%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নৌকাডুবিতে নিহত ৬
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি নদীতে নৌকাডুবিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে থাকা ১৫ জন যাত্রীর মধ্যে নিখোঁজ আরও তিনজনের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বেসামরিক প্রশাসক বিলাল মহিউদ্দিন ভাট জানান, যাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ছিল। এ পর্যন্ত ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই অঞ্চলের প্রধান শহর শ্রীনগরের ঝিলাম নদীতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। পানির তীব্র স্রোতের মধ্যে নদী পার হওয়ার সময় একটি দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায়। গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বেড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফিরদৌস আহমেদ লোন জানান, তিনি সাহায্যের জন্য মানুষের চিৎকার শুনে তাদের বাঁচাতে ছুটে যান।
লোন বলেন, ‘আমি তাদের চারজনকে নদী থেকে টেনে তুলেছিলাম, কিন্তু তার আগেই তারা মারা গিয়েছে।’
অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে ভারতে নৌ দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের একটি সমুদ্র সৈকতে ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে একটি দোতলা নৌকাডুবিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে গোদাবরী নদীতে নৌকাডুবিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়।
আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যায় ওমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
ওমানে ভারী বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। এ ছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। এর মধ্যেই ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রধান মহাসড়কের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। দুবাইয়ে অনেক রাস্তায় যানবাহন পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে।
সারারাত ধরে চলা বৃষ্টিতে সড়কগুলোতে পানি জমে জলাশয়ের মতো তৈরি হয়েছে। এছাড়া বাতাসের কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকালেও আলোস্বল্পতার কারণে হেড জ্বালিয়ে গাড়িগুলো চলাচল করছিল। এছাড়া রাস্তায় পানি জমে থাকায় গাড়ি ধীরে ধরে চলছিল। মাঝে মাঝে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার চূড়া ছুঁয়ে যাচ্ছিল বজ্রপাত।
ঝড়ের আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অধিকাংশ সরকারি কর্মচারীরা বাসা থেকে কাজ করছিলেন। তবে এ দুর্যোগের মধ্যেও অনেক কর্মজীবী বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন আর বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকে যায়।
রাস্তা ও মহাসড়কগুলো থেকে পাম্প দিয়ে পানি সরিয়ে নিতে ট্যাংকার ট্রাক পাঠায় কর্তৃপক্ষ।
আরব উপদ্বীপের শুষ্ক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক, তবে শীতকালে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি দেখা যায়। নিয়মিত বৃষ্টিপাতের দেশ না হওয়ায় অনেক রাস্তাঘাট ও এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। সেকারণেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকালে দুবাইয়ে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দিন ধরে ১২৮ মিমি (৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও বাহরাইন, কাতার ও সৌদি আরবেও বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ওমানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জাতীয় কমিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রায় ১০ জন স্কুলছাত্রসহ একটি গাড়ি ভেসে গিয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে অঞ্চলটির প্রশাসন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম সরাসরি সামরিক হামলা ইরানের
শনিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো সরাসরি সামরিক হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক বোমা বহনকারী ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরান জানায়, তারা আরও অনেক ধ্বংসাত্মক ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের ২ এলিট জেনারেলসহ ১২ জন নিহত হওয়ার পর দেশটি ইসরায়েলে হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
রবিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের 'অধিকাংশ' ইসরায়েলের সীমান্তের বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
গাজা উপত্যকায় হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ৬ মাসের যুদ্ধে ইসরায়েল ও ইরান সংঘর্ষের পথে রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জন অপহৃত হন। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে এবং ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
সিডনিতে শপিং সেন্টারে ছুরিকাঘাতে ৬ জন নিহত, পুলিশের গুলিতে ঘাতকের মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং সেন্টারে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
শনিবার শহরের পূর্বাঞ্চলে বন্ডি জংশনের ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের অবস্থা সম্পর্কে পুলিশ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী পুলিশ কমিশনার অ্যান্থনি কুক জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারী শহরের পূর্ব শহরতলীর বন্ডি জংশনের ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে ৯ জনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর পুলিশ তাকে গুলি করে। এ ঘটনায় হামলার শিকার ৬ জন ও সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
কুক আরও বলেন, নিহত সন্দেহভাজন একাই এ কাজ করেছে। আর কোনো হুমকির সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এমন কিছু নেই যা কোনো উদ্দেশ্য বা কোনো মতাদর্শের ইঙ্গিত দেয়। তবে আমরা কোনো কিছুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
কুক বলেন, ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ পরিদর্শক সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে ‘অনেক লোকের জীবন বাঁচিয়েছিলেন’।
ভিডিওতে দেখা যায়, শপিং সেন্টারের আশপাশে অনেক অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং লোকজন বের হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘটনাস্থলে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টিভির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার রোই হুবারম্যান বলেন, ঘটনার সময় তিনি একটি দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ আমরা সম্ভবত দুটি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং আমরা কী করব তা বুঝতে পারছিলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দোকানের একজন আমাদের পেছনে নিয়ে গিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। তিনি আমাদের পেছন দিয়ে যেতে দেন এবং তারপর আমরা বাইরে চলে এসেছি।’
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী বিমান হামলার প্রতিশোধ নিলে তারা আত্মরক্ষা করতে এবং পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ায় ইরানি কনুলেটে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে তেহরান। ওই হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলে বিশ্বাস করে মার্কিন সামরিক বাহিনীও। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
গাজায় ছয় মাসের যুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলকে মানবিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন: রুশ নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে ড্রোন হামলা
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান সামান্থা পাওয়ার বুধবার আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে যে 'বিশ্বাসযোগ্য' প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা তিনি মেনে নিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি সপ্তাহে বলেছেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবাহ বাড়াতে ইসরায়েল যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা ও স্থল হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৩৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৪ হাজার ৯৯৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে কতজন বেসামরিক ও কতজন যোদ্ধা রয়েছে তা আলাদা করে জানাতে না পারলেও নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর যুদ্ধ শুরু হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরান হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে তারা দেশটিকে রক্ষা করতে এবং পাল্টা হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।
ইরান গত সপ্তাহে দামেস্কে বিমান হামলায় নিহত তার দুই জেনারেলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। তারা এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইরান বা ওই অঞ্চলে সমর্থিত বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট প্রস্তুত রেখেছে এবং অন্যান্য সেনাদের সক্রিয় করেছে।
সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরানি ভূখণ্ড থেকে হামলা হলে এটি স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তেজিত করতেই ইরান হামলা চালাবে। ’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েল আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত করেছে। 'যেখানে প্রয়োজন সেখানে কীভাবে কাজ করতে হবে তা আমরা জানব।’
হাগারি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল এরিক কুরিলা ইসরায়েলি সামরিক নেতাদের সঙ্গে কৌশলগত মূল্যায়নের জন্য ইসরায়েলে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সপ্তাহে বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি এখনো আগের মতোই দৃঢ়।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বিক্ষোভ, জিম্মি মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং গাজায় হামাসের হাতে আটক কয়েক ডজন জিম্মির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে তেল আবিবের রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের বড় বড় ছবি এবং ইংরেজি ও হিব্রু ভাষায় লেখা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে।
অক্টোবরে দেশটিতে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে চলতি মাসের শুরুতে হাজার হাজার ইসরায়েলি জেরুজালেমে জড়ো হয়, যা সরকারবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। প্রায় ছয় মাসের যুদ্ধ নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে বিভক্তি তৈরি করেছে, যদিও দেশটির অধিকাংশই মূলত যুদ্ধের পক্ষে রয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, আগাম নির্বাচন ইসরায়েলকে ছয় থেকে আট মাসের জন্য অচল করে দেবে এবং জিম্মি আলোচনাকে থামিয়ে দেবে। তিনি হামাসকে ধ্বংস করার এবং সমস্ত জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে সেই লক্ষ্যগুলো অধরা রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বৃহস্পতিবার বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি "আসন্ন", ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ারকে নরম করে বলেছেন, সেখানে এরইমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে তা "বিশ্বাসযোগ্য"।
জিন-পিয়েরে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা গাজায় পৌঁছানো মানবিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে গাজায় আরও বেশি সহায়তা পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ত্রাণের প্রবাহ বাড়াতে ইসরাইলকে চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখবে।
মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে গাজায় সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে বলেছে যে তারা আরও একটি কার্গো ক্রসিং খুলবে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে আগের চেয়ে আরও বেশি ট্রাক পাঠাবে। কিন্তু কয়েকদিন পরও এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা বলছেন, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর গাজায় বিপুল সংখ্যক লোক অনাহারে রয়েছে।
যদিও ইসরায়েল বলছে, তারা এই অঞ্চলে প্রবেশকারী ত্রাণ ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়িয়েছে, জাতিসংঘের কর্মীরা কেবল সামান্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শহীদ রিন্ড জানান, ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রথম দিন ও পাকিস্তানে সরকারি ছুটির দিন বুধবার রাতে তারা বেলুচিস্তানের একটি মাজারে যাচ্ছিলেন।
হজযাত্রীরা যে মাজারে যাচ্ছিলেন সেখান থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে লাস বেলা জেলায় বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৫ জনকে পার্শ্ববর্তী সিন্ধু প্রদেশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসটিতে চালকসহ ৩৩ জন যাত্রী ছিলেন।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
ইরান যদি তাদের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালায় তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে বিস্ফোরণে ইরানি জেনারেলদের হত্যার পর প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ফার্সি ও হিব্রু উভয় ভাষায় এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘ইরান যদি তার ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেবে এবং ইরানে হামলা চালাবে।’
চলতি মাসের শুরুতে দামেস্কে সৌদি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বুধবার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য এলো।
তেহরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে, যাতে ভবনটি ধসে ১২ জন নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এ ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। যদিও তারা এই হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, যা তাদের দীর্ঘকালীন স্নায়ু যুদ্ধের সম্প্রসারণ।
মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শেষে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, বিমান হামলা ছিল 'অন্যায়' এবং ইরানি ভূখণ্ডে হামলার অনুরূপ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে খামেনি বলেন, ‘আমাদের কনস্যুলেট এলাকায় হামলা চালানোর মানে আমাদের ভূখণ্ডে হামলা চালানো। দুষ্ট শাসকদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে এবং তারা শাস্তি পাবে।'
কাৎজ বা আয়াতুল্লাহ কেউই কীভাবে প্রতিশোধ নেবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
১ এপ্রিলের ওই বিস্ফোরণে নিহত ১২ জনের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য, চারজন সিরীয় ও হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া বাহিনীর এক সদস্য রয়েছেন।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন করায় পশ্চিমাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনেরও সমালোচনা করেন খামেনি।
তিনি বলেন, 'আশা করা হচ্ছিল তারা (ইসরায়েল) এই দুর্যোগে প্রতিরোধ করবে। তারা তা করেনি। পশ্চিমা সরকারগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি।’
ইরান ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে থাকে। তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না।
রুশ নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে ড্রোন হামলা
রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের সামরিক ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
রবিবার এ হামলা চালানো হয়।
প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের মতে, কোনো গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং প্ল্যান্টে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক ছিল।
রবিবার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, তাদের বিশেষজ্ঞদের ড্রোন হামলা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এ ধরনের বিস্ফোরণ আইএইএর পর্যবেক্ষণের সঙ্গে মিলে যায়।
এ ধরনের হামলার নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি বলেন, ‘আইএইএর ৫টি নীতির পরিপন্থী এবং পরমাণু নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি আমি।’
২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামরা হচ্ছে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই দখল হয়ে যায়। সম্ভাব্য পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কার মধ্যে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আইএইএ বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ই নিয়মিতভাবে একে অপরকে প্ল্যান্টে আক্রমণ করার জন্য অভিযুক্ত করছে।
কয়েক মাস ধরে প্ল্যান্টের ৬টি চুল্লি বন্ধ থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ কুলিং সিস্টেম এবং অন্যান্য সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলো পরিচালনা করার জন্য এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যোগ্য কর্মী প্রয়োজন রয়েছে।
আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিহুবভ জানিয়েছেন, রবিবার ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলে রুশ গোলাবর্ষণে ৩ জন আহত হয়েছেন।
রাশিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকভ জানান, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ৬ জনের একটি পরিবারকে বহনকারী গাড়ির ওপর ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়লে এক বালিকা নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে।
তাইওয়ানে ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন, মৃত্যু বেড়ে ১৩
তাইওয়ানে ভূমিকম্পের পর ঝুঁকে পড়া একটি ভবন ভাঙার কাজ শনিবার স্থগিত করতে হয়েছে। কারণ, ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনের (আফটারশক) কারণে ভবনটি আরও গেলে পড়ে।
প্রায় ১০ তলা উঁচু এবং হুয়ালিয়েন শহরের একটি রাস্তার উপর ঝুঁকে থাকা লাল ভবনটি ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের একটি ‘আইকনিক’ নিদর্শন হয়ে উঠেছে। এই ভূমিকম্পে হুয়ালিয়েন থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জনপ্রিয় হাইকিং গন্তব্য তারোকো ন্যাশনাল পার্কের পাথরের নিচে চাপা পড়েন মানুষজন।
শাকাডাং ট্রেইলে হতাহত তৃতীয় একজনের সন্ধান পাওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। একই ট্রেইলে ৩ জনসহ আরও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির কারণে বিচ্ছিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের ৩ দিন পরও ৪ শতাধিক মানুষ আটকা পড়েছেন, বেশিরভাগই তারোকো পার্কের একটি হোটেলে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৪, আহত ৫৭
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে বুধবার সকালের ভূমিকম্পের পর থেকে ওই এলাকায় শত শত ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন আঘাত হেনেছে। যার মধ্যে শনিবার দুপুরের কিছু আগে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
যারা বেঁচে গেছেন তারা তাদেরকে উদ্ধার করতে আসার আগে আটকা পড়া সময়ের ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
উদ্ধারকারীরা শাকাদাং ট্রেইলে পাথরের নিচে চাপা পড়ে থাকা দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য ভারী সরঞ্জাম আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। ৩ জন নিহত ও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫ জনের একটি পরিবার রয়েছে। ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনের কারণে শুক্রবার বিকালে অনুসন্ধান ও পুনরুদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
হুয়ালিয়েনের এক নগর কর্মকর্তা বলেন, হেলে পড়া ভবনটি ভাঙার কাজ কীভাবে এগোনো যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে ভারী বর্ষণে ৭ জনের মৃত্যু, ১৬ ঘণ্টা পর কাদা থেকে ৪ বছরের শিশু জীবিত উদ্ধার
গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের বিষয়ে সমঝোতায় আসতে হামাসকে চাপ দিতে মিশর ও কাতারের নেতার প্রতি বাইডেনের আহ্বান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার মিশর ও কাতারের নেতার চিঠি লিখে ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তির জন্য হামাসকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায়।
গাজায় ৬ মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার জন্য বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান করার একদিন পর বিষয়টি সামনে আসল।
ব্যক্তিগত চিঠি নিয়ে আলোচনা করতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সোমবার আনুমানিক ১০০ জিম্মির কয়েকজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন, যারা এখনও গাজায় রয়েছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে লেখা চিঠিগুলো এমন সময় এলো যখন বাইডেন সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসকে জিম্মি সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য কায়রোতে মোতায়েন করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দেওয়ার সময় এসেছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা এতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনায় হামাস পক্ষটি পরোক্ষ। কারণ, গাজার তলদেশে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নেওয়া হামাস নেতাদের কাছে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো পাঠানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের জন্য গাজায় জিম্মি বিনিময়ের সুবিধার্থে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে বিরতি দেওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং ওই অঞ্চলে খারাপ মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বাড়ানোর একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: গাজায় রমজানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট
ওই কর্মকর্তা জানান, নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনে বাইডেন ‘স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে আমেরিকান নাগরিকসহ জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে সবকিছু করতে হবে’ এবং ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েলি মধ্যস্থতাকারীদের পুরোপুরি ক্ষমতায়নের গুরুত্ব’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রস্তাবিত চুক্তির প্রথম ধাপে নারী ও বয়স্ক, অসুস্থ ও আহত জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি শুক্রবার বলেন, বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৃহস্পতিবারের কথোপকথনের সময় একটি জিম্মি চুক্তি সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। যেখানে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের ৭ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজা-ইউক্রেন বিষয়ে 'দ্বৈত নীতি' পরিহার করতে ইইউর প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান