লাইফস্টাইল
১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ১০০টি যাত্রাপালা মঞ্চায়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১২-৩০ মার্চ দেশব্যাপী ১০০টি নতুন যাত্রাপালা নিয়ে ‘বাংলাদেশ যাত্রা উৎসব ২০২২’ এর আয়োজন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামি ১২ মার্চ (শনিবার) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে হলো ‘গুণিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার!
আলোচক হিসেবে থাকবেন যাত্রা ব্যক্তিত্ব জ্যোৎস্না বিশ্বাস, যাত্রা গবেষক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।
১২-১৬ মার্চ প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে যাত্রামঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের যাত্রাদলের যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হবে।
আরও পড়ুন: রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস: ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুপারস্টার অজয় দেবগন
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
সময়ের সঙ্গে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রায় সবক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। মানুষের দুটি সত্তা নারী ও পুরুষ হলেও অধিকারের প্রশ্নে সবাই সমান। সেই কথাগুলো উঠে এসেছে বিশ্বের অনেক লেখদের বইতে। এই জায়গায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
দেশের তরুণ অনেক লেখকদের বইতে উঠে আসছে নারীদের নিয়ে আলোচনা। তেমনই একটি বই ‘অপরাজিতা’ এ বছরের একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে। এটির লেখক আইরিশ পারভীন।
অনন্যা প্রকাশনী থেকে ‘অপরাজিতা’ উপন্যাসটি আইরিশ পারভীনের দ্বিতীয় প্রকাশিত বই।
বইটি সম্পর্কে আইরিশ বলেন, ‘নারী শব্দটি খুব দৃঢ় এবং শক্তিশালী এক শব্দ। শব্দের মতোই দৃঢ় এবং শক্তিশালী হয় নারী মানুষ হিসেবেও। নারী সুন্দর, নারী শাশ্বত। তবে আমাদের সমাজে নারী অসহায়, অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এখানে নারীদের চালে বাঁধা, চলনে বাঁধা। সেসব বাঁধাকে তোয়াক্কা না করে যেসব নারীরা এগিয়ে চলে মনুষত্বের পথে স্বাধীনতার পথে মুক্তির পথে সেসব নারীদেরকে সম্মান ও সালাম জানিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্বে এনেছি আমার গল্পের অপরাজিতা চরিত্রটি।’
তিনি আরও জানান, অপরাজিতা এমন একটি চরিত্র যে মনুষত্বের পথে ভালোবাসা বিলিয়ে চলে। যে তার নামের অর্থকে তার জীবনের মাহাত্ম বানাতে চেয়েছে।
পড়ুন: একুশে বইমেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত: প্রতিমন্ত্রী
এবারও হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্ট, থাকছে ভিন্ন আয়োজন
করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ২০২১ সালের মতই এবারও ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্টের। কিন্তু ৭ মার্চকে ঘিরে ভিন্ন কিছু আয়োজনের কথা জানিয়েছে জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজকেরা।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা জানায়, কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এবার ইয়াং বাংলা আয়োজিত ৭ই মার্চের জয় বাংলা কনসার্ট হচ্ছে না। তবে বেশ কিছু টিভি চ্যানেলে সোমবার সারাদিন কনসার্ট নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।'
জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে এই বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে একাত্তর টিভি (বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে), মাছরাঙ্গা টিভি (সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে), চ্যানেল ২৪ (রাত ৮টা ৩০ মিনিটে) এবং গান বাংলা (রাত ৯টা)।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ২০ ডিসেম্বর
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠানগুলোতে জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা জানাবেন সেখানে অংশ নেয়া শিল্পীরা। এর পাশাপাশি তারা গান গেয়েও শোনাবেন। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গানও গেয়ে শোনানো হবে। আর সেই সঙ্গে কনসার্ট ঘিরে তাদের মজার সব অভিজ্ঞতা নিয়েও হবে কথা।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে সিআরআই-এর অঙ্গ সংগঠন ইয়াং বাংলা। ২০১৫ সালে তারুণ্যের বৃহত্তম এই প্লাটফর্ম প্রথমবারের মত ৭ মার্চ আয়োজন করে জয় বাংলা কনসার্ট। এরপর টানা ৫ বছর নিয়মিত এই কনসার্টের আয়োজন করে এসেছে ইয়াং বাংলা।
গুলশান সোসাইটি আয়োজিত ‘বইমেলা ২’ শুরু
মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে শুরু হয়েছে বইমেলা। ৪ মার্চ (শুক্রবার) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
স্বনামধন্য প্রকাশক এবং পুস্তক বিক্রেতাদের ২৫টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে মেলা। এটি গুলশান সোসাইটি আয়োজিত দ্বিতীয় বইমেলা।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শুক্লা সরোয়ার সিরাজ বলেন, ‘মহামারির মধ্যে গতবারের চেয়ে এ বছর মেলার আয়োজন আরও বড় পরিসরে আয়োজন হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই মেলা আয়োজনের প্রথম দিনের দর্শনার্থীদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা মুগ্ধ।’
বইমেলায় বিভিন্ন স্টল থাকলেও সাহিত্য নির্ভর স্টলের অভাব রয়েছে। তবে সেটি আগামীতে থাকবে না বলে আরও জানান শুক্লা সরোয়ার সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই ছোট পরিসরে মেলা শুরু করেছি। আমাদের কমিউনিটির সাড়া কেমন পাব সেটির অপেক্ষায় ছিলাম বলা যায়। সেটি যেহেতু বেশ ইতিবাচক। তাই সামনে আরও অনেক দিকে আমরা নজর দিব।’
পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
ঢাকাবাসীর কাছে বইমেলা মানেই বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘একুশে বইমেলা’। কিন্তু সময় ও দূরত্বের দিক থেকে যারা সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের অনেকের স্বস্তির কারণ গুলশান সোসাইটি আয়োজিক ‘বইমেলা ২’।
মেলায় দর্শনার্থীদের এমনই একজন নূরুল হক। সন্তানদের নিয়ে দুপুরের পরই বইমেলায় উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই একুশে বইমেলায় যাওয়া হয়। বই পড়তে আমি সব সময় বই পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু এবার এখনও যাওয়া হয়নি। গুলশান সোসাইটিকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মেলার আয়োজন করে।’
বইমেলা প্রাঙ্গণে আকর্ষণীয় স্টলগুলোর একটি কসমস বুকস। স্টলটির পক্ষ থেকে সৌরভ চৌধুরী বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও বেশ সুন্দর আয়োজন হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বই কেনার প্রতি পাঠকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।’
অন্যদিকে ‘বেঙ্গল বই’ স্টলের পক্ষ থেকে মুনা রহমান বলেন, ‘অবশ্যই দারুণ একটি আয়োজন। তবে আয়োজকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বইমেলার সময়টা যদি বাড়ানো যেত। কারণ অনেকেই হয়তো মেলা সম্পর্কে জানতে সময় লেগে যায়। কিন্তু ততদিনে মেলা থাকে না। এছাড়া বলব সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ এটি।’
পড়ুন: জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক: হাইকোর্ট
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট বা যান্ত্রিকভাবে হৃদপিণ্ডের কাজ প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ইউনাইটেড হসপিটালের প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সেন্টারের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর কবির গতকাল বুধবার ইউনাইটেড হসপিটালে ৪২ বছর বয়স্ক এক নারীর হৃদপিণ্ডে মেকানিক্যাল হার্ট স্থাপন করেন। যিনি দীর্ঘদিন শেষ পর্যায়ের বা তীব্র হার্ট ফেইলিওর নামক হৃদপিণ্ডের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বর্তমান উৎকর্ষতায় উন্নত বিশ্বে এর একমাত্র চিকিৎসা আরেকটি সুস্থ হার্ট দিয়ে প্রায় অকার্যকর হার্টটি প্রতিস্থাপন। তবে যদি সুস্থ হার্ট না পাওয়া যায় কিংবা পেতে দেরী হচ্ছে এবং হার্টের অবস্থা যদি দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে তবে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। এতে রোগীর হার্ট কিছুটা বিশ্রাম পায় এবং সমস্ত শরীরের রক্ত চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে । ফলে শরীরে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, লিভার ইত্যাদি সেরে ওঠার সুযোগ পায়। তীব্র হার্ট ফেইলিওরে আক্রান্ত কিছু রোগী হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট এর উপযুক্ত না হলে তাদের জন্য একমাত্র বিকল্প এল্ভ্যাড, যা স্থাপনের মাধ্যমে বাকি জীবন সুস্থভাবে অতিবাহিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তার দক্ষ সহকর্মীরা প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় ধরে সফল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে হার্টমেট-৩ নামের একটি মেকানিক্যাল হার্ট রোগীর হৃদপিণ্ডের বাম নিলয়ে স্থাপন করেন এবং তার পুরো হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। আশা করা যাচ্ছে এর মাধ্যমে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমে আসবে এবং হার্ট ফেইলিওরের লক্ষণ সমূহের উন্নতি ঘটবে।
বাংলাদেশে হার্ট সার্জারীর প্রথম সারির এ চিকিৎসক দল ইউনাইটেড হসপিটালের শুরু থেকেই ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের হার্টের সফল সার্জারী করেছেন ।
বর্তমানে সারা বিশ্বে দশ মিলিয়ন এরও বেশি মানুষ ‘হার্ট ফেইলিওর’ রোগে আক্রান্ত । এশিয়ায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব এক দশমিক ২৬ শতাংশ থেকে ৬দশমিক সাত শতাংশ ।
আরও পড়ুন: শীতকালে কেনো বেশি ঘুম পায়?
‘বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সোমবার বিকেলে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভিন মনি এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
বইটি প্রকাশ করেছে তৃণলতা প্রকাশ। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৩৭৩/৩৭৪ নং স্টলে এবং অনলাইনে রকমারি ডটকম থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
প্রধান অতিথি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই গ্রন্থটি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর একটি কালজয়ী উদ্যোগ। তিনি এই বইয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত সাবলীল ও ব্যাপক তথ্য নির্ভরভাবে জাতির পিতাকে তুলে ধরেছেন। আশা করি এই বইটি পাঠ করার মাধ্যমে পাঠক বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী জীবন সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বিশিষ্ট লেখক ও কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন,বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের উচিত বঙ্গবন্ধুকে জানা, আর বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে অনেক বেশি বেশি পড়তে হবে। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু রচিত বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুকে জানতে বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বইটি সংগ্রহ করতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
বইয়ের লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে বেড়ে উঠেছি। সবসময় বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে আমার পথচলা। আসলে বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি, যাকে সামান্য কয় পৃষ্ঠা কাগজে লিখে শেষ করা দুঃসাধ্য কাজ। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের চুম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরেছি।
পাঠক ভালোভাবে বইটি পাঠ করলেই আমার স্বার্থকতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন?
দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্ম সম্পাদনে পরিচয় সংক্রান্ত প্রমাণাদির সাপেক্ষে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নথি জাতীয় পরিচয়পত্র। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওয়ালেটের আইটেমগুলোর মধ্যে একটি নিত্য সংযোজন এই ছোট আইডি কার্ড। এ অবস্থায় ভুল বশত অনেকের মধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। পকেটমার কিংবা ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রেও মানিব্যাগটির সাথে হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে দরকারি এই বস্তুটি। এই ভুল জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ছোটখাট হয়রানি থেকে একদম আইনি ঝামেলারও অবতারণা হতে পারে জাতীয় পরিচয়পত্র হারানো ফলে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়সমূহ।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
থানায় জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করা
জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর সাথে সাথেই সর্বপ্রথম যে কাজটি করণীয় তা হচ্ছে নিকটস্থ থানায় তা লিখিতভাবে জানানো বা একটি সাধারণ ডায়েরি করা। থানা কর্তৃক জিডি গৃহীত হওয়ার পর জিডি গ্রহণকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। কেননা জিডির কপিটির সাথে এই তথ্যগুলোও পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে।
পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর জন্য আবেদন
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার ওয়েবসাইট বা এনআইডি উইংয়ে গিয়ে অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে। ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে এনআইডি নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করা যাবে। আর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও সমস্যা নেই। পাসওয়ার্ড রিসেট করে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে নিবন্ধনের সম্পন্ন করার পর ফেইস ভেরিফিকেশন হবে। এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলেই পুনরায় লগ ইন করতে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলেই পাওয়া যাবে রিইস্যু অপশনটি। এতে ক্লিক করার পর পাওয়া যাবে জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যু করার আবেদন ফর্ম। ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করে সাবমিটের পর আসবে ফি প্রদানের সেকশন। এখানে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার জন্য বিতরণের ধরন (রেগুলার অথবা আর্জেন্ট) নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর ফি প্রদান করার পর পরের স্ক্রিণে আসবে জিডির সেকশন।
পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
এখানে থানা থেকে নিয়ে আসা জিডির কপিটি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে আপলোডের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন জিডির লেখাগুলো স্পষ্ট বোঝা যায়। জিডির যাবতীয় তথ্যাবলি প্রদান করা হলে চুড়ান্তভাবে আবেদনটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়া
সাধারণত অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার সাত থেকে পনের দিনের মধ্যে আবেদনটির অনুমোদন হয়ে যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর আবেদন অনুমোদিত হলে আবেদনের সময় সরবরাহকৃত মোবাইল নাম্বারে একটি বার্তা দেয়া হবে। বার্তাটি পাওয়ার সাথে সাথেই এনআইডি উইংয়ে পুনরায় লগ ইন করে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে। নতুবা নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে আর ডাউনলোড করা যায় না।
জাতীয় পরিচয়পত্রের এই অনলাইন কপি পরবর্তীতে প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পড়ুন: বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার নিয়ম
২০১৯-এর পর যাদের অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র হয়েছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে, এই এনআইডি উইংয়ে লগ ইন করে বিনামূল্যেই জাতীয় পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।
২০১৯-এর আগের ভোটারদের ক্ষেত্রে অথবা যারা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন, তারা এই পোর্টাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে জিডির কপিটি নিয়ে সরাসরি চলে যেতে হবে থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। অতঃপর আবেদন করতে হবে পরিচালক বরাবর।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যু ফি
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন করতে বা রি-ইস্যুর জন্য আবেদন ফি সাধারণের ক্ষেত্রে ভ্যাট সহ ৩৪৫ টাকা। আর জরুরি ক্ষেত্রে ভ্যাট সহ দিতে হবে ৫৭৫ টাকা। ২০১৯ এর আগের ভোটারদের এনআইডি উইং থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে ২৩০ টাকা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর আবেদন করতে হবে।
এই টাকা দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো যেমন রকেট, বিকাশ ব্যবহার করে অনায়াসেই পরিশোধ করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ট
এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র ফিরে পাওয়া যায়। তবে এই ঝামেলা পোহাতে না চাইলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। এখন ব্যাংকের লেনদেন, পাসপোর্ট, বিভিন্ন লাইসেন্স প্রতি ক্ষেত্রেই যুক্ত হয়ে পড়ছে জাতীয় পরিচয়পত্র। তাই নিদেনপক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি আলাদা করে মোবাইল লিখে রাখা যেতে পারে। একাধিক জায়গায় বিশেষ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে (গুগল ড্রাইভ, ড্রপ বক্স, ওয়ান ড্রাইভ) সংরক্ষণ করা থাকলে বিভিন্ন কাজের সময় নাম্বারটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
দেশের ভেতরে ও বাইরে পাসপোর্ট একটি জরুরি নথিপত্র। অনেক ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট করার সময় সরবরাহকৃত তথ্যে ভুল হয়ে যায়। এছাড়া খুব প্রয়োজনের সময় পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য প্রথম আবেদনে তাড়াহুড়োর সময় ভুল হয়ে দু-একটা তথ্য। অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও এই ভুল করাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ভুল থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট ব্যবহারে বিভিন্ন ঝামেলার সূত্রপাত ঘটতে পারে। তাই সময়, শ্রম ও আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচতে আগে থেকেই সাবধান হওয়া দরকার। আর এখানে আসে পাসপোর্টে ভুল সংশোধন করার কথা। ২০২১ এর ৯ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ভিত্তিতে পাসপোর্টে ভুল সংশোধন বা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আজকের ফিচারটিতে আলোচনা করা হবে পাসপোর্ট ভুল সংশোধন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে।
এক নজরে পাসপোর্টে ভুল সংশোধন বা পরিবর্তন পদ্ধতি
বাংলাদেশের যে কোন ধরনের পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের জন্য পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন করতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশ সরকারের ফর্মস বাতায়ন ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। অতঃপর পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে জমা রশিদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
সব শেষে তৈরিকৃত সম্পূর্ণ আবেদন পত্রটির দুইটি কপি তৈরি করে এক কপি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত করাতে হবে। অতঃপর আবেদনপত্রে দুটি কপি নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে সহকারি পরিচালকের কক্ষে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
এরপর থেকে পাসপোর্টের ধরনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত সরকারি কার্যদিবস পর পাসপোর্ট সংশোধন বা পরিবর্তনের আবেদন ফর্মে প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বারে বার্তা আসবে। তারপর পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে সংগ্রহ করা যাবে সংশোধিত কিংবা পরিবর্তিত পাসপোর্টটি।
পাসপোর্টে কোন কোন তথ্যগুলো সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায়
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের নাম, জন্ম তারিখ, বাবা-মায়ের নাম, পেশা, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং বৈবাহিক অবস্থায় কোন ভুল থাকলে অথবা প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য সেগুলোর যথাযথ সংশোধন বা পরিবর্তন করে নেয়া যাবে।
আরও পড়ুন: পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
পাসপোর্ট সংশোধন বা পরিবর্তন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
পাসপোর্টধারীর নাম ও জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে
১। পাসপোর্টধারীর ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের ফটোকপি (এক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে)
২। পাসপোর্টধারীর জেএসসি অথবা এসএসসি অথবা এইচএসস-এর সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রের ফটোকপি
৩। বিবাহিত পাসপোর্টধারীর ক্ষেত্রে বিয়ের কাবিননামার ফটোকপি
এখানে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে- জন্ম তারিখ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত সংশোধন করা যায়।
আরও পড়ুন: বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার নিয়ম
পাসপোর্টধারীর বাবা-মায়ের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে
১। পাসপোর্টধারীর জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদের ফটোকপি
২। জেএসসি বা এসএসসি বা এইচএসসি এর সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রের ফটোকপি
৩। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
পাসপোর্টধারীর পেশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে
১। পাসপোর্টধারী যে কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন তার প্রত্যয়নপত্র
২। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত পরিচয়পত্রের ফটোকপি
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
পাসপোর্টে স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা সংশোধন বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারীর আবার নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে। কিন্তু বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদনের দরকার হয় না।
পাসপোর্টধারীর বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে
এক্ষেত্রে পাসপোর্টধারীকে আবেদনপত্রের সঙ্গে তার কাবিননামা সংযুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
পাসপোর্ট সংশোধন ফি
সাধারণ ক্ষেত্রে সংশোধিত পাসপোর্ট-এর জন্য সরকারি ২১ কর্মদিবস প্রয়োজন হয়। এর জন্য পাসপোর্ট রি-ইস্যু ফি ৩,৪৫০ টাকা। জরুরি বা ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট সংশোধন করাতে হলে পাসপোর্ট সংশোধন ফি পড়বে ৬,৯০০ টাকা।
এই ফি যে কোন তফসিলভূক্ত ব্যাংকে জমা দেয়া যেতে পারে। সোনালী ব্যাংক ছাড়াও ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক পাসপোর্ট সংশোধনের ফি জমা নিয়ে থাকে। ফি জমাদানের পর ব্যাংক থেকে একটি জমা রশিদ দেয়া হবে। এতে থাকা রশিদ নম্বর সহ ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য আবেদনপত্রের ‘ফি প্রদান সংক্রান্ত তথ্য’-এর অংশে লিখতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
অবশেষে
পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের এরকম নিরবচ্ছিন্ন নীতিমালা থাকার পরেও নতুন পাসপোর্ট করার সময় সতর্কতার সাথে আবেদন ফর্ম পূরণ করা উচিত। কারণ খুব প্রয়োজনের সময় কাগজপত্র যথাসময়ে প্রস্তুত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এছাড়া সংশোধিত হয়ে পাসপোর্টটি হাতে পাবার ক্ষেত্রেও প্রায়শই কাল বিলম্ব হয়। তাই তথ্য প্রদানের মুহূর্তে যেন কোন ভুল না হয় সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়। আর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র সহ সংযুক্ত কাগজপত্রের মধ্যে তথ্যের সামঞ্জস্যতা থাকা জরুরি। নতুনবা পাসপোর্ট সংশোধের আবেদনের পূর্বেই লেগে যেতে পারে আরো বেশি সময়।
ইংরেজি শেখার সহজ কিছু উপায়
আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য একটি সাধারণ ভাষা হওয়াতে ইংরেজি শেখা একটি জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চশিক্ষা এবং উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য ইংরেজি ভাষা শেখা অপরিহার্য। বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ ভাষাটি শেখা ক্রমেই সহজতর হচ্ছে। বাংলা মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের লোকেরা সহজেই আয়ত্ত্ব করতে পারছে এই বিদেশি ভাষাটি। এরপরেও অনেকের ভেতরে ইংরেজি ভীতি দেখা যায়। একদম শুরুর দিকে এরকমটা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু শেখার পদ্ধতিতে একটু পরিবর্তন আনলেই আত্মবিঃশ্বাসের সাথে ইংরেজি শেখা যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ইংরেজি শেখার সহজ উপায়গুলো।
সহজ পদ্ধতিতে ইংরেজি শেখার কিছু টিপস
উচ্চস্বরে কমিক বই পড়া
বইয়ের পোকাদের জন্য ইংরেজি শেখার সাধারণ উপায় হলো ইংরেজি সাহিত্য পড়া। ইংরেজি শেখার এই পুরাতন মাধ্যমটিকে লালন করতে যেয়ে অনেককেই রীতিমত যুদ্ধে নামতে হয়। কিন্তু এই সাহিত্যের গন্ডিটা আরও একটু ছোট করে কমিক গল্পে আবদ্ধ করলে ব্যাপারটা বেশ সহজ হয়ে যায়। ছোটবেলার ইংলিশ ফর টুডে’র কথা নিশ্চই মনে আছে! ওখানে গল্পের পাশাপাশি ছিলো প্রাসঙ্গিক ছবি। আর এটি যে কোন কিছু শেখার যৌক্তিক উপায়। কারণ ছবিটি মনে একবার গেঁথে গেলে তার প্রাসঙ্গিক শব্দ বা বাক্যটি সহজেই মনে করা যায়। তাছাড়া খবরের কাগজ বা ভারি বইয়ের মত এখানে শত শত প্যারা থাকে না। ছোট ছোট দু-এক বাক্যে আকর্ষণীয় গল্পের ছবিগুলো মজা নিয়ে ইংরেজি শেখার রসদ যোগাবে।
আরও পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
পডকাস্ট শোনা ও লিরিকযুক্ত গানের ভিডিও দেখা
ইংরেজিতে লিসেনিংয়ের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন লেকচারের রেকর্ড শোনার পরামর্শ দেয়া হয়। কোন তথ্য নির্ভর কথোপকথন অথবা বিশ্লেষণী বিশদ বিবৃতিগুলো ইংরেজি ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন পরীক্ষায় কাজে লাগে। তবে আনন্দ নিয়ে ইংরেজি শিখতে হলে শোনা যেতে পারে কোন অনুপ্রেরণামুলক বক্তৃতা বা কৌতুক সমগ্র।
ইংরেজিতে গান শোনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রীমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। শুধু শোনাই নয়; লিরিক দেখে দেখে গানটি গাওয়ার চেষ্টা করাটা নিতান্ত মজার একটা অনুশীলন হতে পারে।
সাবটাইটেলসহ ইংরেজি মুভি বা সিরিজ দেখা
এটি ইংরেজি শেখার সবচেয়ে সহজ এবং উপযুক্ত উপায়। একদম শুরুর দিকে সাবটাইটেলসহ মুভি বা সিরিজগুলো দেখলে ঘটনার সাথে প্রতিটি সংলাপ বুঝার পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রে ইংরেজি বলার সুর ও অঙ্গভঙ্গি অনুধাবন করা যায়। এরপর পুনঃবার একই মুভি দেখলে সংলাপগুলো আরও ভালভাবে অনুসরণ করা যায়। তবে তৃতীয়বার থেকে সাবটাইটেল ছাড়াই দেখে প্রতিটি ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ বিশদভাবে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এখানে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে- মুভি বা সিরিজটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকে তাদের প্রিয় সংলাপ বা দৃশ্য অনুকরণ করার চেষ্টা করে। আর এভাবেই একটি ইংরেজি মুভি বা সিরিজ স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে একজন দর্শককে ইংরেজি শিখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
কলমি বন্ধু তৈরি
এখন ফেসবুকের কল্যাণে দেশ-বিদেশের এমন অনেক বন্ধুর সাথে হরহামেশাই কথা হয়, যাদের সাথে কোন দিন দেখাই হয়নি। কলমি বন্ধুর বিবর্তিত রূপের নাম দেয়া যেতে পারে ভার্চুয়াল বন্ধু, যেটা এখন খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। ইংরেজি শেখার জন্য ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে প্রায়ই ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করতে দেখা যায়। এটি ইংরেজিতে রাইটিং দক্ষতা বাড়ানোর একটি ভালো উপায়। তাছাড়া ভয়েস কলের মাধ্যমে স্পীকিং ও লিসেনিং টেস্টও করে নেয়া যেতে পারে। এখানে সাধারণ ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করা ছাড়া কোন বিকল্প থাকে না। তাছাড়া বিদেশি বন্ধুটিও যখন দেশের সংস্কৃতি-সভ্যতার ব্যাপারে জানতে চায়, তখন বিভিন্ন বিষয়ের উপর সাবলীলভাবে কথা বলাটাও অনুশীলন হয়ে যায়।
গেম খেলা
একদম প্রাইমারি স্তরের জন্য তৈরি করা গেমগুলো ইংরেজি শেখার জন্য যে কোন বয়সের মানুষকে সাহায্য করতে পারে। ওয়ার্ডশেক, দ্যা গ্রামার অফ ডুম এবং ফ্রিরাইস-এর মাধ্যমে নতুন নতুন ইংরেজি শব্দ দিয়ে অনায়াসেই পরিপূর্ণ করা যাবে মস্তিষ্ককে। কোন কাজ ছাড়া অযথা স্মার্টফোন অথবা ফেসবুক ব্রাউজ করার অভ্যাসকে বদলে নেয়া যায় বাচ্চাদের এই গেমগুলো খেলা মাধ্যমে। অবশ্য এগুলো এমনভাবে আকর্ষণীয় করে বানানো হয়েছে যে, কৌতূহলী হয়ে কিছুটা দেখার জন্য গেম-এ প্রবেশ করলেও পুরো একটা গেম খেলে তবেই বেরতে হবে। ততক্ষণে দেখা যাবে দু-তিনটা নতুন ইংরেজি শব্দ বা বাক্য মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
ইংরেজিতে কথা বলার অ্যাপ ব্যবহার
শত শত বন্ধু থাকলেও ইংরেজিতে কথা বলার জন্য এক সঙ্গী খুঁজে যেখানে মুশকিলের ব্যাপার, বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলো সেখানে নিমেষেই সারা পৃথিবী ঘেটে খুঁজে এনে দিচ্ছে ইংরেজিতে কথা বলার বন্ধু। জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মধ্যে স্পীক ইংলিশ, আইটকি, ডুয়োলিঙ্গো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের মানুষের সাথে ভয়েস কলে কথা বলা যায়। অপর প্রান্তে যে কথা বলছে তারও উদ্দেশ্য থাকে ইংরেজিতে কথা বলার অনুশীলন করা। তাই ইংরেজি স্পীকিং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই অ্যাপগুলো হতে পারে সেরা উপায়।
ইংরেজিতে চিন্তা করা
ইংরেজি অনুশীলনকারীদের প্রায়ই দেখা যায়- কথা বলা বা লেখার সময় প্রথমে বাংলাতে ভেবে তারপর তার অনুবাদ করে ইংরেজিতে বলছে বা লিখছে। এর ফলে কথোপকথনের সময় কথার ঊত্তর দিতে এবং লিখতে উভয় ক্ষেত্রেই বিলম্ব হয়। তাছাড়া এতে ইংরেজিতে স্বত্বঃস্ফূর্ততা বা ফ্লুয়েন্সি আসে না। এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইংরেজি বলাটা আরেও জটিল মনে হয়। এ থেকে উত্তরণের জন্য ইংরেজিতে চিন্তা করা দরকার। এর জন্য মস্তিষ্কে যথেষ্ট পরিমাণে ইংরেজি শব্দের যোগান দিতে হবে। আর এগুলো উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে বিশেষত ইংরেজি কমিক, মুভি, গান প্রভৃতির মাধ্যমে সম্ভব।
Read শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
পরিশেষে
সর্বপরি ইংরেজি শেখার সহজ উপায়গুলোর কার্যকারিতা উপলব্ধি করতে হলে অবশ্যই এগুলো জীবনযাত্রায় ধারণ করতে হবে। এ জন্য প্রথমেই প্রয়োজন ইংরেজি ভাষা শিক্ষার সদিচ্ছা। তাহলে ইংরেজি শেখার জটিলতাগুলো অনেকাংশে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
বেশ চমকে যাওয়ার মতো হলেও ব্যাপারটি আসলেই সত্যি! বর্তমানে নারীদের ফ্যাশনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও প্রথম দিকে হাই হিল জুতা তৈরি করা হতো পুরুষদের পরার জন্য। নানান সুবিধা-অসুবিধার ঊর্ধ্বে প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভব ঘটিয়েছিলো হাই হিল ফ্যাশনের। সময়ের বিবর্তনে পা বদলের পাশাপাশি বদলেছে হাই হিল ব্যবহারের জায়গা ও উপাদান। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই একটি দরকারি টুল্স হিসেবে নারী-পুরুষ উভয়েরই পায়ের পরিধেয়ের স্বতন্ত্র সংযোজন ছিলো হাই হিল। চলুন, পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে হাই হিলের এই স্থানান্তরের ঘটনাটি জেনে নেয়া যাক।
হাই হিল ফ্যাশনের গোড়াপত্তন
ইতিহাসের সর্বপ্রথম দশ শতকের প্রাচীন ইরান বা পারস্যের অশ্বারোহী সৈন্যরা হাই হিল জুতা পরতো। ঘোড়াতে চড়ার সময় ভূমি থেকে পা কে উঁচু রাখার জন্য তারা এ ধরনের বিশেষ জুতাটি ব্যবহার করতো। এছাড়া এটি তাদেরকে ছুটন্ত ঘোড়ায় চড়া অবস্থায় তীর-ধনুক ও গুলি চালানোর সময় জুতার ভেতর তাদের পা কে ধরে রাখতো। ফলশ্রুতিতে সে সময়কার পারস্যের সাধারণ অশ্বারোহীরাও এক ইঞ্চি হাই হিল জুতা পরা শুরু করে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
ইতিহাস জুড়ে পুরুষের হাই হিল চর্চা
শিল্প যুগের আগের সময়ে একটি ঘোড়ার মালিক হওয়া ঐশ্বর্য্যের পরিচয় ধারণ করতো, কারণ ঘোড়ার দেখাশোনা বেশ ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এর ফলে হাই হিল পরিধানকারীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতো।
১১ শতকের গোড়ার দিকে হাই হিল পরার জন্য স্বনামধন্য ছিলেন গ্রেট স্কিজমের পোপগণ, যারা লাল রঙের হাই হিল জুতা পরতেন।
পারস্য সৈন্য ও অভিবাসীরা হাই হিল জুতার চর্চাকে ইউরোপে নিয়ে আসে, যা পরবর্তীতে হাই হিল ফ্যাশনের জন্ম দিয়েছিলো। ইউরোপীয় অভিজাত ব্যক্তিরা নিজেদের লম্বা দেখানোর জন্য একটি শক্তিশালী সামরিক কৌশল হিসেবে এই নতুন ধারাটিকে ব্যবহার করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই হাই হিলের রাজা হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন। তাঁর শাসনামলে মনে করা হতো- যে হিল যত উঁচু ও লাল হবে, পরিধানকারী তত বেশি শক্তিশালী হবে। তিনি ১৬৭০ সালে একটি আইন পাস করেন যে, শুধুমাত্র উচ্চবিত্তরা হাই হিল জুতা পরতে পারবে। রাজা নিজে লাল রঙের হিল বা সোলের জুতা পরার পাশাপাশি তাঁর দরবারের লোকদেরও লাল হিল পরার অনুমতি দিতেন। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুপ্রাণিত হয়েই ৯০ দশকে জুতার ডিজাইনার ক্রিশ্চিয়ান লুবউটিন বিশ্ব জোড়া খ্যাতি পেয়েছেন।
১৭ শতকে ম্যাসাচুসেটসে একটি অদ্ভূত আইন প্রবর্তন হয়। যে মহিলারা হাই হিল জুতা ব্যবহারের মাধ্যমে পুরুষদের প্রলুব্ধ করবে, তাদেরকে ডাইনি হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।
১৮ শতকে ইউরোপ জুড়ে রেনেসাঁ এবং ইনলাইটেনমেন্ট বিপ্লব শুরু হওয়ার সাথে সাথে পুরুষদের হিল পরার প্রবণতা কমে যেতে শুরু করে। শুধুমাত্র সামাজিক অবস্থা প্রদর্শনের জন্য হাই হিল পরা এ সময় অযৌক্তিক হিসেবে গণ্য হয়েছিলো। ১৭৪০ সালের মধ্যে পুরুষরা হাই হিল জুতা পরা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: মাইকেল শিরোনামে নির্মিত হবে ‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক
নারীর পায়ে হাই হিল
নারীর পায়ে হাই হিলের সবচেয়ে পুরাতন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় ১২ শতকে ভারতের রামাপ্পা মন্দিরে একজন ভারতীয় নারীর ভাস্কর্যতে।
১৪০০-এর দশকে ইউরোপের মহিলারা বিশেষ করে স্পেন ও ভেনিসে উচু প্ল্যাটফর্ম যুক্ত এক বিশেষ ধরনের জুতা পরতেন যাকে চপইন বলা হতো। এগুলো মূলত এক ধরনের খড়ম, যা পা কে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা ও আবর্জনা থেকে বের করে আনার জন্য সাধারণ জুতার উপরে পরা হত।
ফরাসী রানী ক্যাথরিন ডি মেডিসি প্রথম নারী যিনি হাই হিল পরতেন। সময়টি ছিলো ১৫০০ দশকের মাঝামাঝি পর্যায়। এর আগ পর্যন্ত মহিলারা শুধুমাত্র চপইন পরতেন।
১৮ শতকে প্রথমবারের মত সাধারণ মহিলারা হাই হিল ফ্যাশন চর্চা করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল