%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
আগামী সপ্তাহে নতুন চন্দ্রাভিযান রকেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, যা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেবে। তবে আপাতত রকেটটিতে কোনো নভোচারী থাকবে না।
৩২২ ফুট উঁচু রকেটটি প্রাথমিকভাবে খালি ক্যাপসুল (নভোচারীদের জন্য) নিয়ে দূরবর্তী চন্দ্র কক্ষপথ দিয়ে প্রদক্ষিণের চেষ্টা করবে। নাসার বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো’-এর ৫০ বছর পর এই চেষ্টা করা হবে। পুরো পরিকল্পনায় বড় আকারের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সাল নাগাদ নভোচারীরা চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে সক্ষম হবে।
সোমবার সকালে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বিষয়টি জানানো হয়। নাসার কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, ছয় সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষামূলক এই উড্ডয়ন ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো বিষয় ব্যর্থ হলে সময় কমিয়ে আনতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
বুধবার নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এপিকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি নিবো এবং পরীক্ষা চালাবো। আমরা যতটা পারি নিরাপদ করার জন্য কোনো নভোচারীকে রাখছি না।’
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা (অবসরপ্রাপ্ত) জন লংসডন বলেন, যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে তাহলে ক্রম বর্ধমান খরচ ও দুটি উড্ডয়নের মাঝে দীর্ঘ বিরতি পুরো প্রক্রিয়া কঠিন করে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদ, মঙ্গল ও এর চেয়েও বড় কোনো অভিযানের টেকসই পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি। তবে বড়ধরনের ত্রুটির সম্মুখীন হলে যুক্তরাষ্ট্র কি চালিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকবে?
একক অভিযানের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এক দশক আগে নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
ফেসবুক নিউজফিডে অনাকাঙ্ক্ষিত পোস্টে সয়লাব
বিশ্বের হাজার হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী বুধবার তাদের নিউজফিডে সমস্যা দেখা দেয়ার অভিযোগ করে। ব্যবহারকারীরা নিউজফিডের ওপরের দিকে বিভিন্ন তারকাদের ‘ফ্যান পেজ’ ও গ্রুপের বুস্ট (বিজ্ঞাপন) পোস্ট দেখতে পায়।
ডাউনডিটেকটর নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট (অভিযোগ) করতে থাকলে বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। ডাউনডিটেকটর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অনলাইন সেবা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ দিয়ে থাকে। ডাউনডিটেকটরের কাছে যতগুলো রিপোর্ট এসেছিল তার মধ্যে ৮১ শতাংশই ছিল নিউজফিড সম্পর্কে। এরপর থেকেই ব্যবহারকারীরা নানাধরনের ছবি ও মিম প্রকাশ করে সমস্যাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে।
আরও পড়ুন: নাম পরিবর্তন করে ফেসবুক ইনক এখন ‘মেটা’
ঘটনাটির জন্য ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা, ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে বলে জানায়।
বিবিসিকে কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আজ (বুধবার) দিনের শুরুর দিকে কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে কিছু ব্যবহারকারী তাদের নিউজফিডে সমস্যা দেখতে পায়। সমস্যাটি আমরা দ্রুত সমাধান করেছি।’
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিসেবা পুনরুদ্ধার করেছে ফেসবুক
সাইবার নিরাপত্তায় অবহেলা, অভিযোগ টুইটারের সাবেক নিরাপত্তা প্রধানের
টুইটারের সাবেক নিরাপত্তা প্রধান পিটার জাটকো মাধ্যমটির দুর্বল সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। ভুয়া অ্যাকাউন্ট যেগুলোতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে থাকে, তা সরানোর পদক্ষেপ নিতেও অবহেলা করেছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে দাখিল করা এক অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে গুরুতর আইনি ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এতে টুইটার বেশি করে চাইবে ইলন মাস্কের সঙ্গে চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তিটি যাতে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অভিযোগটি তদন্ত করতে বলেছেন।
পিটার অভিযোগটি যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন, ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং বিচার বিভাগের কাছে গত মাসে দাখিল করেন। অভিযোগের বিষয়ে পিটারের সঙ্গে কাজ করেছে আইনবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা ‘হুইসেলব্লোয়ার এইড’। নিশ্চিত করে, ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনে পোস্ট করা অভিযোগের একটি সংশোধিত অনুলিপির সত্যতা। পিটারের অভিযোগটি ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনে ছেড়েছে এবং এর সত্যতা হুইসেলব্লোয়ার এইড নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান উন্মোচন কর্মকর্তা জন টাই মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটিই তাঁর (পিটার) জন্য শেষ আশ্রয় ছিল’। পিটারকে এবছরের জানুয়ারিতে বরখাস্ত করা হয়।
পিটারের গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, টুইটার ২০১১’র এফটিসি (ফেডারেল ট্রেড কমিশন) শর্তাবলী লঙ্ঘন করে। টুইটার মিথ্যা দাবি করেছিল যে কোম্পানিটি এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। পিটারের আরও অভিযোগগুলোর একটি হল, স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি প্রতারণা করেছে। ঠিক এ কারণেই ইলন মাস্ক চেষ্টা করছে টুইটার কিনে নেয়া থেকে পিছিয়ে আসতে।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার টুইটার ইনকরপোরেটেডের শেয়ার সাত শতাংশের বেশি কমেছে।
আরও পড়ুন: জ্যাক ডরসিকে আদালতের তলবের জন্য ইলন মাস্কের রিট
৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
জ্যাক ডরসিকে আদালতের তলবের জন্য ইলন মাস্কের রিট
টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসিকে আদালতের তলবের জন্য আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন ইলন মাস্ক।
সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনে নেয়ার যে চুক্তি হয়েছিল তা বাতিলের আইনি পদক্ষেপ এটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যার তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে মাস্ক এই সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু টুইটার উল্টো আগেই মাস্ককে যোগাযোগমাধ্যমটি কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন:৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করতে না পারলে এ বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ারে অবস্থিত এক আদালতে শুনানি শুরু হবে।
টুইটার আশা করছে, চুক্তিবদ্ধ শেয়ার প্রতি ৫৪ দশমিক ২০ ডলারের পক্ষেই বিচারক রায় দিবেন।
টুইটার জানিয়েছে, দৈনিক সক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে পাঁচ শতাংশেরও কম হল বট অ্যাকাউন্ট। যা মূলত ভুয়া অ্যাকাউন্ট, প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন:টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
