������������������
ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি ভাষা দক্ষতার বিচারে আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) এখন আর একমাত্র উপায় নয়। সময়-সাপেক্ষ নিরীক্ষণ পদ্ধতি, ব্যয়বহুল নিবন্ধনের কারণে এর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে বিকল্প পরীক্ষাগুলো। সেই সঙ্গে যুগান্তকারী সুবিধা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে প্রযুক্তি-বান্ধব বৈশিষ্ট্য। পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্যই সহজসাধ্য হওয়ায় নিমেষেই গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে নতুন পদ্ধতিগুলো। এমনি একটি পরীক্ষা ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট, যেটি ইতোমধ্যে অপরিহার্য যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হচ্ছে উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ডুওলিঙ্গো পরীক্ষা পদ্ধতি, আর কীভাবেই বা এতে অংশ নিবেন।
ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী
কাগজ-কলমে লিখিত পরীক্ষার গন্ডির বাইরে আদ্যোপান্ত সম্পর্ণূ ইন্টারনেট-ভিত্তিক ইংরেজি ভাষার প্রমিত পরীক্ষার নাম ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট (ডিইটি)। সঙ্গত কারণেই এখানে প্রয়োজন হয় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও স্পিকার সমেত একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার। শুধুমাত্র এই উপকরণগুলো থাকলেই পৃথিবীর যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো সময়েই অংশগ্রহণ করা যায় ডিইটি পরীক্ষায়।
আমেরিকান প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ডুওলিঙ্গোর ডিইটি চালু করে ২০১৬ সালে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে যেভাবে কথা বলবেন
ডিইটি এমন একটি নিরীক্ষণ ব্যবস্থা, যেখানে পরীক্ষার্থীর প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যাচাইয়ের মাধ্যমে তার মেধাবৃত্তিক অবস্থানকে মূল্যায়ন করা হয়। বিগত প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তুলনামূলক ভাবে একটু কঠিন করে করা হয় নতুন প্রশ্নটি। আর এভাবেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এগোতে থাকে পুরো পরীক্ষা পদ্ধতি। স্বভাবতই এখানে ব্যবহৃত হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত অ্যালগরিদমের।
ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট পদ্ধতি
পরীক্ষার মোট সময়সীমা ১ ঘণ্টা। প্রশ্ন বাছাইয়ের জন্য ডুওলিঙ্গোর রয়েছে সমৃদ্ধ ডাটাবেস। তাই যতবারই পরীক্ষা দেওয়া হোক না কেন, একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ১ ঘণ্টা সময় বন্টিত থাকে পরস্পর থেকে ভিন্ন ধরনের প্রশ্নাবলি সম্বলিত ৩টি বিভাগে।
প্রশ্ন বিন্যাস ও সময় বন্টন
ইন্ট্রোডাকশন অ্যান্ড অনবোর্ডিং (বরাদ্দ সময় ৫ মিনিট)
এখানে কম্পিউটারের ক্যামেরা, স্পিকার এবং মাইক্রোফোন সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে কোনো একটি আপলোড করে জমা দিতে হবে। এরপর শুরু হবে পরীক্ষার নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা।
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
অ্যাডাপ্টিভ টেস্ট (বরাদ্দ সময় ৪৫ মিনিট)
এটিই পরীক্ষা প্রধান অংশ, যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে ইংরেজি দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। প্রতিটি প্রশ্ন কতটা কঠিন হবে তা নির্ভর করবে ঠিক আগের প্রশ্নে পরীক্ষার্থীর দেওয়া উত্তরের উপর।
রাইটিং স্যাম্পল অ্যান্ড স্পিকিং স্যাম্পল (বরাদ্দ সময় ১০ মিনিট)
এখানে যাচাই হবে ইংরেজি লিখতে ও কথা বলতে পারার দক্ষতা। কথা বলার নমুনার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া প্রদানের জন্য সময় পাওয়া যাবে ১ থেকে ৩ মিনিট। আর লেখার ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে ৩ থেকে ৫ মিনিট।
ডিইটি স্কোর পদ্ধতি
ইংরেজি ভাষার পারদর্শিতা মূল্যায়নের জন্য স্কোর করা হয় ১০ থেকে ১৬০ ডিইটি স্কেলে। এখানে ন্যূনতম ১২০ এর উপরে স্কোর থাকলে ইংরেজিতে দক্ষ বলে বিবেচিত হয়। পরীক্ষা দেওয়ার পর ফলাফল পাওয়া যায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
এই ফলাফলটি সামগ্রিক এবং সাবস্কোর এই ২ ভাগে সরবরাহ করা হয়। সামগ্রিক স্কোরে ফলাফল হিসেবে ১০ থেকে ১৬০-এর মধ্যে একটি সংখ্যা উল্লেখ থাকে। আর সাবস্কোরে ৪টি বিভাগে স্কোর দেখানো হয়। এগুলো হলো-
- কম্প্রিহেনশন (পড়া ও শোনার দক্ষতা)
- কনভারসেশন (শোনা ও কথা বলার দক্ষতা)
- লিটারেসি (পড়া ও লেখার দক্ষতা)
- প্রডাকশন (লিখতে ও কথা বলার দক্ষতা)
প্রাপ্ত ফলাফল হিসেবে ডিইটি স্কোর বা গ্রেডের মেয়াদ থাকে ২ বছর।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
বিশ্বব্যাপী ডুওলিঙ্গো (ডিইটি) পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা
ডিইটি স্কোর হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, এমআইটি (ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি) এবং ইয়েলসহ ৫ হাজারেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা হয়। আয়ারল্যান্ড তার স্টুডেন্ট ভিসা প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, কিংস্টন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটন এবং মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটির মতো স্বনামধন্য ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ডুওলিঙ্গো স্কোর গ্রহণ করে।
পরীক্ষার একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনলাইনে হওয়ায় এখানে আলাদা করে ভেন্যু ব্যবস্থাপনার ঝামেলা নেই। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটভিত্তিক পরীক্ষার স্কোর ট্র্যাক রাখাও সহজতর। সর্বসাকূল্যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক কম প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদেরকে মূল্যায়ন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
মার্চে ৫১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ: ইপিবি
চলতি বছরের মার্চে ৫১০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায় যায়, গত চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ মাসে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি এখন পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ফলে সার্বিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৭৯ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) মোট ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও মার্চ মাসের শেষে পণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পিছিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' চালু করল বিজিএমইএ
