বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে।
তিনি বলেন, সারা দেশের জুডিশিয়াল সিস্টেমকে সম্পুর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর, আরও স্বল্পসময় ও খরচে যাতে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া যায় এবং বিচারক ও আইনজীবীরা সহজে বিচারিক কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে ২ হাজার ২শ’ ২৪ কোটি টাকার "ই-জুডিশিয়ারি" নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
শনিবার আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে অনলাইন কারণ তালিকা, বিচার বিভাগীয় মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং মাই কোর্ট অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার কোর্টরুম ডিজিটাইজ করা হবে। আদালতে অডিও রেকর্ডিং পুল সিস্টেম থাকবে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল টার্মিনাল করা হবে। এছাড়া ১৪টি সেন্ট্রাল জেল ডিজিটাল করা হবে। আসামিরা যেন জেল থেকে শুনানীতে অংশ নিতে পারে এজন্য ৯টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৬৪টি জেলা কারাগারে ক্যামেরা ট্রায়াল রুম করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে বৈঠক অ্যাপস ব্যবহার করা হবে। বিচারিক তথ্যের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে জেআরপি’র অধীনে সুপ্রিম কোর্টে একটি ফোর ট্রায়াল ডেটাসেন্টার স্থাপন করা হবে। পলক বলেন, ডিজিটাল বিচারিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিচারকদের ২ হাজার ল্যাপটপ, অফিস স্ট্যাফদের জন্য ডেস্কটপ এবং ৭৫ হাজার আইনজীবী ও বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমসহ প্রত্যেকটি বার অ্যাসেোসিয়েশনে একটি করে সাইবার ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন এটুআই, ইউএনডিপি ও আইসিটি বিভাগ মিলে এই অবকাঠামোগুলো তৈরির পর এই অর্থবছরে বিচার ও স্বাস্থ্য বিভাগে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে: পলক
৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’
সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে ৩০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ, অ্যাকাডেমিক জ্ঞান, সৃজনশীলতা/প্রজেক্ট আইডিয়া ও ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের এ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের কর্মকর্তা, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়া ২০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে থেকে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য এই ৩০ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করেন।
প্রাথমিকভাবে এই প্রোগ্রামে এক হাজার একশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে যেই ৩০ জন এখন এখন তৃতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এই ধাপে তাদের দক্ষতা, পরীক্ষা, প্রকল্প, ও প্রেজেন্টেশেন স্কিল রপ্ত করার ওপর জোর দেয়া হবে।
‘মিট দ্য মেন্টর’ শীর্ষক প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। তৃতীয় রাউন্ডের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে নয়জন সেরা শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। এবং রিজিওনাল রাউন্ডের বিজয়ীরা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য ‘টেকফরগুড অ্যাকসেলেরেটর ক্যাম্প’ এ অংশ গ্রহণ করবে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান ইউইং কার্ল বলেন, ‘নয় বছর আগে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ (এসএফটিএফ) প্রোগ্রামটি চালু করে। প্রতিবারই আমরা অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। এই বছর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা চমৎকার। আইসিটি খাত রূপান্তরের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এই স্বপ্নপূরণে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মেধাবী এসব তরুণদের মাঝে যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে তা দেখে আমি বেশ আশাবাদী। আমাদের এ প্রোগ্রামটি দেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ প্রোগ্রামটি দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরাণ্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসএফটিএফ এর পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থী হলেন-বুয়েট থেকে তাকি ইয়াশির, এলিন রঞ্জন দাস ও গোলাম মাহমুদ সামদানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহাদ সারোয়ার, শাদমিন সুলতানা, মো. আশিকুজ্জামান কৌশিক ও নাফিসা আমিন হৃদি, কুয়েট থেকে সুনন্দা দাস ও মো. সাজেদুর রহমান, রুয়েট থেকে মনোয়ারা নাজনীন, ফারহানা আমিন, মাদিহা বিনতে জাকির, মেহেরীন তাবাসসুম ও মো. মাশরুর সাকিব, আইইউটি থেকে ওয়াসিফা রহমান রেশমি, আনিকা রেহনুমা, মো. সুমিত হাসান, ফাইরুজ শাইআরা ও মো. সাজিদ আলতাফ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে মাফরুজা মাহরিন নেহা, সাদ মাহবুব চৌধুরী ও মারজিয়া তাবাসসুম প্রীতি, এইউএসটি থেকে আব্দুল্লাহ সালেহ ও আবু মো. ফুয়াদ, চুয়েট থেকে সুমাইয়া আবুল কালাম ও মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল, এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে মো. সায়েম সাদাত হোসাইন, লাজিব শারার শায়ক, মোহসীনা তাজ ও আংকিতা কুন্ড।
বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সামগ্রিক আইসিটি ইকোসিস্টেম বিকাশে অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটাল রূপান্তরের সুফল ভোগ করতে সহায়তা করছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ উদ্যোগটি বৈশ্বিকভাবে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হয়। এখন পর্যন্ত, এ প্রোগ্রামটি বিশ্বব্যাপী ১৩৭টি দেশে চালু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও ৫০০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এ উদ্যোগের সুবিধাভোগ করেছে। এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) ও নন-এসটিইএম পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এসএফটিএফ প্রোগ্রাম অংশগ্রহণকারীদের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করছে।
পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার রংপুরের হারাগাছ থানার খলিশা কুড়িতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এই পার্ক বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, রংপুরের পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ, রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম ফজলুল হক, এলএডিপি প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মসুলে আল নূরি মসজিদ পুনঃনির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
প্রসঙ্গত, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্কটি দেড় একর জায়গার ওপর ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর এলাকার ৫০০০ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ পাবে।
অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আসল ফোন চেনার উপায় জানা থাকলে যাবতীয় বিড়ম্বনার অবসান ঘটতে পারে ফোনটি কেনার সময়। সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের সেটটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই বাছাই আবশ্যক। বাজারে হাজারো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি লুফে নিতে বাজার দরের পাশাপাশি তার কারিগরি জ্ঞানও প্রয়োজন। তবে এর মানে এই নয় যে স্মার্টফোনের ব্যাপারে একদম দক্ষ হতে হবে। এই জ্ঞান মুলত যে ফোনটি কেনা হচ্ছে তা আসল না নকল সে বিষয়ে সাবধানতার দিকে নির্দেশ করছে। অনেক সময় অসকতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সবচেয়ে নামকরা কোম্পানির নকল ফোন কিনে প্রতারিত হতে হয়। তাই সঠিক ফোন চেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই নিবন্ধ।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য
অরিজিনাল ফোনগুলো ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে আইনগতভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে এগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নাম্বার সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। একই ভাবে দেশের ভেতরে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বারও দেশের মোবাইল ফোন ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে। স্বভাবতই এই অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, ভ্যাট-ট্যাক্স না দেয়ার কারণে আমদানিকৃত নকল ফোনগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই ফোনগুলো অবিকল অফিসিয়াল ফোনের মতোই দেখতে এবং প্রথম দিকে একদম অরিজিনাল ফোনের মতই কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক
একটি নকল মোবাইল সেট ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো- ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ। এই ম্যালওয়্যার ফোনটি যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মোবাইল ফোনকেও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।
এই ম্যালওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হলো কী-লগিং। এর মাধ্যমে কোন হ্যাকার যখন ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়, তখন তারা ফোনটিতে ক্ষতিকারক লিঙ্ক পাঠাতে থাকে। ফোন ব্যবহারকারি সেই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই ফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যবহারকারির ব্যক্তিগত তথ্য তার অজান্তেই পাচার হয়ে যায়।
র্যানসমওয়্যারের ঝুঁকি
র্যানসমওয়্যার নকল মোবাইল ফোনে খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। ফলে ফোন ব্যবহারকারি সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারে না। ম্যালওয়্যারের মত এটিও যে কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি ফোনকে সংক্রমিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
অনিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)
নকল মোবাইল ফোনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপডেট হয় না। এর ফলে ফোনটি পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে না। ওএস ডিভাইসের মডেল, সিপিইউ কোর, র্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদির উপর ভুল রিপোর্ট তৈরি করে। ধীরে ধীরে ফোনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অরিজিনাল ফোনের নির্মাতারা তাদের ডিভাইসগুলো বাজারে বিক্রি করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে- গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অ্যাপল, অ্যান্ড্রয়েড-এর মতো নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং সুরক্ষা মান নিশ্চিত করে থাকে। অধিকাংশ ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্গমনের সংস্পর্শে এড়ানোকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার প্রতিটি স্তর পূরণের জন্য মোবাইল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারির মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে ব্যাটারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলো আপসহীন ভাবে অত্যাধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে৷
আরও পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অন্যদিকে, নকল মোবাইল, চার্জার এবং ব্যাটারিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায় না। ফলশ্রুতিতে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাইরে থেকে যায় গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা একদমি নতুন নয়। শরীরের খুব কাছাকাছি থাকায় নিমেষে টাইম বম-এ পরিণত হওয়া এই বস্তুটি গ্রাহকদের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। নিম্নমানের ব্যাটারি মানেই এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর বিক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অঙ্গহানীর দিকে নিয়ে যায়।
ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক
আনঅফিসিয়াল ফোনের গ্রাহকদের একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে- নেটওয়ার্কের ব্যাঘাত ঘটা। যেমন- কল করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ শোনা। নকল ফোনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেটওয়ার্ক বারও দেখা যায় না।
এছাড়া নকল ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক-এর গতি কম থাকে, যা গ্রাহকদেরকে চরম হতাশাজনক অভিজ্ঞতা দেয়। বেশিরভাগ লোকেশনে নকল ফোনের সিগন্যাল এবং কল ব্যর্থতার প্রবণতা বেশি থাকে। বাধ্য হয়ে ফোন কেনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা ফোনটি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। অন্যদিকে, একটি জেনুইন ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই সহজেই কল করা এবং গ্রহণ করা যায়।
আরও পড়ুন:
পরিবেশগত ঝুঁকি
নকল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি থাকে। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুধু মানুষের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং পরিবেশেরও ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত সস্তা এবং নিম্নমানের ধাতু ও রাসায়নিক উপাদানগুলো ল্যাবে পরীক্ষিত থাকে না। স্বভাবতই, এই ফোনগুলো হয় ত্রুটিযুক্ত এবং এতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশেপাশের সম্পত্তির ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।
আনঅফিসিয়াল ফোনে থাকা পারদ এবং সীসা পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে রাসায়নিক পদার্থ যেমন তামা, ক্যাডমিয়াম, লিথিয়াম, জিঙ্ক এবং আর্সেনিক বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: হোমিকরসিন: বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক
কিভাবে অফিসিয়াল ফোন যাচাই করবেন?
বিটিআরসি আইএমইআই নাম্বারের মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রতিটি অফিসিয়াল স্মার্টফোনে ১৫-সংখ্যার একটি আইএমইআই নাম্বার থাকে। এটি প্রতিটি ফোনের জন্যই আলাদা হয়, যা ডিভাইসের প্যাকেজিং-এও উল্লেখ থাকে। একটি আনঅফিসিয়াল ফোন থেকে একটি অফিসিয়াল ফোন চেনার জন্য এই কোডটিই যথেষ্ট।
অর্থাৎ প্রকৃত ফোন যাচাই করতে সর্বপ্রথম এই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই কোডটি খুঁজে বের করতে হবে। এই অনুসন্ধানটি দুটি উপায়ে চালানো যেতে পারে:
প্রথমটি হলো→ *#০৬# ডায়াল করলে সাথে সাথেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
আরেকটি অনুসন্ধান পদ্ধতি হলো ফোনের সেটিংস-এর মাধ্যমে। সেটিংস থেকে খুঁজে বের করতে হবে অ্যাবাউট ডিভাইস। এখানে ক্লিক করলে দ্বিতীয় স্ক্রিন থেকে বাছাই করতে হবে স্ট্যাটাস। অতঃপর মোবাইল স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নাম্বারটি প্রদর্শন করবে।
এবার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে কোন ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম) থেকে imei.info ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর দৃশ্যমান ডায়ালগ বক্সে সেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফোনের সমস্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে।
এই অংশে যদি ফোনের স্ক্রিনে ফোনের তথ্য না দেখিয়ে ভিন্ন কিছু দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি নকল ফোন।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
আইফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমে সিম কার্ড স্লটে ফোনের সিরিয়াল নাম্বার পরীক্ষা করতে হবে। অথবা সেটিংস থেকে জেনারেল তারপর অ্যাবাউট-এ যেয়েও পাওয়া যাবে সিরিয়াল নাম্বার।
এবার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সেখানে দেখানো ডায়লগ বক্সে সিরিয়াল নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে।
এই অংশে হ্যান্ডসেট নকল হলে স্ক্রিনে ‘অবৈধ সিরিয়াল নম্বর’ বার্তা প্রদর্শন করবে। আর যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে মোবাইল ফোনটি আসল।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
এসএমএস-এর মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যেয়ে টাইপ করতে হবে KYD, তারপর একটি স্পেস; অতঃপর ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নম্বার। অর্থাৎ ম্যাসেজটি এরকম হবে- "KYD 1234567890ABCDE"।
তারপর ম্যাসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০২ নাম্বারে। এর সঙ্গে সঙ্গেই একটি উত্তর আসবে আর এই উত্তরটিই নিশ্চিত করবে যে মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
শেষাংশ
শুধু সঠিক স্মার্টফোনটি কেনাই নয়; অরিজিনাল ফোন চেনার উপায় জানা মানে সেটির দীর্ঘস্থায়ী ও যথাযথ ব্যবহার। ঘন ঘন সেট বদলানোর পাশাপাশি বারবার ফোন মেরামতের ঝামেলা থেকেও রেহাই মিলবে, যদি ফোন নির্বাচনে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনের এই অবিচ্ছেদ্য বস্তুটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এর নিঁখুত নির্বাচন। অন্যথায়, সাময়িক ভুল সিদ্ধান্তে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয়ের মাধ্যমে এই দরকারি জিনিসটি উল্টো চরম বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়াবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলের আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু
দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
দেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল এবং ফিজিক্যাল মিক্সড মোডে প্রস্তুতকৃত মরুভূমির মধ্যে দারুণ এক লঞ্চিং ইভেন্টের মাধ্যমে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি এর নম্বর সিরিজ ও সি সিরিজের দু’টি ফোন উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রিয়েলমি ৯ ফোরজি ডিভাইসটি’র মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে আইএসওএলসেল এইচএম৬ সেন্সর ভিত্তিক ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ৮জিবি র্যাম ও ১২৮জিবি স্টোরেজের রিয়েলমি ৯ ডিভাইসটি সানবার্স্ট গোল্ড, স্টারগেজ হোয়াইট এবং মিটিওর ব্ল্যাক এ তিনটি দারুণ রঙে পাওয়া যাচ্ছে।