ইলন মাস্ক সম্পর্কে কিছু বিস্ময়কর তথ্য
সেরা ১০টি মোবাইল ক্রিকেট গেম ২০২২: ক্রিকেট দুনিয়া যখন মুঠোফোনে
শৈশবের সাথে সাথে হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেট খেলার মাঠগুলোকে আবার ফিরিয়ে দিচ্ছে সেরা মোবাইল ক্রিকেট গেমগুলো। পিক্সেল ও রেজুলেশনের পরিধিতে আবির্ভূত মাঠগুলোতে নেই দখলের বা কারো অনুমতি নেবার ঝামেলা। অপারেটিং সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনের সব ডিভাইসই উন্মোচন করছে ভার্চুয়াল ক্রিকেট দুনিয়া। এমনকি কোন রকম পাস বা খরচের বিড়ম্বনা ছাড়াই প্রবেশ করা যাচ্ছে এই জগতে। গ্যালারি ভরা দর্শকদের হৈ হুল্লোড়ের মাঝে শ্বাসরুদ্ধকর ব্যাটে-বলের ঠোকাঠুকির হুবহু অনুভূতি দিচ্ছে উন্নত গ্রাফিক্স সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন স্মার্টফোনের জন্য সেরা কয়েকটি ফ্রী ক্রিকেট গেম নিয়ে আজকের ফিচার।
ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সেরা ১০টি মোবাইল ক্রিকেট গেম
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ-৩ (ডব্লিউসিসি-৩)
স্বজ্ঞাত নিয়ন্ত্রণ, পেশাদার ধারাভাষ্য এবং মাল্টিপ্লেয়ার সমর্থিত ক্রিকেট গেমের জন্য প্রত্যেক গেমারেরই প্রথম পছন্দ ডব্লিউসিসি। গেমটিতে ক্রিকেটারদের রিয়েল-টাইম মোশন ক্যাপচারের পাশাপাশি কাস্টম স্টেডিয়ামও রয়েছে। এটি ফিচার করেছে ম্যাথিউ হেইডেন, ইসা গুহ, আকাশ চোপড়া, আভিনাব মুকুন্দ, এবং ভেঙ্কটপথি রাজুর পেশাদার ভাষ্য।
গেমটি একেবারে নতুন ক্যারিয়ার মোড অফার করে যেখানে ইউজাররা নিজের দল তৈরির পাশাপাশি তা পরিচালনা করতে পারবে। আইপিএল ২০২২ কে সামনে রেখে আপগ্রেড করা দল এবং খেলোয়াড়দের দিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়েছে ডব্লিউসিসি-৩কে। ১.৩ জিবি(গিগাবাইট)-এর গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ থেকে উপরের এবং আইওএস ১৩ থেকে উপরের ভার্সনে চলবে।
পড়ুন: সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
রিয়েল ক্রিকেট-২০ (আরসি-২০)
রিয়েল ক্রিকেট ২০-এর লক্ষ্য হল একটি রিয়েল-টাইম মাল্টিপ্লেয়ার গেম দিয়ে দারুণ একটি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা প্রদান করা। এখানে আপনি দুজন দু’দলে অথবা এক দলে দুজন একসাথে থেকে বিপক্ষ দলের সাথে খেলতে পারা যায়। গেমটি ইউজারদেরকে রক্ষণাত্মক, ভারসাম্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ব্যাটিং শৈলী বেছে নিতে দেয়।
প্রতিটি শৈলীতে পাওয়া অনন্য কিছু ব্যাটিং শট। এটিতে রয়েছে রিয়েল ক্রিকেট প্রিমিয়ার লীগ, যেখানে গেমার নিজের দল তৈরি এবং পরিচালনা করার জন্য নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ৯৭২.৫ এমবি(মেগাবাইট)-এর গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা তার উপরে এবং আইওএস ১০ বা তার উচ্চতর ভার্সনে খেলা যাবে।
শচীন সাগা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ান্স
এই গেমটি গেমারদেরকে স্বয়ং শচীন টেন্ডুলকার হিসাবে খেলতে দেয়। ১৬ বছর বয়স থেকে ক্রিকেট অভিযান শুরু করা এই তারকা ক্রিকেটার যে স্টেডিয়ামগুলোতে খেলেছিলেন, ইউজারও সেই একই স্টেডিয়ামে বিখ্যাত আইকনিক ক্রিকেট ম্যাচগুলো খেলবেন। গেমটিতে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টেস্ট, প্রিমিয়ার লিগ, ঘরোয়া এবং বিশ্বকাপের মতো বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। গেমটির আরো একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এর হাই-এন্ড গ্রাফিক্স এবং মোশন-ক্যাপচার অ্যানিমেশন। ৫৮৯ এমবির গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ বা তার বেশি এবং আইওএস ১০ বা তার উপরের ভার্সনের জন্য তৈরি করা।
পড়ুন: জাহাজ পরিষ্কার করবে রোবট!
স্টিক ক্রিকেট লাইভ
স্টিক স্পোর্টস লিমিটেড দ্বারা বানানো এই সেরা অনলাইন ক্রিকেট গেমটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ গেমের সবকিছুই রয়েছে। একটি ভাল গেমপ্লের আনন্দ পেতে খেলোয়াড় এবং দল গঠনের সুবিধা তো আছেই। এর সাথে আছে থ্রিডি স্টেডিয়ামে মাল্টিপ্লেয়ার সেটআপে খেলার সুযোগ। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেট গেমের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে সহজ ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ন্ত্রণ এবং থ্রিডি অক্ষর কাস্টমাইজেশন। ২১৩.১ এমবির গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা তার উপর এবং আইওএস ১১ বা তার উপরের ভার্সনের জন্য তৈরি।
হিটউইকেট সুপারস্টার: ক্রিকেট
এই ক্রিকেট মোবাইল গেমটি সেরা ক্রিকেট গেমের তালিকায় একটি অনন্য সংযোজন। এখানে ক্রিকেট বিশ্বের তাবড় সব খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে মাল্টিপ্লেয়ারে ব্যাটে-বলের প্রতিযোগিতায় নামতে পারে ইউজাররা। চ্যালেঞ্জিং প্রতিটি মুডে খেলোয়ারদের স্ব স্ব সেরা বৈশিষ্ট্য যাচাই করে পছন্দমত তাদেরকে নির্বাচন করা যায় গেমপ্লে শুরু হওয়ার সাথে সাথেই উন্মাচন হয় উত্তেজনাকর গেমের এক বিস্ময়কর দিগন্ত।
এই গেমের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে খেলোয়ারদের কোচ এবং গাইড করা, বাস্তব খেলোয়াড়দের সাথে মাল্টিপ্লেয়ার মুডে খেলা এবং হাই-এন্ড গ্রাফিক্স অন্যতম। ৩৭১.২ এমবির গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৭ সহ এর উপরের এবং আইওএস ১১ সহ এর উপরের ভার্সনে খেলা যাবে।
পড়ুন: অ্যালগরিদমের তথ্য সরকারকে দিল চীনা ইন্টারনেট জায়ান্টরা
রিয়েল ক্রিকেট টিম গো
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য ৫৯ এমবি এবং অ্যাপেল ডিভাইসের জন্য ১৮৭.৯ এমবি সাইজের এই গেমটি মাত্র ৫১২ এমবি র্যামে চালানো যেতে পারে। বিজ্ঞাপনের ঝামেলা থাকলেও বিনামূল্যে এই গেমটিতে সময় কাটানোর মুহুর্তগুলো সেরা অ্যাপ ব্যবহারের অনুভূতি দিতে পারে। তাছাড়া এর
থ্রিডি গ্রাফিক্স এর সমসাময়িক যে কোন গেমকে টেক্কা দেয়ার মত। অ্যান্ড্রয়েড ৫ ও তার বেশি এবং আইওএস ১০ সহ এর উপরের ভার্সনগুলো এই গেমের জন্য উপযুক্ত।
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ব্যাটেল-২ (ডব্লিউসিবি-২)
এই গেমটির ক্যারিয়ার মুড, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ এবং রিয়েল-টাইম ব্যাটিং সবকিছুকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বেশি মনে রাখার যে সুবিধাটি সেটি হচ্ছে এর মাল্টিপ্লেয়ার সুবিধা। রিয়েল ক্রিকেট ২০-এর মতোই গেমটিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রিমিয়ার লিগের নিলামের ব্যবস্থা রয়েছে।
পড়ুন: সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
এখানে ইউজাররা স্বয়ং একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হতে পারেন এবং একটি দল পরিচালনা করতে পারেন। এর গতিশীল আবহাওয়ায় বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয় এবং বিজয়ীকে চিরাচরিত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হয়। এতে গেমটির বাস্তব ভঙ্গিমাটা দারুণভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সর্বোচ্চ ২.১ জিবির এই গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ বা তার উপর এবং আইওএস ১০ বা তার উপরের ভার্সনের জন্য প্রস্তুতকৃত।
স্টিক ক্রিকেট সুপার লিগ
আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েডের সেরা ক্রিকেট গেমগুলোর তালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য আরো একটি আশ্চর্যজনক নাম স্টিক ক্রিকেট সুপার লিগ। একটি প্লেয়ার তৈরি করে এবং তা কাস্টমাইজ করে একদম মৌলিক স্তর থেকে ক্যারিয়ার শুরু করা যায় এই গেমে।
পরবর্তীতে খেলার মাধ্যমে অগ্রগতির সাথে সাথে দল বড় হতে থাকে এবং পাশাপাশি ইউজাররা তাদের দলে সুপারস্টার খেলোয়াড়দেরকে অন্তর্ভূক্ত করাতে পারেন। এর দৃষ্টি আঁটকে থাকা ইন্টারফেস নিমেষে ভুলিয়ে দিবে এর ইন-অ্যাপ বিজ্ঞাপনগুলোর বিড়ম্বনার কথা। ১০৯.২ এমবির এই গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ বা তার উপর এবং আইওএস ১০.৩ বা তার পরবর্তী ভার্সনের জন্য প্রস্তুতকৃত।
