনের পাশে থাকার সুযোগ এনে দেবে।’
বেনাপোলে আটকে আছে পণ্যবোঝাই ৭০০ ট্রাক
ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে জায়গার অভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে দেখা যায়, রপ্তানি পণ্যবোঝাই প্রায় ৭০০-৮০০ ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
বন্দরের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অবকাঠামোগত তেমন একটা উন্নয়ন হয়নি। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে জায়গা সংকট প্রতিদিনের। বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রতিদিন ভারত রপ্তানি বাণিজ্যের বাংলাদেশি পণ্যের মাত্র ১৫০ ট্রাক পণ্য গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি করে ভারত।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে সয়াবিন স্ট্রাকশন, চাউলের ভূষি ও রেডিমেট গার্মেন্টস সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানির জন্য অপেক্ষা করছে বেনাপোল বন্দরে। কিন্তু ভারতে রপ্তানি হচ্ছে মাত্র ২০০ ট্রাক পণ্য। ফলে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দর এলাকায় প্রধান সড়কে পড়ে থাকছে। এতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘রপ্তানি সমস্যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি