������������������
বিজয় দিবসে জোভান-ফারিণের ‘প্রেম ৭১’
বর্তমানে বড়পর্দা ও ওটিটি নিয়ে বেশ ব্যস্ত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তবে এরমধ্যে বিজয় দিবসের জন্য একটি নাটকে অভিনয় করলেন তিনি। জুটি বেঁধেছেন জোভানের সঙ্গে।
গল্পের সময়টা ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ দলে দলে বসত ভিটা ছেড়ে পালাচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাণভয়ে পাড়ি জমাচ্ছে সীমান্তের ওপারে।
আরও পড়ুন: রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
ফারিণও তার বাবার সঙ্গে দেশ ছাড়ার জন্য বেরিয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্তেও পাকবাহিনীর হাত থেকে রক্ষার জন্য ফারিণের বাবা মাথায় টুপি পরেছেন। যাওয়ার পথে জোভানের সামনে পড়ে তারা।
জোভান পীর বংশের ছেলে। সব সময় পাঞ্জাবি টুপি পরে থাকে। ফারিণকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে। জোভানের মা খুব কট্টর ধার্মিক। ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের এলাকায় আসা পাকবাহিনীর সেবায় তিনি নিবেদিত। ছেলে জোভানকেও তিনি তার মতো করে চলতে কড়াকড়ি আরোপ করেন।
কিন্তু ছেলে তার সবকিছু মেনে নিতে নারাজ।
এদিকে, পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে রাতে এক ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নেয় ফারিণ ও তার বাবা। প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে মন চায় না ফারিণের। সকালে কলপাড়ে পানি আনতে গেলে আবার জোভানের মুখোমুখি হয় সে। জোভান তার প্রেমে পড়ে যায়। ফারিণও একটা আকর্ষণবোধ করে। কিন্তু সে জানে ধর্মীয় কারণে তাদের সম্পর্ক সম্ভব নয়। তাই জোভানকে ফিরিয়ে দিতে চায়।
জোভান তাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বিষয়টা বুঝতে পেরে তার মা এক রাতে পাকবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ফারিণদের বাড়িতে যায়।
এরপর কী হয় তাদের পরিণতি-দেখা যাবে টেলিফিল্ম ‘প্রেম ৭১’-এ।
শাহজাহান সৌরভের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ।
এতে আরও অভিনয় করেন- এস এম মহসীন, সাবেরী আলম প্রমুখ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে টেলিফিল্মটি।
আরও পড়ুন: মোবারক হয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম
নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
মোবারক হয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম
মোশাররফ করিম কে নিয়ে ‘মোবারকনামা’ নামে আরও একটি অনবদ্য ওয়েব সিরিজ আনতে যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই।
গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত হইচই অরিজিনাল সিরিজ ‘মোবারকনামা’ ২১ ডিসেম্বর থেকে দেখা যাবে। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এর ট্রেলার।
‘মোবারকনামা’ নিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, ‘পর্দায় এখন পর্যন্ত আমার অভিনীত প্রিয় চরিত্রগুলোর মধ্যে মোবারক চরিত্রটি অন্যতম। দর্শকদের ভালোবাসা, ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও প্রশংসা আমার এবং পুরো মোবারকনামা টিমের জন্য অনেক ভালোলাগার একটা বিষয়। দর্শকরা সাধারণত আমাকে যেভাবে দেখে অভ্যস্ত তার চেয়ে খুব আলাদা একটি চরিত্র এটি আর ট্রেইলারটি তার এক ঝলকমাত্র। যদিও মোবারকনামা স্ট্রিমিংয়ের আগে আমি খুব বেশি কিছু প্রকাশ করতে পারি না, তবে আমি এইটুকু বলতে পারি যে দর্শকরা মোবারোকের গল্পটি, যেভাবে উন্মোচিত হবে তা পছন্দ করবে এবং এমন চরিত্র ভবিষ্যতে আরও দেখতে চাইবে। আমরা সবসময় দর্শকের জন্য কাজ করে যাই, কাজটা তাদের ভালো লাগলেই কাজ করাটা সার্থক হয়।’
গোলাম সোহরাব দোদুল ‘মোবারক’র চরিত্রটি নিয়ে বলেন, ‘মোবারক একসময়ের অত্যন্ত সফল আইনজীবী যিনি অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা তাকে কাঁপিয়ে দেয়। ঘটনাটি তাকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যে এই ধরনের মামলায় তার পরাজয় নিশ্চিত তা জেনেও তিনি আইনজীবী হয়ে আবারও আদালতে ফিরে আসেন।’
নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