এ ডিভাইসটির বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২৬ হাজার ৯৯০ টাকা। অন্যদিকে, এন্ট্রি লেভেল সেগমেন্টের সবচেয়ে স্টাইলিশ এবং সুন্দর ডিজাইনের ফোন রিয়েলমি সি৩৫। ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের গ্লোয়িং গ্রিন ও গ্লোয়িং ব্ল্যাক এ দু’টি রঙে রিয়েলমি সি৩৫ বাজারে মাত্র ১৬ হাজার ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১
এ চমৎকার ফোন দু’টিতে দারাজের ফ্ল্যাশ সেল চলাকালীন সময়ে থাকছে বিশেষ অফার। আগামী ২৩ মে দুপুর ২টায় ফ্ল্যাশসেল চলাকালীন সময়ে রিয়েলমি সি৩৫ ডিভাইসটি বিশেষ অফারের আওতায় মাত্র ১৫ হাজার ৯৯০ টাকায় কেনা যাবে এবং ২৪ মে দুপুর ২টায় দারাজের ফ্ল্যাশসেল চলাকালীন সময়ে রিয়েলমি ৯ ডিভাইসটি ২৫ হাজার ৯০ টাকায় কেনা যাবে।
সর্বাধুনিক এইচএম ৬ সেন্সর সহ রিয়েলমি ৯ ফোরজি ডিভাইসটিতে ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রোলাইট হাই-কোয়ালিটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ‘মিনিমাম’ লাইটে চমৎকার সব ছবি তুলতে পারবেন।
৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সহ অসাধারণ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে আছে ৬ ন্যানোমিটার কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০- প্রসেসর; যা আগের জেনারেশনের তুলনায় আপডেটেড এবং পাওয়ার কনজাম্পশন অনেক কম তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী; পাশাপাশি এতে দেশের প্রথম রিপল হলোগ্রাফিক ডিজাইন রয়েছে। এছাড়াও আছে ৫ হাজার এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারি ও ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জ।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট: https://www.realme.com/bd/realme-9
অন্যদিকে, নান্দনিক ডিজাইনের রিয়েলমি সি৩৫ ডিভাইসটি সবচেয়ে স্টাইলিশ এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টফোন, যা রিয়েলমি ফ্যানদের ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা যোগ করবে। রিয়েলমি সি৩৫ ফোনের ডিজাইনে উদ্ভাবন নিয়ে আসা হয়েছে এবং এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টগুলোর মধ্যে এ ডিভাইসটিতে সেরা ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এ দামের মধ্যে ক্রেতারা প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ ডিজাইনের ফোন কেনার সুযোগ পাবেন।
এই ফোনে আরও রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট: https://www.realme.com/bd/realme-c35
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে গেমিং স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০, দাম মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকা
বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পলকের বৈঠক
বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৈঠক করেছেন। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈঠককালে তারা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আইসিটি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভার্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি ক্লাউডকে উন্নত করা, সমস্ত সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করা, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মাধ্যমে গবেষণা এবং উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
এছাড়া ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি তৈরি করা যার মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে ১০ হাজার জন সরকারি কর্মকর্তা এবং পাঁচ হাজার ব্যবস্থাপককে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া, ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি ও আইটিই এস খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনে সহায়তা করার জন্য আমাদের স্থানীয় আইসিটি শিল্পকে উন্নত করার বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন আলাপন, বৈঠক, ই-মার্কেটপ্লেস, জাতীয় জব পোর্টাল তৈরি করা ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), সাইবারসিকিউরিটি, সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন এবং রোবোটিক্স এসকল প্রযুক্তিগুলোতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে ইনসেনটিভ দেয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে: পলক
বৈঠকে ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস ম্যানেজার বৈজয়ন্তী দেশাই, সিনিয়র ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট জেরোম বেজিনারসহ এ শাখার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বিশ্বপ্রযুক্তির টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মাইক্রোসফট টিমের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এসময় তিনি মাইক্রোসফটের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও বিস্ময়কর উদ্ভাবনগুলো প্রত্যক্ষ করেন।
মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
ব্যাটারি ও সুক্ষ ইলেকট্রনিক সার্কিটের উপস্থিতির কারণে মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে বেশ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। দৈনন্দিন জীবনের একটি আবশ্যক বস্তু হওয়ার ফলে মোবাইল ফোন মানুষের চলাফেরায় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রায় সময় অনিচ্ছা সত্ত্বে বিভিন্ন দুর্ঘটনাবশত মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম ঘটে। খুব সাধারণের মধ্যে মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে যাওয়াটাই বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাই চলুন, জেনে নেয়া যাক মোবাইল ফোন পানিতে পড়লে কি কি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
মোবাইল ফোনটি পানিতে পড়ে গেলে কি করবেন
১। অবিলম্বে ফোনটি সুইচ অফ করা
পানি বিদ্যুৎ পরিবাহী হওয়ার কারণে যেকোন ভেজা বৈদ্যুতিক সার্কিট সমস্যার সম্মুখীন হতে বাধ্য। এক্ষেত্রে সুইচ অফ করা ফোনে বিদ্যুৎ না থাকায় ভেজা অবস্থার কাছে এটি ধরাশায়ী থাকে না। তবে বৈদ্যুতিক ডিভাইসটি ভিজে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে, এটি একদম অকেজো হয়ে গেছে। ভাগ্য ভালো হলে বড় কোন ক্ষতি হওয়ার আগেই ফোন বন্ধ হয়ে গেলে সম্ভাব্য জটিলতা সৃষ্টি হবে না।
যখন পানি ফোনের ভেতরে ঢুকে পড়ে তখন একটি বিদ্যুৎ বহন করে ফোনের অভ্যন্তরে প্রতিটি অংশে পৌঁছে দেয়। ফলে ফোনটি বিদ্যুৎ-এ ওভারলোড হয়ে সার্কিট বোর্ড পুড়ে যায়।
কখনও কখনও পানি ফোনের দুর্বল অংশগুলোতে পৌঁছতে একটু বেশি সময় নিতে পারে। তবে দেরিতে হোক বা দ্রুত হোক; লবণাক্ত পানি মিঠা পানির তুলনায় ফোনকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পড়ুন: সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১
২। একটি হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে ফোনটা মুছে নেয়া
ব্যাপারটা মনে হতে পারে ভেজা ফোনকে আরও ভিজিয়ে দেয়া। কিন্তু আসলে ভেজা কাপড় মোবাইল ফোনকে ক্ষয়কারী বস্তুকে অপসারণ করতে সাহায্য করে। আজকাল বেশিরভাগ স্মার্টফোন স্যাঁতস্যাঁতে কাপড়ের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যে কাপড়টি যেন একদম ভিজে চুপচুপে না হয়। মুছে নেয়ার পর ফোনের গায়ে বিন্দু বিন্দু জমে থাকা ময়লা পানি আর থাকবে না।
৩। মোবাইলের অপসারণযোগ্য যন্ত্রাংশগুলো খুলে ফেলা
মোবাইল ফোনটির সিম কার্ড, মাইক্রো-এসডি কার্ড এবং সম্ভব হলে ব্যাটারিও খুলে ফেলতে হবে। যন্ত্রাংশগুলো অপসারণের সময় ফোনটি আলতো করে নাড়াতে হবে যেন ভেতরের পানি বেরিয়ে যায়। এ সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন খুব ঝাকুনিতে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট্স খুলে না যায়।
এভাবে ফোনের প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশের দুর্বল উপাদানগুলোতে পানি পৌঁছাতে বাধা দেয়া যায়। খুব সহজভাবে বলতে গেলে সমস্ত অপসারণযোগ্য অংশগুলো একটি শুকনো জায়গায় রেখে দেয়া ভালো।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
৪। পরিপূর্ণরূপে শুকিয়ে নিতে হবে
এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল ফোন শুকানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।
টিস্যু বা নরম তোয়ালে
টিস্যু বা তোয়ালে মৃদু এবং লিন্ট-মুক্ত হলে ভালো। তোয়ালে দিয়ে ফাটল বা ফুটোগুলো মুছার সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে। সিম কার্ড, মাইক্রো-এসডি কার্ড এবং ব্যাটারির মতো যন্ত্রাংশগুলো খুলে তোয়ালে দিয়ে মুছে নেয়া যায়। টিস্যুর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে মুছার সময় বেশি চাপ লেগে টিস্যুর ছেড়া অংশ মোবাইলের ভেতরের কোন ফুটোর ভেতরে সেধিয়ে না যায়।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
পানি শুষে নিতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে। টিস্যু বা তোয়ালে দ্বারা পরিষ্কার করা যায় না এমন অংশগুলোর জন্য এই কৌশলটি কার্যকর হতে পারে। একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্রতিটি বিটে বিটে পানি শুষে নিয়ে অধিকতর ঝুঁকির সম্ভাবনা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এখানেও সতর্ক থাকা দরকার। কেননা খুব শক্তভাবে টেনে নেয়ার সময় ফোনটিকে দ্রুত নাড়াবে এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ টেনে নিতে পারে।
পড়ুন: দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সময় কাজে লাগানোর উপায়
যুক্তরাষ্ট্রে ‘নকিয়া বেল ল্যাবস’ পরিদর্শন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেরি হিলে বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোন কোম্পানি নকিয়ার গবেষণা শাখা ‘নকিয়া বেল ল্যাব’ পরিদর্শন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (৬ মে) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী ল্যাবের বিভিন্ন শাখা ঘুরে দেখেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
নকিয়া কর্তৃপক্ষ ল্যাবের গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অবহিত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে এবং কৌশলগত বিক্রয় ও সমাধানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনিড় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিতকরণে লাইটশোর ভার্চুয়াল ওয়েব-সেমিনার
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিতকরণে লাইটশোর ভার্চুয়াল ওয়েব-সেমিনার
তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে লাইটশোর ফাউন্ডেশন ও বিআইটিএমই এর যৌথ আয়োজনে ‘গার্লস ইন আইসিটি ডে-’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে লাইটশোরের কো-ফাউন্ডার সুলতানা রাজিয়া বলেন, আইসিটি খাতে নারীদের অংশ গ্রহণ আরও বেশি বাড়ানো না গেলে নারীরা ক্ষমতায়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে। নারীদের আইসিটি অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে লাইটশোর এই বিষয়ক প্রশিক্ষণ, স্টেম নিয়ে কর্মশালা , আরিসিটি বিষয়ক হ্যাকাথন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা আরও বেশি পরিচলনা করবে।
বিআইটিএম এর ডিরেক্টর ও সিইও তালুকদার মোহাম্মদ সাব্বির বলেন, বিআইটিএমের কোর্সে প্রথম দিকে মেয়েদের পার্টিসিপেন্ট প্রায় নগন্য ছিলো। এখনো যে খুব বেশি তা নয় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ এর মতো থাকে। হয়তো ঠিকমতো সচেতনার অভাবই এটার কারণ।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি আরও বলেন, আইসিটি সেক্টোরের কোর্সে ছেলেদের আধিক্যই বেশি দেখা যায়, যেটা মোটেও কাম্য নয়। সার্বিকভাবে দেখলে যেখানে ৪০ শতাংশ এর অধিক মেয়েদের উপস্থিতি থাকা উচিত সেখানে ২০ শতাংশ এর বেশি আমাদের এখানে কখনো পার্টিসিপেন্ট হিসেবে আসেনি, যেটা দুঃখজনক।
অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে আরও ছিলেন, এমরাজিনা ইসলাম ( ব্র্যান্ড এম্বাসেডর পেওনিয়ার, কো-ফাউন্ডার এমরাজিনা টেকনোলজিস), মো. শাহরিয়ার হোসেন ( ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, এটুআই আইসিটি ডিভিশন), নাজিয়া হাসান হেড অব ডিজাইন (ডিজাইন এন্ড এপিআই), শুভাশিস রয় হেড অব বিজনেস, ( দ্য ডেইলি স্টার) , এবিএম জাবেদ সুলতান পিয়াস (হেড অব বিজনেস, দৈনিক প্রথম আলো)।
এই আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে এবং এতে সারা দেশ থেকে ৭০ জনের মত নারী, তরুণ - তরুণী অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: সোনার বাংলা গড়ার পথে অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি: একে মোমেন