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে 'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' উদ্বোধন করেছে বিজিএমইএ।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) ঢাকায় বিজিএমই’র প্রধান কার্যালয়ে এটির উদ্বোধন করা হয়।
খলিলুর রহমানের মেয়ে নাসরিন সুবহান, ছেলে স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল ও পুত্রবধূ রূপা সায়েফের উপস্থিতিতে 'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' উদ্বোধন করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ বৈশ্বিক বাজারের প্রবণতার ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপটে নেভিগেট করার ক্ষেত্রে ক্রমাগত শেখার ও উদ্ভাবনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএ ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান দিয়ে শিল্প অংশীজনদের গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি প্রয়াত মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানের (অব.) সম্মানে নামকরণ করা এই নলেজ সেন্টারটি বাংলাদেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
আরও পড়ুন: উচ্চমানের পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে বিজিএমইএ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি তৈরি পোশাক শিল্পের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত জ্ঞানার্জনের অপরিহার্যতার উপর জোর দেন।
তিনি শিল্প-প্রাসঙ্গিক জ্ঞানার্জনে সহায়তা এবং এর সামগ্রিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে নলেজ সেন্টারটি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তা তুলে ধরেন।
অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস সম্বলিত খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার প্রশিক্ষণ সেশন, সেমিনার এবং কর্মশালার সুবিধার্থে শিক্ষা ও সহযোগিতার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
এর ডিজিটাল-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, শিল্প বিশেষজ্ঞ, পণ্ডিত এবং বিশ্বজুড়ে পেশাদাররা ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার, বর্তমান ও উদীয়মান ব্যবসায়িক বিষয়গুলোর পাশাপাশি শিল্প-সম্পর্কিত প্রযুক্তিগুলোতে অগ্রগতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতা বিনিময় করার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দাবি
পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল খোলা থাকবে ব্যাংক
পোশাক শ্রমিকদের বেতন, ঈদ বোনাস, ভাতা ও রপ্তানি বিল পরিশোধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন (ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা থাকবে।
এতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা ও নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংকের শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দাবি
গাজীপুরে সরকার নির্ধারিত মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ঈদ ও বৈশাখকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে কেনাকাটা
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের সঙ্গে এবার যোগ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি-বিতানগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। একসঙ্গে দুই উৎসবের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসছেন অনেকেই।
শুক্রবার ছুটির দিনে মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
হলিডে হকার্স মার্কেটের ফুটপাতের দোকানেও কেনাবেচা জমে উঠেছে। ছুটির দিন হওয়ায় এদিন চাকরিজীবীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের সমবায় মার্কেট, প্যানোরমা প্লাজা, মার্ক টাওয়ার, টপটেন মার্ট, হক প্লাজা, আলমাছ পয়েন্ট, বেইলি টাওয়ার, স্বান্ত্বনা মার্কেট, আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার, জিরো বাজার, লুৎফা টাওয়ার, ইজি ফ্যাশন, সায়াম প্লাজা, হাসনাত স্কয়ার, লুৎফা টাওয়ার, সায়াম প্লাজা, বর্ষণ সুপার মাকেট, এফ রহমান সুপার মার্কেট, ফ্রেন্ডস মার্কেটে, সোলস্তা, আড়ৎসহ ছোট-বড় এসব মার্কেটগুলোতে অল্প সময়ের মধ্যেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে ব্যস্ত ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
রোজার শুরুতে মানুষের আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কম। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের ঈদের চেয়ে দেড়গুণ-দ্বিগুণ দাম বেশি রাখছেন দোকানিরা। তৈরি পোশাক ও জুতার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার শুরুর দিকে কেনাকাটা করতে পারিনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ এসেছি ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে। তবে এবার জামা কাপড়ের দাম অন্য বছরের তুলনায় দেড়-দুই গুণ বেশি।’
পুরুষদের তুলনায় নারী ক্রেতার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। হাতে সময় কম থাকায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে।
আরও পড়ুন: ফোসার উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ঈদ চ্যারিটি বাজার’ অনুষ্ঠিত
পাশাপাশি কসমেটিকস, শাড়ি, জুতার দোকানগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দর-কষাকষি করে পছন্দের জিনিসগুলো কিনছেন ক্রেতারা।
সমবায় মার্কেটের নন্দন ফ্যাশন হাউসের মালিক মোহাম্মদ ওমর বলেন, ‘এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ দুই উৎসবে ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে।’
বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, অনেকে আগে পোশাক সেলাই করে ব্যবহার করতেন। এবার তৈরি পোশাকের চাহিদা বেশি।
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের জন্য বাহারি ডিজাইনের পোশাকই বেশি পছন্দ করছেন নারী ক্রেতারা। আর ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, জিনস প্যান্ট ও টি-শার্ট। পাশাপাশি দেশীয় কাপড়ের কদরও রয়েছে বেশ।
বাবা-মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছেন সামির। তিনি বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করেছি। পছন্দমতো প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবি কিনেছি।’
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে: আইজিপি
ঈদকে সামনে রেখে চাষাড়া হলিডে মার্কেট ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। স্বল্প দামে পছন্দসই পোশাক কিনতে পারছেন বলে এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। ফুটপাতের এসব দোকানগুলো থেকে নিম্ন, মধ্য ও উচ্চবিত্ত- সব শ্রেণিরই নারী-পুরুষদের পোশাক কিনতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দাবি
ঈদুল ফিতরের আগেই শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব বোনাস পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।
তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং চাকরি থেকে ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিক সংগঠনটি।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদসহ অন্যান্য নেতারা এতে বক্তব্য দেন।
শ্রম আইনে কার্যকর সংশোধনী এনে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েন তারা।
সংগঠনটি চার শ্রমিক হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি এবং আইএলওর কনভেনশন অনুযায়ী তাদের পরিবারকে মানসম্মত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চমানের পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে বিজিএমইএ
কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ: কৃষিমন্ত্রী
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকেরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাফা নেতারা পরামর্শ করতে এলে তাদের উদ্যোগ নিতে বললাম। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।’
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় গবেষণা জোরদার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরও বেশি প্রকাশের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে যাতে কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি দ্রুত ভেঙে ফেলা যায়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও যতটুকু সম্ভব করা হচ্ছে।
বাফার সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকেরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে ও বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তাদের কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনতে হয়। যার ফলে পণ্যের দামের পার্থক্য অনেক বেশি দেখা যায়। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
বাফা সভাপতি আরও বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকরা পায় না। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।’
রোজার শুরুতে বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয় নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।’
বাফা নেতারা জানান, কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসাবে বিক্রি শুরু হয়েছে।
রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাফা।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানায় বাফা নেতারা।
অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
অনিয়ম ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করে এমন অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারে ইসলামিয়া শান্তি কমিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এ সহযোগিতার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসায়ীরা নিয়মের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে গোটা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সারা দেশের ব্যবসায়ীদের অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আরও বলেন, শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছর দেশব্যাপী এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণগুলো শনাক্ত করে লিখিত আকারে এফবিসিসিআইকে দিতে আহ্বান জানান তিনি। সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মত বিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কৃষক ও ভোক্তারা ভোগান্তিতে থাকলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন।
ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা না থাকায় বেশি কারচুপি হচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা চালু করা গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশেই কমে আসবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
পণ্য কেনা-বেচার সময় রসিদ রাখার বিষয়ে জোর দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিয়া শান্তি সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া আড়ৎদারদের পাশাপাশি আমদানিকারকদেরও মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, সাবেক পরিচালক, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কমিটি।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
কোন ব্যবসায়ী অসাধু উপায়ে বাড়তি মুনাফা করার চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটি।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটির মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই'র সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে চিহ্নিত করে সাজা নিশ্চত করতে হবে। এফবিসিসিআই'কে অসাধু ব্যবসায়ীদের তথ্য দিন। আমরা সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
রমজানে বাজার সহনশীল রাখতে বেসরকারি খাতের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এফবিসিসিআই বাজার মনিটরিং করছে বলে জানান সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে ভোক্তাদেরও ক্রয় অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এক মাসের বাজার একদিনে না করে আরও সংযমী হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতিটি বাজারে বণিক সমিতি বা বাজার কমিটির নিজস্ব নজরদারি ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এবং এফবিসিসিআই এর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে জানান মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বাবুল।
মতবিনিময় সভা শেষে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই'র পরিচালক, সাবেক পরিচালক, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ
ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বুধবার(২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে জিটুজি (সরকার ও সরকার পর্যায়ে) ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করবে।
তবে এ বৈঠকে পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আবারও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের জানান, ‘ওই সময় পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হতে পারে।’