অভিনয়ের চেয়ে রাজনীতি নিয়ে এখন ব্যস্ত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীও তিনি। তবে শুরুতে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন এই তারকা।
প্রার্থিতা ফিরে পেতেই মাহি চলে যান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে। বিষয়টি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন মাহি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত করে আমার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলাম। সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সেবা করতে পারি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
ফেসবুকে পোস্টের সঙ্গে কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছেন মাহি। যেখানে দেখা যাচ্ছে জাতির পিতার সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাহি। তবে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তবে দল মনোনয়ন না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহি।
রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
বড় সিনেমা, বড় প্রযোজক, বড় পরিচালক, বড় নায়ক- সব মিলিয়ে বড় পর্দায় ঝড় তুলতে আসছে ‘তুফান’। যেন সব জল্পনা, কল্পনা, গুঞ্জনের অবসান হলো। এবার রায়হান রাফীর পরিচালনায় বড় পর্দায় আছে বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খান।
বাংলা চলচ্চিত্রে ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। দুই বাংলার চলচ্চিত্রের কলাবোরেশন নিয়ে আলফা আই, চরকি ও ভারতীয় স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ ফিল্মস এবার এক হয়েছে। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হলো, এই তিন প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে বড় পর্দার দুটি সিনেমা।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে বিকেল ৫টায় আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই ঘোষণা দেওয়া হয় ‘তুফান’-এর। আগামী ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। গত ৯ ডিসেম্বর ঘোষণা দেওয়া হয় রেদওয়ান রনি পরিচালিত সিনেমা ‘দম’-এর। যেই সিনেমার মূল চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
পরিচালক রায়হান রাফী সিনেমাটা নিয়ে বলেন, ‘আমি খুবই এক্সসাইটেড। কারণ একসঙ্গে আলফা, এসভিএফ ও চরকি- তিনটা বড় প্রতিষ্ঠান এক সুতোয় গেঁথে দুইটা সিনেমা বানাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশের একমাত্র সুপারস্টার শাকিব খান তার সঙ্গে এটা আমার প্রথম সিনেমা। সবচেয়ে বড় তিনটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, একজন সবচেয়ে বড় সুপারস্টার যখন একসঙ্গে হয় তখন আসলে এই সিনেমা নিয়ে আশা করাই যায়। কেবল তো আমরা কাজ শুরু করলাম। সবার দোয়া চাই। তবে এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি তুফান বাংলা সিনেমার জন্য একটা মাইলফলক হতে যাচ্ছে।'
শাকিব খান নিজেও বেশ আনন্দিত কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশি সিনেমার সম্ভাবনা অপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও বড় একটা বাজার আছে। সারা বিশ্বে ৩০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী রয়েছেন, তাদের শুধু ভালো মানের সিনেমা উপহার দিতে হবে। তিনটা বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যখন এক হয় তখন সম্ভাবনাটা আরও বড় হয়। বাকিটা সিনেমাপ্রেমীরাই ঠিক করে নেবেন।’
এসভিএফ-এর ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, ‘আমরা বাংলা সিনেমায় একটি নতুন অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে। কারণ এসভিএফ, আলফা-আই, চরকি ও মেগাস্টার শাকিব খানকে সঙ্গে নিয়ে এমন একটি প্রযোজনা সামনে আনতে যাচ্ছি; যা গল্প বলার স্কেলকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করবে। এই কলাবরেশন বাংলা চলচ্চিত্রকে অভূতপূর্ব বৈশ্বিক উচ্চতায় পৌঁছে দিতে প্রস্তুত। যা আমাদের সবার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসভিএফ বাংলাদেশে কান্ট্রি হেড সাকিব আর খান, চরকি ও আলফা-আইয়ের কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে ‘রাজকুমার’ সিনেমার শুটিং
