শনিবার হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দিনে করা ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
জবাবে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ২২ ওভার খেলা শেষে সফরকারীরা ৪ উইকেটে ৬০ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে যায়। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যক্তিগত ৯ ও ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে আবারও ব্যর্থ হন ওপেনিং করতে নামা ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। বিদায় নেয়ার আগে দুজনেরই ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল মাত্র ৬ রান। ওপেনার ইমরুল কায়েসকে বোল্ড আউট করেন উমেশ যাদব। পরের ওভারে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে বোল্ড আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ইশান্ত শর্মা।
এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশ দলকে চেপে ধরেন ভারতীয় বোলার শামি। তার বলে ব্যক্তিগত ৭ রানের মাথায় এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। এক ওভার পরই শামির বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন। আউট হওয়ার আগে তার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮।
এর আগে ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ দল। খেলতে পেরেছে মাত্র ৫৮.৩ ওভার। জবাব দিতে নেমে প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৮৬ রান।
একদিন পর শনিবার সকালে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। এই টেস্টে ইনিংস পরাজয় এড়াতেই পাড়ি দিতে হবে ৩৪৩ রান।
এদিকে ভারতের ইনিংসে মায়াঙ্ক আগারওয়াল একাই টপকে গেছেন বাংলাদেশের করা ১৫০ রানকে। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে তিনি করেছেন ২৪৩ রান। এছাড়া আজিঙ্কা রাহানে ৮৬, রবিন্দ্র জাদেজা ৬০*, চেতেশ্বর পুজারা ৫৪ রান করেন।