পড়ুন: চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
ক্রিকেট লীগ: মাল্টিপ্লেয়ার
এই গেমের সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এর দুই-ওভারের ঝটিকা মাল্টিপ্লেয়ার ম্যাচগুলো। এখানে মুম্বাই, করাচি, অ্যাডিলেড, দুবাই, জোহানেসবার্গ, ঢাকা, মেলবোর্ন এবং লন্ডনের স্টেডিয়ামগুলো ফিচার করা হয়েছে। গেমটি সেই খেলোয়াড়দের জন্য উপযুক্ত যারা খুব কম সময়ের মধ্যে দুর্দান্ত এক ম্যাচ খেলার উচ্ছ্বাস পেতে চান। এটি ২৫ টিরও বেশি অক্ষর সংযোজন করার ব্যবস্থা রয়েছে যেগুলো খেলার অগ্রগতির মাধ্যমে আনলক করতে হয়।
গেমটিতে সম্প্রতি ক্রিকেট ম্যানিয়া সিজন পাস যোগ করা হয়েছে এবং খেলোয়াড়রা আরও পুরস্কারের জন্য এলিট পাস কিনতে পারন। ২৭৪.৫ এমবির এই গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ বা তার উপর এবং আইওএস ১০ বা তার পরবর্তী ভার্সনে খেলা যাবে।
নিউ স্টার: ক্রিকেট
ক্রিকেটে যদি কেউ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে ভার্চুয়াল ট্রেনিং-এর মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে তার জন্য এই গেমটি উপযুক্ত। এখানে রয়েছে ক্রিকেটের উপর দক্ষতা তৈরি করার অভাবনীয় উপায়। সেই দক্ষতাগুলো কাজে লাগিয়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতাগুলোয় অংশগ্রহণ করে গেমের শিখরে পৌছে যাওয়া যাবে। এই গেমটি হিট নিউ স্টার সকারের নির্মাতাদের একটি নতুন উদ্যোগ।
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
মনস্তাত্তিক দিক থেকে গেমটি যে কোন গেমারকে একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলবে। ইউজারের গেম ক্যারিয়ারের অগ্রগতির সাথে সাথে গেমের অভ্যন্তরে সতীর্থ ও কোচের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি স্পন্সরদের খুশি রাখার বিভিন্ন দিক প্রকাশিত হয়। ১১৮.৬ এমবির এই গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ বা তার উপর এবং আইওএস ১০ বা তার পরবর্তী ভার্সনে খেলার জন্য প্রস্তুতকৃত।
পরিশিষ্ট
২০২২ সালের সর্বশেষ হালনাগাদকৃত এই সেরা মোবাইল ক্রিকেট গেমগুলো অনায়াসেই অন্তর্ভূক্ত হতে পারে গেমারদের প্রিয় তালিকায়। গেমগুলোর নজরকাড়া ইন্টারফেস ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এরই রেশ ধরে এগুলোর নতুন ভার্সনে আরো চমকপ্রদ ফিচারের অপেক্ষায় প্লে-স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে চোখ রাখছেন গেমাররা। এই কৌতূহলের খোরাক যোগিয়ে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের গ্রাহকদের সরবরাহ করে যাচ্ছেন অবিকল বাস্তব ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা। ফলশ্রুতিতে সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অপরিবর্তিত রেখে সামনে এগিয়ে চলছে বিশ্ব গেম ইন্ডাস্ট্রি।
সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এছাড়া দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে।
সোমবার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র উদ্যোগে ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান (ইমার্জিং) সাইবার হুমকির’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত একা কোনো দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বরং আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত চারটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ। এছাড়া ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে। সে জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, গোপনে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে।
এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসএ-তে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমিন এবং বিডিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
জাহাজ পরিষ্কার করবে রোবট!
এখন থেকে জাহাজ ও ট্যাংকও পরিষ্কার করবে রোবট। বেইজিংয়ে চলমান বিশ্ব রোবট সম্মেলন (ডব্লিউআরসি) ২০২২-এ এমনই নতুন রোবট প্রদর্শন করা হয়েছে।
সম্মেলনে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের ৫০০’র বেশি রোবট প্রদর্শন করা হয়। যেগুলোর মধ্যে ৩০টিরও বেশি রোবট প্রথমবারের মতো দেখানো হয়। এবারের সম্মেলনে বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করেছে।
বেইজিংয়ে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রোবট++ নামের প্রতিষ্ঠানটি শিপইয়ার্ড ও ট্যাংকয়ে কাজ করার জন্য রোবটিক সমাধান দিয়ে থাকে। এবছর তারা জাহাজ নির্মাণ কাজে সাহায্যকারী রোবট নিয়ে এসেছে। এই রোবট চুম্বকের সাহায্যে দেয়াল বেয়ে উঠতে পারে। এটি জাহাজ ও ট্যাংক পরিষ্কার করতে, দেয়ালের রঙ ও মরিচা তুলতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
সাংহাই ফ্যাব-ইউনিয়ন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিডেট (ফ্যাব-ইউনিয়ন) নামের প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তিগত নকশা, গবেষণা, উন্নয়ন এবং ‘স্থাপত্যে ডিজিটাল নকশা এবং বুদ্ধিদীপ্ত নির্মাণ’ অনুশীলনে সিদ্ধহস্ত।
এবছর তারা তাদের বড় আকারের ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার বিশিষ্ট রোবট দেখাচ্ছে যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বিত। রোবটিক এই ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারটি বড় আকারের স্থাপনাও প্রিন্ট করতে পারে।
সম্মেলনে রোবটসহ নানা প্রযুক্তি দেখতে শিশুদেরও ভিড় করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
অ্যালগরিদমের তথ্য সরকারকে দিল চীনা ইন্টারনেট জায়ান্টরা
চীনের ইন্টারনেট জায়ান্ট আলিবাবা, টিকটক ও টেনসেন্ট প্রথমবারের মতো দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাইবারস্পেস অব চায়নার (সিএসি) কাছে তাদের অ্যালগরিদমের তথ্য প্রকাশ করেছে।
একজন ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠিক কী দেখবেন ও কীভাবে দেখতে পারবেন তা ঠিক করা হয় অ্যালগরিদমের মাধ্যমে। তাই অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে অ্যালগরিদমের পুরো বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নজরদারিতে রাখে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো।
অন্যদিকে অ্যালগরিদম ব্যবসায়ের জন্য অন্তত গোপন তথ্য এবং এর বিস্তারিত প্রকাশ করলে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে দোহাই দিয়ে অ্যালগরিদম সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা এড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেটা ও অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
আরও পড়ুন: চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
সিএসি ৩০টি অ্যালগরিদমের বর্ণনা উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
এক বিবৃতিতে সিএসি জানিয়েছে, তথ্যের অপব্যবহার রোধে প্রকাশিত অ্যালগরিদমের তালিকাটি নিয়মমাফিক আপডেট করা হবে।
সিএসির প্রকাশিত তালিকায় আলিবাবার মালিকানাধীন ই-কমার্স ওয়েবসাইট ‘তাওবাও’-এর অ্যালগরিদমের বিস্তারিত তথ্যও আছে।
মান্দারিন ভাষার ওই নথিতে তাওবাওয়ের অ্যালগরিদম সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ও আগের সার্চ ডেটার’ ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
টিকটকের চীনা সংস্করণ দৌইনের অ্যালগরিদম সম্পর্কে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের দেখানোর জন্য কন্টেন্ট নির্বাচন তাদের ক্লিক, কমেন্ট, লাইক অথবা ডিজলাইকের ভিত্তিতে করা হয়।
ট্রিভিয়াম চায়নার প্রযুক্তি নীতিমালা গবেষণা বিভাগের প্রধান কেন্ড্রা শেফার বলেন, প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল ‘বাইরের স্তরের’ বলে মনে যাচ্ছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘পুরো অ্যালগরিদমগুলো জমা দেয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।’
তিনি আরও করেন,‘প্রতিটি অ্যালগরিদমকে একটি করে নিবন্ধন নম্বর দেয়া হয়েছে। যাতে সিএসি নির্দিষ্ট কোনো অ্যালগরিদমে নজরদারি করতে পারে।’
ইস্ট চায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিটিশন ল রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ঝাই ওয়েই বিশ্বাস করেন, নিশ্চিতভাবেই যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি তথ্য জমা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নারীদের সাইবার দুনিয়ায় সুরক্ষিত রাখতে এবং অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাইবার হাইজিন, অ্যাওয়ারনেস ও ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’- এর উদ্যোগে ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি এন্ড ফিউচার বাংলাদেশ: ভয়েসেস ফ্রম ইয়ং জেনারেশনস’- শীর্ষক বিশেষ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দলনেতা ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে ইতোমধ্যেই অনেক নারীর সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে এখন যে কেউ ন্যশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ কলসেন্টারে ফোন করে সহজেই বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের জন্য অথবা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে কোনো পরামর্শ, সুপারিশ কিংবা আইনের আশ্রয় নিতে পারে।
আরও পড়ুন: নারীদের প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব না: পলক
তিনি বলেন, কলসেন্টার ৯৯৯- এ ফোন করে পাঁচ বছরে ৯ কোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই আমরা আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন করেছি।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ চাইলে দেশজুড়ে সাইবার সিকিউরিটি ও সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে একসঙ্গে করবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ তরুণদের আইসিটিতে সংযুক্ত করতে ২০১০ সালে ইউনিয়ন সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের সময় একজন ছেলের সঙ্গে মেয়ে উদ্যোক্তা নিয়োগের যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এবার বেকারসমস্যা সমাধানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছানো ও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ২০০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষা-প্রশিক্ষণ নিয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে দেশের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই প্রায় ৫০০ মিলিয়নের বেশি এক্সপোর্ট আর্নিং করছে। করোনাতেও আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পে ৪০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ করেছে। শিপাওয়ার প্রকল্পে ১৩ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। এবার ২৫০ কোটি টাকার হার প্রকল্পের অধীনে আরও ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের প্রথম কোভিভ-১৯ শনাক্তকরণ কিট আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
রবিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব বিসিএসআইআর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ বাংলাদেশের প্রথম কিট উদ্ভাবনের এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিসিএসআইআর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ কিট উদ্ভাবন করেছে। ‘বিসিএসআইআর কোভিড’ কিট নামে এ কিটটি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য সহজ ও দশগুণ সাশ্রয়ী পদ্ধতি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিজ্ঞান গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকাতরে টাকা দেন। বিজ্ঞানীদের গবেষণায়ও প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন ও ল্যাব প্রতিষ্ঠা করছে সর্বোচ্চ মানের।
আরও পড়ুন: শিশুদের করোনার পরীক্ষামূলক টিকাদান শুরু ১১ আগস্টবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরাও পারি, বাঙালি পারে। বাঙালির মেধা ভিন্ন দেশে আগে কাজ করতো, এখন থেকে নিজ দেশেও বাঙালিরা অনুপ্রেরণা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণটাই আমদানি করতে হয়, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। এছাড়া করোনাভাইরাস ঘন ঘন তার জিনগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ফলে বাণিজ্যিক কিটগুলোর শনাক্তকরণে সেনসিটিভি ও স্পেসিফিকেশনে হ্রাস পাচ্ছে, যা অনেক ক্ষেত্রে ভুল ফলাফল দিতে পারে। সার্স কোভ-২ শনাক্তকরণে কিউআরটি-পিসিআর টেস্টকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। বর্তমানে যে কিউআরটি-পিসিআর কিট ব্যবহৃত হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ, প্রতিটি পরীক্ষায় ব্যয় হয় আনুমানিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কিন্তু বিসিএসআইআর উদ্ভাবিত এই কিটে মাত্র ২৫০ টাকা খরচ হবে।ফলে বিপুল আমদানি খরচ থেকে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল হাসান ও বিসিএসআইআরের প্রধান বিজ্ঞানী সেলিম খান।
আরও পড়ুন: করোনায় বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন আরও ১৫ দিন স্থগিত