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
শুরু হচ্ছে ‘রাজকুমার’ সিনেমার শুটিং
শাকিব খানের সঙ্গে মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফির জুটি নিয়ে ‘রাজকুমার’ সিনেমার ঘোষণা এসেছিল বেশ আগে। তবে এতদিন এ নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। এরমধ্যে শাকিবের কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়ে যায়। অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে সিনেমাটির শুটিং।
কোর্টনি কফি এরইমধ্যে ঢাকায় এসেছেন ‘রাজকুমার’ এর শুটিংয়ে অংশ নিয়ে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন শাকিব ও কফি। সেখানেই ফ্রেমবন্দি হন তারা আর সেখানেই খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন সিনেমাটির পরিচালক হিমেল আশরাফ।
আরও পড়ুন: বলিউডেও দ্যুতি ছড়ালেন জয়া
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কফির সঙ্গে শাকিব ছবি পোস্ট করে লিখেছেন ‘রাজকুমার’ আসছে।
হিমেল আরও জানান, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকায় শুরু হবে ‘রাজকুমার’ সিনেমার শুটিং। শুটিং হবে পাবনা ও আমেরিকায়। সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছর রোজার ঈদে।
উল্লেখ্য, বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হওয়া রাষ্ট্রপতির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান, হিমেল আশরাফ, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, ‘প্রিয়তমা’র নায়িকা ইধিকা পাল ও কণ্ঠশিল্পী কোনাল।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর চলছে। এই মাসে দুই একটি হলেও দেশকে কেন্দ্র করে বাংলা সিনেমা মুক্তি পেত। গত কয়েক বছরে সেই চর্চা কমেছে। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত মুক্তির তালিকায় কোনো বাংলা সিনেমা নেই। শুধু কী তাই! ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছাড়া দেশের কোনো হলে বাংলা সিনেমা প্রদর্শনীর তালিকায় নেই। তবে বেশ চলছে সম্প্রতি আমদানি করা সিনেমা ‘অ্যানিমেল’।
বিজয়ের মাসে ‘অ্যানিমেল’ চললেও বাংলা সিনেমা ‘কাঠগোলাপ’ এর সেন্সর আটকে আছে। সেটিও প্রায় দুমাস। এ নিয়ে ফেসবুক লাইভে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলেন পরিচালক সাজ্জাদ খান। তিনি বলেন, ‘‘অদ্ভুত কারণে ‘কাঠগোলাপ’ সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে। বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সাহেব কী কারণে এটি আটকে রেখেছেন জানি না। তবে তিনি ঠিকই ‘অ্যানিমেল’ বুঝেছেন। আমার মনে হয় ‘অ্যানিমেল’ যদি দেশের কোনো পরিচালক বানাতেন সেটা এই ভাইস চেয়ারম্যান সাহেব কখনো মুক্তি দিতেন না। এটিকে ব্যান্ড করা হতো। বাংলাদেশে আড়াই ঘণ্টার সিনেমা অ্যানিমেল-এ প্রচুর পরিমাণ ‘ভায়োলেন্স’ রয়েছে। আমি হয়তো ছবি আর বানাব না। কারণ এভাবে ছবি হয় না।”
সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘আমার ছবিতে দেশবিরোধী কোনো কিছু নেই। সেন্সরে আটকে যাওয়ার মতো কিছুই নেই। অনেক উৎসবে যাচ্ছে ছবিটি। কিন্তু নিজ দেশে দেখাতে পারছি না।’
এই পরিচালকের মতোই চাপা ক্ষোভ বয়ে বেড়াচ্ছেন দেশের অনেক পরিচালক-প্রযোজকরা। প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে সেন্সরে আটকে রয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’। সিনেমাটি মুক্তির জন্য নির্মাতা অনেক দৌড়ঝাঁপ করলেও অনুমতি পাননি।
সেন্সরবোর্ডের এই সিনেমা আটকে দেওয়ার তালিকায় সম্প্রতি আলোচনা তৈরি করেছিল মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’। প্রায় এক যুগ আটকে রয়েছে এনামুল করিম নির্ঝরের ‘নমুনা’। আরও রয়েছে আলোচনায় থাকা ‘রানা প্লাজা’, ‘মর থেঙ্গারি’, ‘হরিবোল’, ‘ধাবমান’।
তালিকা ক্রমশ বড় হচ্ছে। অথচ ঈদ ছাড়া পুরো বছরের সিনেমার বাজার এখন যাচ্ছে হিন্দি সিনেমার দখলে। কারণ ‘পাঠান’, ‘জাওয়ান, ও ‘অ্যানিমেল’ এর পর শাহরুখের ‘ডানকি’ যে এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র সেটি তো বলাই যায়।
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
দুই বাংলার চলচ্চিত্রের কোলাবোরেশন নিয়ে আলফা আই, চরকি ও ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ ফিল্মস এবার এক হয়েছে। এই তিন প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হতে যাচ্ছে বড় পর্দার দুইটি সিনেমা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সেই সিনেমার মধ্যে একটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
খানিকটা দম নিয়ে নির্মাণে ফিরছেন আলোচিত ও জনপ্রিয় নির্মাতা রেদওয়ান রনি। ‘দম’ শিরোনামে সেই সিনেমায় মূল ভূমিকায় দেখা যাবে সময়ের ও দুই বাংলার পরিচিত তারকা চঞ্চল চৌধুরীকে।বেশ খানিকটা বিরতির পর নির্মাণে ফেরা নিয়ে পরিচালক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘সত্য ঘটনা আমাকে সব সময়ই অনুপ্রাণিত করে। অনেক বছর পর চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষুধা মেটানোর জন্য এই গল্পটাই আমাকে তাড়িত করছিল। সাধারণ মানুষের ভয়াবহ মানসিক শক্তি তাকে যেকোনো ভয়ংকর বিপদ থেকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে নিমিষেই। দম চলচ্চিত্রে এই গল্পটাই বলার চেষ্টা করছি।’
‘দম’ সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। পরিচালক রেদওয়ান রনির সঙ্গে তার সম্পর্কটা প্রায় ২০ বছরের।
অভিনেতা নিজেও এ তথ্য জানান।
সিনেমাটিতে অভিনয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রনির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কটা অনেক দিনের। সে একসময় নিয়মিত নির্মাণ করেছে। কিছুদিন নিজে নির্মাণ না করলেও নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই ছিল। এবারের সিনেমার গল্প যখন রনি আমাকে শুনিয়েছে তখন আমি হতবাক হয়েছি। অসাধারণ একটা গল্প। আমার চরিত্রটা বেশ চ্যালেঞ্জের। সেই সঙ্গে অনেক আয়োজন ও বিগ ক্যানভাসের সিনেমা দম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে একইসঙ্গে চরকি, এসভিএফ ও আলফার মতো বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমাদের এই সিনেমার সঙ্গে আছে। এই সিনেমাটা দুই বাংলা মিলিয়ে নতুন কোনো দিগন্তের সূচনা করবে।’
আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আলফা-আই স্টুডিওস সবসময় বাংলাদেশের বিনোদন জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এটি একটি অগ্রগামী চিন্তার প্রোডাকশন হাউস। আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম বাঙালি দর্শক ভালো মানের কনটেন্ট দেখতে চায়, আমরা প্রতিবারই সেটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার বাংলা চলচ্চিত্রের বাজারকে উন্নত করতে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে পৌঁছাতে আলফা, এসভিএফ ও চরকি এক হয়েছি।’
২৮ বছর ধরে যারা একাই বদল করে চলেছে বাংলা সিনেমার ইতিহাস! রেইনকোট, চোখের বালি, অটোগ্রাফ, ২২শে শ্রাবণ-এর মতো অসংখ্য ফিল্ম দিয়ে যারা সমৃদ্ধ করেছে বাংলা চলচ্চিত্রের ভান্ডার; বলছি এসভিএফের কথা।
এসভিএফের ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের বিনোদন শিল্পের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে এসভিএফ। আমরা শুধু চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি না; বাংলা সিনেমাকে উদযাপন করে আমরা একটি সম্প্রদায়, একটি সংস্কৃতিকে লালন করছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলা ভাষার সিনেমাকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরি করে বিশ্বের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দেওয়া।’
চরকির ইনভেস্টর ও স্ট্র্যাটেজি প্রেসিডেন্ট যারেফ হোসেন বলেন, ‘শুরু থেকেই চরকির লক্ষ্য ছিল সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে মানসম্পন্ন কনটেন্ট পৌঁছে দেওয়া। এবার চরকি ও আলফা আই ও এসভিএফ এক সঙ্গে সেই মিশনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এক হয়েছে। আমাদের বিনোদন শিল্পের কাজকে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার এটি একটা বড় সুযোগ ও উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হতে চলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন: অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আদনান আল রাজীব, মাসুমা নাবিলা, পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী, চরকির কর্মকর্তারা ও সাংবাদিকেরা।
বলিউডেও দ্যুতি ছড়ালেন জয়া
একসময় বলা হতো কলকাতার সিনেমায় বাংলাদেশের জয়া আহসান, কিন্তু বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে জয়া এখন কলকাতা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একজন। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দেশের বাইরের ইন্ডাস্ট্রিতে এই অভিনেত্রীর সফলতা শুধু তাকেই নয় বাংলাদেশকেও নতুনভাবে পরিচিত করেছে। কলকতার জনপ্রিয় অনেক অভিনয়শিল্পীর চেয়ে তার সফলতার ঝুড়ি একটু বেশিই ভারি!
জয়া যে বলিউডের সিনেমায় কাজ করছেন সেটি তো আগেই সবার জানা। ‘কাড়াক সিং’ সিনেমাটি পর্দায় কবে দেখা যাবে তাকে, এ নিয়েই অপেক্ষা। কারণ, একদিকে প্রথম হিন্দি সিনেমা, অন্যদিকে তার বিপরীতে রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। যিনি কিনা এই সময়ে বলিউডে ওটিটির ব্যবসায় সফল কাস্টিংদের একজন।
আরও পড়ুন: কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তি পেল ‘কাড়াক সিং’। গল্পের প্লট কয়েকটি ঘটনায় এগিয়ে গেছে। যার অনেকটা জুড়েই রয়েছেন জয়া আহসান। পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে জয়ার রসায়ন ছিল নজরকাড়ার মতো।
জয়া প্রসঙ্গে পঙ্কজ ত্রিপাঠি ভারতের এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সিনেমার পিরিচালক অনিরুদ্ধ রায়ের কাছে জয়া সম্পর্কে জানি। তার বেশ প্রশংসাও শুনি। এরপর জয়ার কয়েকটি বাংলাদেশি সিনেমা দেখি।’
অন্যদিকে জয়া আহসান বলেন, ‘এই সিনেমায় আমাদের ডিরেক্টর বলেছেন একদম অভিনয় করা যাবে না। সো, যতটা আন্ডারটোন করা যায়। পঙ্কজ ত্রিপাঠি থেকে সবাই খুব সুন্দর অভিনয় করেছে, ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন।’
‘কাড়াক সিং’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন সঞ্জনা সাংঘি, মালয়ালম অভিনেত্রী পার্বতী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমাটি করতে হয়েছে: জয়া আহসান
বিনা কর্তনে দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে 'অ্যানিমেল'
বিশ্বব্যাপী এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে রণবীর কাপুর অভিনীত 'অ্যানিমেল'।
সন্দীপ রেড্ডির এই সিনেমা মুক্তি পায় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর)। এরপর থেকেই বাংলাদেশেও মুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল।
তবে সেটি মাঝে আটকেও যায়। শেষ পর্যন্ত আটকে রাখা গেল না, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেল 'অ্যানিমেল'।
দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে চলবে এই সিনেমা। তবে পরবর্তী সপ্তাহে হল আরও বাড়বে বলে জানান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাট অ্যান্ড কাট এন্টারটেইনমেন্টের অনন্য মামুন।
আরও পড়ুন: ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেঘের কপাট’ পেল ৩ পুরস্কার
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি। তাদের জমা দেওয়া সিনেমার কোনো অংশ বাদ দিতে বলেনি। প্রাথমিকভাবে ৪৮টি স্ক্রিনে সিনেমাটি দেখানো হবে, পরে আরও বাড়বে।'
এদিকে আরেক পরিবেশক কিবরিয়া ফিল্মসের কর্ণধার গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু জানান, গ্লোবাল সংস্করণ (বিশ্বব্যাপী প্রদর্শনের জন্য) নয়, বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ইউএই সংস্করণ (সংযুক্ত আরব আমিরাত বা আরব দেশের সংস্করণটি) চলবে।
বলা হচ্ছে রণবীর কাপুরের এখন পর্যন্ত সেরা সিনেমা 'অ্যানিমেল'। একদিনে তার অভিনয় বিবেচনা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বক্সঅফিসের ঝড়। এর আগেও এই বলিউড তারকার অনেক জনপ্রিয় সিনেমা থাকলেও 'অ্যানিমেল' সবকিছু ছাপিয়ে গেছে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশের দর্শকের কাছে 'অ্যানিমেল' কতটা সাড়া ফেলে।
আরও পড়ুন: ওটিটিতে ঝড় তুলছে দিন-দ্য ডে!
বাংলা গানের বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি: অর্ণব
ডিজিটাল মিউজিক প্ল্যাটফর্ম কোক স্টুডিওর মাধ্যমে উদীয়মান প্রতিভারা একত্রে কাজ করে ম্যাজিক্যাল সংগীত তৈরি করে নতুন দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ পান। ২০০৮ সালে কোক স্টুডিও’র যাত্রা শুরু হওয়ার পর সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে আসে কোক স্টুডিও বাংলা।
এরই মধ্যে কোক স্টুডিওর দুটি সিজন সফলতার সঙ্গে শেষ হয়েছে। তৃতীয় সিজন আসবে ২০২৪ সালে। তার আগে নিজেদের সফলতার পরিসংখ্যান জানাতে এক আলাপের আয়োজন করে তারা।মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার একটি রেস্তরাঁয় এই আলাপে ছিলেন সংগীতশিল্পী অর্ণব এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং আবীর রাজবীন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
অর্ণব বলেন, ‘এদেশের তরুণদের মধ্যে গান শোনার অনেক ভিন্নতা তৈরি হয়েছে। তারা অনেক ধরনের গান শুনতে চায়। আমরা বাংলা গানের বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি। সেটি কতটুকু পেরেছি তা দর্শক বলতে পারবেন। কোক স্টুডিও বাংলা বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে বাংলা সংগীত ও শিল্পীদের।’
কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং প্রধান আবীর রাজবীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩ লাখের বেশি কথোপকথন, হাজারো ফ্যান আর্ট, মিউজিক ও ড্যান্স কাভার এবং যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলা একটি প্রাণবন্ত ও সংযুক্ত কমিউনিটি তৈরি করেছে। এই কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মটির গানগুলোর প্রতি নিজেদের ভালোবাসা সবসময় তুলে ধরছে। প্রথম দুই সিজনে আমরা অভূতপূর্ব সমর্থন ও সাড়া পেয়েছি। এতে আমরা সৃজনশীল ক্ষেত্রে নতুন কিছু করার প্রেরণা পাই।’
শুরু হওয়ার পর থেকেই বৈচিত্র্যময় ধারার প্রতিভাদের একত্রিত করে সৃজনশীল ও নতুন ধারার সংগীত সৃষ্টির মাধ্যমে সংগীত জগতে আলোড়ন তৈরি করে প্ল্যাটফর্মটি। যুগান্তকারী দুটি সিজনে কোক স্টুডিও বাংলা সংগীত জগতে দিয়েছে নতুন প্রাণের ছোঁয়া, অতিক্রম করেছে দেশের সীমানা, প্রশংসা কুড়িয়েছে ভক্ত ও শিল্পী সবার কাছ থেকেই। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গান প্ল্যাটফর্মটিতে পরিবেশিত হয়েছে।
এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ১০০ জন শিল্পী, যার মধ্যে আছেন অনিমেষ রায়, হামিদা বানু, আলেয়া বেগম, মুকুল মজুমদার ঈশানসহ অনেক আড়ালে থাকা রত্ন। তাদের কারো কারো ক্যারিয়ারই শুরু হয়েছে এর মাধ্যমে। দুই সিজনের ২০টির বেশি গান প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৩টি গাড়ি পুড়েছে: ফায়ার সার্ভিস
ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