রবিবার রাতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোলে হারার ঘণ্টা খানেক পরেই রোস্তভ অ্যারেনাতে খেলতে নামে আসরের অন্যতম হট ফেবারিট ব্রাজিল।
ফিফা র্যাংকিং ছয় নম্বর দল সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে তিতের শিষ্যরা।
২০তম মিনিটে ব্রাজিল সমর্থকদের আনন্দে ভাসান বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া ফিলিপে কুতিনহো। দুর্দান্ত এক ভলিতে সুইসদের জালে বল জড়ান বার্সেলোনার মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধ দাপট দেখানো ব্রাজিল বিরতির পর মাঠে নেমে বড় ধাক্কা খায়। ৫০তম মিনিটে কর্নার পেয়ে জের্দান শাকিরির বাড়ানো বল পেয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন অরক্ষিত অবস্থায় থাকা জুবের। খেলায় ১-১ গোলে সমতা আসে।
৬৭তম মিনিটে আরেকবার গোলের সুযোগ পেয়েও মিস করে কুতিনহো।
পুরোপুরি ফিট না হলেও পুরো ম্যাচই খেলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় নেইমার। কয়েকবার সুযোগ পেয়েও সুইস গোলকিপার আর ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় গোল আদায় করতে পারেনি ব্রাজিল সুপারস্টার।
শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় দুদলকে।
সুইজারল্যান্ডের কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচ বলেন, ‘প্রথম ৪০ মিনিট দারুণ খেলেছে ব্রাজিল। আমাদের জন্য সে সময়টা কঠিন ছিল। বিরতির সময় শিষ্যদের মাথা ঠান্ডা রেখে সেলেসাওদের ওপর চাপ তৈরি করতে বললাম। তারা সেটা করে দেখাল এবং কাজে লাগল।’
আগ্রাসী খেলে এই ম্যাচে তিনটি হলুদ কার্ড পায় সুইসরা। তারা মোট ১৪টি ফাউলের ১০টিই করে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারকে।
ম্যাচ শেষে ব্রাজিল বস তিতে বলেন, ‘হতাশাজনক স্কোরলাইনের জন্য কোনো অজুহাত দেখাতে চাই না। খেলোয়াড়দের ওপর অনেক চাপ ও দুশ্চিন্তা ছিল। প্রথমদিকে আমরা চমৎকার খেলেছি। ধীরে ধীরে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হয়েছে। আমরা ওদেরকে ভালোভাবে আটকাতে পারিনি। এরকম ফলাফলে সন্তুষ্ট নই। আমি অবশ্যই জিততে চেয়েছিলাম।’
অন্যদিকে সুইস কোচ বলেন, ‘আমাদের দলের সামর্থের দিকে বিশ্ববাসীর নজর দেয়ার সময় এসেছে। বাছাইপর্বের ১০টির মধ্যে নয়টিতে জিতে টানা চতুর্থবার বিশ্বকাপ খেলছে সুইজারল্যান্ড। এই ফলাফলে আমি বিস্মিত নই। যোগ্যতা অনুযায়ীই আত্মবিশ্বাসের সাথে পুরো দল খেলেছে।’
আগামী শুক্রবার সেন্ত পিতারবুর্গে কোস্টারিকার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। একই দিন কালিনিনগ্রাদে সার্বিয়ার সাথে খেলবে সুইজারল্যান্ড। কোস্টারিকাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষস্থানে এখন সার্বিয়া।