অধ্যাপক রায়ের মরদেহ শহীদ মিনারে বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত রাখা হয়, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন তার মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তার ছোট ছেলে অনুজিত রায় জানান, শহীদ মিনার থেকে অজয়ের মরদেহ বারডেম হাসপাতালে নেয়া হবে। মৃত্যুর আগে নিজের মরদেহ হাসপাতালকে দান করেছেন অজয়।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টিএসসির পাশে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া অভিজিত রায়ের বাবা অজয় রায় সোমবার বারডেম হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
গত ২৫ নভেম্বর জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যাজনিত কারণে অজয় রায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
রায় শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের (শিক্ষা আন্দোলনের প্লাটফর্ম) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং সম্প্রীতি মঞ্চের (শান্তি-সম্প্রীতি-প্রশান্তির প্ল্যাটফর্ম) চেয়ারম্যান। ২০১২ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করা অজয় রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্যাল কেমেস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।